মস্কো এবং ওয়াশিংটনের মধ্যে দ্বিতীয় দফার আলোচনা বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত হবে বলে নিশ্চিত করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। খবর আনাদোলু এজেন্সির।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “১০ এপ্রিল, মার্কিন ও রাশিয়ান প্রতিনিধিদল ইস্তাম্বুলে দ্বিতীয়বারের মতো বৈঠক করবে। দ্বিপাক্ষিক মিশনের কার্যক্রম আরো স্থিতিশীল করার বিষয়ে অগ্রগতি অর্জনের চেষ্টা করার জন্যই এই বৈঠক।”

‘কোনো রাজনৈতিক বা নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয় আলোচনার তালিকায় নেই’ বলে উল্লেখ করে তিনি জোর দিয়ে বলেন, “ইউক্রেন সম্পর্কিত বিষয়গুলো একেবারেই আলোচনার তালিকায় নেই।”

আরো পড়ুন:

জেলেনস্কির শহরে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত ১৮

গ্যাসপ্রমকে বাংলাদেশে আরো অনুসন্ধান চালানোর আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

তিনি বলেন, “আলোচনায় কেবলমাত্র উভয় দেশের দূতাবাসের কার্যক্রমের ওপর ফোকাস করা হবে, সামগ্রিকভাবে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ওপর নয়।”

এর আগে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে রাশিয়ান ও মার্কিন প্রতিনিধিদল ইস্তাম্বুলে মার্কিন কনসাল জেনারেলের বাসভবনে তাদের নিজ নিজ দূতাবাসের কার্যক্রম নিয়ে বৈঠকে করেন। 

আগামীকাল বৃহস্পতিবারের (১০ এপ্রিল) বৈঠকেও যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া দ্বিপাক্ষিক কূটনৈতিক সংকটের সমাধানে নজর দেবে।

জো বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট থাকাকালে উভয় দেশই নিজ নিজ ভূখণ্ড থেকে অন্য দেশের দূতাবাস কর্মীদের বহিষ্কার করেছিল।

ডোনাল্ড ট্রাম্প চলতি বছরে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর থেকেই মস্কো ও ওয়াশিংটন কাছাকাছি আসার চেষ্টা করছে।

ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ও রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের লক্ষ্যে ফেব্রুয়ারি মাসে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে প্রথমবারের মতো উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠকে বসেছিলেন দুই দেশের শীর্ষ কর্মকর্তারা। ইউক্রেন ইস্যুতে তিন বছর ধরে চলা বৈরিতার পর, ওই বৈঠক ছিল যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার প্রথম সরাসরি প্রচেষ্টা।

সৌদি আরবে যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়ার ওই বৈঠকের পর, পরবর্তী বৈঠকের জন্য ‘তুরস্ক আদর্শ স্থান’  হতে পারে বলে প্রস্তাব দিয়েছিলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান। তিনি বলেছিলেন, তুরস্ক রাশিয়া-ইউক্রেন-যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী শান্তি আলোচনা প্রক্রিয়াকে সফল করতে সব ধরনের সহায়তা দিতে প্রস্তুত।

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ত রস ক ইউক র ন ত রস ক

এছাড়াও পড়ুন:

লামিনে ‘মেসি’ ইয়ামাল

১৭ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো: ১৯ ম্যাচ, ৫ গোল, ৪ গোলে সহায়তা।

১৭ বছর বয়সী লিওনেল মেসি: ৯ ম্যাচ, ১ গোল, গোলে সহায়তা নেই।

১৭ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামাল: ১০০ ম্যাচ, ২২ গোল, ৩৩ গোলে সহায়তা।

মেসি–রোনালদোর সঙ্গে তুলনা নয়, লামিনে ইয়ামালের শুরুটা বোঝাতে এই পরিসংখ্যান হাজির করেছে টিএনটি স্পোর্টস। ধূমকেতুর মতো শুরু হলেও ধূমকেতুর মতোই মিলিয়ে যাওয়ার পাত্র তিনি নন।

বার্সেলোনার এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে  গত রাতের ম্যাচটি স্মরণ করতে পারেন। ৬ গোলের থ্রিলার, যেখানে বার্সেলোনা–ইন্টার মিলান সেমিফাইনাল প্রথম লেগের ‘ক্লাসিক’ লড়াই ৩–৩ গোলে অমীমাংসীত। দুই দলের হয়েই ‘সুপার হিরো’ ছিলেন বেশ কজন। ইন্টারের যেমন ডেনজেল ডামফ্রিস ও মার্কাস থুরাম, বার্সার তেমনি রাফিনিয়া, ফেরান তোরেসরা। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে ঠিকই রবির কিরণের মতো আলো দিয়েছেন এক কিশোর—লামিনে ইয়ামাল নাসরাউয়ি এবানা। সংক্ষেপে লামিনে ইয়ামাল।

আরও পড়ুন৬ গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনা–ইন্টার সেয়ানে সেয়ানে টক্কর৮ ঘণ্টা আগে

২৪ মিনিটে ইয়ামালের করা গোলটির প্রসঙ্গে পরে আসা যাবে। যেভাবে খেলেছেন তাতে গোলটি না করলেও লোকে কাল রাতে তাঁর পারফরম্যান্স মনে রাখতেন। পরিসংখ্যান বলছে ১০২টি টাচ, একটি গোল, ২টি গোল হওয়ার মতো পাস, ৬টি শট (পোস্টে মেরেছেন দুবার) এবং ১০টির মধ্যে ৬টি সফল ড্রিবলিং।

কিন্তু পরিসংখ্যানে এ তথ্য নেই—মাঠে ডান প্রান্তকে ইয়ামাল ফাইনালে ওঠার হাইওয়ে বানিয়ে যতবার কাট–ইন করে ইন্টারের বক্সে ঢুকেছেন, সেটা আসলে ইতালিয়ান ক্লাবটির রক্ষণের জন্য দুঃস্বপ্নের। প্রতিবারই মৌমাছির মতো ছেঁকে ধরা হয়েছে ইয়ামালকে। কিন্তু আটকানো কি সম্ভব হয়েছে? রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওগুলো ভাসছে। সেসব আসলে ইয়ামালের পায়ের কারুকাজে ইন্টারের রক্ষণকে স্রেফ খোলামকুচির মতো উড়িয়ে দেওয়ার ভিডিও।

ইয়ামাল কত ভয়ংকর সেটা এই এক ছবিতেই পরিস্কার। সবাই ছেঁকে ধরেও তাঁকে আটকাতে পারেননি

সম্পর্কিত নিবন্ধ