বিশেষ ক্ষমতা আইন ব্যবহার করে মেঘনা আলমকে আটক করে কারাগারে পাঠানোর ঘটনাকে মানবাধিকার লঙ্ঘন বলে জানিয়েছে হিউম্যান রাইটস ফোরাম বাংলাদেশ (এইচআরএফবি)। তারা মেঘনা আলমের মুক্তির পাশাপাশি বিশেষ ক্ষমতা আইন বাতিলের দাবি জানিয়েছে।

আজ রোববার এক বিবৃতিতে এইচআরএফবি এসব কথা বলেছে। গত বুধবার রাতে মডেল মেঘনা আলমকে রাজধানীর বসুন্ধরার বাসা থেকে আটক করে হেফাজতে নেয় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আদেশ অনুযায়ী, পরদিন বৃহস্পতিবার রাতে আদালত তাঁকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিন আটক রাখার আদেশ দেন। তিনি এখন কারাগারে।

মেঘনা আলমকে আটকের ঘটনার সমালোচনা করে এইচআরএফবি বলেছে, রাতের আঁধারে যেকোনো নাগরিকের বাসায় বলপূর্বক প্রবেশ করে কাউকে আটক করা মানবাধিকার মানদণ্ডের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বিশেষ ক্ষমতা আইনের ৩(১) ধারা অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তিকে বিচার না করেই, শুধু ‘জননিরাপত্তা’বা ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষা’র অজুহাতে আটক রাখা যেতে পারে। এই আইনকে মানবাধিকারকর্মী ও আইনজ্ঞরা নিপীড়নমূলক আইন এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের হাতিয়ার হিসেবে মনে করেন। দীর্ঘদিন ধরে আন্তর্জাতিক ও দেশীয় মানবাধিকার সংগঠন এবং মানবাধিকারকর্মীরা এর অপব্যবহারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন। এইচআরএফবি এই আইন বাতিলের দাবি জানিয়েছে। তারা আরও বলেছে, এই আইনের ব্যবহার বাংলাদেশের সংবিধানের ৩১ (আইনের আশ্রয়) ও ৩২ (জীবন ও ব্যক্তিস্বাধীনতার অধিকার) অনুচ্ছেদের পরিপন্থী। মেঘনার গ্রেপ্তারের ঘটনাটি এই সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘনের একটি স্পষ্ট উদাহরণ।

মেঘনা আলমের মুক্তি দাবি করে তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের পূর্ণাঙ্গ ও স্বচ্ছ তদন্তের আহ্বান জানিয়ে এইচআরএফবি বলেছে, ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়, সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সজাগ থাকতে অনুরোধ করা হচ্ছে।

এই বিবৃতিতে স্বাক্ষরদাতাদের মধ্যে রয়েছেন হামিদা হোসেন, সুলতানা কামাল, জেড আই খান পান্না, ইফতেখারুজ্জামান, খুশী কবির, শাহীন আনাম, রাজা দেবাশীষ রায়, সারা হোসেন, রোকেয়া রফিক বেবী, ফওজিয়া মোসলেম, সঞ্জীব দ্রং, শামসুল হুদা, জাকির হোসেন, রঞ্জন কর্মকার, সালেহ আহমেদ, সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ, পল্লব চাকমা প্রমুখ।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব শ ষ ক ষমত র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

মায়ের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল কিশোরী, সাপের কামড়ে মৃত্যু

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় সাপের কামড়ে এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় ওই কিশোরীকে একটি বিষধর সাপ ছোবল দেয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর মৃত্যু হয় তার।

নিহত কিশোরীর নাম নাঈমা আকতার (১৩)। সে আনোয়ারার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামের বক্সি মিয়াজিবাড়ির মোহাম্মদ হাসানের মেয়ে। স্থানীয় একটি মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল সে।

পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে খাওয়াদাওয়া সেরে মা ও ছোট বোনের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল নাঈমা। রাত তিনটার দিকে সাপের ছোবলে তার ঘুম ভাঙে। বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের জানালে তাকে উদ্ধার করে রাতেই আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। তবে ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক নাঈমাকে মৃত ঘোষণা করেন। জানতে চাইলে নাঈমার চাচা কফিল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন বলেন, ‘সাপে কামড় দিয়েছে জানার পর আমরা নাঈমাকে হাসপাতালে নিয়েছিলাম। কিন্তু তাকে বাঁচানো যায়নি।’

আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, সাপে কামড় দেওয়া এক কিশোরীকে হাসপাতালে আনা হয়ছিল। তবে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ