প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সম্প্রতি চীন সফরে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে চীনের বিনিয়োগের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তবে এই বিনিয়োগে সুদের হার, ঋণের মেয়াদ ও গ্রেস পিরিয়ডের বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে বিকল্প বিনিয়োগকারীদের সঙ্গেও সমান্তরাল আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন রংপুর বিভাগ বৈষম্য নিরসন আন্দোলনের প্রধান উপদেষ্টা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড.

আব্দুল্লাহ আল মামুন।

রবিবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে রংপুর সার্কিট হাউসে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি সাংবাদিকদের এ সব কথা বলেন। 

ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘‘দীর্ঘদিন ধরে উত্তরাঞ্চল উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত। তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের বিকল্প নেই। তবে একমাত্র চীনের উপর নির্ভর না করে জাপান, বিশ্বব্যাংকসহ অন্যান্য সম্ভাব্য অর্থায়নকারী সংস্থার সঙ্গে সমান্তরালভাবে আলোচনা করা দরকার।’’ 

আরো পড়ুন:

বাঁধে ভাঙনের ২ দিনেও সংস্কার শুরু হয়নি, ১০ গ্রাম প্লাবিত 

সাতক্ষীরায় বে‌ড়িবাঁধ ভেঙে ৫ গ্রাম প্লা‌বিত

সরকারের রাজনৈতিক দূরদর্শিতা নিয়েও প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ‘‘শুধু চুক্তি নয়, বাস্তবায়নের দিকেও গুরুত্ব দিতে হবে।’’ এ সময় তিনি নিজস্ব অর্থায়নের সম্ভাবনাও খতিয়ে দেখার দাবি জানান। 

মতবিনিময় সভায় গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/আমিরুল/বকুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর নদ

এছাড়াও পড়ুন:

ভোররাতে রণক্ষেত্র: নরসিংদীতে নিহত ১, গুলিবিদ্ধ ৫

নরসিংদীতে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই দলের মুখোমুখি সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন এবং গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন পাঁচ জন।

বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ভোররাতে এই রণক্ষেত্র তৈরি হয় সদর উপজেলার আলোকবালী এলাকায়।

সংঘর্ষে নিহতের নাম ইদন মিয়া (৫৫)। তিনি সদর উপজেলার মুরাদনগর গ্রামের বাসিন্দা। আহতদের তাৎক্ষণিক পরিচয় জানা না গেলেও তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নদী থেকে বালু উত্তোলন, জমি দখল এবং রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই দ্বন্দ্ব আরো ঘনীভূত হয়। তারই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার ভোর ৫টার দিকে এই সংঘর্ষ বাধে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উভয়পক্ষই দেশীয় অস্ত্রসহ আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ইদন মিয়াকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। 

ঘটনার পর থেকে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। সম্ভাব্য নতুন সংঘর্ষের আশঙ্কায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা বা আটকসংক্রান্ত তথ্য পাওয়া যায়নি।

নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজন চন্দ্র সরকার বলেন, “ঘটনার বিস্তারিত জানতে তদন্ত চলছে। শুনেছি একজন নিহত হয়েছে। পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পরবর্তীতে বিস্তারিত জানানো হবে।”

ঢাকা/হৃদয়/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ