সালমান খান ও ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন। চলতি শতকের শুরুর দিকে তাঁদের প্রেম ছিল অন্যতম চর্চিত বিষয়। সালমান-ঐশ্বরিয়ার সম্পর্ক বহুদূর গড়িয়েছিল, এমনকি তাঁদের বিয়েও হওয়ার কথা ছিল। কেন ভেঙে যায় এই তারকার প্রেম?
‘হাম দিল দে চুকে সনম’ ছবির শুটিং থেকে প্রেম শুরু সালমান ও ঐশ্বরিয়ার। সেই প্রেম নিয়ে চর্চাও হয়েছিল বিস্তর। ঐশ্বরিয়ার প্রেমে নাকি সেই সময়ে ডুবে ছিলেন সালমান। কিন্তু সে সময় সালমানের সম্পর্ক ছিল সোমি আলির সঙ্গে। কিন্তু ঐশ্বরিয়া ও সালমানের বারবার সাক্ষাৎ, সময় কাটানো কিছুতেই মেনে নিতে পারেননি সোমি। তাঁদের ব্রেক আপ হয়ে যায়। সোমিও বিদেশে চলে যান।

অন্যদিকে ঐশ্বরিয়া ও সালমানও আরও কাছাকাছি আসার সুযোগ পেয়ে যান। সালমানের দুই বোন আলভিরা ও অর্পিতার সঙ্গেও বেশ ভালো সম্পর্ক হয়ে যায় অ্যাশের। মিডিয়া তখন তাঁদের প্রেমের গুঞ্জন নিয়ে প্রতিদিনই খবরের শিরোনাম করছে। সালমানও বলিউডে ঐশ্বরিযার পায়ের তলায় মাটি শক্ত করতে উঠে পড়ে লাগেন। তিনি কার সঙ্গে কাজ করবেন, কোন ছবি নেবেন, সে ব্যাপারেও পরামর্শ দিতে শুরু করেন সালমান।

‘হাম দিল দে চুকে সনম’ সিনেমায় সালমান ও ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

তালাকপ্রাপ্ত নারীর ঘরে আটক পুলিশ সদস্য বললেন, ‘কালিমা পড়ে বিয়ে করেছি’

রাজশাহীতে তালাকপ্রাপ্ত এক নারীর ঘর থেকে পুলিশের এক কনস্টেবলকে আটক করেছেন স্থানীয়রা। পরে তাকে পুলিশে দেওয়া হয়েছে। বুধবার (৩০ এপ্রিল) মধ্যরাতে নগরীর তালাইমারি বাদুড়তলা এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।

ওই পুলিশ কনস্টেবলের নাম টি এম নাসির উদ্দিন। তিনি পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের বেইজড ওয়ারলেস অপারেটর। বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) দুপুর পর্যন্ত তিনি নগরীর মতিহার থানায় ছিলেন।

ওই কনস্টেবলের বাড়ি সিরাজগঞ্জে। সেখানে তার স্ত্রী-সন্তান আছে। যে নারীর ঘরে তাকে পাওয়া গেছে তার স্বামীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে।

কনস্টেবল নাসির দাবি করেন, আগের স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর তিনি ওই নারীকে কালেমা পড়ে বিয়ে করেছেন।

মতিহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুল মালেক বলেন, ‘‘তালাকপ্রাপ্ত নারী তার মায়ের বাড়িতেই থাকতেন। সেখানে রাতে আমাদের কনস্টেবল যান। তখন স্থানীয়রা দুজনকে ঘরে আটকে রেখে থানায় খবর দেন। আমরা গিয়ে তাদের থানায় এনেছি।’’

ওসি বলেন, ‘‘কনস্টেবল দাবি করেছেন, তিনি কালেমা পড়ে ওই নারীকে বিয়ে করেছেন। আগের স্ত্রীও বিষয়টি অবগত। তবে, বিয়ের কোনো রেজিস্ট্রি নেই। এখন তিনি রেজিস্ট্রি করে নিতে চাচ্ছেন। দুজনে থানায় আছেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।’’

‘‘এক্ষেত্রে, কনস্টেবল নাসিরের আগের স্ত্রীর কোনো আপত্তি থাকলে তিনি আইনি পদক্ষেপ নিতে পারবেন।’’- যোগ করেন ওসি আবদুল মালেক।

রাজশাহী রেঞ্জের পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোহাম্মদ শাহজাহান মিয়া বলেন, ‘‘বিষয়টা আমার জানা নাই। এ রকম হয়ে থাকলে অবশ্যই বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

ঢাকা/কেয়া/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ