এ মৌসুম শেষে ম্যানচেস্টার সিটি ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন কেভিন ডি ব্রুইনা। বেলজিয়ান মিডফিল্ডারের সিটি ছাড়ার ঘোষণা আসার পর থেকেই তাঁর পরবর্তী গন্তব্য নিয়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। এর মধ্যে সামনে এসেছে লিওনেল মেসির ক্লাব ইন্টার মায়ামির নামও।

ডি ব্রুইনাকে পাওয়ার ব্যাপারে ইন্টার মায়ামি বিশেষ একটি সুবিধাও পাচ্ছে। মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) নিয়মের মধ্যে ‘ডিসকভারি রাইটস’ বলে একটি বিষয় আছে। এই নিয়ম অনুসারে কোনো ক্লাব দলে নিতে চায় এমন সর্বোচ্চ পাঁচজনের একটি তালিকা করতে পারে।

এ তালিকায় থাকাদের সঙ্গে সবার আগে ওই ক্লাবই যোগাযোগ করতে পারে। নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, ইন্টার মায়ামির ‘ডিসকভারি রাইটস’ তালিকায় আছেন ডি ব্রুইনা।

আরও পড়ুনমৌসুম শেষেই সিটি ছাড়বেন ডি ব্রুইনা০৪ এপ্রিল ২০২৫

এর আগে গত গ্রীষ্মে ডি ব্রুইনার আরেক এমএলএস ক্লাব সান ডিয়েগোতে যোগ দেওয়ার কথা ছিল ডি ব্রুইনার। তবে অর্থনৈতিক কারণে স্পোর্টিং ডিরেক্টর টাইলের হিপস এই প্রচেষ্টা আর সামনে এগোতে দেননি।

কেভিন ডি ব্রুইনা মৌসুম শেষেই সিটি ছাড়বেন.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইন ট র ম য় ম ব র ইন

এছাড়াও পড়ুন:

মেসি গোল করেছেন, তবে জেতেনি মায়ামি

ইন্টার মায়ামি কখনো মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) প্লে–অফ কনফারেন্স সেমিফাইনালে ওঠেনি। আজ লিওনেল মেসিদের সামনে ছিল সেই সুযোগ। কিন্তু নাশভিলের মাঠ জিওডিস পার্কে সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেনি মায়ামি। ম্যাচের ৯০ মিনিটে মেসি গোল করলেও তার আগে দুই গোল হজম করে ইন্টার মায়ামি হেরেছে ২-১ ব্যবধানে।

এই হারের পরও অবশ্য মায়ামির কনফারেন্স সেমিফাইনালে খেলার সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায়নি। ৮ নভেম্বর আবারও মুখোমুখি হবে মায়ামি-নাশভিল। সে ম্যাচের জয়ী দল পরের ধাপে উঠবে।

জিওডিস পার্কের ম্যাচটিতে মায়ামি গোল হজম করেছে ৯ ও ৪৫ মিনিটে। এর মধ্যে ৯ মিনিটে স্যাম সারিজের গোলটি ছিল পেনাল্টি থেকে। মায়ামি গোলকিপার রোকো রিওস ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি।

তবে ম্যাচ শেষে এ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন মায়ামি কোচ হাভিয়ের মাচেরানো, ‘পেনাল্টিটা আমাদের একটা ধাক্কা দিয়েছে। কারণ, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা ভালো খেলছিলাম। আমার মনে হয় সিদ্ধান্তটা বিতর্কিত। রেফারিং নিয়ে কথা বলা আমার পছন্দ নয়। কিন্তু এখন বলতে হচ্ছে পেনাল্টির সিদ্ধান্তের বিষয়টি ভিএআরে না যাওয়াটা অদ্ভুত লেগেছে।’ প্রথমার্ধের শেষ দিনে নাশভিলের দ্বিতীয় গোলটি করেন জশ বাউয়ের।

ম্যাচের শেষ দিকে গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে মায়ামি। আর তাতেই ৯০ মিনিটে বক্সে ঢুকেই কোনাকুনি শটে বল জালে পাঠান মেসি। যোগ করা সময়ে দ্বিতীয় গোলের চেষ্টা চালিয়ে গেলেও নাশভিলের জমাট রক্ষণের বিপক্ষে সেটা আর সম্ভব হয়নি। মায়ামিকে মাঠ ছাড়তে হয় হার নিয়ে।

এমএলএস প্লে-অফে প্রথম রাউন্ডের খেলা হয় ‘বেস্ট অব থ্রি–সিরিজ’ হিসেবে। এর মধ্যে প্রথম দুটি ম্যাচ একই দল জিতে গেলে তৃতীয় ম্যাচ খেলার দরকার পড়ে না। ইন্টার মায়ামি প্রথম ম্যাচ ৩-১ গোলে জেতায় আজই কনফারেন্স সেমিফাইনাল নিশ্চিত করার সুযোগ ছিল। কিন্তু নাশভিল জেতায় প্রথম রাউন্ডের মীমাংসা গড়াল তৃতীয় ম্যাচে। যে ম্যাচটি হবে ৮ নভেম্বর চেজ স্টেডিয়ামে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মেসি গোল করেছেন, তবে জেতেনি মায়ামি