রাজবাড়ী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলীর সঙ্গে আদালতের বারান্দায় করমর্দন করেছেন জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মো. নুরুল ইসলাম। তাঁদের করমর্দনের ছবি নিয়ে ফেসবুকে চলছে নানা আলোচনা। তবে করমর্দনের বিষয়টিকে ‘সৌজন্যতা’ হিসেবে দেখছেন জামায়াতের এই নেতা।

গতকাল রোববার গভীর রাতে কাজী কেরামত আলীকে রাজধানীর মহাখালী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে আজ সোমবার সকালে তাঁকে রাজবাড়ী নিয়ে আসা হয়। রাজবাড়ীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও গুলিবর্ষণের মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

আদালত–সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আজ দুপুর পৌনে ১২টার দিকে রাজবাড়ী সদর আমলি আদালতের বিচারক জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো.

তামজিদ আহমেদের আদালতে কাজী কেরামতকে হাজির করা হয়। আদালত তাঁর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এর আগে সাবেক এই শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীকে আদালতে নেওয়ার সময় বিক্ষুব্ধ লোকজন ‘ভুয়া ভুয়া’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন। পুলিশের কড়া পাহারায় তাঁকে দ্রুত আদালতে নেওয়া হয়।

জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, গত ৩০ আগস্ট কাজী কেরামত আলীসহ ১৭০ জনের নাম উল্লেখ করে রাজবাড়ী সদর থানায় মামলা করেন রাজীব মোল্লা নামের এক শিক্ষার্থী। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ৩০০ জনকে আসামি করা হয়। এই মামলায় কাজী কেরামতকে কারাগারে পাঠানো হয়।

দুপুরে জেলা কারাগারে নেওয়ার পথে আদালতের বারান্দায় জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলীর সঙ্গে দেখা হয় জামায়াতের নেতা মো. নুরুল ইসলামের। এ সময় তাঁরা করমর্দন করে। তাঁদের এই করমর্দনের ছবি ছড়িয়ে পড়ে ফেসবুকে। এ নিয়ে নানা মন্তব্য করছেন ফেসবুক ব্যবহারকারীরা।

সিরাজুল ইসলাম নামের একজনের মন্তব্য, ‘হাত মেলানো মানেই আওয়ামী লীগের সঙ্গে যাওয়া না। অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম একজন ভদ্রলোক। তাই সৌজন্যের খাতিরে হাত মেলাচ্ছেন। তবে আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে।’

আর শরিফুল ইসলাম নামের একজন লিখেছেন, ‘খুনি হাসিনার দোসর, বালুখোর, ভোট চোরের সঙ্গে হাত মিলানো। তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজবাড়ী জেলা জামায়াতের আমির ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার সদস্য মো. নুরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি মামলাসংক্রান্ত কাজেই আদালত চত্বরে ছিলাম। এমন সময় সামনাসামনি সাবেক এমপি কাজী কেরামত আলীর সঙ্গে দেখা হয়ে যায়। তিনি আমাকে দেখে হাত এগিয়ে দিলে সৌজন্যতা দেখাতে আমিও হাত এগিয়ে দিই। এখানে দোষের তো কিছু দেখছি না।’

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ন র ল ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

সেলফি’র ধাক্কায় গণস্বাস্থ্যের কর্মীর মৃত্যু, ৬ বাস আটক

সাভারে সেলফি পরিবহনের একটি চলন্ত বাসের ধাক্কায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের একজন সাবেক নিরাপত্তাকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় ঘাতক বাস ও বাসের চালককে আটক করে স্থানীয়রা। পরে সেলফি পরিবহনের আরও পাঁচটি বাস আটক করে গণস্বাস্থ্য মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্মচারীরা। 

বুধবার (৩০ এপ্রিল) সকাল ১০টা ২০ এর দিকে সাভারের আশুলিয়া এলাকার ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কাছে ঢাকা মুখী লেনে এই দুর্ঘটনা ঘটে। 

নিহত ব্যক্তি হলেন, চাঁদপুর জেলার মতলব থানার লোকমান মোল্লার ছেলে শামসুল মোল্লা (৭০)। তিনি গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের শ্রীপুর(গাজীপুর) উপকেন্দ্রের নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। 

আটককৃত বাসের চালক হলেন, ঢাকার ধামরাই উপজেলার রোয়াইল ইউনিয়নের আব্দুল মবেদের ছেলে আব্দুল করিম (৪৫)। 

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অল্প কিছুদিন আগেই তিনি চাকরি থেকে অব্যাহতি নিয়েছিলেন। তার পাওনাদি নেওয়ার জন্যেই তিনি আজ গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে এসেছিলেন।

সাভার হাইওয়ে থানার ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) বিষ্ণু পদশর্মা বলেন, “সড়ক দুর্ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে আমরা এসেছি। আইনগত প্রক্রিয়া চলমান।”

ঢাকা/সাব্বির/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অমিতাভের চিরকুট কিংবা ফ্যাশন নিয়ে রাধিকার ১০ প্রশ্নের জবাব, ১০ ছবি
  • মাঠ নিয়ে শ্রাবণের আফসোস
  • একজন চা শ্রমিকের দিনে আয় ১৭৮ টাকা
  • বড় বন্দরে ভারী কাজ করেও চলে না সংসার 
  • নাটোরে ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল একজনের
  • ফরিদপুর জেলা এনসিপি’র কমিটি গঠনের দায়িত্বে মহিলা আ’লীগ সভাপতির মেয়ে
  • ফরিদপুর জেলা এনসিপি’র কমিটি গঠনের দায়িত্বে মহিলা আ’লীগ সভাপতি মেয়ে
  • ৫০ পেরোনো নারীর খাদ্যাভ্যাস যেমন হতে হবে
  • যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ করতে কাজ করছে চীন
  • সেলফি’র ধাক্কায় গণস্বাস্থ্যের কর্মীর মৃত্যু, ৬ বাস আটক