মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, আগামী সপ্তাহে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি হওয়া সেমিকন্ডাক্টর চিপের ওপর শুল্কের হার ঘোষণা করতে যাচ্ছেন, তবে এ খাতের কিছু কিছু কোম্পানি ছাড় পাবে।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা বলছে, চীনের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের আরোপ করা নতুন সম্পূরক শুল্ক থেকে স্মার্টফোন ও কম্পিউটার পণ্য যে ছাড় পেয়েছিল তার মেয়াদ যে ক্ষণস্থায়ী হচ্ছে, ট্রাম্পের নতুন ঘোষণায় তা-ই বোঝা যাচ্ছে।

রবিবার (১৩ এপ্রিল) ওয়েস্ট পাম বিচ থেকে ওয়াশিংটনে ফেরার পথে এয়ারফোর্স ওয়ানে বসে ট্রাম্প বলেন, “আমরা অন্যান্য অনেক কোম্পানির জন্য এটা কম জটিল করতে চেয়েছি। কারণ, আমরা নিজেদের চিপ, সেমিকন্ডাক্টর এবং অন্যান্য জিনিস আমাদের দেশেই তৈরি করতে চাই।”

আরো পড়ুন:

মার্কিন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে চীনের ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ

ইয়েমেনে মার্কিন বিমান হামলায় নিহত ৭, আহত ২৯

স্মার্টফোনসহ কিছু পণ্যের ওপর তারপরও করছাড় থাকবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাব দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন ট্রাম্প। তবে বলেছেন, “আপনাকে কিছুটা নমনীয় হতেই হবে। কারও এতটাও অনমনীয় হওয়া উচিত না।”

এর আগে শুক্রবার হোয়াইট হাউজ ট্রাম্পের পারস্পরিক শুল্ক থেকে স্মার্টফোন ও নানান ইলেকট্রনিক্স পণ্য ও তা বানানোর উপকরণকে ছাড়ের আওতায় রাখলে যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য যুদ্ধ থেকে প্রযুক্তি খাত রেহাই পেতে পারে এবং স্মার্টফোন, ল্যাপটপসহ নানান পণ্য ক্রেতাদের সাধ্যের মধ্যে থাকবে এমন একটা আশা সৃষ্টি হয়েছিল।

কিন্তু রবিবার ট্রাম্পের নতুন ঘোষণা তাতে জল ঢেলে দিল বলে মন্তব্য বাণিজ্য বিশ্লেষকদের। 

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য ক তর ষ ট র র ওপর

এছাড়াও পড়ুন:

ঋত্বিকের বাড়ি যেন ‘মেঘে ঢাকা তারা’

বরেণ্য চলচ্চিত্রকার ঋত্বিক ঘটকের পৈতৃক বাড়িটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার এক বছর পার হয়েছে। একসময়ের ঐতিহ্যবাহী বাড়িটি এখন কেবলই ইটের স্তূপ আর আগাছায় ভরা এক ধ্বংসস্তূপ। স্মৃতিচিহ্ন বলতে টিকে আছে ভাঙা ইটের পাঁজা আর কয়েকটি ভাঙা দেয়াল, যেখানে গত বছর আঁকা হয়েছিল ঋত্বিকের একটি পোর্ট্রেট। সেই দেয়ালই যেন নির্বাক হয়ে জানান দিচ্ছে এক সাংস্কৃতিক অবহেলার করুণ ইতিহাস।
গতকাল রোববার ঋত্বিকের পৈতৃক ভিটায় গিয়ে দেখা যায়, খসে পড়া দেয়ালে ‘বাড়ী থেকে পালিয়ে’, ‘মেঘে ঢাকা তারা’, ‘অযান্ত্রিক’-এর মতো সিনেমার নাম ও চিত্রকর্ম আঁকা। এর মাঝে মোটা ফ্রেমের চশমা চোখে ছোট চুলের ঋত্বিক ঘটক যেন তাকিয়ে আছেন তাঁরই বাড়ির ধ্বংসাবশেষের দিকে।

অথচ এই বাড়ির সূত্রেই বহু মানুষ রাজশাহীকে চিনেছেন। কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক ঋত্বিকের ‘মেঘে ঢাকা তারা’ দেখার স্মৃতিচারণায় একবার বলেছিলেন, ‘সেই সিনেমা দেখার মুগ্ধতা বুকের মধ্যে মধুর মতো জমে আছে।’ কালের পরিক্রমায় ঋত্বিকের সেই বাড়িই আজ ‘মেঘে ঢাকা তারা’ হয়ে গেছে। স্মৃতি আছে, কিন্তু অস্তিত্ব নেই বললেই চলে। রাজশাহীর চলচ্চিত্রকর্মীরা চান, এই ধ্বংসস্তূপের ওপরই ঋত্বিকের স্মৃতি সংরক্ষণে টেকসই কোনো উদ্যোগ নেওয়া হোক।

ঋত্বিক ঘটক

সম্পর্কিত নিবন্ধ