Samakal:
2025-11-03@16:50:38 GMT

পদ্মায় আবাস সংকটে মাছ

Published: 17th, April 2025 GMT

পদ্মায় আবাস সংকটে মাছ

রাজশাহীর পদ্মা নদীজুড়ে দেখা যায় শুধু ধু-ধু বালু চর। আবাসস্থল হারিয়ে বিলুপ্তির পথে দেশীয় প্রজাতির মাছ ও জলজ প্রাণী। কিছু জায়গায় গভীর পানি থাকলেও কারেন্ট জাল ও বড়শি ফেলে নির্বিচারে চলছে মাছ নিধনযজ্ঞ। তাই শুষ্ক মৌসুমে পদ্মা নদীর কিছু অংশে জলজ প্রাণীর অভয়ারণ্য ঘোষণার পরামর্শ নদী গবেষকদের। 

১৯৮০ থেকে ১৯৮৫ সালের দিকে পদ্মার গড় গভীরতা ছিল ১২ দশমিক ৮ মিটার। ২০১৫ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে গড় গভীরতা নেমে আসে ১১ দশমিক ১ মিটারে। পদ্মার গভীরতা কমায় আবাস সংকটে পড়ছে মাছ ও জলজ প্রাণী। এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান স্প্রিঙ্গার উদ্যোগে কাজ করেছেন রাজশাহীসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গবেষক। রাজশাহীর গোদাগাড়ী থেকে চারঘাটের সারদা পর্যন্ত পদ্মার ৭০ কিলোমিটার অংশ নিয়ে গবেষণাটি পরিচালিত হয়। আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান সাময়িকী বায়োডাইভারসিটি অ্যান্ড কনজারভেশনের গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।

সরেজমিন চারঘাট উপজেলার রাওথা, বাঘা উপজেলার মীরগঞ্জ ও গোদাগাড়ীর হরিশংকরপুর এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, পদ্মা যে দেশের বৃহত্তম নদী তা চেনার উপায় নেই। চারদিকে ধু-ধু বালু চর। মাঝেমধ্যে কিছু জায়গায় পানি দেখা যাচ্ছে। সে সামান্য পানিতে কেউ বড়শি আবার কেউ কারেন্ট জাল ফেলে মাছ শিকার করছেন। ধরা পড়ছে বিশাল সাইজের বাঘাইড়, পাঙাশ, রুই, কাতলা, চিতল, আইড়সহ বিভিন্ন প্রজাতির মা মাছ। 

বাঘার মীরগঞ্জ এলাকার রফিকুল ইসলাম বলেন, বড়শি ও কারেন্ট জাল দিয়ে মাছ নির্বিচারে ধরা হচ্ছে। গত কয়েক দিনে অন্তত ২৫টি কাতলা ও চিতল মাছ ধরা পড়েছে। যেগুলোর ওজন ১২-১৮ কেজি। কারেন্ট জালে একটা শুশুকও ধরা পড়েছিল। দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন মাছ শিকারে আসছে।

গোদাগাড়ীর হরিশংকরপুর এলাকার জেলে আব্দুল মান্নান বলেন, পদ্মা নদী চেনার উপায় নেই। নদীতে এত কম পানি আর কখনও দেখিনি। মৌসুমি জেলেরা বড়শি ও কারেন্ট জাল দিয়ে নির্বিচারে মাছ শিকার করছে। এভাবে চলতে থাকলে আগামী মৌসুমে পদ্মায় মাছ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর হবে। 

মৎস্য অধিদপ্তর রাজশাহী জেলার তথ্যমতে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রাজশাহীর পদ্মা নদী থেকে মাছ আহরণ হয়েছে ১ হাজার ৮৫০ টন। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ছিল ২ হাজার ৪০ টন, ২০২১-২২ এ হয়েছিল ২ হাজার ১৫২ টন, ২০২০-২১ এ ২ হাজার ২২১ টন এবং ২০১৯-২০ এ আহরণ হয়েছিল ২ হাজার ২৮৩ টন। প্রতিবছরই মাছ আহরণের পরিমাণ কমছে। গত পাঁচ বছরে মাছ আহরণ কমেছে ৪৩৩ টন।

গবেষকরা বলছেন, পদ্মা নদী থেকে হারিয়ে যাওয়া মৎস্য প্রজাতির ৬০ শতাংশ বিলুপ্তির হুমকিতে রয়েছে। দেশীয় প্রজাতির মাছ বিলুপ্তির অন্যতম কারণ নির্বিচারে শিকার ও আবাস হারানো। ১৯৮০ সালে পদ্মায় যেখানে ৭১ জেলে মাছ শিকার করতেন, ২০১৯ সালে সে সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৬১৬। প্রায় চার দশকে মাছ শিকারি বেড়েছে প্রায় ৩৮ গুণ। অপেক্ষাকৃত সহজ হওয়ায় প্রতিবছর একটি বড় অংশের জনগোষ্ঠী যোগ হচ্ছে এ পেশায়। অনেকে আবার নিষিদ্ধ কারেন্ট জালে মাছ শিকার করছে। এতে নির্বিচারে শিকার হচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। এসব কারণে পদ্মার সার্বিক জীববৈচিত্র্যে এসেছে পরিবর্তন।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড.

শামস মুহা. গালিব বলেন, ১৯৮২ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত পদ্মার হাইড্রোলজিক্যাল, জলবায়ু ও নৃতাত্ত্বিক পরিবর্তনের সঙ্গে মৎস্য প্রজাতির সম্পর্কের প্রক্রিয়া অনুসন্ধান করা হয়। পদ্মার মাছ ও জলজ প্রাণীর আশ্রয়ও কমছে। তিনি বলেন, অধিকাংশ দেশীয় প্রজাতির মাছ বর্ষাকালে বংশ বৃদ্ধি করে। এ সময়ে মাছ শিকার সীমিত করাসহ শুষ্ক মৌসুমে পদ্মায় মাছের অভয়াশ্রম গড়ে তোলারও তাগিদ দেন তিনি।

জ্যেষ্ঠ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. ওয়ালি উল্লাহ মোল্লাহ বলেন, ‘পদ্মায় পানির গভীরতা কমেছে, পানির ফিল্টারেশন কমে গেছে। এতে বড় সাইজের রুই, কাতলা, চিতল ধরা পড়ছে। মা মাছ ধরার ব্যাপারে জেলেদের আমরা সতর্ক করছি। শুধু শুষ্ক মৌসুমের জন্য গভীর পানির কিছু অংশকে অভয়ারণ্য ঘোষণার চেষ্টা চলছে। নয়তো পদ্মা থেকে দেশীয় প্রজাতির এসব মাছ বিলুপ্ত হয়ে যাবে।’

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বলেন, পদ্মা নদী বড়াল নদের মাধ্যমে সরাসরি চলনবিলের সঙ্গে জড়িত। পদ্মা নদীতে পানি না থাকায় চলনবিলেও পানি নেই। এর প্রভাব পড়েছে পদ্মার সঙ্গে সংযুক্ত পুরো জীববৈচিত্র্যের ওপর।

দেশীয় মাছের বৃহত্তম আশ্রয়স্থল চলনবিল ও পদ্মা নদীর মাছ ও জলজ প্রাণী হুমকির মুখে পড়েছে। সরকারি উদ্যোগে খুব দ্রুত পানিপ্রবাহ বাড়ানোর পাশাপাশি গভীর পানির জায়গাগুলো অভয়ারণ্য ঘোষণার দাবি জানান তিনি। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ম ছ ও জলজ প র ণ পদ ম র পদ ম য় মৎস য

এছাড়াও পড়ুন:

জুলাই বিরোধিতা: ৩০ শিক্ষক-কর্মচারী ও ৩৩ ছাত্রলীগ নেতার ‘শাস্তি’

জুলাই গণঅভ্যুত্থান বিরোধী তালিকায় থাকা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ৩০ জন শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী সাময়িক বরখাস্ত এবং একই অভিযোগে ৩৩ জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে বহিষ্কার বা সনদ বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৭১তম সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

আরো পড়ুন:

আ.লীগে যোগ দেওয়া মুবিনকে আইনজীবী ফোরাম থেকে বহিষ্কার 

ববির ৪ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

সিন্ডিকেট সভা সূত্রে জানা গেছে, জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের বিরুদ্ধে ভূমিকায় থাকা ইবির ১৯ জন শিক্ষক, ১১ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তাদের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে ‘শাস্তি নির্ধারণ কমিটি’ করবেন উপাচার্য অধ্যাপক নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ।

এদিকে একই অপরাধে জড়িত থাকায় ৩৩ জন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার ও সনদ বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিন্ডিকেট। যাদের পড়াশোনা শেষ হয়েছে, সেই শিক্ষার্থীদের সনদ বাতিল করা হবে। আর যারা অধ্যয়নরত, তাদের বহিষ্কার করা হবে।

এর আগে জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের বিরুদ্ধে ভূমিকায় অবতীর্ণ শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের চিহ্নিতকরণে গত ১৫ মার্চ আল-হাদীস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক আকতার হোসেনকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি করে প্রশাসন। 

এই কমিটি প্রত্যক্ষদর্শীদের দেওয়া লিখিত ও মৌখিক অভিযোগ, বিভিন্ন তথ্যচিত্র, ভিডিও এবং পত্রিকার খবর পর্যালোচনা করে তালিকায় থাকা শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানবিরোধী এবং নিবর্তনমূলক কার্যকলাপের সংশ্লিষ্টতা পায়।

কমিটি প্রতিবেদন জমা দিলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। সর্বশেষ কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সিন্ডিকেট সভায় তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সাময়িক বরখাস্তের তালিকায় থাকা শিক্ষকরা হলেন: ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান, ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মন, অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মা, হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. বাকী বিল্লাহ ও অধ্যাপক ড. রবিউল হোসেন, হিসাববিজ্ঞান ও তথ্যপদ্ধতি বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী আখতার হোসেন ও অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরিন, ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. এ. এইচ. এম আক্তারুল ইসলাম ও অধ্যাপক ড. মিয়া রাশিদুজ্জামান।

ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহবুবুল আরফিনসহ আরো রয়েছেন, ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দার, আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহজাহান মণ্ডল ও অধ্যাপক ড. রেবা মণ্ডল, মার্কেটিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাজেদুল হক, ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আফরোজা বানু, আল-ফিকহ অ্যান্ড ল বিভাগের অধ্যাপক ড. আমজাদ হোসেন, ল অ্যান্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মেহেদী হাসান এবং কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জয়শ্রী সেন।

সাসপেন্ড হওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তালিকায় রয়েছেন প্রশাসন ও সংস্থাপন শাখার উপ-রেজিস্ট্রার আলমগীর হোসেন খান ও আব্দুল হান্নান, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দফতরের সহকারী রেজিস্ট্রার ও কর্মকর্তা সমিতির সাধারণ সম্পাদক ওয়ালিদ হাসান মুকুট, একই দফতরের উপ-রেজিস্ট্রার আব্দুস সালাম সেলিম, প্রশাসন ও সংস্থাপন শাখার উপ-রেজিস্ট্রার ড. ইব্রাহীম হোসেন সোনা। 

সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের শাখা কর্মকর্তা উকীল উদ্দিনসহ তালিকায় নাম রয়েছে ফার্মেসি বিভাগের জাহাঙ্গীর আলম (শিমুল), আইসিটি সেলের প্রশাসনিক কর্মকর্তা জে এম ইলিয়াস, অর্থ ও হিসাব বিভাগের শাখা কর্মকর্তা তোফাজ্জেল হোসেন, তথ্য, প্রকাশনা ও জনসংযোগ দপ্তরের উপ-রেজিস্ট্রার (ফটোগ্রাফি) শেখ আবু সিদ্দিক রোকন এবং পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দফতরের সহকারী রেজিস্ট্রার মাসুদুর রহমানের।

বহিষ্কার ও সদন বাতিল হওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন: ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০১৩-১৪ বর্ষের বিপুল খান, অর্থনীতি বিভাগের ২০১৪-১৫ বর্ষের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৫-১৬ বর্ষের মেহেদী হাসান হাফিজ ও শাহীন আলম, ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ২০১৮-১৯ বর্ষের রতন রায়। 

ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০১৪-১৫ বর্ষের মুন্সি কামরুল হাসান অনিকসহ তালিকায় রয়েছেন, মার্কেটিং বিভাগের ২০১৫-১৬ বর্ষের হুসাইন মজুমদার, বাংলা বিভাগের ২০১৬-১৭ বর্ষের তরিকুল ইসলাম।

ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০১৮-১৯ বর্ষের মৃদুল রাব্বী, ইংরেজি বিভাগের ২০১৮-১৯ বর্ষের ফজলে রাব্বী, ল অ্যান্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১৮-১৯ বর্ষের শাকিল, ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০১৭-১৮ বর্ষের শিমুল খান, আইন বিভাগের ২০১৮-১৯ বর্ষের কামাল হোসেন, ইংরেজি বিভাগের ২০২০-২১ বর্ষের মাসুদ রানা, আরবী ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ২০১৯-২০ বর্ষের মেজবাহুল ইসলাম বহিষ্কার ও সনদ বাতিলের তালিকায় রয়েছেন। 

সমাজকল্যাণ বিভাগের ২০১৯-২০ বর্ষের অনিক কুমার, বাংলা বিভাগের ২০১৮-১৯ বর্ষের আব্দুল আলিম, ল অ্যান্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের বিজন রায়, শেখ সোহাগ ও শাওনও এই শাস্তি পেয়েছেন। 

জুলাই অভ্যুত্থানের বিরোধিতা করায় শাস্তি পেয়েছেন অর্থনীতি বিভাগের ২০১৯-২০ বর্ষের তানভীর ও শেখ সাদি, সমাজকল্যাণ বিভাগের ২০১৯-২০ বর্ষের মাজহারুল ইসলাম, ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ২০২০-২১ বর্ষের মনিরুল ইসলাম আসিফ, সমাজকল্যাণ বিভাগের ২০১৯-২০ বর্ষের মারুফ ইসলাম, চারুকলা বিভাগের ২০২০-২১ বর্ষের পিয়াস, বাংলা বিভাগের ২০১৯-২০ বর্ষের ফারহান লাবিব ধ্রুব, আল-ফিকহ অ্যান্ড ল বিভাগের ২০১৯-২০ বর্ষের প্রাঞ্জল, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৯-২০ বর্ষের নাবিল আহমেদ ইমন।

ফিনান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০১৭-১৮ বর্ষের রাফিদ, লোক প্রশাসন বিভাগের ২০১৮-১৯ বর্ষের আদনান আলি পাটোয়ারি, ল অ্যান্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১৮-১৯ বর্ষের লিয়াফত ইসলাম রাকিব এবং ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ২০১৯-২০ বর্ষের ইমামুল মুক্তাকী শিমুলও শাস্তির তালিকায় রয়েছেন। 

এদিকে জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে প্রকাশ্যে বিরোধিতাকারী হিসেবে এই ৬৩ জন শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ব্যবস্থা নিলেও তাদের উস্কানিদাতা এবং পেছন থেকে আন্দোলন দমনকারী অনেকেই ধরাছোয়ার বাইরে থেকে যাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। একই অভিযোগ অভিযুক্তদেরও। তবে তাদের বিরুদ্ধেও তদন্ত চলমান রয়েছে এবং পর্যায়ক্রমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।

ঢাকা/তানিম/রাসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জবি শিবিরের মেধাবীদের তালিকায় নেই ৩ বিভাগের শিক্ষার্থী
  • সিরাজগঞ্জের গ্রামটি শত শত পাখিতে মুখর
  • ইলিশ রক্ষায় জাটকা শিকারে আজ থেকে ৮ মাসের নিষেধাজ্ঞা
  • জুলাই বিরোধিতা: ৩০ শিক্ষক-কর্মচারী ও ৩৩ ছাত্রলীগ নেতার ‘শাস্তি’