ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ১১তম রাউন্ডে সবচেয়ে বড় ও জমজমাট ম্যাচ অপেক্ষা করছে। মুখোমুখি লড়াইয়ে নামবে আবাহনী লিমিটেড ও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। যে ম্যাচের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন ক্রিকেটপ্রেমিরা। তার আগে বুধবার (০৯ এপ্রিল) লিগের দশ রাউন্ডের ম্যাচে জয় পেয়েছে দুই দলই। আবাহনী হারিয়েছে প্রাইম ব্যাংককে। মোহামেডান জিতেছে অগ্রণী ব্যাংকের বিপক্ষে। পয়েন্ট টেবিলে দুই দলের অবস্থান একেবারেই শীর্ষে। আবাহনী ১০ ম্যাচে নয় জয় নিয়ে রয়েছে শীর্ষে। মোহামেডান সমান ম্যাচে জিতেছে আটটিতে। আজ বিকেএসপিতে অগ্রণী ব্যাংককে বড় ব্যবধানে হারিয়েছে তারা।

আগে ব্যাটিংয়ে নেমে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ৭ উইকেটে ২৮৭ রান করে। জবাবে অগ্রণী ব্যাংকের ইনিংস থেমে যায় ২১৩ রানে। ৭৪ রানে জয় পায় মোহামেডান। তাদের জয়ের নায়ক মুশফিকুর রহিম। মিডল অর্ডারে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫৭ বলে ৭৫ রানের অতি গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন। এছাড়া মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ৬৪, তাওহীদ হৃদয় ৪২ ও রনি তালুকদার ৪৬ রান করেন। রান পাননি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (১৬), মেহেদী হাসান মিরাজ (১৮)। অগ্রণী ব্যাংকের হয়ে বল হাতে ৩ উইকেট নিয়ে আরিফ আহমেদ ছিলেন দলের সেরা।

লক্ষ্য তাড়ায় অমিত হাসান বাদে অগ্রণী ব্যাংকের হয়ে লড়তে পারেননি কেউ। ডানহাতি তরুণ ব্যাটসম্যান ১২৩ বলে ১০৫ রান করেন ৭ চার ও ১ ছক্কায়। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৭ রান আসে মার্শাল আইয়ুবের ব্যাট থেকে। বাকিরা এসেছেন আর ফিরেছেন। শেষ দিকে শহীদুল ১৬, রবিউল ১১ রান করলে পরাজয়ের ব্যবধান কমে আসে।

আরো পড়ুন:

আবাহনীর জয়ে উজ্জ্বল অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক

মাঠে ফিরেই নির্বাচকদের দিকে নাসিরের আঙুল

মোহামেডানের হয়ে বল হাতে ৩৪ রানে ৩ উইকেট নেন ইবাদত হোসেন ও মেহেদী হাসান মিরাজ। ২টি করে উইকেট নেন নাসুম ও তাইজুল। অগ্রণী ব্যাংকের এটি ১০ ম্যাচে চতুর্থ পরাজয়। সুপার লিগে উঠতে হলে শেষ রাউন্ডে তাদের জয় পেতেই হবে।

ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ন কর উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন

চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।

লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্‌যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।

চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।

লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।

প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।

লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’

তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্‌যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?

সম্পর্কিত নিবন্ধ