চেন্নাইয়ে ১৭ বছরের পর, মুম্বাইয়ে ১০ বছরের অপেক্ষার অবসান বেঙ্গালুরুর
Published: 8th, April 2025 GMT
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা এখন পর্যন্ত জেতা হয়নি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর। তবে এই দলটা বরাবরই থাকে হট ফেভারিট। সেরা ক্রিকেটারদের নিয়ে দল সাজিয়েও এখন পর্যন্ত কাঙ্খিত শিরোপার দেখা তারা পায়নি। এবার সেই অপেক্ষা ফুরাবে কিনা তা সময়ই বলে দেবে।
তবে আপাতত তারা প্রতিপক্ষের মাঠে জয়ের খরা কাটাচ্ছে। কিছুদিন আগে চেন্নাইয়ে ১৭ বছর পর চেন্নাই সুপার কিংসকে হারিয়েছে বেঙ্গালুরু। এবার মুম্বাইয়ে স্বাগতিক মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে হারাল ১০ বছর পর। পরাজয়ের এই বৃত্ত ভাঙা বেঙ্গালুরুর জন্য নিঃসন্দেহে বিরাট আনন্দের, বড় প্রাপ্তি।
গত ২৮ মার্চ চেন্নাইকে ৫০ রানে চীপকে হারিয়েছিল বেঙ্গালুরু। ২০০৮ সালের পর যা ছিল তাদের চেন্নাইয়ের ঘরের মাঠে প্রথম জয়। সোমবার রাতে ওয়াংখেড়েতে বেঙ্গালুরু জয় পায় ১২ রানে, ১০ বছর পর। আগে ব্যাটিং করতে নেমে বেঙ্গালুরু ৫ উইকেটে ২২১ রান করে। জবাবে মুম্বাই করতে পারে ৯ উইকেটে ২০৯ রান।
আরো পড়ুন:
খরুচে বোলিংয়ের পর ম্যাচ ফি কাটা গেল ইশান্তের
‘ভাবিনি ১৫ বছর একসাথে খেলব’
বেঙ্গালুরুর এই জয়ের নায়ক অধিনায়ক রজত পাতিদার। ডানহাতি ব্যাটসম্যান ৩২ বলে ঝড়ো ৬৪ রানের ইনিংস খেলেন। ৫ চার ও ৪ ছক্কায় সাজান তার ইনিংসটি। এছাড়া রান পেয়েছেন বিরাট কোহলি। ৪২ বলে ৮ চার ও ২ ছক্কায় ৬৭ রান আসে তার ব্যাট থেকে। দেবদূত পাঠিকাল ২২ বলে ৩৭ এবং শেষ দিকে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৯ বলে ২ চার ও ৪ ছক্কায় অতি গুরুত্বপূর্ণ ৪০ রান যোগ করেন জিতেশ শর্মা। তার শেষ দিকের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে বেঙ্গালুরুর রান দুইশ পেরিয়ে যায়।
এই ম্যাচ দিয়ে মাঠে ফেরেন জসপ্রিত বুমরাহ। নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। ৪ ওভারে ২৯ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূণ্য। এছাড়া ২টি করে উইকেট নেন ট্রেন্ট বোল্ট ও হার্দিক পান্ডিয়া।
লক্ষ্য তাড়ায় মুম্বাইয়ের শুরুর দিকের ব্যাটসম্যানরা তেমন ভালো করতে পারেননি। রোহিত ও রিকেলটন ১৭ রানের দুটি ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন। ভালো করেননি উইল জ্যাকস (২২) ও সূর্যকুমার যাদব (২৮) । ইনিংসের মাঝপথে তিলক ভার্মা ৫৬ ও হার্দিক পান্ডিয়া ৪২ রান তুলেন।
শেষ দিকে ম্যাচে খানিকটা নাটকীয়তা ছড়িয়েছিল। ৬ বলে মুম্বাইয়ের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১৯ রান। কিন্তু ক্রনাল পান্ডিয়া ৩ উইকেট নিয়ে বেঙ্গালুরুকে সহজ জয় এনে দেন।
চার ম্যাচে বিরাট কোহলিদের এটি তৃতীয় জয়। ঘরের বাইরে সবগুলো ম্যাচ তারা জিতেছে। হেরেছে নিজের হোম গ্রাউন্ডেই।
ঢাকা/ইয়াসিন
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সত্য মিথ্যা যাচাই না করে শেয়ার করবেন না, মেসেজটা তৃণমূলে ছড়িয়ে দিন: সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, 'আমাদের একটা অভ্যাস হয়ে গেছে একটা নেতিবাচক সংবাদ দেখলেই যাচাই-বাছাই না করে শেয়ার করে দেওয়া হয়। অত্যন্ত ভিত্তিহীন সংবাদও আমরা শেয়ার করে দেই।'
সিইসি বলেন, 'দয়া করে সত্য মিথ্যা যাচাই না করে শেয়ার করবেন না। এই মেসেজটা তৃণমূলে ছড়িয়ে দিন। তথ্যটা যেন আগে যাচাই করে তারপরে শেয়ার করেন।'
আজ সোমবার রাজধানীর ভাটারায় আনসার গার্ড ব্যাটালিয়নে (এজিবি) এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন সিইসি। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ভুয়া সংবাদের প্রচার ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অপপ্রয়োগ রোধে করণীয় সম্পর্কে তিনি এসব কথা বলেন।
থানা আনসার কোম্পানি/প্লাটুন সদস্যদের আনসার মৌলিক প্রশিক্ষণের (৪র্থ ধাপ) সমাপনী উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিইসি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোনো সংবাদ দেখা মাত্রই নাগরিকদের যাচাইবাছাই করতে আহ্বান জানান সিইসি। নিশ্চিত হওয়ার আগে শেয়ার না করতে বলেন তিনি।
জাতীয় নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে আনসার ভিডিপির ভূমিকাকে মূল শক্তি বলে উল্লেখ করেন সিইসি। তিনি বলেন, 'এনারাই অধিক সংখ্যায় নিয়োজিত থাকেন। এবং আমাদের হিসেব করতে গেলে প্রথম এদেরকেই হিসেব করতে হয় যে, কতজন আনসার ভিডিপি সদস্য আমরা মোতায়েন করতে পারব। মূল কাজটা আঞ্জাম (সম্পাদন) দিতে হয় কিন্তু আনসার এবং ভিডিপির সদস্যদের।'
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ। নির্বাচনকালীন জনগণের নিরাপত্তা, ভোট কেন্দ্রের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখা এবং সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণে আনসার বাহিনী সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়ে কাজ করছে বলে জানান তিনি। নির্বাচনে দেশজুড়ে প্রায় ৬ লাখ আনসার ও ভিডিপি সদস্য দায়িত্বপালন করবেন বলেন মহাপরিচালক।
অনুষ্ঠানে মহড়ায় ঢাকা মহানগর আনসারের চারটি জোনের অধীন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ৩২০ জন আনসার ও ভিডিপি সদস্য অংশ নেন। আনসার গার্ড ব্যাটালিয়নের সদস্যরা টহল, দায়িত্ব বণ্টন ও জরুরি প্রতিক্রিয়া অনুশীলনে অংশ নেন।
মহড়ায় ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জামাদি নিরাপদে পৌঁছে দেওয়া, ভোটারদের শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে ভোট প্রদানে সহায়তা, জাল ভোট প্রতিরোধ, প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা এবং সেনা, বিজিবি, র্যাব ও পুলিশের সঙ্গে দ্রুত সমন্বয়ের প্রস্তুতি নেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন জোনের অধিনায়ক এবং প্রশিক্ষণ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।