এমবাপ্পের লাল কার্ডও ঠেকাতে পারল না রিয়ালের জয়
Published: 13th, April 2025 GMT
লা লিগায় শিরোপা ধরে রাখার সম্ভাবনা বাঁচিয়ে রাখতে এখন রিয়াল মাদ্রিদের জন্য প্রতিটি ম্যাচই বাঁচা-মরার। আজ রোববার রাতে আলাভেসের বিপক্ষে তেমন এক ম্যাচে মাঠে নেমেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। নাটকীয় এই ম্যাচে কিলিয়ান এমবাপ্পে লাল কার্ড দেখায় অনেকটা সময় ১০ জন নিয়ে খেলতে হয় রিয়ালকে।
পরে অবশ্য আলাভেসের মানু সানচেজও লাল কার্ড দেখলে সংখ্যার দিক থেকে সমতা ফেরে ম্যাচে। তবে উত্থান-পতনে ভরপুর রোমাঞ্চের ম্যাচটিতে শেষ পর্যন্ত ১-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে রিয়ালই। ম্যাচের প্রথমার্ধে এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গার করা একমাত্র গোলটিই গড়ে দিয়েছে পার্থক্য।
এই জয়ের পর ৩১ ম্যাচে ২ নম্বরে থাকা রিয়ালের পয়েন্ট এখন ৬৬। সমান ম্যাচে ৭০ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে আছে বার্সেলোনা। লিগে এখন দুই দলেরই বাকি আছে ৭ ম্যাচ করে। সব মিলিয়ে লিগের শেষ ভাগে রোমাঞ্চ চরমে উঠতে যাচ্ছে, তা এখনই বলা যায়।
আরও পড়ুনসালাহর রেকর্ডে শিরোপা থেকে ৬ পয়েন্ট দূরে লিভারপুল১ ঘণ্টা আগেআলাভেসের মাঠে ম্যাচের প্রথমার্ধের পুরোটাই ছিল নাটকীয়। ৯ মিনিটে কাছাকাছি গিয়ে গোলের সুযোগ হাতছাড়া করেন আরদা গুলের। এরপর ২০ মিনিটে রাউল আসেনসিওর গোল বাতিল হয় ফাউলের কারণে। তবে ৩৪ মিনিটে সেই আক্ষেপ ভুলিয়ে দেন এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা। দারুণ এক শটে লক্ষ্য ভেদ করে রিয়ালকে তিনি এগিয়ে দেন ১-০ গোলে।
কামাভিঙ্গার গোলের পর রিয়ালের উদ্যাপন.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
চুম্বন দৃশ্যের অভিজ্ঞতা ভয়ংকর ছিল: মধু
বলিউড অভিনেত্রী মধু শাহ। নব্বই দশকের জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী মধু নামেই পরিচিত। মনি রত্নম নির্মিত ‘রোজা’ সিনেমায় অভিনয় করে প্রশংসা কুড়ান। নব্বই দশকে একটি সিনেমায় চুম্বন দৃশ্যে অভিনয় করেন মধু, যা ভীষণ তিক্ত অভিজ্ঞতা ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি।
কয়েক দিন আগে নিউজ১৮-কে সাক্ষাৎকার দেন মধু। এ আলাপচারিতা তিনি বলেন, “আজকাল সিনেমায় যে ধরনের চুম্বন দৃশ্য দেখা যায় এটি তেমন ছিল না। এটি ঠোঁটে খোঁচা দেওয়ার মতো অভিজ্ঞতা ছিল। সত্যি এটি আমার খারাপ লেগেছিল।”
চুম্বন দৃশ্যের অভিজ্ঞতা ভয়ংকর ছিল। তা জানিয়ে মধু বলেন, “শুটিং শুরু করার আগে আমাকে চুমু খেতে বলা হয়। কিন্তু তার আগে এ বিষয়ে আমাকে জানানো হয়নি। এ নিয়ে যখন প্রশ্ন করি, তখন তারা আমাকে পাশে নিয়ে গিয়ে কথা বলে। তারা আমাকে ব্যাখ্যা করে, এই দৃশ্যটি কেন গুরুত্বপূর্ণ এবং সেই কারণেই আমি চুম্বন দৃশ্যে অভিনয় করি। কিন্তু এটা ছিল আমার করা সবচেয়ে ভয়ংকর কাজ।”
চুম্বন দৃশ্যে যখন অভিনয় করেন, তখন মধুর বয়স ছিল ২২ বছর। তা স্মরণ করে এই অভিনেত্রী বলেন, “সিনেমায় চুম্বন দৃশ্যটির কোনো উদ্দেশ্য ছিল না। সিনেমায় দৃশ্যটি অন্তর্ভুক্ত না করার জন্য পরিচালকের সঙ্গে কোনো কথাও হয়নি। আমি এটি এড়িয়ে গিয়েছিলাম। কেবল বয়সের দিক দিয়ে নয়, আমি সবদিক থেকেই তখন খুব ছোট ছিলাম। এখনকার ২২-২৪ বছর বয়সি ছেলে-মেয়েরা ভীষণ চালাক। কিন্তু ২২ বছর বয়সে আমি খুব বোকা ছিলাম।”
১৯৯৬ সালে দীপা মেহতা নির্মাণ করেন ‘ফায়ার’ সিনেমা। এতে শাবানা আজমি, নন্দিতা দাস সমকামী চরিত্রে অভিনয় করেন। এ সিনেমা পর্দার ঘনিষ্ঠতা সম্পর্কে মধুর ধারণা বদলে দিতে শুরু করে। এ তথ্য উল্লেখ করে মধু বলেন, “আমি বলছি না, পর্দায় চুম্বন করা খারাপ। ‘ফায়ার’ সিনেমায় যখন শাবানাজির মতো অভিনেত্রীর অভিনয় দেখি, তখন আমার মনে হয়েছিল সত্যি তারা তাদের প্রতিবন্ধকতা ভেঙে ফেলেছেন, যা আমি তখন করতে পারিনি। আমি সেই সব শিল্পীদের প্রশংসা করি, যারা মাথা ন্যাড়া করতে পারেন বা সিনেমায় সমকামীর ভূমিকায় অভিনয় করতে পারেন।”
১৯৯১ সালে তামিল ভাষার সিনেমার মাধ্যমে রুপালি জগতে পা রাখেন মধু। একই বছর ‘ফুল আউর কাঁটা’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন এই অভিনেত্রী। হিন্দি সিনেমায় পা রেখেই নজর কাড়েন। ৫৬ বছরের মধু অভিনয়ে এখন খুব একটা সরব নন। তবে প্রতি বছরে দুই একটা সিনেমায় দেখা যায় তাকে।
ঢাকা/শান্ত