দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় আসার পর একের পর এক নির্দেশ জারি করে চলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুল্ক আরোপ থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাঁর নীতি নিয়ে নানা সমালোচনাও শুরু হয়েছে। এমন অবস্থায় ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর সমালোচনা করেছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

তাঁর দাবি, সবকিছু ধ্বংস করে দিচ্ছে ট্রাম্পের প্রশাসন। ক্ষমতায় আসার ১০০ দিনের মধ্যেই সেখানে প্রচুর পরিমাণে ক্ষতি এবং ধ্বংসযজ্ঞ ঘটিয়েছে ট্রাম্পের সরকার। বুধবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে ক্ষমতা থেকে বিদায় নেওয়ার পর স্থানীয় সময় মঙ্গলবার প্রথমবারের জন্য জনসমক্ষে আসেন বাইডেন। এদিন শিকাগোতে এক সম্মেলনে বক্তৃতা দিতে গিয়ে ট্রাম্পকে তীব্র আক্রমণ করেন বাইডেন। এ সময় আমেরিকার বাসিন্দাদের সামাজিক নিরাপত্তা নেই বলেও দাবি করেন। 

তিনি জানান, ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার ১০০ দিনের মধ্যে যা করছেন, তাকে মোটেই ইতিবাচক বলা যায় না। ট্রাম্পের শাসনকালে আমেরিকায় ভয়ংকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ১০০ দিনেরও কম সময়ের মধ্যে এই নতুন প্রশাসন এত ক্ষতি করেছে এবং এত ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে যে, একটা শ্বাসরুদ্ধকর পরিবেশ তৈরি হয়েছে।

বাইডেন বলেন, আমরা এত বিভক্ত জাতি হিসেবে এভাবে চলতে পারি না। আমি যেমন বলেছি, আমি অনেক দিন ধরে এটি করে আসছি। এটি কখনোই এত বিভক্ত ছিল না। যদিও বাইডেনের এই সতর্কবার্তাকে গুরুত্ব দিতে চাইছে না ট্রাম্প প্রশাসন। বাইডেনের ওই বক্তৃতার পরেই তাঁর সমালোচনা করেন হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট। তাঁর দাবি, ঘুমাতে যাওয়ার সময়ে এই বক্তৃতা দিয়েছেন বাইডেন। একই সঙ্গে বাইডেন মিথ্যা কথা বলেছেন বলেও দাবি করে হোয়াইট হাউস।


 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক ষমত

এছাড়াও পড়ুন:

প্রেম ছিল না তবু কেন মধুবালাকে বিয়ে করেছিলেন কিশোর কুমার

দিলীপ কুমারের সঙ্গে বিচ্ছেদের কিছুদিন পরই কিশোর কুমারকে বিয়ে করেন অভিনেত্রী মধুবালা। তবে তখন তিনি ছিলেন অসুস্থ। কিশোর কুমার জানিয়েছিলেন, ভালোবাসা থেকে নয়, বরং কথা রাখতেই তিনি এ বিয়ে করেছিলেন।
মধুবালা ও দিলীপ কুমারের প্রেম নিয়ে একসময় মুখর ছিল মুম্বাই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। কিন্তু অভিনেত্রীর বাবার বাধার কারণে সে সম্পর্কে ফাটল ধরে এবং দুজনের বিচ্ছেদ ঘটে। কিছুদিন পরেই কিশোর কুমারকে বিয়ে করেন মধুবালা। তাঁদের এই বিয়ে অনেককে চমকে দিয়েছিল। কারণ, তাঁদের প্রেমের কথা তখনো গোপন ছিল। তবে মধুবালার শরীর তখন ভালো যাচ্ছিল না। বলা হয়, দীর্ঘ রোগভোগের সময় কিশোর কুমার তাঁকে মায়ের বাড়িতে রেখেই চলে যান।

দ্য ইলাস্ট্রেটেড উইকলি অব ইন্ডিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কিশোর কুমার বলেছিলেন, ‘বিয়ের আগেই জানতাম, ও খুব অসুস্থ। কিন্তু কথা তো দিয়েছিলাম। তাই সে কথা রেখেই ওকে ঘরে এনেছিলাম স্ত্রী হিসেবে। জানতাম, ওর জন্মগত হৃদ্‌রোগ আছে। তবু ৯ বছর ধরে সেবা করেছি। চোখের সামনেই ওকে মরতে দেখেছি। কেউ বুঝবে না এর যন্ত্রণা, না ভুগলে। ও অসম্ভব সুন্দরী ছিল। আর কত যন্ত্রণায় মারা গেছে, সেটা চোখে না দেখলে বিশ্বাস হবে না। হতাশায় চিৎকার করত, কান্নাকাটি করত। এত প্রাণোচ্ছল মানুষ নয়টা বছর বিছানায় শুয়ে থাকবে—এ কল্পনাই করা যায় না। ডাক্তার বলেছিল, ওকে হাসিখুশি রাখতে হবে। আমি তা–ই করেছি—ওর শেষনিশ্বাস পর্যন্ত। কখনো হেসেছি, কখনো কেঁদেছি ওর সঙ্গে।’

তবে কিশোর কুমারের এই বক্তব্য নিয়ে সংশয় তৈরি হয়। কারণ, পরে ফিল্মফেয়ার সাময়িকীতে দেওয়া সাক্ষাৎকারে একেবারে ভিন্ন কথা বলেন তিনি। সেই সাক্ষাৎকারে কিশোর কুমার বলেন, ‘মধুবালার সঙ্গে আমি প্রেমে পড়িনি কখনো। বরং ওর প্রেমিক ছিল আমার বন্ধু দিলীপ কুমার। আমি তো শুধু ওদের বার্তা পৌঁছে দিতাম। বিয়ের প্রস্তাবটা দিয়েছিল মধুবালাই। এমনকি, যখন আমার প্রথম স্ত্রী রুমা তখনো আমার সঙ্গে ছিল, তখনো মধু বলত, “ওকে কখনো ছেড়ো না, না হলে আমি তোমার হয়ে যাব।”’

আরও পড়ুনকিশোর কুমার কি সত্যিই ঘরে কঙ্কাল আর মাথার খুলি নিয়ে ঘুমাতেন২৭ মে ২০২৫

মধুবালার পরিবারের ভাষ্য অনুযায়ী, চিকিৎসকেরা তখন বলেছিলেন, অভিনেত্রীর পক্ষে শারীরিক সম্পর্ক কিংবা সন্তানধারণ কোনো কিছুই সম্ভব নয়। সেই বাস্তবতা হয়তো প্রভাব ফেলেছিল কিশোরের সিদ্ধান্তে। এক ঘনিষ্ঠজন বলেন, ‘আমরা বলছি না কিশোরদা ভুল করেছিলেন। ডাক্তার তো স্পষ্ট বলেছিল—শারীরিক সম্পর্ক বা সন্তান কোনোটাই সম্ভব নয়। তবে একজন নারীর তো মানসিক সঙ্গীও দরকার হয়।’
ওই ঘনিষ্ঠজন আরও জানান, কিশোর কুমার তিন মাসে একবার আসতেন মাত্র। বলতেন, ‘আমি এলে তুমি কাঁদবে, আর এতে তোমার হৃদ্‌যন্ত্রের ক্ষতি হবে। তুমি বিষণ্ন হয়ে পড়বে।’ সে সময় মধু অনেক ছোট ছিলেন, ঈর্ষাও ছিল স্বাভাবিক। হয়তো এ দূরত্বই ধীরে ধীরে তাঁকে শেষ করে দিয়েছিল।
১৯৬৯ সালে মাত্র ৩৬ বছর বয়সে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান বলিউড অভিনেত্রী মধুবালা

সম্পর্কিত নিবন্ধ