কুষ্টিয়ার চালকলমালিক ও ব্যবসায়ী আবদুর রশিদের বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি করার ঘটনায় হত্যাচেষ্টার মামলা করা হয়েছে। গতকাল বুধবার গভীর রাতে আবদুর রশিদ বাদী হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় এজাহার জমা দেন।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া আটটার দিকে মামলাটি রুজু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, ঘটনায় জড়িত মোটরসাইকেলচালক কাজী আবদুস সাকিরকে (৪২) গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

বুধবার বেলা পৌনে দুইটার দিকে শহরের গোশালা সড়কে রশিদের বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। গুলিতে তাঁর বাড়ির তৃতীয় তলার একটি কাচ ভেঙে যায়। তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ঘটনার সময় রশিদ খাজানগর এলাকায় নিজের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ অটো মেজর অ্যান্ড হাসকিং মিল মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি। সদর উপজেলার খাজানগর এলাকায় তাঁর বড় কয়েকটি চালকল রয়েছে।

একটি পশুহাটের ইজারা পাওয়াকে কেন্দ্র করে সদর উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব জাহিদুল ইসলাম (বিপ্লব) চরমপন্থী সংগঠনের নেতাদের দিয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন আবদুর রশিদ। তবে বিএনপি নেতা জাহিদুল ইসলাম সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

আরও পড়ুনকুষ্টিয়ায় দিনদুপুরে চালকল মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি রশিদের বাড়িতে গুলি০৯ এপ্রিল ২০২৫

কুষ্টিয়া মডেল থানা-পুলিশ সূত্র জানায়, গভীর রাতে আবদুর রশিদ বাদী হয়ে একটি এজাহার জমা দেন। বৃহস্পতিবার সকালে সেটি মামলা হিসেবে রুজু করা হয়। মামলায় তাঁকেসহ তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি ছোড়া হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন।

এদিকে রাত থেকেই সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে অভিযানে নামে পুলিশ। মোটরসাইকেল নম্বর বিশ্লেষণ ও তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে আবদুস সাকিরকে তাঁর শ্বশুরবাড়ি রাজবাড়ীর খানখানাপুর এলাকা থেকে সকালে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গুলিবর্ষণের সময় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলও জব্দ করা হয়েছে। এরপর তাঁকে কুষ্টিয়া মডেল থানায় আনা হয়। সাকির শহরের আমলাপাড়া এলাকার কাজী আবদুস সামাদের ছেলে।

ওসি মোশাররফ হোসেন বলেন, থানায় আবদুস সাকিরকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাথমিকভাবে গুলি ছোড়ার ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়ে তথ্য মিলেছে। আরও তথ্যের জন্য বিকেলে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কুষ্টিয়া আদালতে নেওয়া হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। জড়িত বাকিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।

আরও পড়ুনকুষ্টিয়ায় চালকলমালিক নেতার বাড়িতে গুলি: অভিযোগের তির বিএনপি নেতার দিকে, নেপথ্যে হাটের ইজারা২১ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আবদ স স ঘটন য় র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

গাজীপুরে আংশিক প্রস্তুত প্রতিমা ভাঙচুর 

গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর শ্মশান মন্দিরের আংশিক প্রস্তুত প্রতিমা ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে। তবে কে বা কারা এটি ভাঙচুর করেছে তা জানা যায়নি। 

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, কাশিমপুর এলাকায় অবস্থিত শ্মশান মন্দিরে প্রতিবছরের মতো এবারেও পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য তৈরি করা হচ্ছে বিভিন্ন প্রতিমা। এসকল প্রতিমা আংশিক প্রস্তুত করা হয়েছে। কোনোটিতেই রঙ করা হয়নি, এখনো কাঁচা রয়েছে। 

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বৃষ্টি শুরু হলে কাজ বন্ধ রেখে বাসায় চলে যায় কারিগর ও মন্দিরের লোকজন। সন্ধ্যার দিকে মন্দিরে প্রবেশ করে তিন-চারটি প্রতিমা ভাঙচুর অবস্থায় দেখতে পান কারিগরেরা। 

তবে প্রতিমাগুলো পুরোপুরি ভাঙেনি দুর্বৃত্তরা। দুটি প্রতিমার হাত ও একটি ঘোড়ার কান ভেঙেছে। এরপর সেটি জানাজানি হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

মন্দির কর্তৃপক্ষ জানায়, পূজা শুরু হয়নি এজন্য পাহারা এখনো বসানো হয়নি। এছাড়া মন্দিরের আশপাশে সিসিটিভি ক্যামেরাও নেই। কে বা কারা এটি ভাঙচুর করেছে আমরা জানতে পারিনি। যেসব প্রতিমা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেগুলো মেরামত করতে হবে। 

গাজীপুর মেট্রোপলিটন কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, “মন্দিরে প্রতিমা তৈরির কাজ চলছে। গতকাল দুপুরে কাজ শেষে প্রতিমাগুলো ঢেকে রেখে চলে যায়। সন্ধ্যায় মন্দিরে ফিরে তারা দেখতে পান কয়েকটি প্রতিমা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি, ধারণা করছি চুরি করে ঢুকে প্রতিমা ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে।” 

তিনি আরো বলেন, “প্রতিমাগুলোর কাজ এখনো শেষ হয়নি। তারা এগুলো ঠিক করবেন বলে জানিয়েছেন। এবিষয়ে এখনো কোন অভিযোগ করেননি মন্দির কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।”

ঢাকা/রেজাউল/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ