তিস্তা মহাপরিকল্পনা: বিকল্প বিনিয়োগকারীদের সঙ্গেও আলোচনার আহ্বান
Published: 6th, April 2025 GMT
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সম্প্রতি চীন সফরে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে চীনের বিনিয়োগের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তবে এই বিনিয়োগে সুদের হার, ঋণের মেয়াদ ও গ্রেস পিরিয়ডের বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে বিকল্প বিনিয়োগকারীদের সঙ্গেও সমান্তরাল আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন রংপুর বিভাগ বৈষম্য নিরসন আন্দোলনের প্রধান উপদেষ্টা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড.                
      
				
রবিবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে রংপুর সার্কিট হাউসে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি সাংবাদিকদের এ সব কথা বলেন।
ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘‘দীর্ঘদিন ধরে উত্তরাঞ্চল উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত। তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের বিকল্প নেই। তবে একমাত্র চীনের উপর নির্ভর না করে জাপান, বিশ্বব্যাংকসহ অন্যান্য সম্ভাব্য অর্থায়নকারী সংস্থার সঙ্গে সমান্তরালভাবে আলোচনা করা দরকার।’’
আরো পড়ুন:
বাঁধে ভাঙনের ২ দিনেও সংস্কার শুরু হয়নি, ১০ গ্রাম প্লাবিত
সাতক্ষীরায় বেড়িবাঁধ ভেঙে ৫ গ্রাম প্লাবিত
সরকারের রাজনৈতিক দূরদর্শিতা নিয়েও প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ‘‘শুধু চুক্তি নয়, বাস্তবায়নের দিকেও গুরুত্ব দিতে হবে।’’ এ সময় তিনি নিজস্ব অর্থায়নের সম্ভাবনাও খতিয়ে দেখার দাবি জানান।
মতবিনিময় সভায় গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/আমিরুল/বকুল
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’