চড়া রোদ আর তীব্র গরমে জীবন যখন হয়ে ওঠে ক্লান্তিকর, তখন এক গ্লাস ঠান্ডা পানীয় যেন স্বস্তির চুমুক। এই গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে কিছু সুস্বাদু ও উপকারী পানীয়ের রেসিপি দিয়েছেন রন্ধনশিল্পী ইসরাত জাহান লাকী
ফ্রুট পাঞ্চ
উপকরণ: তরমুজের রস ১ কাপ, ১টি লেবুর রস, আনারসের রস ১ কাপ, সুগার সিরাপ ১ কাপ, বরফ পরিমাণমতো, লবণ ১ চিমটি।
প্রস্তুত প্রণালি: সব উপকরণ একসঙ্গে ব্লেন্ড করে নিন। গ্লাসে ঢেলে বরফ কুচি দিয়ে পরিবেশন করুন।
কোল্ড ডেভিনশন
উপকরণ: ঘন দুধ ২ কাপ, ভ্যানিলা আইসক্রিম ৪ স্কুপ, চকলেট হরলিক্স সিকি কাপ, চিনি সিকি কাপ ও বরফ।
প্রস্তুত প্রণালি: সব উপকরণ একসঙ্গে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। ব্লেন্ড করার সময় ১/২ কাপ নিউট্রেলা বা নসিলা দিলে নিউট্রেলা সেক হয়ে যাবে। এর সঙ্গে ৪ পিচ ওরিও গুঁড়া করে দিতে হবে। পরিবেশনের সময় ওপরে চকলেট কুচি দিয়ে পরিবেশন করতে হবে।
স্মোক ম্যাংগো ধামাকা
উপকরণ: কাঁচা আম ২টি, সরিষার তেল পরিমাণমতো, চিনি সিকি কাপ, কাঁচামরিচ ১টি, কাসুন্দি ১ টেবিল চামচ, টালা জিড়া গুঁড়া ১/২ চামচ, পানি দেড় কাপ, ধনেপাতা কুচি ২ টেবিল চামচ, সামান্য লবণ, বরফ কুচি।
প্রস্তুত প্রণালি: কাঁচা আমের গায়ে তেল মাখিয়ে নিয়ে চুলায় পুড়িয়ে নিন। এরপর পোড়া আম পানি দিয়ে সেদ্ধ করুন। আমের সঙ্গে সব উপকরণ মিশিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করুন। পুদিনা পাতা দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।
ব্লু মুন ড্রিংকস
উপকরণ: বরফ কুচি ৪/৫ কিউব, সোডা ওয়াটার ১ গ্লাস, লেবুর রস ১ টেবিল চামচ, নীল রঙের ফুড কালার ১ ড্রপ, লবণ ১ চিমটি।
প্রস্তুত প্রণালি: সব উপকরণ একসঙ্গে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। তারপর লেবুর স্লাইজ ও পুদিনা পাতা দিয়ে সাজিয়ে
পরিবেশন করুন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: গরম ব ল ন ড কর
এছাড়াও পড়ুন:
আগামী সপ্তাহে বাংলাদেশের কিস্তির প্রস্তাব উঠছে আইএমএফ পর্ষদে
আগামী ২৩ জুন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নির্বাহী পর্ষদের সভায় বাংলাদেশের সঙ্গে চলমান ঋণ কর্মসূচির চতুর্থ ও পঞ্চম দুই কিস্তির অর্থ ছাড়ের প্রস্তাব উঠছে। সভায় অনুমোদন হলে একসঙ্গে দুই কিস্তির ১৩০ কোটি মার্কিন ডলার পাবে বাংলাদেশ। আইএমএফ শুক্রবার কার্যসূচিতে নির্বাহী পর্ষদের সভার এ তারিখ নির্ধারণের তথ্য প্রকাশ করেছে।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আইএমএফ পর্ষদের বৈঠকে চলমান ঋণ কর্মসূচির পর্যালোচনা প্রতিবেদন উপস্থাপনের কথা রয়েছে। এ প্রতিবেদন পর্ষদ অনুমোদন করলে বাংলাদেশ একসঙ্গে পাবে চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ। ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি আইএমএফ বাংলাদেশের জন্য সাড়ে তিন বছর মেয়াদি ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন করে।
বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা বজায় রাখা, ঝুঁকিতে থাকা ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষা দেওয়া এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ও পরিবেশসম্মত প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়তা দিতে আইএমএফ ঋণ কর্মসূচি অনুমোদন করে। চলতি হিসাবের ঘাটতি বেড়ে যাওয়া, টাকার দরপতন ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়ার কারণে ওই সময় আইএমএফের কাছে ঋণ চেয়েছিল তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার।
আইএমএফের ঋণ কর্মসূচির মধ্যে বর্ধিত ঋণসহায়তা (ইসিএফ) ও বর্ধিত তহবিল সহায়তা (ইএফএফ) বাবদ ঋণ রয়েছে ৩৩০ কোটি ডলার। আর রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ফ্যাসিলিটি (আরএসএফ) বাবদ রয়েছে ১৪০ কোটি ডলার। আরএসএফ আইএমএফের একটি নতুন তহবিল, যেখান থেকে এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশকেই প্রথম ঋণ দেওয়া হচ্ছে।
২০২৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি আইএমএফের কাছ থেকে প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬৩ লাখ ডলার পায় বাংলাদেশ। একই বছরের ডিসেম্বরে দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলার ও ২০২৪ সালের জুনে তৃতীয় কিস্তির ১১৫ কোটি ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ। তিন কিস্তিতে আইএমএফের কাছ থেকে এখন পর্যন্ত ২৩১ কোটি ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ। বাকি আছে ২৩৯ কোটি ডলার।
আইএমএফের ঋণের চতুর্থ কিস্তির অর্থ গত বছরের ডিসেম্বরে পাওয়ার কথা থাকলেও শর্ত পরিপালন নিয়ে বিশেষত টাকা–ডলার বিনিময় হার বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়া নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। গত ফেব্রুয়ারিতে অর্থ মন্ত্রণালয় জানায়, চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি একসঙ্গে ছাড়ের সিদ্ধান্ত হয়েছে। গত এপ্রিলে আইএমএফের একটি প্রতিনিধিদল শর্ত পালনের অগ্রগতি পর্যালোচনায় ঢাকায় আসে। তবে সমঝোতা না হওয়ায় চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ ছাড় আটকে যায়। এরপর ওয়াশিংটনে গত ২১ থেকে ২৬ এপ্রিল অনুষ্ঠিত আইএমএফ-বিশ্বব্যাংকের বসন্তকালীন বৈঠকে এ বিষয়ে আরও আলোচনা হয়।
সবশেষে গত মাসে এ নিয়ে আইএমএফের সঙ্গে কয়েকটি ভার্চুয়াল বৈঠক করে বাংলাদেশ ব্যাংক। গত ১২ মে দুই পক্ষ চূড়ান্ত সমঝোতা হয় এবং বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করে বাংলাদেশ। ১৪ মে আইএমএফ ওয়াশিংটন থেকে এক বিবৃতিতে জানায়, দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে এবং পর্ষদ সভার অনুমোদন সাপেক্ষে ঋণের অর্থ ছাড় করা হবে জুনে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে ৭৬ কোটি ডলার বাড়তি ঋণ চেয়েছে। বাড়তি ঋণ যোগ হলে মোট দাঁড়াবে ৫৪০ কোটি ডলার। বিবৃতিতে বিনিময় হার, রাজস্ব আদায়, ব্যাংক খাতসহ সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার কথা বলা হয়।