দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমার সুপারস্টার আল্লু অর্জুন। তাঁর নামের আগে এখন উচ্চারিত হয় পুষ্পা। একের পর বড় বাজেটের সিনেমায় অভিনয় করে বিশ্বব্যাপী খ্যাতি কুড়িয়েছেন এই নায়ক। 

এবার আরও বড় বাজেটের সিনেমাতে অভিনয় করতে যাচ্ছেন তিনি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম পিঙ্কভিলার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আল্লু অর্জুন ব্লকবাস্টার পরিচালক অ্যাটলির সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত। তাদের এই সিনেমার বাজেট ৮০০ কোটি রুপির বেশি। মঙ্গলবার আল্লু অর্জুনের জন্মদিনে এলো এই ছবির ঘোষণা। ছবিটিরি সান পিকচার্সের ব্যানারে নির্মিত হবে। রাজামৌলির ‘এসএমবি ২৯’-এর পর এটিই ভারতীয় সিনেমার দ্বিতীয় সবচেয়ে ব্যয়বহুল ছবি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

সিনেমার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র পিঙ্কভিলাকে জানিয়েছে, ‘এই সিনেমার পারিশ্রমিক বাবদ আল্লু অর্জুনকে প্রায় ১৭৫ কোটি রুপি দেওয়া হচ্ছে। প্রযোজনা জায়ান্ট সান পিকচার্স এই প্রকল্পের লাভের ১৫ শতাংশ অংশীদারিত্বের চুক্তিতে রয়েছে। অন্যদিকে অ্যাটলি তাঁর ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ সিনেমার জন্য ১০০ কোটি রুপি পারিশ্রমিক নেবেন।’

এ ছাড়াও আনুমানিক ৮০০ কোটি রুপির প্রকল্পটির নির্মাণ ব্যয় ২০০ কোটি রুপি ধরা হয়েছে ও ২৫০ কোটি রুপির ভিএফএক্সের ওপর ভিত্তি করে ক্যানভাস তৈরি করা হবে। সূত্রটি আরও বলেছে, ‘সিনেমার নির্মাতারা এটিকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে চান এবং একটি প্যান-ইন্ডিয়ান ব্লকবাস্টার করতে সব ধরনের চেষ্টা করবেন।’

এদিকে মঙ্গলবার সান পিকচার্স এক ঘোষণামূলক ভিডিও শেয়ার করে সিনেমাটির বিষয়ে কিছুটা হলেও ধারণা দেন। যেখানে কলানিথি মারান, আল্লু ও অ্যাটলিকে একসঙ্গে দেখা যায়। এরপর তাদের দেখা যায় সোজা লস অ্যাঞ্জেলেসে পা রাখতে– হলিউডের প্রথম সারির এক ভিএফএক্স সংস্থার টিমের সঙ্গে এই ছবি নিয়ে জোর আলোচনা করতেও দেখা যায় তাদের। সেখানেই আল্লু অর্জুনকে দেখা যায় একের পর এক মাস্ক ও গিয়ার ট্রাই করতে, নিজের ব্যক্তিত্বের ৩-ডি ক্যারেক্টারকে পর্দায় দেখানোর প্রক্রিয়াও পরোক্ষ করতে দেখা যায় তাঁকে।

এ ছবির গল্প শুনে হলিউড টিমও রীতিমতো চমকে গিয়েছেন। ‘আয়রন ম্যান ২’এবং ‘ট্রান্সফর্মাস: রাইজ অব দ্য বিটস’-এর ভিএফএক্স গুরু জেমস ম্যাডিগান ও স্পেকট্রাল মোশনের আর্ট ডিরেক্টর মাইক এলিজালদের এই গল্প শুনে চমকে গিয়েছেন। 

মজার ব্যাপার হলো, এসএস রাজামৌলির সঙ্গে মহেশ বাবুর সিনেমাটি প্রায় ১০০০ কোটি রুপি বাজেটে নির্মিত হচ্ছে।
 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ