২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের কৃষি গুচ্ছভুক্ত নয়টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

শনিবার (১২ এপ্রিল) বিকেল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত দেশের ৯টি কেন্দ্রে একযোগে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

চলতি শিক্ষাবর্ষে ৩ হাজার ৮৬৩টি আসনের বিপরীতে রেকর্ড সংখ্যক ৯৪ হাজার ৩৬টি আবেদন জমা পড়ে। গড়ে প্রতি আসনের জন্য লড়েছেন ২৫ জন পরীক্ষার্থী।

রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৩৭ হাজার ৭৬০। এর মধ্যে উপস্থিত ছিল ৩২ হাজার ১১২ জন। সে হিসাবে গড় উপস্থিতির হার ছিল ৮৫.

০৪ শতাংশ।

এদিকে, শেকৃবি কেন্দ্রে আগত পরীক্ষার্থীদের সহযোগিতায় বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীদের এগিয়ে আসতে দেখা গেছে।

এ ব্যাপারে শেকৃবি শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির বলেন, “সারা বাংলাদেশ থেকে আগত শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে আমরা বাইক সার্ভিস, রিকশা সার্ভিস, ফ্রি মেডিকেল টিম এবং খাবার পানির ব্যবস্থা করেছি। ছাত্রদল সবসময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশে থাকবে, এটাই আমাদের অঙ্গীকার।”

ছাত্রশিবিরের শেকৃবি শাখার সভাপতি মো. আবুল হাসান বলেন, “শিক্ষার্থীদের প্রকৃত সমস্যা চিহ্নিত করে আমরা হেল্প ডেস্ক, বিশুদ্ধ পানি, শিক্ষা উপকরণ, অভিভাবকদের বসার জায়গা এবং ফ্রি রিকশা সার্ভিস চালু করেছি। অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অভূতপূর্ব সাড়া পেয়েছি।”

২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছভুক্ত নয়টি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে রয়েছে-  বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়  হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।

ঢাকা/মামুন/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর ক ষ

এছাড়াও পড়ুন:

বিদেশি ঋণ পরিশোধ বেড়েছে ২৪ শতাংশ

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই-মার্চ) বিদেশি ঋণের সুদ ও আসল বাবদ ৩২১ কোটি ডলার পরিশোধ করা হয়েছে। গত অর্থবছরের একই সময়ে (জুলাই-মার্চ) ঋণ পরিশোধের পরিমাণ ছিল ২৫৭ কোটি ডলার। সেই হিসেবে এ বছর বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ বেড়েছে ২৪ দশমিক ৯ শতাংশ। এমনকি চলতি অর্থবছরের ৯ মাসে গত অর্থবছরের কাছাকাছি ঋণের সুদাসল পরিশোধ হয়ে গেছে।

বিদেশি ঋণ-অনুদান পরিস্থিতির ওপর গতকাল বুধবার প্রকাশিত অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই চিত্র উঠে এসেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে বিদেশি ঋণ বাবদ পরিশোধের মধ্যে আসলের পরিমাণ ২০১ কোটি ডলার। সুদ বাবদ ১২০ কোটি ডলার পরিশোধ হয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে ২৫৭ কোটি ডলার পরিশোধ করতে হয়েছিল। এক বছরের ব্যবধানে ৬৪ কোটি ডলার বেশি পরিশোধ করতে হয়েছে বাংলাদেশ সরকারকে।

ইআরডির একজন কর্মকর্তা সমকালকে বলেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় আগ্রাসী অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় পরিণাম চিন্তা না করে বড় অঙ্কের ঋণ নেওয়া হয়। সেই সঙ্গে ডলারের সঙ্গে টাকার বিনিময় হারের তারতম্য বাড়াসহ নানা কারণে এখন বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে। 

চলতি অর্থবছরের ৯ মাসে দেশে মোট প্রায় ৪৮১ কোটি ডলার সমপরিমাণ বিদেশি ঋণ-অনুদান এসেছে। এ সময়ে ঋণের সুদাসল পরিশোধ করতে হয়েছে অর্থছাড়ের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশের সমান। এদিকে গত জুলাই-মার্চ সময়ে ৩০০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ বিদেশি সহায়তার প্রতিশ্রুতি পেয়েছে বাংলাদেশ, যা গতবারের একই সময়ে পাওয়া প্রতিশ্রুতির অর্ধেকের কম।

গত অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে ৭২৪ কোটি ডলারের প্রতিশ্রুতি পাওয়া গিয়েছিল। জুলাই-মার্চ সময়ে সবচেয়ে বেশি ১২২ কোটি ডলার ছাড় করেছে এডিবি। এ ছাড়া বিশ্বব্যাংক ১০৭ কোটি ডলার ও জাপান ৮৯ কোটি ডলার দিয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ১ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা ৫ বছরে, অস্ট্রেলিয়ার বিনোদন বাজার বাড়ছে
  • বিদেশি ঋণ পরিশোধ বেড়েছে ২৪ শতাংশ
  • জ্বালানি তেলের দাম কমল লিটারে ১ টাকা
  • আইন সংশোধন করে কি ঠেকানো যাবে ইন্টারনেট বন্ধ
  • ম্যারিকোর ১ হাজার ৯৫০ শতাংশ চূড়ান্ত লভ্যাংশ ঘোষণা
  • অর্থনীতির আকারে এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ দশম
  • ইউনাইটেড ফাইন্যান্সের ১০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা
  • সিটি ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
  • সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্সের ১২ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা
  • অগ্রণী ইন্স্যুরেন্সের ১২ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা