হৃদ্রোগের চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিরেছেন আগেই। অপেক্ষায় ছিলেন শারীরিক অবস্থার আরেকটু উন্নতি হলে দেশের বাইরে গিয়ে চিকিৎসক দেখানোর। তামিমের পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, কাল উন্নত চেকআপের জন্য সিঙ্গাপুরে যাচ্ছেন তিনি।
গত ২৪ মার্চ বিকেএসপিতে প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচের আগে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও ওপেনার তামিম ইকবাল। তাৎক্ষণিক তাঁকে বিকেএসপির কাছের কেপিজে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ব্লক ধরা পড়ার পর সেখানেই তাঁর হার্টে একটি রিং পরানো হয়।
আরও পড়ুনবাংলাদেশ দলে এবার মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের কোচ৫১ মিনিট আগেপরদিন পারিবারিক সিদ্ধান্তে তামিমকে আনা হয় ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে। সেখানে কয়েক দিন চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে থাকার পর ২৮ মার্চ তিনি বাসায় ফিরে যান। এরপর থেকে বাসাতেই আছেন তামিম। তবে পারিবারিকভাবে তখনই সিদ্ধান্ত হয়েছিল, শারীরিক অবস্থার আরও উন্নতি হলে তাঁকে উন্নত পরীক্ষা–নিরীক্ষার জন্য দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়া হবে।
তামিম এখন অনেকটাই ভালো আছেন.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বিস্ফোরক মামলায় চিন্ময় দাসকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ
চট্টগ্রামে বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপত্র চিন্ময় দাসকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছেন আদালত। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আলাউদ্দিন এ আদেশ দেন।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, কারাগারে থাকা চিন্ময় দাসকে কোতোয়ালি থানার বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে আদালত তা মঞ্জুর করেছেন।
গত বছরের ২৬ নভেম্বর সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপত্র চিন্ময় দাসের জামিনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের মধ্যে আইনজীবী সাইফুলকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ হত্যার ঘটনায় তাঁর বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। এ ছাড়া পুলিশের ওপর হামলা, কাজে বাধা এবং আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের ওপর হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও পাঁচটি মামলা হয়। ৬টি মামলায় গ্রেপ্তার হন ৫১ জন। তাঁদের মধ্যে হত্যায় জড়িত অভিযোগে ২১ জন গ্রেপ্তার রয়েছেন।
আদালত সূত্র জানায়, সাইফুল হত্যার আসামিদের মধ্যে চন্দন দাস, রিপন দাস ও রাজীব ভট্টাচার্য আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এতে উল্লেখ করা হয়, আইনজীবীর ঘাড়ে বঁটি দিয়ে দুটি কোপ দেন রিপন দাস। আর কিরিচ দিয়ে কোপান চন্দন দাস। পরে রাস্তায় পড়ে থাকা সাদা শার্ট ও কালো প্যান্ট পরা এই আইনজীবীকে লাঠি, বাটাম, ইট, কিরিচ ও বঁটি দিয়ে তাঁরা ১৫ থেকে ২০ জন পিটিয়ে হত্যা করেন।
গত বছরের ৩১ অক্টোবর চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ খান বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় চিন্ময় দাসসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননায় রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলা করেন। পরে ফিরোজ খানকে বিএনপি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এ মামলায় চিন্ময় দাসকে ২৫ নভেম্বর ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।