মানুষ ভাবতেন আমি কেবল চুমু খেতে পারি, অভিনয় নয়: ইমরান হাশমি
Published: 13th, April 2025 GMT
অনুরাগ বসু নির্মিত বহুল আলোচিত বলিউড সিনেমা ‘মার্ডার’। মহেশ ভাট প্রযোজিত এ সিনেমা ২০০৪ সালে মুক্তি পায়। এতে জুটি বেঁধে অভিনয় করেন মল্লিকা শেরাওয়াত ও ইমরান হাশমি। সিনেমাটিতে তাদের রোমান্স, ঘনিষ্ঠ দৃশ্য নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছিল। মূলত, এরপরই বলিউডে ‘সিরিয়াল কিসার’ হিসেবে পরিচিতি পান ইমরান হাশমি।
ইমরান হাশমির সঙ্গে ‘সিরিয়াল কিসার’ তকমা এমনভাবে লেগে গিয়েছিল যে মানুষ ভাবতেন, ইমরান হাশমি কেবল চুমুই খেতে পারেন, অভিনয় নয়। রণবীর এলাহাবাদিয়ার পডকাস্টে উপস্থিত হয়ে এমন মন্তব্য করেন ইমরান হাশমি।
ক্যারিয়ারের শীর্ষ অবস্থানে থাকার সময়ের কথা বর্ণনা করতে গিয়ে ইমরান হাশমি বলেন, “২০০৮ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে ব্লকবাস্টার সিনেমা উপহার দিয়েছি। যেমন— ‘জান্নাত টু’, ‘রাজ টু’, ‘রাজ থ্রি’, ‘দ্য ডার্টি পিকচার’, ‘মার্ডার টু’। এরপর আমি চলচ্চিত্র সমালোচকদের প্রশংসা পাই।”
আরো পড়ুন:
শ্রীলীলার প্রেমে মজেছেন কার্তিক
সালমানের যত ফ্লপ-ব্লকবাস্টার সিনেমা
সমালোচকদের প্রশংসাসূচক উক্তি উল্লেখ করে ইমরান হাশমি বলেন, “মানুষ ভেবেছিলেন, ইমরান হাশমি পর্দায় শুধু চুমু খেতে পারেন। কিন্তু আসলে সে অভিনয়ও করতে পারেন।’ ‘সাংহাই’ সিনেমা মুক্তির পর আমি সমালোচকদের প্রশংসা পেয়েছি। আমি আমার সেরাটা পেয়েছি। সেই সময়ে আমার ক্যারিয়ার সাফল্যের শীর্ষে ছিল। অভিজ্ঞতা সবসময়ই ভালো; ক্যারিয়ারজুড়ে আমার অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ হয়েছে।”
ইমরান হাশমি অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘টাইগার থ্রি’। ‘টাইগার’ ফ্র্যাঞ্চাইজির এ সিনেমা ২০২৩ সালের ১২ নভেম্বর বিশ্বব্যাপী মুক্তি পায়। এতে আইএসআই-এর প্রাক্তন ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেলের চরিত্রে অভিনয় করে প্রশংসা কুড়ান তিনি।
বর্তমানে ইমরান হাশমির হাতে তেলেগু ভাষার ‘ওজি’ সিনেমার কাজ রয়েছে। সুজিত পরিচালিত এ সিনেমায় আরো অভিনয় করছেন— পবন কল্যাণ, প্রকাশ রাজ, অর্জুন দাস প্রমুখ। ২৫০ কোটি রুপি ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে অ্যাকশনার ঘরানার এই সিনেমা। তা ছাড়াও তেলেগু ভাষার ‘জি-টু’, ‘গ্রাউন্ড জিরো’, ‘আওয়ারাপান টু’ সিনেমার কাজও ইমরান হাশমির হাতে রয়েছে।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
২৭ নভেম্বর জকসু নির্বাচন না হলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা হবে: আপ বাংলাদেশ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচন ২৭ নভেম্বরেই অনুষ্ঠিত না হলে তা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রশাসনের প্রতারণা বলে মন্তব্য করেছে ইউনাইটেড পিপলস (আপ) বাংলাদেশ। এ সময় পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরে সংগঠনটি।
সোমবার (৩ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহীদ রফিক ভবনের নিচে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি তুলে ধরা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
২৭ নভেম্বরই জকসু নির্বাচন চায় ছাত্রশিবির
জকসু নির্বাচন নিয়ে একে অপরকে দোষারোপ ছাত্র সংগঠনগুলোর
দাবিগুলো হলো— আসন্ন জকসু নির্বাচন ২৭ নভেম্বরেই অনুষ্ঠিত করতে হবে; নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে; নির্বাচন কমিশনের পূর্ণ নিরপেক্ষতা ও স্বাধীনতা রক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে; সব সংগঠনকে সমান সুযোগ দিয়ে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে; অরাজনৈতিক, নিরাপদ ও শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে প্রশাসনকে উদ্যোগ নিতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আপ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সদস্য ও জবির প্রধান সংগঠক মাসুদ রানা বলেন, “আমরা যখন জকসুর দাবিতে অনশন করছিলাম, তখন প্রশাসন ২৭ নভেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমাদের অনশন ভাঙিয়েছিল। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, একটি মহল নির্বাচন পেছানোর পাঁয়তারা করছে।”
তিনি বলেন, “ডিসেম্বর মাসে ভর্তি পরীক্ষা ও বিভিন্ন বিভাগের ফাইনাল পরীক্ষা থাকায় ওই মাসে নির্বাচন অসম্ভব। তাই ২৭ নভেম্বরই জকসু নির্বাচনের উপযুক্ত সময়।”
তিনি আরো বলেন, “আমরা জানতে চাই, নির্বাচন পেছানোর মধ্য দিয়ে জকসু নির্বাচন ভণ্ডুল করার কোনো প্রক্রিয়া চলছে কিনা। পুরান ঢাকাকে অস্থিতিশীল করে একটি মহল নির্বাচন পণ্ড করতে চায়। শিক্ষার্থীদের জীবনের প্রথম ভোট হবে জকসু নির্বাচন—তা থেকে কাউকে বঞ্চিত করা যাবে না।”
ঢাকা/লিমন/মেহেদী