ছোট পোশাক পরলেই মা খারাপ না, এটা আমার ছেলে জানুক: প্রিয়াঙ্কা
Published: 12th, April 2025 GMT
টালিউড অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা সরকার। বাংলাদেশের ছবিতেও অভিনয় করেছিলেন তিনি। এই অভিনেত্রী ভালোবেসে বিয়ে করেছেন চিত্রনায়ক রাহুল ব্যানার্জিকে। মাঝে তাদের দূরত্ব বাড়ে আলাদা থাকা শুরু করেন। হয় বিচ্ছেদও। তাদের সংসারে রয়েছে সহজ নামের এক পুত্রসন্তান। তবে বিয়ে-বিচ্ছেদের পর আবার সংসারে ফিরেছেন তারা। অভিনয় ছাড়াও যাপিত জীবনের নানা ঘটনা নিয়ে তুমুল সমালোচিত হয়েছেন এই দম্পতি।
কখনো সংসার জীবন নিয়ে, কখনো সাহসী পোশাকে ফটোশুট করে ট্রলের শিকার হয়েছেন প্রিয়াঙ্কা সরকার। এসব বিষয় কীভাবে দেখেন, কীভাবে সামাল দেন ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’খ্যাত এই তারকা? এক সাক্ষাৎকারে এ নিয়ে কথা বলেছেন প্রিয়াঙ্কা।
প্রিয়াঙ্কা সরকার বলেন, “আগে এই বিষয়গুলো অনেক বেশি প্রভাব ফেলত। কিন্তু এখন আমাকে আর এগুলো প্রভাবিত করে না। স্যোশাল মিডিয়ায় মানুষ এখন খুব গুরুত্ব পেতে চান। তাদের মনে হয়, একটা নেতিবাচক মন্তব্য করলে তার পরিবর্তে আরো বেশ কয়েকটা মন্তব্য করবেন অন্যরা, ফলস্বরূপ তার রিচ বাড়বে। একটা পোস্ট করলে চারটা বাজে কমেন্টের সঙ্গে ছয়টা ভালো কমেন্টও আসে। আমি ভালো কমেন্টগুলোকে উৎসাহ দেওয়ার চেষ্টা করি। তাতে আমি ভালো থাকি। তবে চোখে সবই পড়ে, পোশাক থেকে ব্যক্তিগত জীবন সবটা নিয়েই তারা মন্তব্য করেন।”
উদাহরণ টেনে প্রিয়াঙ্কা সরকার বলেন, “আমাকে অনেকে মন্তব্য করেছিলেন, ‘একজন মা হয়ে এই ধরনের পোশাক কীভাবে পরতে পারে? বা বোল্ড ফটোশুট কীভাবে করতে পারেন?’ আমি কী পোশাক পরলাম সেটা দিয়ে তো মানুষটা কীরকম তা বিচার করা যেতে পারে না। আমার মনে হয়, আমি মা বলেই নির্দ্বিধায় আরো বেশি করে বোল্ড ফটোশুট সামনে আনব। কারণ আমার ছেলের জানা দরকার ছোট জামা বা একটা বোল্ড পোশাক পরেছে বলেই তার মা খারাপ মহিলা হয়ে যেতে পারে না। সে যদি নিজের মাকে ওই পোশাকে দেখে সম্মান করতে শেখে, তবেই বাইরে অন্য কোনো মহিলা সেই ধরনের পোশাক পরলে তাকে অসম্মান করবে না, সহজেই তাকে একটা তকমা দিয়ে দেবে না। আমি মা হিসেবে আমার সন্তানকে এইটুকু সহানুভূতিশীল তৈরি করার চেষ্টা করি।”
কষ্ট পেলে প্রিয়াঙ্কা তা কীভাবে সামলান? জবাবে এই অভিনেত্রী বলেন, “আমি ঈশ্বরে বিশ্বাস করি, খুব ঈশ্বরভক্ত। আসলে জীবন কখনো মসৃণ না। সেখানে অনেক ওঠাপড়া। এটা মেনে নিতে হবে, সেটা না থাকলেই বরং জীবন পানসে। কাজের জায়গা বলুন কিংবা সম্পর্ক, এই ওঠাপড়া না থাকলে একটা সময়ের পর আপনিও একঘেয়েমিতে ভুগবেন। এই ওঠাপড়া থেকে ভালো দিকটা আপনি নেবেন, না কি মন্দ দিকের ধাক্কায় অবসাদে ডুবে যাবেন, তা আপনার উপর নির্ভর করছে।”
খানিকটা ব্যাখ্যা করে প্রিয়াঙ্কা সরকার বলেন, “আমি অন্তত এই ওঠাপড়া থেকে ভালোটাই নেওয়ার চেষ্টা করি। খুব দুঃখের সময় আশায় বুক বেঁধেছি, এরপর ভালো কিছু হবে, হয়েছেও। খারাপ সময় থেকে শিক্ষা নেওয়ার চেষ্টা করেছি, কীভাবে ওই সময় অতিক্রম করতে হয়। কোনো মানুষের জীবনে শুধু খারাপ বা শুধু ভালো হয় না। লড়াইটা চালিয়ে যেতে হবে। খারাপ সময় আসলে মনে মনে বলি, এই সময়টাও কেটে যাবে। এই বিশ্বাস আঁকড়েই পথ চলছি। আমার অনুরাগীদেরও সেই বার্তাই দেব, ধৈর্য ধরতে হবে।”
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: প র য় ঙ ক সরক র অভ ন ত র প শ ক পর সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
জকসুর গঠন ও পরিচালনা বিধিমালা, নির্বাচনী আচরণবিধির সংশোধন চায় ছাত্রদল
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) গঠন ও পরিচালনা বিধিমালা এবং নির্বাচনী আচরণবিধি সংশোধনে নির্বাচন কমিশনকে স্মারকলিপি দিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল। সোমবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা হাসানের কাছে এ স্মারকলিপি দেন ছাত্রদলের নেতারা।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, ‘আসন্ন জকসু নির্বাচনকে ঘিরে বিভিন্ন গোষ্ঠী জকসু সংবিধি এবং নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা নিয়ে বিভ্রান্তিকর প্রচারণা চালাচ্ছে। আমরা বিশ্বাস করি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচন কমিশন একটি নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য দায়বদ্ধ। ন্যায্য ও স্বচ্ছ নির্বাচন নিশ্চিতে আমাদের অনুরোধ, ভোটার তালিকা প্রকাশের সময় প্রত্যেক ভোটারের ছবিসহ তালিকা প্রকাশ করতে হবে। নির্বাচনে অমোচনীয় কালি ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে হবে এবং স্বচ্ছ, নাম্বারযুক্ত ব্যালট বক্স রাখা আবশ্যক।’
স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, ব্যালট ছাপার সংখ্যা, ভোট প্রদানকারীর সংখ্যা এবং নষ্ট ব্যালটের তথ্য প্রকাশ করতে হবে। মিডিয়া ট্রায়াল বা ভুল তথ্য প্রচার হলে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকের বিরুদ্ধে কেন্দ্র থেকে সরাসরি ব্যবস্থা নিতে হবে। সরকার অনুমোদিত সব মিডিয়াকে নির্বাচনকালীন সময়ে পূর্ণ স্বাধীনতা দিতে হবে।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, ডাকসুর তফসিল ঘোষণার ৪১ দিন, চাকসুর ৪৪ দিন, রাকসুর ৮০ দিন এবং জাকসুর তফসিল ঘোষণার ৩১ দিন পর নির্বাচন হয়েছে। যেহেতু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় একটি অনাবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়, তাই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য পর্যাপ্ত সময় দিতে হবে। এ ছাড়া বাকি চার বিশ্ববিদ্যালয়ের তফসিল ঘোষণার সময় ও নির্বাচনের মধ্যবর্তী পার্থক্য বিবেচনা করে জকসু নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করতে হবে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব শামসুল আরেফিন বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যাতে সুষ্ঠু একটা নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ পায়, এজন্য ছাত্রদল নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় আজকে আমরা স্মারকলিপি দিয়েছি। আশা করছি, নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশন আমাদের দাবিগুলো মেনে নেবে।’