হারল্যান ‘বৈশাখী ঝড়’ অফারে ডিসকাউন্ট ও উপহারের বিশাল সমাহার
Published: 12th, April 2025 GMT
দারুণ দারুণ চমকের সঙ্গে হারল্যান স্টোর নিয়ে এলো নববর্ষের সেরা ক্যাম্পেইন ‘বৈশাখী ঝড়’ অফার। ১০ এপ্রিল থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত এই ক্যাম্পেইনে দেশব্যাপী সব হারল্যান স্টোরে মাত্র ১ হাজার টাকার কেনাকাটায় ভোক্তারা পাচ্ছেন ফ্ল্যাট ১০% ছাড় এবং দেড় হাজার টাকার শপিংয়ে ফ্ল্যাট ১৫% ছাড়।
নির্দিষ্ট হারল্যান জোনে মাত্র ২ হাজার টাকার শপিংয়ে মিলছে স্পিন হুইলে অংশগ্রহণ করে অসংখ্য আকর্ষণীয় পুরস্কার জেতার সুযোগ। মাত্র ৩ হাজার টাকার কেনাকাটায় থাকছে একটি এক্সক্লুসিভ গিফট বক্স। অথেনটিক লাক্সারি স্কিন কেয়ার ও কালার কসমেটিকস পণ্য কিনে নববর্ষের আনন্দকে আরো বাড়িয়ে তুলতে দেশজুড়ে দেড় শতাধিক হারল্যান স্টোর আউটলেটে, নির্দিষ্ট হারল্যান জোনে গ্রাহকদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় ডিস্কাউন্টসহ হাজার হাজার উপহার সমাহার।
হারল্যানের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দীন বিশ্বাস বলেন, “এটা আমাদের জন্য খুবই আনন্দের বিষয় যে, বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে হারল্যান নিয়ে এসেছে হারল্যান ‘বৈশাখী ঝড়’ অফার। নিজের ও প্রিয়জনের জন্য বৈশাখী কেনাকাটায় থাকছে আকর্ষণীয় ডিসকাউন্টসহ হাজার হাজার উপহার।”
“অথেনটিক, লাক্সারি কসমেটিকস আরো সহজলভ্য করার পাশাপাশি ভোক্তাদের একটি আনন্দদায়ক শপিং অভিজ্ঞতা দিতে হারল্যান স্টোর বদ্ধপরিকর। কাঠোর মান নিয়ন্ত্রণ করে শুধু শতভাগ অথেনটিক ও প্রিমিয়াম ব্র্যান্ডগুলোই আমরা আমাদের ভোক্তাদের হাতে দিচ্ছি; সেই সঙ্গে নিশ্চিত করছি দেশে থেকেই গ্রাহক পাচ্ছেন বিশ্বমানের পণ্য,” যোগ করেন গিয়াস উদ্দীন।
রিমার্ক এলএলসি ইউএসএ-এর অ্যাফিলিয়েটেড প্রতিষ্ঠান রিমার্ক এইচবি প্রতিষ্ঠা করেছে দেশের সবচেয়ে বড় রিটেইল চেইন শপ ‘হারল্যান স্টোর’, যেখানে পাওয়া যাচ্ছে শতভাগ অথেনটিক কালার কসমেটিকস, স্কিন কেয়ার, হোম কেয়ার ও পার্সোনাল কেয়ার পণ্য।
রিমার্ক-হারল্যানের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন মেগা স্টার শাকিব খান, জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ও অভিনেতা তাহসান, জনপ্রিয় চিত্রনায়িক পরীমণি, বিদ্যা সিনহা মিম, নুসরাত ফারিয়া, তানজিন তিশা, নাফিজা তুষি, সাবিলা নূর, কেয়া পায়েল, প্রার্থনা ফারদিন দিঘী, পূজা চেরি এবং চিত্রনায়ক মামনুন হাসান ইমন ও সিয়াম আহমেদের মতো জনপ্রিয়, দর্শকনন্দিত তারকা।
দেশের সবচেয়ে বড় অথেনটিক কসমেটিকস স্টোর ‘হারল্যান স্টোর’-এর সব পণ্যই পাওয়া যাচ্ছে দেশব্যাপী ছড়িয়ে থাকা দেড় শতাধিক হারল্যান স্টোর আউটলেট এবং হারল্যান স্টোর ফ্ল্যাগশিপ আউটলেটে।
অনলাইনে অথেনটিক হারল্যান পণ্য কিনতে এখনই ভিজিট করুন herlan.
ঢাকা/হাসান/রাসেল
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ঋণ নেওয়ার আগে যে ১০টি বিষয় অবশ্যই জানা উচিত
নানা কারণে আপনার ঋণ নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। অনেক সময় মানুষ ব্যক্তিগত ঋণ, গৃহঋণ নেয়। আবার গাড়ি কেনার জন্যও অনেকে ঋণ নেন। ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমেও ঋণ নেওয়া হয়।
কিন্তু অনেকেই ঋণের সঙ্গে সম্পৃক্ত কিছু মৌলিক শব্দ সম্পর্কে জানেন না। ব্যাংকের কর্মকর্তারা যখন এসব শব্দ বলেন, তখন অনেক কিছুই বোঝেন না ঋণ নিতে ইচ্ছুক গ্রাহকেরা। ফলে নিয়মকানুন না জেনেই ঋণ নেন। এতে নানা অপ্রত্যাশিত ঝামেলা তৈরি হয়। তাই ঋণ নেওয়ার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বোঝা খুব দরকার।
১. আসল টাকা (প্রিন্সিপাল)
আপনি যে পরিমাণ টাকা ঋণ নিচ্ছেন, সেটিই আসল। এর ওপরই সুদ ধরা হয়। কিস্তি পরিশোধের সঙ্গে আসল ধীরে ধীরে কমতে থাকে।
২. সুদের হার (ইন্টারেস্ট রেট)
ঋণ নেওয়ার আগে সবচেয়ে ভাবতে হয় সুদের হার নিয়ে। সুদের হার বেশি হলে খরচ বেড়ে যায়। ঋণের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সুদের হার। এটি স্থিরও হতে পারে, আবার বাজারদরের ওপর নির্ভর করে বাড়তে-কমতেও পারে।
৩. মাসিক কিস্তি (ইএমআই)
ঋণের সুদ ও আসল পরিশোধ বাবদ প্রতি মাসে যে নির্দিষ্ট টাকা আপনাকে দিতে হবে। সেটি হলো ইএমআই বা ঋণের কিস্তি।
৪. ঋণের মেয়াদ
কত বছরের মধ্যে ঋণ শোধ করতে হবে, সেটিই হলো ঋণের মেয়াদ। মেয়াদ বেশি হলে কিস্তি ছোট হয়। কিন্তু মোট সুদের টাকা বেড়ে যায়। ছোট মেয়াদে কিস্তি বড় হয়। কিন্তু মোট সুদের টাকা কমে।
৫. অ্যানুয়াল পারসেন্টেজ রেট (এপিআর)
শুধু সুদ ও আসল নয়, বরং ঋণের সব খরচ (যেমন ফি, চার্জ) মিলিয়ে আসল ব্যয় কত হবে, তার হিসাব হলো অ্যানুয়াল পারসেন্টেজ রেট (এপিআর)। এটিই প্রকৃত খরচ বোঝায়।
৬. আগাম পরিশোধ (প্রিপেমেন্ট)
ঋণের বোঝা কমাতে অনেকে ঋণের সুদ ও আসলের টাকা আগেই শোধ করে দিতে চান। এতে সুদের খরচ কমে যায়।
৭. প্রসেসিং ফি
আপনি ঋণের জন্য কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আবেদন করলেন। কিন্তু ঋণ আবেদন মঞ্জুর থেকে শুরু করে ছাড় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কিছু মাশুল দিতে হয়। এটিই প্রসেসিং ফি। এটি কখনো ঋণের টাকা থেকে কেটে নেওয়া হয়, আবার কখনো আলাদা দিতে হয়।
৮. স্থগিতকাল (মোরাটোরিয়াম)
বিশেষ পরিস্থিতিতে কিছুদিনের জন্য কিস্তি বন্ধ রাখার সুযোগকেই বলে স্থগিতকাল। তবে এই সময়েও সুদ জমতে থাকে। অনেক সময় ঋণ পরিশোধের জন্য বিশেষ কিস্তি ভাগও করে দেওয়া হয়।
৯. জামানত (কোলেটারাল)
ঋণের নিরাপত্তা হিসেবে আপনার সম্পদ (যেমন বাড়ি, সোনা, জমি) ব্যাংকে বন্ধক রাখা হয়। কিস্তি না দিলে ব্যাংক ওই সম্পদ বিক্রি করে টাকা তুলে নেয়।
১০. লোন-টু-ভ্যালু রেশিও
আপনি যত টাকা ঋণ নিচ্ছেন আর জামানতের মূল্য কত—এই অনুপাতকে বলে লোন টু ভ্যালু রেশিও (এলটিভি)। এর অনুপাত যত কম হয়, ব্যাংকের ঝুঁকি তত কম।