সোনারগাঁ সরকারী কলেজে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে আমির হোসেন (৫০) নামে এক বিদ্যুৎ মিস্ত্রির মৃত্যু হয়েছে। এসময় তার সহযোগী মো. শরীফ (৫০) নামে আরো একজন আহত হন।

সোমবার বিকেল ৩টার দিকে কলেজে একটি বিকল বৈদ্যুতিক মটর মেরামতের সময় এ ঘটনাটি ঘটে। নিহত আমির হোসেন উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের দমদমা গ্রামের মৃত তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে।  


পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বিকেল ৩টার দিকে সোনারগাঁ সরকারী কলেজে একটি বিকল বৈদ্যুতিক মটর মেরামতের জন্যে শরীফ ও আমির হোসেন যায়। কলেজের বিজ্ঞান ভবনের একটি রুমে কাজ করাকালিন সময়ে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে আমিন হোসেন ঘটনাস্থলেই মারা যায়, এবং তার সহকর্মী শরীফ গুরুতর আহত হন।

পরবর্তীতে এলাকাবাসী ও দমকল বাহিনীর সদস্যরা আহত শরীফকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন।

সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) মোহাম্মদ মফিজুর রহমান জানান, নিহতের ব পরিবার মৃতদের ময়নাতদন্ত করতে না চাওয়ায় পরিবারের কাছে মৃতদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। 

এ ঘটনায় কলেজ কর্তৃপক্ষের গাফলতি আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলে, কলেজ কর্তৃপক্ষের গাফলতি আছে কিনা আপাতত বলতে পারছি না। একটি ট্যাংকির কাজ করাকালীন তার মৃত্যু হয়। গাফলতি রয়েছে কিনা সেটা আমরা দেখবো।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স ন রগ ও ন র য়ণগঞ জ স ন রগ

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ