Samakal:
2025-06-16@14:21:09 GMT

নিরাপত্তায় যা কিছু করবেন

Published: 8th, April 2025 GMT

নিরাপত্তায় যা কিছু করবেন

সামাজিক যোগাযোগের কারণে তুমুল জনপ্রিয় ইনস্টাগ্রাম বা ফেসবুকের কাছে দেদার চলে যাচ্ছে ব্রাউজার হিস্ট্রি। ইন্টারনেটে যা খুঁজছেন, তা সহজে জেনে যায় সোশ্যাল মিডিয়ার সবকটি প্ল্যাটফর্ম।
কীভাবে তা আটকানো বা প্রতিহত করা যায়, অনেকের কাছে তা অজানা। এমন ভাবনা থেকেই মেটা বিশেষ অপশন উন্মোচন করেছে, যার মাধ্যমে গ্রাহক তার নিজের ইন্টারনেট অ্যাক্টিভিটি বন্ধ রাখতে পারবেন। প্রশ্ন আসছে কীভাবে, যা জানা জরুরি।

ইন্টারনেটের আজব দুনিয়ার হঠাৎ পছন্দের কোনো ব্র্যান্ডের জামা বা জুতার ছবি নজরে পড়ল। কিনবেন না হয়তো, কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় আসতেই দেখতে পাবেন ওই ব্র্যান্ডের জুতা আর জামা। শুধু তাই নয়, এআই বিদ্যার কল্যাণে পরপর ওই সংশ্লিষ্ট নির্মাতার পণ্য দৃশ্যমান হবে পর্দায়। প্রায় সবাই বিরক্ত হয়েই এমন বিজ্ঞাপন দেখতে বাধ্য হন।
আগ্রহী ভোক্তার সব ধরনের ইন্টারনেট অ্যাক্টিভিটি জেনে যায় ফেসবুক আর ইনস্টাগ্রাম।
প্রয়োজনে তা আটকানো সম্ভব। বিজ্ঞাপনের অযাচিত জ্বালাতন বন্ধে ফিচার ডেভেলপ করেছে মেটা। মূলত প্রাইভেসি সেটিং বন্ধ করলে ইন্টারনেটের ব্রাউজিং হিস্ট্রি বা ঠিক কী করছেন, তা আড়ালে চলে যাবে। শুধু তাই নয়, নির্দিষ্ট কোন কোন কোম্পানি মেটাকে ব্রাইজারের তথ্য পাঠাচ্ছে, তাও ঠিকঠাক জানা যাবে।

অ্যাক্টিভিটি বন্ধ
প্রথমে ফেসবুক প্রোফাইলে গিয়ে থ্রি ডটে ক্লিক। তারপর সেটিংস ও প্রাইভেসি অপশন সেটিংসে ট্যাপ। দৃশ্যমান হবে ‘ইয়োর ফেসবুক ইনফরমেশন’। ক্লিক করে অফ ফেসবুক অ্যাক্টিভিটি অপশনে ক্লিক। সেখানে ম্যানেজ ইয়োর অফ ফেসবুক অ্যাক্টিভিটি  অপশনে ট্যাপ করে ম্যানেজ ফিউচার অ্যাক্টিভিটিতে ক্লিক করতে হবে।
এর পর ফিউচার অফ ফেসবুক অ্যাক্টিভিটি অপশনে ক্লিক করলেই কাজ শেষ। ঠিক একইভাবে ইন্টারনেটে অ্যাক্টিভিটি বন্ধ করা যায়।
যদিও থার্ড পার্টি বিজ্ঞাপন সংস্থার থেকে তথ্য সংগ্রহ করে ফেসবুক, যা বন্ধ করার জন্য প্রাইভেট ব্রাউজিং মোড (ভিপিএন) ব্যবহার করা অন্যতম উপায়।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ফ সব ক

এছাড়াও পড়ুন:

ট্রাম্পের যুদ্ধক্ষমতা সীমিত করতে চান মার্কিন সিনেটর

এক মার্কিন ডেমোক্র্যাট সিনেটর আজ সোমবার একটি আইন প্রস্তাব করেছেন, যাতে কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়া প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক শক্তি ব্যবহার করতে না পারেন। ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সংঘাত বৃহত্তর যুদ্ধের আশঙ্কা বাড়িয়েছে।

ভার্জিনিয়ার সিনেটর টিম কেইন দীর্ঘদিন ধরেই হোয়াইট হাউসের কাছ থেকে যুদ্ধ ঘোষণার ক্ষমতা আবার কংগ্রেসের হাতে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করে আসছেন।

ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে, ২০২০ সালে, সিনেটর কেইন ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিচালনায় ট্রাম্পের ক্ষমতা সীমিত করার জন্য একই ধরনের একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেছিলেন। সেই প্রস্তাব সিনেট ও প্রতিনিধি পরিষদ—উভয় কক্ষেই পাস হয় এবং কিছু রিপাবলিকান সদস্যের সমর্থনও পেয়েছিল।

তবে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ভেটো ঠেকানোর মতো প্রয়োজনীয় ভোট পাওয়া যায়নি বলে সেটি কার্যকর হয়নি।

আরও পড়ুনআরও ৩৬টি দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার কথা বিবেচনা করছে ট্রাম্প প্রশাসন১৯ ঘণ্টা আগে

কেইন বলেছেন, তাঁর সর্বশেষ যুদ্ধক্ষমতাসম্পর্কিত প্রস্তাবটি এ বিষয় স্পষ্টভাবে তুলে ধরে যে যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান অনুযায়ী যুদ্ধ ঘোষণা করার একমাত্র ক্ষমতা কংগ্রেসের হাতে, প্রেসিডেন্টের হাতে নয়। তিনি বলেন, ইরানের সঙ্গে যেকোনো ধরনের শত্রুতামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য অবশ্যই যুদ্ধ ঘোষণা বা সামরিক শক্তি ব্যবহারের জন্য নির্দিষ্ট অনুমোদন থাকতে হবে।

এক বিবৃতিতে সিনেটর কেইন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ করা উপযুক্ত নয়, যদি না সেই যুদ্ধ যুক্তরাষ্ট্রকে রক্ষা করার জন্য একেবারেই অপরিহার্য হয়ে ওঠে। আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন যে ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে সাম্প্রতিক উত্তেজনা দ্রুতই যুক্তরাষ্ট্রকে আরেকটি অনন্তকাল চলা সংঘাতে জড়িয়ে ফেলতে পারে।’

মার্কিন আইনে যুদ্ধক্ষমতাসংক্রান্ত প্রস্তাবগুলো ‘প্রিভিলেজড’ হিসেবে বিবেচিত হয়, অর্থাৎ সিনেট বাধ্য থাকবে বিষয়টি দ্রুত আলোচনায় আনতে এবং ভোটের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিতে।

গত শুক্রবার ইসরায়েলের সেনাবাহিনী ইরানে হামলা চালায়, যার উদ্দেশ্য ছিল ইরানের পারমাণবিক ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি ধ্বংস করে দেওয়া। অপর দিকে, ইরান, যাদের দাবি, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হচ্ছে, তারা ইসরায়েলের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে এর জবাব দেয়।

উভয় দেশই তাদের হামলা অব্যাহত রেখেছে। ফলে বেসামরিক নাগরিকেরা নিহত ও আহত হচ্ছেন। এতে কানাডায় চলমান বিশ্বনেতাদের বৈঠকে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে যে এই দুই পুরোনো শত্রুর মধ্যে চলমান সবচেয়ে বড় লড়াই বিস্তৃত আঞ্চলিক সংঘাতে রূপ নিতে পারে।

ট্রাম্প একদিকে ইসরায়েলের হামলাকে প্রশংসা করেছেন, অন্যদিকে ইরানের সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন যে যুক্তরাষ্ট্র এ হামলায় অংশ নিয়েছে। তবে তিনি তেহরানকে সতর্ক করে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্যবস্তুতে প্রতিশোধের পরিধি বাড়ানো উচিত হবে না।

গতকাল রোববার কানাডায় সম্মেলনের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার আগে ট্রাম্পকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে তিনি পরিস্থিতি শান্ত করতে কী করছেন? তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি আশা করি একটা সমঝোতা হবে। আমার মনে হয় এখন সমঝোতার সময় এসেছে। তবে কখনো কখনো ওদের নিজের মধ্যে লড়ে নিতে হয়।’

আরও পড়ুনযুক্তরাষ্ট্রে ‘নো কিংস’ ব্যানারে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ১৫ জুন ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ