বৈশাখী মেলা সামনে রেখে মৃৎশিল্পীদের ব্যস্ততা
Published: 7th, April 2025 GMT
আসন্ন বৈশাখী মেলা সামনে নড়াইল জেলার বিভিন্ন উপজেলার মৃৎশিল্পীদের ব্যস্ততা বেড়েছে। মৃৎশিল্পীরা বাহারি সব মাটির খেলনা, বিভিন্ন ধরনের জিনিস তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। শেষ মুহূর্তে মৃৎশিল্পীদের বাড়ির নারী সদস্যরা মাটির তৈরি খেলনায় রঙ-তুলির আঁচড় দিচ্ছেন।
পহেলা বৈশাখে নড়াইল সদর ও লোহাগড়া উপজেলার একাধিক স্থানে দিনব্যাপী বৈশাখী মেলা বসে। এ সব মেলায় মাটির তৈরি জিনিসপত্রের চাহিদা রয়েছে। বিশেষ করে শিশুদের কাছে মাটির তৈরি খেলনার বেশ কদর রয়েছে।
শনিবার (৫ এপ্রিল) বিকালে লোহাগড়া উপজেলার কুন্দশী গ্রামের পাল পাড়ায় গিয়ে দেখা গেছে, পাল-পরিবারের নারী ও পুরুষ সদস্যরা বিভিন্ন মাটির খেলনা, সংসারের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র তৈরিতে ব্যস্ত রয়েছেন। তাদের যেন কথা বলার সময়টুকুও নেই। শিশুদের খেলনার মধ্যে রয়েছে, মাটির পুতুল, হাতি, ঘোড়া, দোয়েল পাখি, ময়না পাখি, টিয়া পাখি, হাঁস-মুরগি, নৌকা, মাটির ব্যাংক, মগ, গ্লাস, চায়ের কাপ, পিঠা তৈরির ছাঁচ, নানা জাতের ফুল ও ফুলদানি। এ ছাড়া রয়েছে মাটির তৈরি হাঁড়ি-পাতিল, গৃহস্থালী কাজে ব্যবহার্য দ্রব্যাদি।
আরো পড়ুন:
পঞ্চগড়ে ভাষা সৈনিক সুলতান বই মেলা শুরু
‘জোনাকি পোকার মতো বই অন্ধকারে আলো ছড়ায়’
উপজেলার কুন্দশী গ্রামের তপন পাল জানান, বছরের এই একটা উৎসব ঘিরে তাদের অনেক আশা থাকে। এমনিতে সারা বছর মৃৎশিল্পের তেমন চাহিদা থাকে না। এখন আর মাটির জিনিসের তেমন কদরও নেই। সারা বছর অভাব-অনাটনে চলতে হয়। আজকাল এই কাজ করা পূর্বপুরুষের পেশা ধরে রাখার চেষ্টামাত্র। বৈশাখ মাস এলে মেলায় মাটির তৈরি খেলনা ও সামগ্রীর চাহিদা থাকে। তাই এ সময়টায় কিছু আয় হয়।
অর্চনা পাল জানান, পহেলা বৈশাখে বিভিন্ন জায়গায় মেলা বসে। এই মেলায় শখের বসে অনেকে মাটির সামগ্রী, বিশেষ করে মাটির খেলনা কেনে। তাই এই সময়ে কিছুটা কর্মব্যস্ততা বাড়ে। এখন এ সব তৈরিতে প্রধান উপাদান এঁটেল মাটির অভাব। তার উপরে রঙের বাড়তি দাম। সেই অনুযায়ী তাদের তৈরি জিনিসের দাম ততটা বাড়েনি।
নড়াইল বিসিক কার্যালয়ের উপ-ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী সোলায়মান হোসেন বলেন, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অনবদ্য রূপ মৃৎশিল্প। এর সঙ্গে একদিকে জড়িয়ে আছে জীবিকা, অন্যদিকে নান্দনিকতা ও চিত্রকলার বহিঃপ্রকাশ। মৃৎশিল্প বাঙালির নিজস্ব শিল্প, সংস্কৃতি আর ঐতিহ্যের অংশ। এ শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে বিসিকের পক্ষ থেকে সহায়তা করা হবে।
ঢাকা/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম ল র খবর পয়ল ব শ খ উপজ ল র
এছাড়াও পড়ুন:
নির্বাচনের জন্য ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ই উপযুক্ত: সাকি
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ই সবচেয়ে উপযুক্ত হবে। এর পরে দেশের আবহাওয়া প্রতিকূল থাকে। তা ছাড়া বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষা হয়। নির্বাচনের জন্য এর পরের সময়টা উপযুক্ত নয়।
আজ শুক্রবার যুক্তরাজ্যে সফররত অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকের প্রতিক্রিয়ায় প্রথম আলোকে এসব কথা বলেন জোনায়েদ সাকি।
বৈঠককে স্বাগত জানিয়ে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী বলেন, ‘এর মাধ্যমে রাষ্ট্রের অর্থনীতি ও জনজীবনের সংকট দূর হবে। আমরা আগেই প্রধান উপদেষ্টাকে জানিয়েছিলাম, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন আয়োজন করতে। কিন্তু এত দিন সেই পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। সরকার এপ্রিলে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছিল, যে সময়টা যথাযথ ছিল না।’
নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য তৈরি হলে রাজনীতিতে আস্থাপূর্ণ পরিবেশ ফিরে আসবে বলে মনে করেন জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি দেশের জন্য এই পরিবেশ বজায় থাকা জরুরি। সংস্কারের জন্য এই পরিবেশ সহায়ক হবে। এত দিন নির্বাচনের তারিখ নিয়ে উদ্বেগ থাকায় সংস্কার নিয়ে তেমন অগ্রগতি ছিল না। এখন সংস্কারের অগ্রগতি নিয়ে কাজ করা যাবে।’
সংস্কার কার্যক্রমকে জনগণ নির্বাচনের মাধ্যমে মীমাংসা করবে উল্লেখ করে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী বলেন, ‘সংস্কার নিয়ে ইতিমধ্যে আমরা দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা করছি। সর্বোচ্চ মতামতের ভিত্তিতে যেসব বিষয়ে ঐকমত্য তৈরি হবে, তার ওপর জুলাই সনদ তৈরি হবে। এসব বিষয়ে আরও আলাপ–আলোচনা দরকার।’ তিনি আরও বলেন, ‘জুলাই হত্যার বিচার শুরু হয়েছে, এটা আমাদের জন্য স্বস্তিদায়ক। এই পরিস্থিতি ধরে রাখতে হবে।’