তিনি কেন কাভারাডোনা, দুর্দান্ত এক গোলেই প্রমাণ দিলেন
Published: 10th, April 2025 GMT
জর্জিয়ার বয়সভিত্তিক ফুটবলে প্রায় প্রতি ম্যাচেই অন্তত ১০টির বেশি ড্রিবলিং করতেন। ব্রাজিলের কিংবদন্তি ও সর্বকালের অন্যতম সেরা ড্রিবলারদের একজন গারিঞ্চার নামের সঙ্গে মিলিয়ে তখন থেকেই তাঁকে ‘কাভারিঞ্চা’ নামে ডাকার শুরু। বেড়ে ওঠার পর নাপোলিতে যোগ দেওয়ার আগে পরিচিতি পান ‘জর্জিয়ান মেসি’ নামে। আর নাপোলিতে থাকতে তুলনা চলেছে ডিয়েগো ম্যারাডোনার সঙ্গে। সে জন্যই তখন খিচা কাভারাস্কেইয়াকে অনেকে ‘কাভারাডোনা’ নামে ডাকতে শুরু করেন। শেষ পর্যন্ত এই নামটিই ইউরোপে পরিচিতি পেয়েছে সবচেয়ে বেশি।
আরও পড়ুন২ গোলে পিছিয়ে পড়েও মেসি–জাদুতে সেমিফাইনালে মায়ামি১৪ ঘণ্টা আগেজর্জিয়ান উইঙ্গার নাপোলিতে থাকতেই ‘কাভারাডোনা’ নামের প্রতি সুবিচার করেছেন। ইতালিয়ান ক্লাবটিতে আড়াই বছরের ক্যারিয়ারে ৩৩ বছর পর ক্লাবটিকে জিতিয়েছেন সিরি আ। গোল করানোয় লিগে সে মৌসুমে তাঁর ওপরেও কেউ ছিল না। নাপোলিকে তুলেছিলেন চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালেও। সে যাহোক, গত জানুয়ারিতে ঠিকানা পাল্টে কাভারাস্কেইয়া এখন পিএসজির। তবে ঠিকানা পাল্টে ফেললেও ভূমিকা পাল্টায়নি ২৪ বছর বয়সী এই উইঙ্গারের। ড্রিবলিং করছেন আগের মতোই, পাচ্ছেন অবিশ্বাস্য গোলের দেখাও।
বাঁ পায়ের শটে গোল করেন কাভারাস্কেইয়া.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’