শেষের ১০ মিনিট চোখের পানি ধরে রাখা কষ্ট...
Published: 16th, April 2025 GMT
টেলিভিশন ও ইউটিউব মিলিয়ে এবারের ঈদে নাটক প্রচারিত হয়েছে অনেক কম। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ও টেলিভিশন চ্যানেল সূত্রে জানা গেছে, গেল কয়েক বছরের তুলনায় এবার অর্ধেকে নেমে এসেছে নাটকের এ সংখ্যা। বরাবরের মতো এবারও বিষয়বস্তুতে প্রেমের গল্পের নাটক প্রাধান্য পেয়েছে বেশি। পারিবারিক গল্পের নাটক অল্পসংখ্যক তৈরি হলেও দর্শকপ্রিয়তায় এগিয়ে ছিল।
প্রচারের পর থেকেই আলোচনায় পারিবারিক গল্পের নাটক ‘তোমাদের গল্প’। সিনেমাওয়ালা নামে ইউটিউবে মুক্তি দেওয়ার পর ১৬ দিনে ১ কোটি ২৫ লাখের বেশি ভিউ হয়েছে। গল্প, অভিনয়শিল্পী ও নির্মাতার প্রশংসা করেছেন মন্তব্যকারীরা। আবু সায়েম নামের একজন লিখেছেন, ‘এই যুগে এত গভীর কাহিনিনির্ভর নাটক আশা করিনি। প্রত্যেক অভিনয়শিল্পী নিখুঁত অভিনয় করেছেন।’ নুর হোসেন নামের একজন লিখেছেন, ‘রক্তের বন্ধন, পারিবারিক বন্ধন নিয়ে টোটাল ৯২ মিনিটের অসাধারণ একটা নাটক! এই ঈদের তো অবশ্যই সেরা; আমার দেখা জীবনেরও অন্যতম সেরা একটা নাটক! অনেক নাটক কিংবা সিনেমাতে হয়তোবা মাঝেমধ্যে চোখে পানি এসেছে, কিন্তু এই নাটকে মাঝেমধ্যে তো আসবেই, শেষের দিকে টানা ১০ মিনিটে চোখের পানি ধরে রাখা অনেক কষ্ট হবে যে কারও!’ ৩৪ হাজারের বেশি মন্তব্য এসেছে মন্তব্যের ঘরে।
আরও পড়ুনঈদের আলোচিত ৫ নাটক০১ মে ২০২৩একান্নবর্তী নাটকের একটি দৃশ্য।.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র ন টক
এছাড়াও পড়ুন:
সব্যসাচী কাজী মোতাহার হোসেন বিজ্ঞান ও শিল্পের মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন
প্রথিতযশা অধ্যাপক ও পরিসংখ্যানবিদ কাজী মোতাহার হোসেন ছিলেন একজন সব্যসাচী মানুষ। তিনি নিজের কাজের মাধ্যমে বিজ্ঞান ও শিল্পের মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন। তাঁর ঐতিহ্য শিক্ষার্থীদের ধারণ করতে হবে।
জ্ঞানতাপস কাজী মোতাহার হোসেনের ১২৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আজ বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তারা এ কথাগুলো বলেন।
অনুষ্ঠানে স্মারক বক্তৃতা, বৃত্তি, পদক, পুরস্কার ও সনদ দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানের যৌথ আয়োজক কাজী মোতাহার হোসেন ফাউন্ডেশন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগ এবং পরিসংখ্যান গবেষণা ও শিক্ষণ ইনস্টিটিউট।
অনুষ্ঠানে ‘যুগলের বন্ধন: কাজী নজরুল ইসলাম-কাজী মোতাহার হোসেন’ শীর্ষক স্মারক বক্তৃতা দেন অধ্যাপক ভীষ্মদেব চৌধুরী। তিনি দুই বন্ধুর সম্পর্কের রসায়নের নানা দিক তুলে ধরেন।
প্রধান অতিথি বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, এই অনুষ্ঠানের দুটো প্রাপ্তি আছে। প্রথমত, মানুষের অবদান ও মেধাকে স্বীকার করা হচ্ছে। দ্বিতীয়ত, এই উপমহাদেশের একজন প্রথিতযশা সব্যসাচী মানুষের ঋণ স্বীকার করা হচ্ছে।
কাজী মোতাহার হোসেন যেকোনো বিবেচনায় একজন দার্শনিক বলে উল্লেখ করেন নিয়াজ আহমেদ খান। তিনি বলেন, কাজী মোতাহার হোসেন বিজ্ঞান ও শিল্পের মধ্যে মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন। প্রথম সারির পরিসংখ্যানবিদ, বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা ছাড়াও তিনি অনেকগুলো সামাজিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন, প্রভাব বিস্তার করেছেন। একজন মানুষের ছোট জীবদ্দশায় এত গুণ সন্নিবেশিত করা কঠিন। কিন্তু তিনি তা করে দেখিয়েছেন।
সবাইকে নিয়ে চলা, প্রতিষ্ঠান তৈরি করা, নিজের জগতের বাইরে নানা কিছুতে হাত বাড়িয়ে দেওয়ার মতো ঐতিহ্য কাজী মোতাহার হোসেন করে গেছেন বলে উল্লেখ করেন নিয়াজ আহমেদ খান। তিনি বলেন, তাঁর সম্মানে যাঁরা আজ স্বীকৃতি পেলেন, তাঁরা এই ঐতিহ্যকে ধারণ করবেন। এটা (বিশ্ববিদ্যালয়) যে সামাজিক প্রতিষ্ঠান, সে বার্তা দেবেন। যেসব শিক্ষার্থী সম্মাননা পাচ্ছেন, তাঁদের ছোট প্রোফাইল তৈরি করে ওয়েবসাইটে তুলে দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
কাজী মোতাহার হোসেন ফাউন্ডেশনের সভাপতি অধ্যাপক আবদুল মাজেদ বলেন, কাজী মোতাহার হোসেন একজন সব্যসাচী মানুষ ছিলেন। বিজ্ঞানের এমন কোনো দিক নেই, যেখানে তাঁর পদচারণা ছিল না। তিনি দাবা খুব পছন্দ করতেন। দাবা খেলার কথা শুনলে তিনি ছুটে যেতেন। কাজী মোতাহার হোসেনকে নিয়ে তাঁর শোনা নানা গল্প তিনি স্মৃতিচারণা করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক জাফর আহমেদ খান বলেন, কাজী মোতাহার হোসেন পরিসংখ্যান চর্চার পথিকৃৎ ছিলেন। বিজ্ঞান, দাবাচর্চারও পথিকৃৎ ছিলেন। এমন কোনো পুরস্কার নেই যে, তিনি পাননি। তাঁর দেখানো পথে যেন শিক্ষার্থীরা নিজেদের আলোকিত করতে পারেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কাজী মোতাহার হোসেন ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রওনাক হোসেন। এই আয়োজনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের সেরা শিক্ষার্থীদের বই, নগদ অর্থ ও সনদ তুলে দেওয়া হয়। এ ছাড়া কাজী মোতাহার হোসেনকে নিয়ে আয়োজিত রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।