বিশ্বে সবচেয়ে বেশি বিরল খনিজ ও চুম্বক আমদানি করে যুক্তরাষ্ট্র যার বেশির ভাগই আসে চীন থেকে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের বাণিজ্যযুদ্ধ তীব্র হওয়ার মধ্যেই এবার বেইজিং বিরল কয়েকটি খনিজ পদার্থ ও চুম্বক দেশটিতে রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে। চীন সরকার এরই মধ্যে বিভিন্ন চীনা বন্দরে চুম্বকের চালান পাঠানো বন্ধ করেছে। এর ফলে পশ্চিমা বিশ্বে অস্ত্র, ইলেকট্রনিক্স ও বিভিন্ন ধরনের ভোগ্যপণ্য তৈরিতে ব্যবহৃত খনিজ পদার্থের সরবরাহ কমে গেছে। এতে যুক্তরাষ্ট্র তো বটেই, বিশ্বজুড়ে হুমকির মুখে পড়েছে অটোনির্মাতা থেকে শুরু করে অ্যারোস্পেস নির্মাতা, সেমিকন্ডাকটর কোম্পানি ও সামরিক কন্ট্রাক্টাররাও। খবর-নিউইয়র্ক টাইম্‌স

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাণিজ্যযুদ্ধ মোকাবিলা নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে আলোচনা করে এসেছে চীন সরকার। চীন থেকে কোন কোন জিনিস রপ্তানি করা হবে তা নিয়ে একটি নতুন বিধিমালা ব্যবস্থার খসড়া তৈরি করেছে চীন প্রশাসন। সেই খসড়া তালিকাতেই আছে বিরল খনিজ ও চুম্বকের কথা। একবার এই নতুন ব্যবস্থা চালু হয়ে গেলে কয়েকটি কোম্পানিসহ যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক কনট্রাক্টরদের জন্যও স্থায়ীভাবে এই খনিজ এবং চুম্বক রপ্তানি বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এতে বিপদে পড়তে পারে যুক্তরাষ্ট্র। কারণ, গাড়ি থেকে শুরু করে ড্রোন, রোবোট এবং ক্ষেপণাস্ত্র পর্যন্ত অনেককিছু তৈরিতেই চুম্বক অপরিহার্য। সেইসঙ্গে বিরল খনিজ পদার্থও রপ্তানি না করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই খনিজ বৈদ্যুতিক গাড়ি থেকে শুরু করে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত সরঞ্জাম তৈরিতে কাজে লাগে।

কয়েক দিন আগেই যুক্তরাষ্ট্রের ‘প্রতিশোধমূলক’ শুল্ক আরোপের পাল্টা জবাব দিয়েছে চীন। তারাও যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যে ১২৫ শতাংশ শুল্কের ঘোষণা দিয়েছে। শনিবার থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে। বুধবার তারা মার্কিন পণ্যের ৮৪ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছিল। এর পরপরই যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশ করে। কিছু চীনা পণ্যে ১৪৫ শতাংশ শুল্কও আরোপ করা হয়।

এর মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বাণিজ্যযুদ্ধের প্রকৃতি আরও স্পষ্ট হয়ে উঠলো। যুক্তরাষ্ট্র যেসব পদক্ষেপ নিচ্ছে, চীন তার পাল্টা পদক্ষেপই নিচ্ছে বারবার। তবে চীন এটাও বলেছে, এরপর যুক্তরাষ্ট্র আবার পাল্টা শুল্ক দিলে তারা আর এতে ‘সাড়া দেবে না’। তারা এটাও বলেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দ্বারা আরোপিত ‘অস্বাভাবিকভাবে উচ্চ শুল্ক’ আরোপের বিষয়টি ‘আন্তর্জাতিক এবং অর্থনৈতিক বাণিজ্যের নিয়মনীতি, মৌলিক অর্থনৈতিক আইন এবং সাধারণ জ্ঞানকে গুরুতরভাবে লঙ্ঘন করছে এবং এটি সম্পূর্ণ একতরফা ধমকাধমকি ও জবরদস্তি’।

বেইজিংয়ের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে চীনা পণ্য রপ্তানির ওপর আরোপিত শুল্ক ‘অর্থনীতিতে বাস্তবিক কোনো তাৎপর্য ছাড়াই একটি সংখ্যার খেলায় পরিণত হয়েছে’। তিনি আরও বলেছেন, বারবার শুল্ক বৃদ্ধি কেবল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘জবরদস্তিকে’ আরও উন্মোচিত করবে। এটি একটি রসিকতায় পরিণত হবে।

মাত্র এক সপ্তাহ আগেও চীনের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক ছিল ২০ শতাংশ। সেটা এখন বাড়তে বাড়তে ১২৫ শতাংশে পৌঁছেছে। গত ২ এপ্রিল ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্বের যেসব দেশের পণ্যে উচ্চহারে শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছিলেন, নয়ই এপ্রিল বুধবার তা কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এই দিনই তিনি জানান, চীন, কানাডা ও মেক্সিকো বাদে বিশ্বের অন্যান্য দেশের ওপর ধার্যকৃত পাল্টা শুল্ক আগামী ৯০ দিনের জন্য স্থগিত থাকবে। তবে এই ৯০ দিন, অর্থাৎ তিন মাস এই দেশগুলোর সবার জন্য বাড়তি ১০ শতাংশ শুল্ক হার প্রযোজ্য হবে।

একই দিনে চতুর্থ বারের মতো চীনা পণ্যে শুল্ক বাড়ায় যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন বাজারে চীনের পণ্যে সর্বশেষ ধার্যকৃত শুল্ক ছিল ১০৪ শতাংশ। বুধবার তা কার্যকর হওয়ার দিনই আবার বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশ করা হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি বলেছিলেন, আমি আগেই সতর্ক করেছিলাম, যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যদি কোনো দেশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করে, তবে তারা সঙ্গে সঙ্গে নতুন ও অনেক বেশি হারে শুল্কের মুখোমুখি হবে। এই প্রতিক্রিয়ায় চীন বলে, চীনকে চাপ বা হুমকি দিয়ে কখনোই লাভ হবে না।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বলেছেন, তাদের সরকার উসকানিকে ভয় পায় না। এদিকে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানাচ্ছে, প্রতিশোধমূলক শুল্ক নিয়ে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) কাছে আরও একটি অভিযোগ করেছে চীন। ফেব্রুয়ারিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনা পণ্যের বর্ডার ট্যাক্স ১০ শতাংশ বাড়ানোর পর ডব্লিউটিও'র কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করেছিল চীন। এরপরে গত সপ্তাহে ডব্লিউটিওতে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক নিয়ে তারা বিবাদ সংক্রান্ত আরেকটি আবেদন দাখিল করে। 

যুক্তরাষ্ট্রের দিক থেকে উচ্চ শুল্কের সম্মুখীন দেশগুলো এখন চীনের মতো তাদের অভিযোগও ডব্লিউটিও'র বিরোধ নিষ্পত্তি আদালতে নিয়ে যেতে পারে। তবে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, রাষ্ট্রপতি হিসেবে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্র ডব্লিউটিও'র আপিল সংস্থায় বিচারক নিয়োগে বাধা দেওয়া শুরু করে। সংস্থাটি তাদের ক্ষমতার চেয়েও বেশি ভূমিকা রাখছে এই যুক্তিতে ওই পদক্ষেপ নেয় তারা। ফলে এই আদালত মূলত বর্তমানে কাজ করতে পারছে না এবং নিয়ম লঙ্ঘনর বিষয়েও খুব কমই ব্যবস্থা নিতে পারছে ডব্লিউটিও।

বিবিসির সাংবাদিক স্টিফেন ম্যাকডোনেল বলেছেন, চীনা ক্রেতাদের স্থানীয় ব্র্যান্ড কেনার জন্য উৎসাহিত করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপ অব্যাহত থাকায় বেইজিং এখনও অনিশ্চিত পরিস্থিতিতে রয়েছে। এদিকে চীনের ঘোষণার পর, ইউরোপীয় স্টক মার্কেটগুলো লাল রঙে প্রবেশ করেছে। এর মানে হলো প্রারম্ভিক লেনদেনে সামান্য বৃদ্ধি পাওয়ার পর তিনটি প্রধান স্টক সূচক এখন নিম্নমুখী। পতনশীল বাজারের মানে হলো বিনিয়োগকারীরা মনে করছেন বেশিরভাগ কোম্পানি মুনাফা হারাচ্ছে। কারণ তারা বিশ্বাস করেন, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের পাল্টাপাল্টি শুল্ক আরোপের প্রবণতা পণ্যের চাহিদা কমিয়ে দেবে এবং দাম বাড়িয়ে দেবে।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: শ ল ক আর প য ক তর ষ ট র শ ল ক আর প র র জন য বল ছ ন চ ম বক

এছাড়াও পড়ুন:

দহন থেকে  জংলি

‘আমি নিয়মিত অনেক চিত্রনাট্য পাচ্ছি। নিয়মিত সেসব সিনেমা করলে প্রচুর টাকা কামাতে পারব। ফিন্যান্সিয়ালি জায়গাটা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু দর্শক আমাকে যেভাবে দেখতে চাচ্ছেন, তেমন গল্প পাচ্ছি না। দর্শক-প্রত্যাশার চেয়ে ভালো কিছু দিতে চাই। যখন সামগ্রিক চিন্তা করি, তখন ভাবতে হয় আমি কতটা আয় করলাম তার চেয়েও দর্শকের সামনে কীভাবে আসছি, সেটি মুখ্য। এটি একটি প্যাকেজ। মাঝে একটি-দুটি গল্প পছন্দ হয়। সেসব টিমের যে অবস্থা, বাজেট সামগ্রিকভাবে দেখতে গেলে ভালো গল্প তুলে আনা কঠিন হবে। তখন আমি না করে দিই। আমি চাইছি নিজের মতো করে কাজ করতে। জীবনে অনেক সিনেমা করতে হবে, এমন চিন্তা নেই। আমার মতো করে অল্প কিছু কাজ করে যেতে চাই।’ বলছিলেন সিয়াম আহমেদ।

গেল ঈদে মুক্তি পেয়েছে সিয়াম আহমেদ অভিনীত সিনেমা ‘জংলি’। যে সিনেমার সঙ্গে জড়িয়ে আছে নায়কের আবেগ ও পরিশ্রমের দীর্ঘ গল্প। সিনেমাটি করতে একচুলও ছাড় দেননি সিয়াম। ফলাফল হিসেবে পেয়েছেন দর্শকের অবারিত ভালোবাসা। জংলি মুক্তির পর তাই গল্পটি হয়ে উঠেছে সবার। দর্শকরা হলে গিয়ে কেঁদেছেন, গল্পে বুঁদ হয়ে থেকেছেন। করেছেন সিয়াম ও তাঁর টিমের প্রশংসা। 

সিয়াম বললেন, ‘এ সিনেমায় আমি দীর্ঘ সময় দিয়েছি। সিনেমার জন্য চুলদাড়ি বড় করেছি। একটি সিনেমার জন্য আমার পাগলামি নিয়ে মা-বাবার মনে হয়তো প্রশ্ন ছিল, ছেলেটি চুল-দাড়ি বড় করে কী করছে? কী করেছি, এটি তো তাদের বোঝানো যায় না। তবে আমার আত্মবিশ্বাস ছিল, সিনেমাটি মুক্তির পরে গল্পটি তাদের টাচ করবে। কারণ, গল্পটিই এমন, এটি প্রথম যদি কাউকে টাচ করে, সেটি সন্তানের মা-বাবাদের। যে কারণে তাদের একসঙ্গে হলে নিয়ে কাছ থেকে অনুভূতি জানার চেষ্টা করেছি। এখন পর্যন্ত মা-বাবার কাছ থেকে সেরা ফিডব্যাক পেয়েছি। বাবা-মেয়ের গল্পটি দেখে তারা ইমোশনাল হয়ে গিয়েছিলেন। শুধু আমার বাবা-মা নন, অন্য মা-বাবাদের কাছেও গল্পটি নিজেদের হয়ে উঠেছে। তারা সিনেমাটি দেখে কেঁদেছেন। হল রিঅ্যাকশনের সেসব ভিডিও সবাই দেখেছেন। সব মিলিয়ে আমরা সফল। আমাদের জংলি সফল।’

মুক্তির পর থেকে ‘জংলি’ সিনেমার এগিয়ে যাওয়ার গ্রাফ দেখলে শুধু দর্শকের ভালোবাসায় সফল নয়, ব্যবসায়িকভাবেও সিনেমাটি যে সফল তার চিত্র বিদ্যমান। মাত্র ৮টি শো দিয়ে শুরু হওয়া সিনেমাটি ঈদের এতদিন পরও মাল্টিপ্লেক্সে ত্রিশটির মতো শো নিয়ে দাপিয়ে চলছে। দেশ ছাড়িয়ে বিদেশের মাটিতেও জংলি হয়ে উঠেছে দর্শকদের সিনেমা।  

প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান টাইগার মিডিয়ার কর্ণধার জানিয়েছেন, জংলি প্রায় ছয় কোটির (গ্রস) ক্লাবে প্রবেশ করেছে। 

ঈদে মুক্তির পর থেকে ক্রমশ দর্শকপ্রিয় হয়ে ওঠে ‘জংলি’। এমনকি, দেশের সিনেমাপ্রেমীদের মন জয় করে কানাডা, আমেরিকা ও ইউকে’র ৪০টি থিয়েটারে মুক্তি পেয়েছে ‘জংলি’। গত ২৫ এপ্রিল থেকে স্বপ্ন স্কেয়ারক্রো-এর পরিবেশনায়, ঈদের সিনেমাগুলোর মধ্যে দেশের বাইরে সবচেয়ে বেশি থিয়েটারে একযোগে মুক্তি পেয়েছে এ সিনেমাটি। কানাডা ও আমেরিকার বক্স অফিসে প্রথম ৩ দিনের গ্রস ৩৫,০০০ ডলার আয় করে শুভসূচনা করেছে ‘জংলি’।

ঈদে আরও অনেক ছবি মুক্তি পেয়েছে। সেগুলোর মধ্যে জংলি বিশেষ হয়ে উঠেছে কেবল বাবা-মেয়ের গল্পের কারণে। সঙ্গে সিয়ামের নজরকাড়া অভিনয়। নৈঋতার পাখি হয়ে ওঠার দারুণ চেষ্টা। দিমিত্রি থে স্টোনহার্ট নামে এক মনীষী বলেছেন, ‘একজন বাবা বলেন না যে তিনি তোমাকে ভালোবাসেন; বরং তিনি দেখিয়ে দেন যে, তিনি তোমাকে ভালোবাসেন’ জংলি সিনেমায় সিয়াম সেটি বোঝাতে পেরেছেন। ফলে সিনেমাটি হয়ে উঠেছে সবার।

প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ বলেছেন– ‘পৃথিবীতে আসার সময় প্রতিটি মানুষই একটি করে আলাদিনের প্রদীপ নিয়ে আসে, কিন্তু খুব কম মানুষই সেই প্রদীপ থেকে ঘুমন্ত দৈত্যকে জাগাতে পারে।’ 
সিয়াম তাঁর জীবনের সেই দৈত্যকে জাগাতে পেরেছেন। পেরেছেন বলেই হয়তো আজ তিনি সাধারণ সিয়াম থেকে নায়ক সিয়াম হয়ে উঠেছেন। সিয়ামের যাত্রাটা শুরু বেশ আগে হলেও পুরোপুরি শুরু হয় ‘দহন’ সিনেমার মাধ্যমে। রায়হান রাফী পরিচালিত এ সিনেমাটির মাধ্যমে সিয়াম নাটক থেকে পুরোপুরি চলচ্চিত্রের মানুষ হয়ে ওঠেন। সে যাত্রা এখনও চলছে। প্রথম সিনেমায় যে সিয়ামকে সবাই  দেখেছেন, জংলির সেই সিয়াম যেন আকাশ-পাতাল। তখন সিয়াম ছিলেন তরুণ, এই সিয়াম এখন বাবা। পর্দায় ও বাস্তবে দুই জায়গাতে দারুণ এক বাবা হয়ে উঠেছেন তিনি। নিজের অভিনয় ক্যারিয়ার নিয়ে আগামী পরিকল্পনা কী? প্রশ্ন রাখলে নায়ক বলেন, ‘আমি নিজের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে চাই। যারা আমার আগের কাজ দেখেছেন, তারা যেন বলেন, আগের কাজকে ছাড়িয়ে যেতে পেরেছি। আরেকজনকে ছাড়িয়ে যাওয়ার চেয়ে নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়া কঠিন।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ