স্বামী রোশান সিংয়ের সঙ্গে কয়েক বছর ধরে আলাদা থাকছেন অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চ্যাটার্জি। স্ত্রীর সঙ্গে পুনরায় সংসার করার জন্য মামলাও দায়ের করেন রোশান। কিন্তু তাতে সায় না দিয়ে বিয়েবিচ্ছেদ চেয়ে আদালতে মামলা করেন শ্রাবন্তী। শুধু তাই নয়, ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে খোরপোশ বাবদ অর্থও দাবি করেন এই অভিনেত্রী। এরপর এ মামলায় স্থগিতাদেশ দেন আদালত। সব জটিলতার অবসান ঘটিয়ে আইনি বিয়েবিচ্ছেদে সিলমোহর দিলেন আদালত।
বিবাহবিচ্ছেদের তথ্য নিশ্চিত করে রোশান সিং বলেন, “সবকিছুই খুব শান্তিপূর্ণভাবে মিটেছে। ৮ এপ্রিল থেকে আমরা প্রেম-বিয়ের আগে যেমন অপরিচিত ছিলাম, সে রকমই আরো একবার পরস্পরের অপরিচিত হয়ে গেছি।”
সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় একটি গণমাধ্যম জানিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে শ্রাবন্তী-রোশান দম্পতির আইনি বিচ্ছেদ নিয়ে টানাপড়েন চলছিল। গত সেপ্টেম্বরে তারা পাকাপাকিভাবে বিচ্ছেদের পথে আরো একধাপ এগিয়ে যান। কেবল বাকি ছিল উভয়ের স্বাক্ষর। গত ৮ এপ্রিল এ মামলার শুনানির তারিখ ধার্য করেন আদালত। ততদিন উভয় পক্ষ বিষয়টি গোপন রাখেন।
আরো পড়ুন:
শ্রাবন্তীকে আপত্তিকর স্পর্শ, তেড়ে গেলেন নায়িকা
সমাজের চোখরাঙানিতে কিচ্ছু যায়-আসে না: শ্রাবন্তী
আইনিভাবে বিচ্ছেদের পরই রোশান তার সোশ্যাল মিডিয়ার ছবি বদলে তার বাগদত্তা অনামিকা মিত্রের সঙ্গে তোলা ছবি দেন। ফের বিয়ের বিষয়ে রোশান বলেন, “সবে একটি বন্ধন থেকে মুক্তি পেলাম। আপাতত নিজেকে গুছিয়ে নেব। অনামিকার সঙ্গে চলতি বছরেই হয়তো নতুন জীবন শুরু করব।”
২০০৩ সালে পরিচালক রাজীবের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন শ্রাবন্তী। এই দম্পতির সন্তান অভিমন্যু। রাজীবের সঙ্গে ছাড়াছাড়ির পর প্রেমিক কৃষাণ ভিরাজকে বিয়ে করেন এই অভিনেত্রী। ২০১৬ সালের জুলাইয়ে শ্রাবন্তী ও কৃষাণের বিয়ে হয়। কিন্তু বছর পেরুতেই বিবাহবিচ্ছেদের কথা জানান শ্রাবন্তী। ২০১৯ সালে রোশানের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর শ র বন ত চ য ট র জ চলচ চ ত র শ র বন ত
এছাড়াও পড়ুন:
উৎসব ঘুরে প্রেক্ষাগৃহে ‘বাড়ির নাম শাহানা’
কৈশোর পেরোনোর আগেই শাহানাবাড়ির মেয়ে দীপার বিয়ে হয়ে যায়। স্বামীর নির্যাতনের জাল ছিঁড়ে নিজের মতো করে বাঁচতে চেয়েছেন তিনি। নব্বইয়ের দশকের পটভূমিতে দীপার বেঁচে থাকার লড়াইয়ের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে বাড়ির নাম শাহানা।
সত্য কাহিনি অবলম্বনে নির্মিত বাড়ির নাম শাহানায় দীপা চরিত্রে অভিনয় করেছেন আনান সিদ্দিকা। ছবিটি যৌথভাবে প্রযোজনা করেছে কমলা কালেক্টিভ ও গুপী বাঘা প্রোডাকশন্স লিমিটেড।
নির্মাণের বাইরে লীসা গাজী লেখক, নাট্যকর্মী হিসেবে পরিচিত