সাবেক প্রতিমন্ত্রী কেরামত আলী কারাগারে
Published: 7th, April 2025 GMT
সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও রাজবাড়ী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলীর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার দুপুরে রাজবাড়ী সদর আমলী আদালতের বিচারক তামজিদ আহম্মেদ এ নির্দেশ দেন। রোববার রাতে তাঁকে ঢাকার মহাখালী থেকে গ্রেপ্তার করে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের একটি দল।
রাজবাড়ী শহরের সজ্জনকান্দার বাসিন্দা কাজী কেরামত আলী জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি। দীর্ঘদিন তিনি এই কমিটির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৯২ সালের উপনির্বাচনে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন কাজী কেরামত আলী। পরবর্তীতে ১৯৯৬, ২০০৮, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের সংসদ নির্বাচনেও জয়ী হন। ২০১৮ সালের ৩ জানুয়ারি শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার পর এক বছর ওই পদে ছিলেন।
পুলিশ জানিয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার অভিযোগে গত বছরের ৩০ আগস্ট রাজীব মোল্লা নামের শিক্ষার্থী বাদী হয়ে ১৭০ জনের বিরুদ্ধে রাজবাড়ী সদর থানায় মামলা করেন। এ মামলার দুই নম্বর আসামি কাজী কেরামত আলী। তিনি ৫ আগস্টের পর থেকেই পলাতক ছিলেন। সোমবার সকালে ঢাকা থেকে রাজবাড়ী আনা হলে তাঁকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
রাজবাড়ী আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আব্দুর রাজ্জাকের ভাষ্য, শিক্ষার্থী রাজীবের করা মামলার ২ নম্বর আসামি কাজী কেরামত আলী। তিনি হুকুমের আসামি। আদালত তাঁর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে সোমবার কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
খামেনিকে হত্যার ইসরায়েলি পরিকল্পনা আটকে দিয়েছিলেন ট্রাম্প
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হত্যার ইসরায়েলের পরিকল্পনা কয়েক দিন আগে আটকে দিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দুজন মার্কিন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
ইসরায়েল গত শুক্রবার ভোর রাতে হামলা করে দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর শীর্ষ পদের প্রায় সব কর্মকর্তাকে হত্যা করে। এ ছাড়া ইসরায়েলি হামলায় খামেনির একজন উপদেষ্টাও নিহত হন।
মার্কিন প্রশাসনের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘ইরানিরা কি এখন পর্যন্ত কোনো আমেরিকানকে হত্যা করেছে? না, যতক্ষণ না তারা এটা করছে, ততক্ষণ আমরা কোনো রাজনৈতিক নেতৃত্বকে আক্রমণের কথা ভাবছিও না।’
এদিকে গতকাল রোববার ফক্স নিউজকে সাক্ষাৎকার দেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। সেখান তাকে খামেনিকে হত্যার পরিকল্পনার বিষয়ে রয়টার্সের প্রতিবেদনের বিষয়ে জানতে প্রশ্ন করেলে নেতানিয়াহু বলেন, ‘কখনো আলাপই হয়নি, এমন অনেক বিষয় নিয়েও খবর প্রকাশ করা হয়েছে। আমি সে বিষয়ে কিছু বলতে চাই না।’
ফক্সের ‘স্পেশাল রিপোর্ট উইথ ব্রেট বেয়ার’ অনুষ্ঠানে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যা করার দরকার, তা করি।’ নেতানিয়াহু বলেন, ইরানে ইসরায়েলের সামরিক হামলার একটি ফল হতে পারে সরকার পরিবর্তন। তেহরানের সৃষ্ট ‘অস্তিত্বের হুমকি’ দূর করতে ইসরায়েল যা যা প্রয়োজন, তা-ই করবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে চলমান এই সংঘাত ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বেড়েছে। তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, এটি সহজেই শেষ করা যেতে পারে। একই সঙ্গে ইরানকে সতর্ক করে তিনি বলেছেন, যদি ইরান কোনো আমেরিকান লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করে, তবে যুক্তরাষ্ট্রও এ সংঘাতে জড়িয়ে পড়তে পারে।