৫০ বছর বয়সী প্রতিবন্ধী নারীকে একাধিকবার ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ২২ বছরের যুবক
Published: 5th, April 2025 GMT
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় ৫০ বছর বয়সী এক মানসিক প্রতিবন্ধী নারীকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগে মো. দেলোয়ার হোসেন নামের ২২ বছর বয়সী এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছেন পুলিশ।
শুক্রবার রাতে উপজেলার চরতি ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের তুলাতুলি বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার দেলোয়ার চরতি ইউনিয়নের পার্শ্ববর্তী বাঁশখালী উপজেলার পুকুরিয়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মুন্সিপাড়া এলাকার জলিয়ার বড় বাড়ির আব্দুর রশিদের ছেলে। এ ঘটনায় চরতি ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ মো.
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি রাত আনুমানিক দুইটার দিকে ওই মানসিক প্রতিবন্ধী নারীর বসতঘরে হানা দেয় দেলোয়ার হোসেন। এ সময় ৫০ বছর বয়সী মানসিক প্রতিবন্ধী নারীর চিৎকার শুনতে পেয়ে ঘরের পার্শ্ববর্তী লোকজন এগিয়ে আসলে এক যুবককে অন্ধকারে পালিয়ে যেতে দেখা যায়। ওই প্রতিবন্ধী নারীর ইশারা ইঙ্গিতে এলাকাবাসী বুঝতে পারে, পালিয়ে যাওয়া যুবক তাকে ধর্ষণ করেছে। তবে এলাকার লোকজন তাৎক্ষণিক পালিয়ে যাওয়া যুবকের পরিচয় শনাক্ত করতে পারেনি। গত ৪ এপ্রিল আনুমানিক দুইটার দিকে একই যুবক ওই প্রতিবন্ধী নারীর ঝুপড়ি ঘরে প্রবেশ করলে আগের ন্যায় ওই নারী চিৎকার শুরু করে। চিৎকারের আওয়াজ শুনতে পেয়ে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে দেলোয়ারকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। দেলোয়ার একাধিকবার ওই নারীকে ধর্ষণের বিষয়টি এলাকাবাসীর কাছে স্বীকার করে। পরে এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেলোয়ারকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়।
মামলার বাদী গ্রাম পুলিশ মো. নাছির উদ্দিন বলেন, পাগল বলে কি ওই নারী বিচার পাবে না? তাই বিবেকের তাড়নায় এক মানসিক প্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণের কারণে আমি মামলার বাদী হয়েছি। দেলোয়ার একজন কসাই। সৃষ্টিকর্তা ও বিচারকদের নিকট আবেদন, যেন তিনি ন্যায়বিচার পান।
সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহেদুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তার যুবক দেলোয়ার মানসিক প্রতিবন্ধী ওই নারীকে একাধিকবার ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় এক গ্রাম পুলিশ বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় একটি মামলা করেন। আজ শনিবার সকালে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ওই ন র
এছাড়াও পড়ুন:
নোয়াখালীতে পলাতক আওয়ামী লীগ নেতাকে আশ্রয় দেওয়ায় তাঁতী দলের নেতা বহিষ্কার
নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আলাউদ্দিনকে নিজ বাড়িতে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে জাতীয়তাবাদী তাঁতী দলের এক নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বহিষ্কৃত মোহাম্মদ সৈকত উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়ন তাঁতী দলের সভাপতি ছিলেন। আজ শুক্রবার বিকেলে জেলা তাঁতী দলের সদস্যসচিব মোরশেদ আলম প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে জেলা তাঁতী দলের আহ্বায়ক ইকবাল করিম সোহেল ও সদস্যসচিব মোরশেদ আলমের যৌথ স্বাক্ষরিত চিঠিতে বহিষ্কারের আদেশ দেওয়া হয়।
চিঠিতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে মোহাম্মদ সৈকতকে বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিটি মূল্যায়নে ব্যর্থ হওয়ায় হাতিয়া উপজেলা তাঁতী দলের দক্ষিণ কমিটিকে সতর্ক করা হয়েছে।
দলীয় সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার ভোরে হাতিয়া উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের জোড়খালী গ্রামে সৈকতের বাড়ি থেকে সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে হাতিয়া থানা–পুলিশ। এ সময় তাঁর কাছ থেকে ১০টি ককটেল উদ্ধার করা হয়। আলাউদ্দিন ও মোহাম্মদ সৈকত সম্পর্কে ফুফা–ভাগনে।
এ বিষয়ে মোহাম্মদ সৈকত প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের বাড়িতে অনেকগুলো পরিবার থাকে। আমি ব্যবসার কাজে দিনের বেশির ভাগ সময় বাইরে থাকি। আলাউদ্দিন কখন বাড়িতে এসেছেন, তা আমার জানা নেই। আমাদের ঘর থেকে তাঁর শ্বশুরদের ঘর অনেক দূরে। উদ্দেশ্যমূলকভাবে আমাকে জড়ানো হয়েছে।’
নোয়াখালী জেলা তাঁতী দলের সদস্যসচিব মোরশেদ আলম বলেন, আওয়ামী লীগের পলাতক নেতাকে আত্মগোপনে থাকার সুযোগ করে দেওয়ায় মোহাম্মদ সৈকতকে বহিষ্কার করা হয়েছে। পাশাপাশি উপজেলার দক্ষিণাঞ্চলের তাঁতী দল কমিটিকেও সতর্ক করা হয়েছে।
আরও পড়ুনহাতিয়ায় শ্বশুরবাড়িতে পালিয়ে থাকা সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গ্রেপ্তার৩১ জুলাই ২০২৫