আবাহনীর মুখোমুখির আগে মোহামেডানের আত্মবিশ্বাসী জয়
Published: 9th, April 2025 GMT
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ১১তম রাউন্ডে সবচেয়ে বড় ও জমজমাট ম্যাচ অপেক্ষা করছে। মুখোমুখি লড়াইয়ে নামবে আবাহনী লিমিটেড ও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। যে ম্যাচের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন ক্রিকেটপ্রেমিরা। তার আগে বুধবার (০৯ এপ্রিল) লিগের দশ রাউন্ডের ম্যাচে জয় পেয়েছে দুই দলই। আবাহনী হারিয়েছে প্রাইম ব্যাংককে। মোহামেডান জিতেছে অগ্রণী ব্যাংকের বিপক্ষে। পয়েন্ট টেবিলে দুই দলের অবস্থান একেবারেই শীর্ষে। আবাহনী ১০ ম্যাচে নয় জয় নিয়ে রয়েছে শীর্ষে। মোহামেডান সমান ম্যাচে জিতেছে আটটিতে। আজ বিকেএসপিতে অগ্রণী ব্যাংককে বড় ব্যবধানে হারিয়েছে তারা।
আগে ব্যাটিংয়ে নেমে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ৭ উইকেটে ২৮৭ রান করে। জবাবে অগ্রণী ব্যাংকের ইনিংস থেমে যায় ২১৩ রানে। ৭৪ রানে জয় পায় মোহামেডান। তাদের জয়ের নায়ক মুশফিকুর রহিম। মিডল অর্ডারে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫৭ বলে ৭৫ রানের অতি গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন। এছাড়া মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ৬৪, তাওহীদ হৃদয় ৪২ ও রনি তালুকদার ৪৬ রান করেন। রান পাননি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (১৬), মেহেদী হাসান মিরাজ (১৮)। অগ্রণী ব্যাংকের হয়ে বল হাতে ৩ উইকেট নিয়ে আরিফ আহমেদ ছিলেন দলের সেরা।
লক্ষ্য তাড়ায় অমিত হাসান বাদে অগ্রণী ব্যাংকের হয়ে লড়তে পারেননি কেউ। ডানহাতি তরুণ ব্যাটসম্যান ১২৩ বলে ১০৫ রান করেন ৭ চার ও ১ ছক্কায়। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৭ রান আসে মার্শাল আইয়ুবের ব্যাট থেকে। বাকিরা এসেছেন আর ফিরেছেন। শেষ দিকে শহীদুল ১৬, রবিউল ১১ রান করলে পরাজয়ের ব্যবধান কমে আসে।
আরো পড়ুন:
আবাহনীর জয়ে উজ্জ্বল অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক
মাঠে ফিরেই নির্বাচকদের দিকে নাসিরের আঙুল
মোহামেডানের হয়ে বল হাতে ৩৪ রানে ৩ উইকেট নেন ইবাদত হোসেন ও মেহেদী হাসান মিরাজ। ২টি করে উইকেট নেন নাসুম ও তাইজুল। অগ্রণী ব্যাংকের এটি ১০ ম্যাচে চতুর্থ পরাজয়। সুপার লিগে উঠতে হলে শেষ রাউন্ডে তাদের জয় পেতেই হবে।
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ন কর উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
‘আমরার এইতা দিবস-টিবস দিয়া কী অইব’
ঘড়ির কাঁটায় তখন দুপুর ২টা ২০ মিনিট। মাথার ওপর প্রখর রোদের উত্তাপ। প্রচণ্ড গরমে ত্রাহি অবস্থায় একটু বিশ্রাম নিতে গাছের ছায়ার খোঁজে ক্লান্ত পথিক। এমন সময় ঘর্মাক্ত শরীরে একটি ভবন নির্মাণের কাজ করতে দেখা গেল কয়েকজন শ্রমিককে। তাদের একজন তোঁতা মিয়া, অপরজন হাবিবুল।
হাবিবুল পাথর ভরেই যাচ্ছেন, তোঁতা মিয়া সেগুলো মাথায় করে একের পর এক টুড়ি ছাদ ঢালাইয়ের জন্য পৌঁছে দিচ্ছেন নির্দিষ্ট স্থানে। সেখানেও বালু-পাথরের মিশ্রণ করছেন আরও কয়েকজন। তাদের কর্মযজ্ঞের এক ফাঁকে কথা হয় তোঁতা মিয়ার সঙ্গে।
আলাপকালে তোঁতা মিয়া বলেন, ‘সারাদিন কাম (কাজ) কইরা ৫০০ ট্যাহা (টাকা) হাজিরা পাই। এইডি দিয়া কোনোমতে বউ-পুলাপান নিয়া দিন পার করতাছি। মে দিবস-টিবস কী কইতারতাম না। আমরার মতো গরিব মানুষ কাম না করলে পেডে ভাত জুটতো না এইডাই কইতারবাম।’
গতকাল বুধবার ঈশ্বরগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণকাজ করার সময় এসব কথা বলেন তোঁতা মিয়া (৪৫)। তাঁর বাড়ি ময়মনসিংহ সদর উপজেলার আকুয়া এলাকায়। এ সময় কথা হয় আরেক নির্মাণ শ্রমিক একাদুল মিয়ার সঙ্গে। একাদুলও জানেন না মে দিবস কী। তিনি বলেন, ‘এই কাম কইরা খাইয়া-না খাইয়া বউ-পুলাপান লইয়া কোনোরহমে দিন পার করতাছি। বর্তমান বাজারো জিনিসপাতির দাম বাড়লেও আমরার মজুরি বাড়ে না। পাঁচ বছর আগেও যা পাইতাম, অহনও তাই পাই।’ তিনি বলেন, ‘কয়েক ট্যাহা সঞ্চয় করবাম এই বাও (উপায়) নাই। অসুখ অইয়া চার দিন ঘরে পইড়া থাকলে না খাইয়া থাহন লাগব। আমরার এইতা দিবস-টিবস দিয়া কী অইব?’
আজ বৃহস্পতিবার মহান মে দিবস। শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের এই দিনটি সারাবিশ্বের শ্রমিক শ্রেণির কাছে গুরুত্বপূর্ণ। বহির্বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালিত হয় নানা আয়োজনে। কিন্তু যাদের অধিকার আদায়ের জন্য এ দিনটি পালন করা হয়– তারাই জানেন না দিবসটি সম্পর্কে। তাদের আরেকজন দিনমজুর রাজন মিয়া। রাজন জানান, এসব দিবসে তাদের মতো গরিব মানুষের কোনো লাভ-লোকসান নেই।