বিশ্বে স্বর্ণের দাম রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধের প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ বাড়ার পর শুক্রবার মার্কিন ডলারের দাম কমতে শুরু করে। এর মধ্যে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে স্বর্ণের দাম বেড়ে গেছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডলার ও মার্কিন ট্রেজারিগুলোর দাম কমে যাওয়ার পর সোনার দাম নতুন উচ্চতায় পৌঁছে গেছে। মার্কিন সরকারি বন্ডের বিক্রি আবার শুরু হয়েছে।
বিনিয়োগকারীরা সুইস ফ্রাঙ্ক এবং সোনার মতো তথাকথিত নিরাপদ আশ্রয়স্থল সম্পদের দিকে ঝুঁকছেন। প্রথমবারের মতো সোনার দাম প্রতি ট্রয় আউন্সে ৩,২০০ ডলারের উপরে উঠে গেছে। অন্যদিকে সুইস ফ্রাঙ্ক সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌঁছেছে। শুক্রবার এশিয়ার শেয়ারবাজারে পতন ঘটে।
দেশের বাজারেও স্বর্ণের সর্বোচ্চ দাম: এদিকে বিশ্ব বাজারে দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেশের বাজারেও সোনার দাম সর্বোচ্চ দরে পৌঁছেছে। প্রতি ভরি সোনার দাম বেড়েছে সর্বোচ্চ ২ হাজার ৪০৩ টাকা। এর ফলে ভালো মানের ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম পড়বে ১ লাখ ৫৯ হাজার ২৭ টাকা। দেশের বাজারে এটিই এখন পর্যন্ত সোনার সর্বোচ্চ দাম। বৃহস্পতিবার রাতে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পিওর গোল্ড) দাম বেড়ে যাওয়ায় দাম সমন্বয় করা হয়েছে। নতুন দাম আজ শুক্রবার থেকে কার্যকর হবে।
বাজুসের নতুন সিদ্ধান্তের ফলে আজ শুক্রবার থেকে দেশের বাজারে হলমার্ক করা প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেট মানের সোনা ১ লাখ ৫৯ হাজার ২৭ টাকা, ২১ ক্যারেট ১ লাখ ৫১ হাজার ৭৯৫ টাকা, ১৮ ক্যারেট ১ লাখ ৩০ হাজার ১১২ টাকায় বিক্রি হবে। এ ছাড়া সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম বেড়ে হবে ১ লাখ ৭ হাজার ৩৪৪ টাকা।
আগের দিন বৃহস্পতিবার পর্যন্ত প্রতি ভরি ২২ ক্যারেট সোনা ১ লাখ ৫৬ হাজার ৬২৪ টাকা, ২১ ক্যারেট ১ লাখ ৪৯ হাজার ৪৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেট ১ লাখ ২৮ হাজার ১৪১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনা ১ লাখ ৫ হাজার ৬৬৪ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আজ থেকে প্রতি ভরি ২২ ক্যারেট সোনায় ২ হাজার ৪০৩ টাকা, ২১ ক্যারেটে ২ হাজার ২৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটে ১ হাজার ৯৭১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনায় ১ হাজার ৬৮০ টাকা দাম বাড়বে।
৮ এপ্রিল রাতে সোনার দাম ভরিপ্রতি ১ হাজার ২৪৮ টাকা কমানোর কথা জানিয়েছিল বাজুস। এতে বলা হয়, বিশ্ববাজারে কমার কারণে দেশেও কিছুটা কমেছে স্বর্ণের দাম। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম এক হাজার ২৪৮ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে এক লাখ ৫৬ হাজার ৬২৪ টাকা।
বাজুস বলেছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের (পাকা স্বর্ণ) দাম কমার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম কমানো হয়েছে। টানা চারদফা বাড়ার পর এবার কিছুটা কমেছে মূল্যবান এই ধাতুর দাম। আগামীকাল বুধবার থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে।
এতদিন দেশের বাজারে ভালো মানের এক ভরি স্বর্ণের দাম ছিল এক লাখ ৫৭ হাজার ৮৭২ টাকা। গত ২৯ মার্চ থেকে এ দর ছিল। এটি ছিল স্বর্ণের সর্বোচ্চ দর। এ দর কমে এখন হয়েছে এক লাখ ৫৬ হাজার ৬২৪ টাকা।
নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দর এক লাখ ৪৯ হাজার ৪৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি এক লাখ ২৮ হাজার ১৪১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম এক লাখ ৫ হাজার ৬৬৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স বর ণ স বর ণ র ব র স বর ণ র দ ম স বর ণ র দ ম ১৮ ক য র ট ২২ ক য র ট ২১ ক য র ট শ ক রব র দ ম কম এক ল খ
এছাড়াও পড়ুন:
জকসুর গঠন ও পরিচালনা বিধিমালা, নির্বাচনী আচরণবিধির সংশোধন চায় ছাত্রদল
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) গঠন ও পরিচালনা বিধিমালা এবং নির্বাচনী আচরণবিধি সংশোধনে নির্বাচন কমিশনকে স্মারকলিপি দিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল। সোমবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা হাসানের কাছে এ স্মারকলিপি দেন ছাত্রদলের নেতারা।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, ‘আসন্ন জকসু নির্বাচনকে ঘিরে বিভিন্ন গোষ্ঠী জকসু সংবিধি এবং নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা নিয়ে বিভ্রান্তিকর প্রচারণা চালাচ্ছে। আমরা বিশ্বাস করি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচন কমিশন একটি নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য দায়বদ্ধ। ন্যায্য ও স্বচ্ছ নির্বাচন নিশ্চিতে আমাদের অনুরোধ, ভোটার তালিকা প্রকাশের সময় প্রত্যেক ভোটারের ছবিসহ তালিকা প্রকাশ করতে হবে। নির্বাচনে অমোচনীয় কালি ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে হবে এবং স্বচ্ছ, নাম্বারযুক্ত ব্যালট বক্স রাখা আবশ্যক।’
স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, ব্যালট ছাপার সংখ্যা, ভোট প্রদানকারীর সংখ্যা এবং নষ্ট ব্যালটের তথ্য প্রকাশ করতে হবে। মিডিয়া ট্রায়াল বা ভুল তথ্য প্রচার হলে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকের বিরুদ্ধে কেন্দ্র থেকে সরাসরি ব্যবস্থা নিতে হবে। সরকার অনুমোদিত সব মিডিয়াকে নির্বাচনকালীন সময়ে পূর্ণ স্বাধীনতা দিতে হবে।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, ডাকসুর তফসিল ঘোষণার ৪১ দিন, চাকসুর ৪৪ দিন, রাকসুর ৮০ দিন এবং জাকসুর তফসিল ঘোষণার ৩১ দিন পর নির্বাচন হয়েছে। যেহেতু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় একটি অনাবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়, তাই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য পর্যাপ্ত সময় দিতে হবে। এ ছাড়া বাকি চার বিশ্ববিদ্যালয়ের তফসিল ঘোষণার সময় ও নির্বাচনের মধ্যবর্তী পার্থক্য বিবেচনা করে জকসু নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করতে হবে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব শামসুল আরেফিন বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যাতে সুষ্ঠু একটা নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ পায়, এজন্য ছাত্রদল নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় আজকে আমরা স্মারকলিপি দিয়েছি। আশা করছি, নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশন আমাদের দাবিগুলো মেনে নেবে।’