ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা এখন পর্যন্ত জেতা হয়নি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর। তবে এই দলটা বরাবরই থাকে হট ফেভারিট। সেরা ক্রিকেটারদের নিয়ে দল সাজিয়েও এখন পর্যন্ত কাঙ্খিত শিরোপার দেখা তারা পায়নি। এবার সেই অপেক্ষা ফুরাবে কিনা তা সময়ই বলে দেবে।

তবে আপাতত তারা প্রতিপক্ষের মাঠে জয়ের খরা কাটাচ্ছে। কিছুদিন আগে চেন্নাইয়ে ১৭ বছর পর চেন্নাই সুপার কিংসকে হারিয়েছে বেঙ্গালুরু। এবার মুম্বাইয়ে স্বাগতিক মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে হারাল ১০ বছর পর। পরাজয়ের এই বৃত্ত ভাঙা বেঙ্গালুরুর জন্য নিঃসন্দেহে বিরাট আনন্দের, বড় প্রাপ্তি। 

গত ২৮ মার্চ চেন্নাইকে ৫০ রানে চীপকে হারিয়েছিল বেঙ্গালুরু। ২০০৮ সালের পর যা ছিল তাদের চেন্নাইয়ের ঘরের মাঠে প্রথম জয়। সোমবার রাতে ওয়াংখেড়েতে বেঙ্গালুরু জয় পায় ১২ রানে, ১০ বছর পর। আগে ব্যাটিং করতে নেমে বেঙ্গালুরু ৫ উইকেটে ২২১ রান করে। জবাবে মুম্বাই করতে পারে ৯ উইকেটে ২০৯ রান। 

আরো পড়ুন:

খরুচে বোলিংয়ের পর ম্যাচ ফি কাটা গেল ইশান্তের

‘ভাবিনি ১৫ বছর একসাথে খেলব’

বেঙ্গালুরুর এই জয়ের নায়ক অধিনায়ক রজত পাতিদার। ডানহাতি ব্যাটসম্যান ৩২ বলে ঝড়ো ৬৪ রানের ইনিংস খেলেন। ৫ চার ও ৪ ছক্কায় সাজান তার ইনিংসটি। এছাড়া রান পেয়েছেন বিরাট কোহলি। ৪২ বলে ৮ চার ও ২ ছক্কায় ৬৭ রান আসে তার ব্যাট থেকে। দেবদূত পাঠিকাল ২২ বলে ৩৭ এবং শেষ দিকে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৯ বলে ২ চার ও ৪ ছক্কায় অতি গুরুত্বপূর্ণ ৪০ রান যোগ করেন জিতেশ শর্মা। তার শেষ দিকের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে বেঙ্গালুরুর রান দুইশ পেরিয়ে যায়। 

এই ম্যাচ দিয়ে মাঠে ফেরেন জসপ্রিত বুমরাহ। নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। ৪ ওভারে ২৯ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূণ্য। এছাড়া ২টি করে উইকেট নেন ট্রেন্ট বোল্ট ও হার্দিক পান্ডিয়া। 

লক্ষ্য তাড়ায় মুম্বাইয়ের শুরুর দিকের ব্যাটসম্যানরা তেমন ভালো করতে পারেননি। রোহিত ও রিকেলটন ১৭ রানের দুটি ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন। ভালো করেননি উইল জ্যাকস (২২) ও সূর্যকুমার যাদব (২৮) । ইনিংসের মাঝপথে তিলক ভার্মা ৫৬ ও হার্দিক পান্ডিয়া ৪২ রান তুলেন। 

শেষ দিকে ম্যাচে খানিকটা নাটকীয়তা ছড়িয়েছিল। ৬ বলে মুম্বাইয়ের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১৯ রান। কিন্তু ক্রনাল পান্ডিয়া ৩ উইকেট নিয়ে বেঙ্গালুরুকে সহজ জয় এনে দেন। 

চার ম্যাচে বিরাট কোহলিদের এটি তৃতীয় জয়। ঘরের বাইরে সবগুলো ম্যাচ তারা জিতেছে। হেরেছে নিজের হোম গ্রাউন্ডেই।

ঢাকা/ইয়াসিন

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

ইসরায়েলে মার্কিন অস্ত্র বিক্রি ঠেকানোর চেষ্টা সিনেটে ব্যর্থ

গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধের ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক নিন্দার মধ্যে, ইসরায়েলের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র বিক্রি আটকাতে মার্কিন সিনেটে তোলা একটি বিল পাস হতে ব্যর্থ হয়েছে।

ব্যর্থ হলেও, বুধবারের ভোটে দেখা গেছে, মার্কিন ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ভেতরে ইসরায়েলের যুদ্ধের বিরোধিতা জোরদার হয়ে উঠেছে। 

আজ বৃহস্পতিবার কাতারভিত্তিক আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র বিক্রি ঠেকানোর প্রচেষ্টায় এবারের ভোটে উল্লেখযোগ্য সংখ্যাক ডেমোক্র্যাট যোগ দিয়েছেন। 

ইসরায়েলের কাছে ২০ হাজার স্বয়ংক্রিয় অ্যাসল্ট রাইফেল বিক্রি বন্ধ করার প্রস্তাবের পক্ষে ২৭ জন ডেমোক্র্যাট ভোট দিয়েছেন, আর ৬৭৫ মিলিয়ন ডলারের বোমার চালান বন্ধ করার পক্ষে ২৪ জন ভোট দিয়েছেন। 

অন্যদিকে, ভোটদারকারী সব রিপাবলিকান সিনেটররা প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন। 

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান হামলার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র বিক্রির দুটি চুক্তি আটকে দিতে প্রস্তাবগুলো সিনেটে আনেন ভার্মন্টের সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স। তিনি প্রগতিশীল ঘরানার স্বতন্ত্র সিনেটর।

ভোটের আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ একটি পোস্টে স্যান্ডার্স বলেন, “ওয়াশিংটন ইসরায়েলের ‘বর্ণবাদী সরকার’কে এমন অস্ত্র সরবরাহ করা চালিয়ে যেতে পারে না, যা নিরীহ মানুষদের হত্যা করার জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে।”

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে একজন ‘জঘন্য মিথ্যাবাদী’ হিসেবে উল্লেখ করে স্যান্ডার্স ‘এক্স’ পোস্টে আরো বলেন, “গাজায় শিশুরা না খেয়ে মারা যাচ্ছে।”

প্রথমবারের মতো স্যান্ডার্সের প্রস্তাবকে সমর্থনকারী আইন প্রণেতাদের মধ্যে, ওয়াশিংটন রাজ্যের সিনেটর প্যাটি মারে বলেছেন, প্রস্তাবগুলো ‘নিখুঁত’ না হলেও, তিনি গাজার নিষ্পাপ শিশুদের অব্যাহত দুর্ভোগকে সমর্থন করতে পারেন না।

মারে এক বিবৃতিতে বলেন, “ইসরায়েলের দীর্ঘদিনের বন্ধু ও সমর্থক হওয়া সত্ত্বেও আমি প্রস্তাবের পক্ষে ‘হ্যাঁ’ ভোট দিচ্ছি এই বার্তা দিতে: নেতানিয়াহু সরকার এই কৌশল চালিয়ে যেতে পারবে না।”

তিনি বলেন, “নেতানিয়াহু ক্ষমতায় থাকার জন্য প্রতিটি পদক্ষেপে এই যুদ্ধকে দীর্ঘায়িত করেছেন। আমরা গাজায় মানবসৃষ্ট দুর্ভিক্ষ প্রত্যক্ষ করছি- সীমান্তের ওপারে যখন প্রচুর পরিমাণে সাহায্য ও সরবরাহ পড়ে আছে, তখন শিশু এবং পরিবারগুলোর অনাহার বা রোগে মারা যাওয়া উচিত নয়।”

মার্কিন জনগণের মধ্যে গাজা যুদ্ধের বিরোধিতা ক্রমবর্ধমান হওয়ার পাশাপাশি ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন নিয়ে ব্যাপক আকারে বিভক্তি দেখা দিয়েছে।

মঙ্গলবার প্রকাশিত গ্যালাপের একটি জরিপে দেখা গেছে, ৩২ শতাংশ আমেরিকান বলেছেন, তারা গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান সমর্থন করেন। গত বছরের সেপ্টেম্বরে ৪২ শতাংশ আমেরিকান ইসরায়েলের অভিযান সমর্থন করেছিলেন।

গ্যালাপের মতে, পরিচয় প্রকাশ করে মাত্র ৮ শতাংশ ডেমোক্র্যাট বলেছেন যে তারা ইসরায়েলের অভিযানের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন, যেখানে ৭১ শতাংশ রিপাবলিকান বলেছেন জানিয়েছেন যে, তারা ইসরায়েলি পদক্ষেপকে সমর্থন করেছেন।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ