বাংলা নববর্ষে আসছে পারিবারিক গল্পের সিরিজ ‘ননসেন্স’
Published: 12th, April 2025 GMT
শহরকেন্দ্রিক পারিবারিক গল্পের ওয়েব সিরিজ ‘ননসেন্স’ দেখা যাবে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বঙ্গতে। এই সিরিজটি আসছে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে। ছয় পর্বের সিরিজটি নির্মাণ করেছেন রাকেশ বসু। এতে অভিনয় করেছেন জাকিয়া বারী মম, ইন্তেখাব দিনার, আইশা খান, নাজিবা বাশার, মিলি বাশার , শহীদুল আলম সাচ্চু, টনি মাইকেল গোমেজসহ অনেকে। সিরিজের গল্প ধারণা টনি মাইকেল গোমেজের। লিখেছেন মনসুর রহমান চঞ্চল। চিত্রনাট্য করেছেন রাকেশ বসু।
গতকাল বিকেলে সিরিজটি প্রকাশ উপলক্ষ্যে শিল্পকলার জাতীয় চিত্রশালায় এক প্রেস মিটের আয়োজন করা হয়। এতে সিরিজের শিল্পী ও কলা কুশলীরা উপস্থিত হয়েছিলেন। সিরিজের গল্প নিয়ে নির্মাতা রাকেশ বসু বলেন, ‘এটা কোনো ডার্ক ঘরানার গল্প নয়, একই অ্যাপার্টমেন্টে থাকা দুইটি ভিন্ন চিন্তাধারার দুইটি পরিবারের গল্প।
গল্পটি শুরু হয় মধ্যবিত্ত পরিবারের এক ব্যক্তিকে ঘিরে। যার মধ্যে বর্তমান সমাজের প্রতিচ্ছবি রয়েছে। যিনি সবার মন যুগিয়ে চলতে চলতে পছন্দ করেন। হঠাৎ করে কোনো একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পরিবারের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। কেন সেই দ্বন্ধ এবং কী সেই ঘটনা সেই গল্পই দেখা যাবে সিরিজে।’
ঢাকার বিভিন্ন প্রান্তে সিরিজের দৃশ্যধারণের কাজ হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিচালক রাকেশ।
বঙ্গর জন্য এর আগে একক নাটক নির্মাণ করলেও এবারই প্রথম ওয়েব সিরিজ বানিয়েছেন রাকেশ বসু। সিরিজটি নিয়ে বসু আরও বলেন,‘পারিবারিক গল্পের সিরিজ এটি। নাটকে তো অনেক বিষয় থাকে আমরা দেখাতে পারি না। ওয়েব সিরিজে আমরা তা তুলে ধরতে পারি। এই গল্পটা দর্শকের পছন্দ হবে বলে আমি মনে করছি।’
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ঢাবি শিবিরের ৩ দিনব্যাপী কর্মসূচি
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা।
বুধবার (৩০ জুলাই) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন শাখা সভাপতি এসএম ফরহাদ।
আগামী ৫, ৬ ও ৭ আগস্ট এই কর্মসূচিগুলো অনুষ্ঠিত হবে। আয়োজনে থাকছে প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন, বিপ্লবী নাটক, গান, কবিতা, আলোচনা সভা ও বিশেষ চিত্র প্রদর্শনী। কর্মসূচির সূচনা হবে ৫ আগস্ট (মঙ্গলবার) ভোর ৫টায় প্রতীকী সাইকেল র্যালির মাধ্যমে, যা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে শুরু হয়ে গণভবন পর্যন্ত যাবে।
আরো পড়ুন:
মেয়াদোত্তীর্ণ অগ্নিনির্বাপকে চলছে বেরোবি
তাহলে তো স্পন্সর নিয়ে প্রোগ্রাম করলেই চাঁদাবাজি: সালাউদ্দিন
সকাল ৯টায় টিএসসিতে থাকবে সাধারণ নাস্তার আয়োজন। এর পরপরই প্রদর্শিত হবে ‘জুলাই বিপ্লব’ ভিত্তিক একটি প্রামাণ্যচিত্র। একইসঙ্গে বিপ্লবী গান ও কবিতা পরিবেশিত হবে । সকাল ১০টা থেকে শহীদ পরিবার ও আহত যোদ্ধাদের মুখে অভ্যুত্থানের অভিজ্ঞতা শোনার আয়োজন থাকবে।
দুপুর ২টায় একটি মাইম পরিবেশনা ও নাটক মঞ্চস্থ হবে। এরপর বিকেল সাড়ে ৩টা ও সাড়ে ৫টায় পরপর আরো দুটি নাটক প্রদর্শিত হবে। সন্ধ্যা ৬টায় ব্যতিক্রমী আয়োজন ‘প্ল্যানচ্যাট বিতর্ক’ অনুষ্ঠিত হবে। এটি একটি প্রতীকী বিতর্ক, যেখানে গণআন্দোলনে নিহতদের উত্তরাধিকার ও আত্মিক উপস্থিতিকে ঘিরে আলাপ-প্রতিআলাপের একটি রূপক পরিসর গড়ে উঠবে ।
৬ আগস্ট দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচির শুরুতেই থাকবে রাজনৈতিক ও দার্শনিক আলোচনা সভা। সকাল ১০টার দিকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও ফ্যাসিবাদ পলায়নের ১ বছর: প্রাপ্তি ও প্রত্যাশা’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর বিকেল ৩টার দিকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী ছাত্ররাজনীতি ও ডাকসু নির্বাচন’ বিষয়ে আলোচনা হবে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ‘নয়া রাজনৈতিক বন্দোবস্তে ইসলাম প্রসঙ্গ’ শীর্ষক মতবিনিময়ের মাধ্যমে পর্দা নামবে দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচির।
কর্মসূচির তৃতীয় দিন ৭ আগস্ট দিনব্যাপী চলবে বিশেষ চিত্র প্রদর্শনী ও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন। সেখানে ‘জুলাই অভ্যুত্থান’ ও গণআন্দোলন সংশ্লিষ্ট নানা দলিল, ছবি ও ভিডিও উপস্থাপন করা হবে।
সার্বিক বিষয়ে ঢাবি শাখা ছাত্রশিবির সভাপতি এসএম ফরহাদ বলেন, “২০২৪ সালের জুলাই মাসে ঘটে যাওয়া গণজাগরণ ও ছাত্র প্রতিরোধ ছিল বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক অনন্য মাইলফলক। সেই ঘটনার স্মরণে এবং তা থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতের পথরেখা নির্ধারণের প্রয়াসে ঢাবির টিএসসি প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাবি শাখা আয়োজন করতে যাচ্ছে তিন দিনব্যাপী ‘আমরাই ৩৬ জুলাই: আমরা থামবো না’ শীর্ষক অনুষ্ঠান।”
তিনি বলেন, “এ আয়োজন হবে শিল্প, সংস্কৃতি, স্মৃতি ও রাজনৈতিক ভাবনার এক সংমিশ্রণ। জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদ ও আহতদের অভিজ্ঞতা আমাদের অনুপ্রেরণা। আর সংস্কৃতির মাধ্যমে আমরা সেই প্রতিরোধ চেতনাকে নতুন প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চাই।”
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী