অপূর্ব-মেহজাবীনের রেকর্ড ভাঙলেন নিলয়-হিমি
Published: 9th, April 2025 GMT
এখনও পর্যন্ত ভিউয়ের দিক থেকে ইউটিউবের শীর্ষ নাটক ছিল মিজানুর রহমান আরিয়ানের নির্মিত ‘বড় ছেলে’। প্রায় ৮ বছর আগে জিয়াউল ফারুক অপূর্ব ও অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী অভিনীত এই নাটক দর্শকমহলে ব্যাপক সাড়া ফেলে। ইউটিউবে এখন পর্যন্ত এই নাটকের ভিউ সংখ্যা ছিল ৫ কোটি ৪১ লাখ ৮৮ হাজার। দেশের যেকোনো নাটকের হিসেবেই এই সংখ্যাটা ছিল সর্বোচ্চ।
তবে চলতি সপ্তাহে অপূর্ব-মেহজাবীনের ‘বড় ছেলে’কে পেছনে ফেলেছে নিলয় আলমগীর ও জান্নাতুল সুমাইয়া হিমি অভিনীত ‘শ্বশুর বাড়িতে ঈদ’ নাটক। বর্তমানে ইউটিউবের শীর্ষ নাটকের তকমাও অর্জন করেছে এই ফ্যামিলি ড্রামা।
মাত্র ১১ মাসেই বড় ছেলের ৮ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে এই নাটকটি। বুধবার (৯ এপ্রিল) পর্যন্ত নাটকের ভিউ সংখ্যা ৫ কোটি ৪৪ লাখ ৫৮ হাজার। এর আগে দেশের কোনো নাটকে এত ভিউ সংখ্যার দেখা মেলেনি।
বড় ছেলে নাটকে মধ্যবিত্ত পরিবারের বড় ছেলে রাশেদ এর চরিত্রে অভিনয় করেছেন অপূর্ব। তার বাবা একজন স্কুল শিক্ষক। এক সময় বাবার অবসর নেবার সময়ও আসে চলে। এরপর পরিবারের আয়ের উৎস হিসেবে হাল ধরতে হয় বড় ছেলেকেই। বড়লোকের মেয়ে রিয়ার চরিত্রে অভিনয় করেছেন মেহজাবীন। একপর্যায়ে সে তার বাবা-মার কাছে বিয়ে না করা নিয়ে কোন অজুহাতই দেখাতে পারে না। এদিকে রাশেদ অনেক চেষ্টা করেও চাকরি পায় না। বাস্তবতার কাছে পরাজিত হয়ে বাধ্য হয়ে ওরা একটি সিদ্ধান্তে আসে।
অন্যদিকে, শ্বশুরবাড়িতে ঈদকেন্দ্রিক নানা ঘটনাকে ঘিরে আবর্তিত হয়েছে ‘শ্বশুরবাড়িতে ঈদ’ নাটকের গল্প। বিয়ের পর দূরে থাকলেও শ্বশুরবাড়িতে ঈদ করতে এসে ভিন্ন এক পরিস্থিতির মুখে পড়ে জামাই। দেখা যায়, শ্বশুর কিপটে। যে ঈদে ফিতরা-জাকাত ইত্যাদি দিতে চায় না। সেগুলো নিয়ে সোচ্চার হয় জামাই। নাটকে বার্তা দেওয়া হলেও সেটা কমেডির মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। এজন্যই নাটকটি দর্শক পছন্দ করেছেন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এই নাটকে অভিনেতা নিলয় আলমগীরের সঙ্গে অভিনয় করেছেন তারিক আনাম খান, জান্নাতুল সুমাইয়া হিমি ও সাবেরি আলম।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ম হজ ব ন চ ধ র ম হজ ব ন কর ছ ন ই ন টক বড় ছ ল ন টক র
এছাড়াও পড়ুন:
মুক্তিপণ না পেয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশিকে হত্যা
দক্ষিণ আফ্রিকার কুইন্স টাউনে মুক্তিপণ না পেয়ে মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন ইকবাল নামে এক প্রবাসী বাংলাদেশিকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) কুইন্সটাউনের একটি জঙ্গল থেকে আলমগীর হোসেন ইকবালের মরদেহ পাওয়া যায়।
নিহত আলমগীর হোসেন ইকবালের বাড়ি নারায়ণগঞ্জ সদরের আলীরটেক এলাকায়।
আরো পড়ুন:
বগুড়ায় যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
মামাত বোনকে ধর্ষণ-হত্যা করে নিখোঁজের গল্প সাজায় নয়ন: পুলিশ
স্বজনেরা জানান, গত ২ জুন অপহরণকারীরা নিহতের পরিবারের কাছে প্রথমে ৫ কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরে এক কোটি টাকা দাবি করে অপহরণকারীরা। টাকা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় তাকে হত্যা করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, আলমগীর হোসেন ইকবাল দীর্ঘদিন ধরে দক্ষিণ আফ্রিকায় বসবাস করে আসছিল। সেখানে তার নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ইকবালের পরিবারে মা, স্ত্রী ও দুই ছেলে রয়েছে। তারা বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ শহরে বসবাস করে আসছিলেন।
নিহত আলমগীর হোসেন ইকবালের ভগ্নীপতি শরিফুর রহমান ঢালী বলেন, ‘‘গত ২ জুন রাত ১০টার দিকে নিজ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে গাড়ি থেকে মালামাল আনলোড করার সময় ৪ জন অপহরণকারী ইকবালকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে অপহরণ করে নিয়ে যায়। দুদিন পরে ইকবালের স্ত্রীর ফোন নাম্বারে কল করে সাউথ আফ্রিকান ৫০ লাখ (বাংলাদেশি টাকায় ৫ কোটি টাকা) দাবি করে।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘একাধিকবার কথা বলার পরিবার এত টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে অপহরণকারীরা সর্বশেষ এক কোটি টাকা দাবি করে। কিন্তু, পরিবার এই অর্থ দিতে ব্যর্থ হওয়ায় অপহরণকারীরা তাকে হত্যা করে। ১২ জুন একটি জঙ্গল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আগামী ১৫ জুন রাতে কাতার এয়ারওয়েজে নিহত আলমগীর হোসেন ইকবালের মরদেহ দেশে আসবে।’’
ঢাকা/অনিক/রাজীব