শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে এসে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা পরিচালনা করছে।

তবে ভর্তি ফি কমানো নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে। পূর্বের তুলনায় ফি কিছুটা কমলেও তা শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশার তুলনায় খুবই কম। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে শাবিপ্রবির ভর্তি ফি ছিল ১৮ হাজার টাকা। এ বছর ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে তা কমিয়ে ১৭ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। অর্থাৎ মাত্র ১ হাজার টাকা কমানো হয়েছে, যা নিয়ে শিক্ষার্থীদের অনেকেই ‘প্রতীকী কমানো’ বলে মন্তব্য করেছেন।

বিগত ৪ বছরের ভর্তি ফি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি ফি ছিল ৮ হাজার ১০০ টাকা। ১ বছরের ব্যবধানে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি ফি বাড়িয়ে ১৫ হাজার টাকা করা হয়েছিল। এর প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করলেও তা কমানোর কোনো উদ্যোগ নেয়নি তৎকালীন প্রশাসন।

এর পরের বছর আরো ২ হাজার ২৫০ টাকা বাড়িয়ে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি ফি নেওয়া হয় ১৭ হাজার ২৫০ টাকা। ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে আবারো ভর্তি ফি বাড়িয়ে ১৮ হাজার টাকা নিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সর্বশেষ ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে এসে ১ হাজার টাকা কমিয়ে ১৭ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়। সে হিসেবে গত ৪ বছরে ভর্তি ফি বৃদ্ধি পেয়েছে দিগুণেরও বেশি। 

ভর্তি ফি বৃদ্ধির জন্য বিগত প্রশাসন গুচ্ছভুক্ত ভর্তি পরীক্ষাকে দায় দিলেও বর্তমানে নিজস্ব পদ্ধতিতে পরীক্ষা নিয়েও আশানুরূপ ভর্তি ফি না কমানোই নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। 

এ বিষয়ে এক ভর্তিইচ্ছু শিক্ষার্থী বলেন, “গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে আসার পর ভাবছিলাম, ফি কমে অনেকটাই সহনীয় হবে। কিন্তু মাত্র ১ হাজার টাকা কমেছে। যা একজন দরিদ্র পরিবার থেকে আসা শিক্ষার্থীর জন্য খুবই চাপের।”

এ বিষয়ে সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী শাকারিয়া আলম তার ফেসবুক পোস্টে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “২০২৪- ২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি ফি ১৭ হাজার টাকা! ২০২০-২১ সেশনে ভর্তি ফি ৮ হাজার টাকার কাছাকাছি ছিল। ২০২১-২২ সেশন থেকেই ভর্তি ফি ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকে, যার পেছনে অন্যতম দায় গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়ার বলে একটা যুক্তি দাড় করানো হয়েছিল। এখন তো গুচ্ছ নেই, প্রাইমারি ভর্তি ফি ৫ হাজার টাকাও প্রদান করতে হবে না। তবুও ভর্তি ফি কেন ১৭ হাজার টাকা? পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় কি গরীব, মধ্যবিত্তের জন্য না?”

তবে এ বিষয়ে ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক এছাক মিয়া কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না। এ বিষয়ে বিস্তারিত জেনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব।”

ঢাকা/ইকবাল/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ১৭ হ জ র ট ক র ভর ত

এছাড়াও পড়ুন:

অকার্যকর সিসি ক্যামেরা, পানি নেই ছয় মাস

কুড়িগ্রাম জেলা শহরের ধরলা সেতু-সংলগ্ন পুলিশ চেকপোস্টে ৬ মাস ধরে নেই পানির ব্যবস্থা। অকার্যকর হয়ে আছে নিরাপত্তায় ব্যবহার করা ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা। দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের শৌচাগারও ব্যবহারের অনুপযোগী। শহরের গুরুত্বপূর্ণ এই চেকপোস্ট এভাবে পড়ে থাকলেও টনক নড়েনি জেলা পুলিশ কর্তৃপক্ষের। 

সরেজমিন দেখা যায়, চেকপোস্টের সামনে ভেঙে পড়ে আছে ব্যারিকেড দেওয়ার যন্ত্র। আশপাশে লাগানো সচেতনতামূলক বিলবোর্ডগুলোও উধাও। ভ্যাপসা গরমে চেকপোস্টের ভেতরে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা রীতিমতো ঘামছেন। তারা জানান, দীর্ঘদিন ধরে পানি নেই। বিদ্যুৎ লাইনে সমস্যা। পাম্প চালু করলেও পানি ওঠে না। খাবার পানিসহ প্রয়োজনীয় কাজের জন্য বাইরের চায়ের দোকান থেকে জগে করে পানি এনে রাখতে হয়। প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে কয়েকবার ৪ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে মূল থানায় যেতে হয়। এতে গুরুত্বপূর্ণ অপরাধমূলক কাজ প্রতিরোধে অভিযান বা তল্লাশিতে বিঘ্ন ঘটে। 

পুলিশের দেওয়া তথ্যমতে, ২০২১ সালের ২২ সেপ্টেম্বর মাদক কেনাবেচা, যৌন হয়রানি ও ছিনতাই রোধ, দুর্ঘটনায় আহত যাত্রীদের দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা, সীমান্ত থেকে অবৈধ চোরাচালান বন্ধসহ নিরাপত্তার স্বার্থে ধরলা সেতু এলাকায় পুলিশ চেকপোস্ট বসানো হয়। ওই সময় আশপাশের নিরাপত্তার জন্য ৪টি ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা বসানো হয়। অপরাধ দমনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে চেকপোস্টগুলো। 

২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর চেকপোস্ট থেকে চেয়ার-টেবিল, আসবাব লুটপাট ও ভাঙচুর করা হয়। এর পর থেকে সেভাবেই পড়ে আছে জননিরাপত্তার স্বার্থে নির্মিত এই পুলিশ চেকপোস্ট। ২০২১ সালে পাশের একটি দোকান থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়া হলেও বিল পরিশোধে গড়িমসি করায় সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। দ্বিতীয় দফায় আরেকটি দোকান থেকে সংযোগ নেওয়া হয়। সেই বিল পরিশোধেও উদ্যোগ নেই। নানা সমস্যায় জর্জরিত চেকপোস্টে ৫ জন পুলিশ সদস্য প্রতিদিন ১২ ঘণ্টা ডিউটি করছেন।

চেকপোস্টের পাশের চায়ের দোকানদার মো. কাওসার বলেন, চেকপোস্টটা চালু থেকেই আলাদা বিদ্যুতের মিটার লাগানো হয়নি। আমার কাছ থেকে সংযোগ নেওয়া হয়। এতে অনেক বিল বকেয়া পড়ে। পরে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। 

ব্যবসায়ী মো. বিদ্যুৎ বলেন, ‘৫ মাস হলো চেকপোস্টে দোকান থাকি লাইন দিছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত বিলের টাকা দেয়নি। টাকা চাইলে বলে, স্যারের সাথে দেখা করো। আমরা ভয়ে টাকা চাইতে যাইতে পারি না।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ সদস্য বলেন, ‘রাতের বেলা ডিউটি করতে কষ্ট হয়। আলোর অভাবে ঠিকমতো তল্লাশি করা যায় না। সিসি ক্যামেরা নষ্ট। স্যারদের অনেকবার বলা হয়েছে। কোনো লাভ হয়নি।’

পুলিশ চেকপোস্টে নিয়োজিত ইনচার্জ মো. নওশাদ আলী বলেন, বিদ্যুৎ সমস্যার কারণে সিসি ক্যামেরা চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। ছয় মাস ধরে পানি নেই। কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, বাজেট এলে সব মেরামত করা হবে।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হাবিবুল্লাহ বলেন, ধরলা সেতুর চেকপোস্ট কিশোর অপরাধ দমনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অথচ এখানে পানির সমস্যা, সিসি ক্যামেরা নেই। দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে পুলিশ সদস্যদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বিষয়টি এসপি স্যারকে জানানো হবে। 

জেলা পুলিশের মিডিয়া অফিসার বজলার রহমান বলেন, বিষয়গুলো আপনার মাধ্যমে অবগত হলাম। দ্রুত সমস্যাগুলো সমাধান করা হবে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অকার্যকর সিসি ক্যামেরা, পানি নেই ছয় মাস
  • শক্তিশালী ব্যালান্স শিট প্রবৃদ্ধিসহ ২০২৪ সালে ব্র্যাক ব্যাংকের উল্লেখযোগ্য সাফল্য
  • ২০২৪ সালে রেকর্ড হারে বেড়েছে বিশ্বের সামরিক ব্যয়: সিপ্রির প্রতিবেদন
  • তৃতীয় প্রান্তিকে মুনাফা কমেছে স্কয়ার ফার্মার
  • ৭৮০ কোটি টাকা মুনাফা করেছে পূবালী ব্যাংক
  • রেকর্ড ১৪৩২ কোটি টাকা নিট মুনাফা অর্জন ব্র্যাক ব্যাংকের
  • রেকর্ড ১৪৩২ কোটি টাকা নিট মুনাফা অর্জন করেছে ব্র্যাক ব্যাংক
  • হাজার কোটি টাকা নিট মুনাফার মাইলফলকে সিটি ব্যাংক
  • রেকর্ড ১৪৩২ কোটি টাকা মুনাফা ব্র্যাক ব্যাংকের
  • বিশ্বে সামরিক ব্যয় রেকর্ড বেড়ে ২.৭ ট্রিলিয়ন ডলার