ইউটিউব চ্যানেল খুলে এখন অনেকেই অর্থ আয় করেন। এমনকি অনেক নির্মাতা রীতিমতো তারকাও বনে গেছেন। সম্প্রতি নিজেদের তৈরি ভিডিও জনপ্রিয় করতে কেউ কেউ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি ব্যবহার করে সিনেমার ভুয়া ট্রেলার তৈরির পর প্রচার করছেন। এর ফলে সিনেমার দর্শকেরা বিভ্রান্ত হওয়ায় সিনেমার ভুয়া ট্রেলার প্রচার করা চ্যানেলের আয়ের পথ বন্ধ করে দিয়েছে ইউটিউব।

ইউটিউবের তথ্যমতে, সিনেমার ভুয়া ট্রেলারগুলো বিভ্রান্তিকর। এসব ভিডিওতে কখনো হ্যারি পটার বা মার্ভেল সিনেমার চমকপ্রদ সিকুয়েল আসার দাবি করা হয়। ইউটিউবের নীতিমালায় স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, দর্শকদের বিভ্রান্ত বা প্রতারণামূলক তথ্য ছড়ায়, এমন কনটেন্ট অনুমোদনযোগ্য নয়।

আরও পড়ুনইউটিউব চ্যানেল জনপ্রিয় করার ৭ কৌশল১৪ জানুয়ারি ২০২৩

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিনোদনবিষয়ক ওয়েবসাইট ডেডলাইন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইউটিউবের নতুন এই পদক্ষেপের ফলে স্ক্রিন কালচার ও কেএইচ স্টুডিও নামের দুটি জনপ্রিয় চ্যানেল আয়ের সুযোগ হারিয়েছে। এই চ্যানেল দুটির সম্মিলিত সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা ২০ লাখের বেশি। এরই মধ্যে ইউটিউব চ্যানেল দুটিকে পার্টনার প্রোগ্রাম থেকে বাদ দিয়েছে। ফলে তারা আর বিজ্ঞাপন থেকে আয় করতে পারবে না। যদিও তাদের আপিল করার সুযোগ রয়েছে।

আরও পড়ুনইউটিউবে সবচেয়ে জনপ্রিয় ১০ চ্যানেলের নাম জানেন কি১৪ অক্টোবর ২০২৪

এক বিবৃতিতে কেএইচ স্টুডিওর প্রতিষ্ঠাতা বলেন, ‘তিন বছর ধরে আমি কেএইচ স্টুডিও চালিয়ে আসছি। এতে আমার সবটুকু শ্রম ও সময় বিনিয়োগ করেছি। আমার উদ্দেশ্য ছিল সৃজনশীল ভাবনাগুলো উপস্থাপন করা, দর্শকদের ভুল ধারণা দেওয়া নয়। তাই ইউটিউবের এই সিদ্ধান্ত হতাশাজনক।’

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: জনপ র

এছাড়াও পড়ুন:

তিন সাংবাদিকের চাকুরিচ্যুতির ঘটনায় ডিআরইউ’র উদ্বেগ

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সদস্য সাংবাদিক রফিকুল বাসার, মুহাম্মদ ফজলে রাব্বি ও মিজানুর রহমানসহ কয়েকজন সংবাদকর্মীর চাকরিচ্যুতির ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে ডিআরইউ।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষে সভাপতি আবু সালেহ আকন ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল সংবাদকর্মীদের চাকুরিচ্যুতির ঘটনায় এ উদ্বেগ জানান।

উল্লেখ্য, চ্যানেল আই’র সাংবাদিক রফিকুল বাসার, এটিএন বাংলার মুহাম্মদ ফজলে রাব্বি ও দীপ্ত টিভির সাংবাদিক মিজানুর রহমানকে মঙ্গলবার কোনো রকম পূর্ব নোটিশ ছাড়াই চাকরিচ্যুত করে কর্তৃপক্ষ।

ডিআরইউ নেতৃবৃন্দ তিন সাংবাদিককে চাকরিচ্যুতির কারণ ব্যাখ্যা করার দাবি জানিয়েছেন।

এএএম//

সম্পর্কিত নিবন্ধ