থাইল্যান্ডে ক্যারিয়ার–সেরা টাইমিং সামিউলের, মালয়েশিয়ায় সোনার স্বপ্ন
Published: 6th, April 2025 GMT
থাইল্যান্ডে গতকাল শনিবার অনুষ্ঠিত থাই ওপেন চ্যাম্পিয়নশিপের ১০০ মিটার ব্যাকস্ট্রোকে ব্রোঞ্জ পদক জিতেছেন বাংলাদেশের সাঁতারু সামিউল ইসলাম। তাঁর সময় লেগেছে ৫৮.৯০ সেকেন্ড, যেটা এই ইভেন্টে সামিউলের ক্যারিয়ার–সেরা টাইমিংও। এত দিন তাঁর সেরা টাইমিং ছিল ৫৮.৯৫ সেকেন্ড।
১০০ মিটার ব্যাকস্ট্রোকে সোনা জেতা থাই সাঁতারুর টাইমিং ৫৬.
বিশ্ব সাঁতার ফেডারেশনের বৃত্তি নিয়ে থাইল্যান্ডে আছেন সামিউল। সেখানে মূলত উন্নত প্রশিক্ষণের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। থাইল্যান্ডে হওয়া থাই ওপেন চ্যাম্পিয়নশিপের পর এ মাসেই মালয়েশিয়ার ওপেন সাঁতার চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নেবেন।
২৪-২৭ এপ্রিল কুয়ালালামপুরে হবে ৬৭তম মিলো মালয়েশিয়া ওপেন সুইমিং চ্যাম্পিয়নশিপ, যেখানে স্বাগতিক মালয়েশিয়া ছাড়াও বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, মালদ্বীপ, ডেনমার্ক, যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো, তাজিকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, ঘানাসহ বিশ্বের প্রায় ৩০টি দেশ থেকে সাঁতারুরা অংশ নেবেন।
গত বছর মালয়েশিয়ায় হওয়া এই প্রতিযোগিতায় রুপা জিতেছিলেন সামিউল। এবার তাঁর লক্ষ্য সোনা। আজ থাইল্যান্ড থেকে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে এমনটাই বলেছেন সামিউল, ‘টাইমিংয়ে কিছুটা উন্নতি করতে পেরে ভালো লাগছে। আসলে থাই চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য আমি আলাদাভাবে কোনো প্রস্তুতি নিইনি। আমার লক্ষ্য মালয়েশিয়ায় সোনা জেতা। বলতে পারেন সেই টুর্নামেন্টের আগে এটা একটা প্রস্তুতি। তবে নিজেকে ছাড়িয়ে যেতে পেরেই ভালো লাগছে।’
১১ জুলাই থেকে ৩ আগস্ট পর্যন্ত সিঙ্গাপুরে বসবে এবারের বিশ্ব সাঁতার চ্যাম্পিয়নশিপ। বাংলাদেশ থেকে অংশ নেবেন সামিউল ও মোসাম্মাৎ অ্যানি আক্তার। তাঁদের ইভেন্টগুলো হবে ২৫ জুলাই থেকে ৩ আগস্ট পর্যন্ত। সামিউল ৫০ ও ১০০ মিটার ব্যাকস্ট্রোক এবং অ্যানি ৫০ ও ১০০ মিটার ফ্রিস্টাইলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
বিশ্ব সাঁতারে অংশ নেওয়ার আগে মালয়েশিয়ায় নিজেকে আরেকবার পরখ করে দেখতে চান সামিউল, ‘জুলাইয়ে সিঙ্গাপুরে বিশ্ব সাঁতার। সেখানে ভালো কিছু করার চেষ্টা থাকবে। তার আগে মালয়েশিয়ায় সোনা জিততে পারলে প্রস্তুতিটা পরিপূর্ণ হবে বলে মনে করছি।’
বর্তমানে বাংলাদেশের প্রতিভাবান সাঁতারুদের একজন সামিউল। ২০২৩ সালে হওয়া জাতীয় সাঁতারে রেকর্ড গড়ে তিন সোনা জেতেন ২১ বছর বয়সী এই সাঁতারু। আর গত বছর ৩৩তম জাতীয় সাঁতারে পুরুষ বিভাগে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর হয়ে জেতেন পাঁচটি সোনা ও একটি ব্রোঞ্জ।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: চ য ম প য়নশ প র ১০০ ম ট র ন স ম উল
এছাড়াও পড়ুন:
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ: এবার কাদের বিপক্ষে, কবে খেলবে বাংলাদেশ?
আইসিসির বৈশ্বিক টেস্ট লিগ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ। তিনটি সফল চক্র শেষে চতুর্থ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্র, ২০২৫-২৭ মাঠে গড়ানোর অপেক্ষা। মঙ্গলবার (১৭ জুন) গলে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার টেস্ট দিয়ে শুরু হবে চতুর্থ চক্রের খেলা।
প্রতিটি দল দুই বছরের মধ্যে ছয়টি সিরিজ খেলবে। যার তিনটি দেশের মাটিতে, তিনটি প্রতিপক্ষের মাঠে। প্রতিটি সিরিজ হবে কমপক্ষে দুই টেস্টের। সর্বোচ্চ পাঁচটি টেস্ট থাকতে পারবে এক সিরিজে। এই সময়ে সিরিজ হবে মোট ২৭টি, যেখানে টেস্টের সংখ্যা ৭১টি। ২০২৭ সালের জুনে লিগ টেবিলের শীর্ষ দুই দলকে নিয়ে হবে ফাইনাল। শেষ তিন আসরের মতো ইংল্যান্ডেই বসবে সাতাশের ফাইনাল। সম্ভাব্য ভেন্যু লর্ডস।
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম চক্রে বাংলাদেশ সাতটি ম্যাচ খেলেছিল। জিততে পারেনি কোনো ম্যাচ। ড্র করেছিল একটি। হেরেছিল ছয়টি। পরের চক্রে ১২ ম্যাচে মাত্র ১ জয়, ১০টাতেই হার।
আরো পড়ুন:
বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা টেস্ট পরিসংখ্যান
বাংলাদেশের বিপক্ষে হোম সিরিজে শ্রীলঙ্কার টেস্ট দল ঘোষণা
সর্বশেষ টেস্ট চক্রে বাংলাদেশ তিনটি ম্যাচ দেশের বাইরে, একটি দেশের মাটিতে জিতেছে। সব মিলিয়ে ১২ ম্যাচে চারটিতে জিতেছে। পাকিস্তানের বিপক্ষে রাওয়ালপিন্ডিতে দুই ম্যাচের সিরিজ জিতেছিল। এছাড়া নিউ জিল্যান্ডকে দেশের মাটিতে ও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বিদেশে হারিয়েছিল।
এবারের চক্রে বাংলাদেশ ১২টি ম্যাচ খেলবে। মোট ছয়টি সিরিজ। তিনটি দেশের বাইরে, তিনটি দেশের মাটিতে। দেশের বাইরে বাংলাদেশকে শ্রীলঙ্কার পর কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে। কেননা দুটি সফরই শেষবারের দুই ফাইনালিস্টদের বিপক্ষে। অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অ্যাওয়ে সিরিজ রয়েছে বাংলাদেশের। এছাড়া ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলবে দেশের মাটিতে।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এই টেস্টের পর বাংলাদেশকে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পরের ম্যাচের জন্য ২০২৬ সালের মার্চ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। পাকিস্তান ২০২৬ সালের মার্চে বাংলাদেশ সফর করবে। ২টি টেস্ট বাদেও ৩টি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলবে। ওই বছরের অক্টোবরে ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে আতিথেয়তা দেবে। নভেম্বর বাংলাদেশ যাবে দক্ষিণ আফ্রিকায়।
এরপর ২০২৭ সালে ইংল্যান্ড দুই টেস্টের জন্য আসবে ফেব্রুয়ারিতে। মার্চে বাংলাদেশ যাবে অস্ট্রেলিয়া সফরে। ২০০৩ সালের পর ২০২৭ সালে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে প্রথম টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। আর এই সিরিজ দিয়ে বাংলাদেশের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের চতুর্থ চক্র শেষ হবে।
নতুন টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে নিজেদের লক্ষ্য নিয়ে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত বলেছিলেন, ‘‘টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে আমরা গত বছর (চক্রে) ৭ নম্বরে শেষ করেছি। এই বছর তো অবশ্যই লক্ষ্য থাকবে যেন ৪-৫-৬ নম্বরের মধ্যে আসতে পারি। তাহলে খুব ভালো হয়।”
“গত বছর (চক্রে) জয়ের হার সম্ভবত ৪৫ শতাংশ (আসলে ৪৫ পয়েন্ট ও ৩১.২৫ শতাংশ) ছিল। এখান থেকে যদি বাড়াতে পারি—৫০-৫৫ বা ৬০ শতাংশ হলে, একজন অধিনায়ক হিসেবে আমার মনে হয়, ভালো একটা ফল হবে আমাদের।”– যোগ করেন শান্ত।
ঢাকা/ইয়াসিন