2025-11-03@13:43:26 GMT
إجمالي نتائج البحث: 45
«ম ছ ও জলজ প র ণ»:
সুন্দরবন–সংলগ্ন নদী ও খাল থেকে নির্বিচার শামুক-ঝিনুক আহরণ নতুন হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে। এটি শুধু নদীর জীববৈচিত্র্যকেই বিপন্ন করছে না। এটি সামগ্রিক প্রাকৃতিক ভারসাম্যের জন্যও এক মারাত্মক হুমকি।প্রথম আলোর খবর বলছে, প্রতিদিন ট্রলার ও নৌকা নিয়ে শামুক উত্তোলন করে ট্রাকে ও নদীপথে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পাঠানো হচ্ছে। স্থানীয় জেলেদের সহায়তায় এই কর্মকাণ্ডে লিপ্ত অসাধু চক্র অবৈধ ব্যবসায়িক স্বার্থ হাসিল করছে। বন ও জলজ সম্পদ সংরক্ষণ আইন অনুসারে নদী, খাল ও প্রাকৃতিক জলাশয় থেকে শামুক বা ঝিনুক আহরণ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ এবং দণ্ডনীয়। তবু আইন কার্যকর হচ্ছে না। প্রশাসনিক তৎপরতার অভাব ও নজরদারির ঘাটতি এই অপরাধকে উৎসাহিত করছে।শামুক–ঝিনুক নদীর তলদেশের মাটি ও পানির গুণগত মান বজায় রাখে। এগুলো নদীর প্রাকৃতিক ছাঁকনি বা ফিল্টার হিসেবে কাজ করে। দূষণ কমায়। মাটির উর্বরতা শক্তি বাড়ায়।...
নদ-নদী, খাল-বিল ও জলাশয়গুলোতে দেশের ঐতিহ্যবাহী মাছ ও জলজ জীববৈচিত্র্য রক্ষার জন্য বিধিমালা আছে। তা সত্ত্বেও বরেন্দ্র অঞ্চলে আজকের বাস্তবতা একেবারে ভিন্ন। সেখানে ‘চায়না দুয়ারি’ নামে পরিচিত ছোট ফাঁসযুক্ত একধরনের জালের অবাধ ও নিয়মবিরোধী ব্যবহার নদ-নদী ও খাল-বিলের বাস্তুসংস্থানকে হুমকির মুখে ফেলেছে। সরকারি কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা এ সংকটকে আরও জটিল ও সুদূরপ্রসারী করে তুলেছে।বরেন্দ্র অঞ্চলের জেলেদের পর্যবেক্ষণভিত্তিক গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, এই জাল দিয়ে মাছের পোনাসহ সব প্রজাতির দেশীয় মাছ নির্বিচার নিধন হচ্ছে। এটি একধরনের ‘নির্বিচার হত্যাযজ্ঞ’। এটি শুধু খাদ্যনিরাপত্তা বিপন্ন করছে না, এটি বরং জলজ উদ্ভিদ, পাখি, ব্যাঙ, কচ্ছপসহ সম্পূর্ণ জলজ বাস্তুসংস্থানকে ভয়ংকর হুমকিতে ফেলে দিয়েছে।প্রাতিষ্ঠানিক বিধি অনুযায়ী, সাড়ে চার সেন্টিমিটারের কম আয়তনের ফাঁসের জাল নিষিদ্ধ হলেও মাঠপর্যায়ে এই বিধির কোনো কার্যকর প্রয়োগ নেই। এই ব্যবস্থাপনার অভাবই ‘চায়না দুয়ারি’ জালের ক্রমবর্ধমান...
দেশীয় মাছ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ‘চায়না দুয়ারি’ জাল নিষিদ্ধের দাবিতে রাজশাহীতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন স্থানীয় জেলেরা। বরেন্দ্র অঞ্চলের নদ–নদী, খাল–বিল ও জীববৈচিত্র্য রক্ষার আহ্বান জানিয়ে তাঁরা এ কর্মসূচি পালন করেন।আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে রাজশাহীর সাহেববাজার জিরো পয়েন্টে সবুজ সংহতি ও উন্নয়ন গবেষণাপ্রতিষ্ঠান বারসিকের যৌথ উদ্যোগে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। কর্মসূচি শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার কাছে চায়না দুয়ারি জাল নিষিদ্ধের দাবিসহ পাঁচ দফা দাবি–সংবলিত স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। জেলেরা ঐতিহ্যবাহী মাছ ধরার সরঞ্জাম—খোরা জাল, পলো, চাঁই, খলই, বিনকি ইত্যাদি হাতে নিয়ে মানববন্ধনে অংশ নেন। তাঁদের ব্যানারে লেখা ছিল, ‘চায়না দুয়ারি জাল বন্ধ করো, দেশীয় মাছ রক্ষা করো।’কর্মসূচিতে বারসিকের গবেষক ও আঞ্চলিক সমন্বয়কারী মো. শহিদুল ইসলাম বরেন্দ্র অঞ্চলের জেলেদের পর্যবেক্ষণভিত্তিক একটি গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন...
চায়না দুয়ারি জাল দিয়ে মাছ ধরা বন্ধের দাবিতে রাজশাহীতে মানববন্ধন ও সমাবেশ করা হয়েছে। রবিবার (২৬ অক্টোবর) সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত রাজশাহী শহরের সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে জেলেরা এ কর্মসূচি পালন করেন। সমাবেশে বক্তারা বলেন, জলাভূমির দেশীয় মাছ ও জলজ প্রাণিবৈচিত্র্যের ওপর চায়না দুয়ারি জালের ভয়াবহ প্রভাব পড়ছে। দেশীয় মাছের প্রজনন, বৃদ্ধি এবং জেলে সম্প্রদায়ের জীবন-জীবিকা রক্ষায় এ জালসহ সব ধরনের ক্ষতিকর মাছ ধরার সরঞ্জাম দ্রুত নিষিদ্ধ করতে হবে। তারা বলেন, বাংলাদেশ মৎস্য সুরক্ষা ও সংরক্ষণ আইন, ১৯৫০ এবং মৎস্য রক্ষা ও সংরক্ষণ বিধিমালা, ১৯৮৫ অনুযায়ী চায়না দুয়ারি ও কারেন্ট জাল ইতোমধ্যেই নিষিদ্ধ। তবু, কিছু বাণিজ্যিক মৎস্যজীবী এসব জাল ব্যবহার করে নদী, খাল-বিলের দেশীয় মাছ ধ্বংস করছে এবং ঐতিহ্যবাহী জেলে সম্প্রদায়কে জীবিকার সংকটে ফেলছে। এ...
মাত্র ৭ মিনিটে প্রায় ২৬ বার ডলফিনের দেখা পেলাম। এত কম সময়ে একসঙ্গে এতবার ডলফিনের দেখা এর আগে কখনো পাইনি। খুলনা শহরের পাশ দিয়ে বয়ে চলা রূপসা নদীর শেষ মাথায় আরও দুটি নদ এসে মিলেছে। একটির নাম আতাই, অন্যটি ভৈরব নদ। এলাকাটির নাম খালিশপুর। এই তিন নদ–নদীর মিলনস্থনে ৭-১০টি ডলফিনের একটি দল আছে। যেকোনো সময় ওই মোহনায় গেলেই ডলফিনের দেখা মেলে। ছোট একটি নৌকায় বসে যেদিকেই তাকাবেন, সেদিকেই এদের দেখা মিলবে।সাধারণত প্রতিটি ডলফিন তিন থেকে পাঁচ মিনিটের মধ্যে শ্বাস নেওয়ার জন্য পানির ওপর ভেসে ওঠে। তাই ঘন ঘন ডলফিনের দেখা মেলে। এখানকার ডলফিন প্রজাতিটির নাম গ্যানজেস রিভার ডলফিন, যাকে বাংলায় বলে শুশুক। আইইউসিএনের লাল তালিকা অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী বিপন্ন প্রজাতির এই মিঠাপানির ডলফিন প্রজাতিটি এ দেশের বিভিন্ন নদীতেও দেখা যায়।খালিশপুরে গত...
মূল ফটক পেরোলেই সমান্তরাল পিচঢালা রাস্তা। পূর্ব দিকে সেটি উঠে গেছে মহামায়া হ্রদের বাঁধ পর্যন্ত। খাড়া পথ বেয়ে ওঠা ক্লান্ত পর্যটকদের মনে একসময় প্রশান্তি এনে দিত পাহাড়ঘেরা বিস্তীর্ণ মহামায়া হ্রদের টলটলে জলরাশি। মায়াবী সে দৃশ্য এখন আর দেখা যায় না।মহামায়া হ্রদের বড় অংশজুড়ে এখন চোখে পড়ে টোপাপানার চাদর আর চারপাশে ছড়িয়ে–ছিটিয়ে থাকা আবর্জনা। বাঁধের কিনারজুড়ে ঘাস ও লতাগুল্মের ঝোপ। হ্রদে ইঞ্জিনচালিত নৌকার দৌরাত্ম্য। টিকিটেও আদায় হচ্ছে বাড়তি টাকা। সব মিলিয়ে মহামায়া ইকোপার্ক এলাকায় বেড়াতে আসা পর্যটকেরা হতাশ। কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় দেশের পর্যটনের অপার সম্ভাবনাময় এ স্থান থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন পর্যটকেরা।মহামায়া হ্রদ ও ইকোপার্কের অবস্থান মিরসরাই উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নে। সেচ সম্প্রসারণের জন্য পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় ২৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে মহামায়া ছড়ার ওপর বাঁধ দিলে পাহাড়ের কোলজুড়ে ১১ বর্গকিলোমিটারের মহামায়া হ্রদ...
পদ্ম জলাভূমিতে শোভা ছড়ায়, এর ফুল মধু বিকোয়, কিছু খাদ্যমূল্যও আছে। তবে বিজ্ঞানী, উদ্ভিদবিদ ও জলবায়ুবিশেষজ্ঞরা বলছেন, বহুগুণে সমৃদ্ধ পদ্ম বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীন উদ্ভিদের একটি। বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির জন্য দায়ী কার্বন ডাই–অক্সাইড শোষণে অন্যান্য জলজ উদ্ভিদের তুলনায় পদ্ম অনেক বেশি সক্ষম।শুধু কার্বন শোষণ নয়, সিসা, তামা, ফ্লোরাইড কিংবা নাইট্রেটের মতো ভারী ধাতু শোধনের ক্ষমতাও রাখে পদ্ম। পানির মান কতটা ভালো হতে পারে, তার নির্ণায়ক পদ্ম। বৈশ্বিক নানা গবেষণায় দেখা গেছে, যে জলাশয়ে পদ্মের উপস্থিতি থাকে, সেখানে দ্রবীভূত অক্সিজেন (ডিও) ভালো থাকে। খাবার, ওষুধ ও কসমেটিক–সামগ্রী হিসেবে পদ্মের ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। পদ্মের বিশ্ববাজার এখন ২৫ হাজার কোটি টাকার বেশি।কার্বনসহ ভারী ধাতু শোধনের ক্ষমতা রাখে পদ্ম। পানির মান নির্ণায়ক পদ্ম। এর বিশ্ববাজার এখন ২৫ হাজার কোটি টাকার বেশি।কবি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর...
সম্প্রতি এক গবেষণায় ধলেশ্বরী নদীর পানি ও তলানির পাশাপাশি নদীর ছয় প্রজাতির জলজ পোকামাকড়ে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ মাইক্রোপ্লাস্টিক (এমপি) পাওয়া গেছে। এতে দেশের সামগ্রিক জলজ বাস্তুতন্ত্র নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। গবেষণায় বলা হয়েছে, যেসব পোকামাকড়ে মাইক্রোপ্লাস্টিক (এমপি) পাওয়া গেছে তারা নদীর মাছ, পাখি ও অন্যান্য প্রাণির প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ খাদ্য। ফলে এসব কণা সহজেই মানুষের খাদ্যচক্রে প্রবেশ করতে পারে। গবেষণায় ধলেশ্বরী নদীর পানি ও তলানিতেও উল্লেখযোগ্য মাত্রায় মাইক্রোপ্লাস্টিক শনাক্ত হয়েছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগ ও পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগ যৌথভাবে গবেষণাটি পরিচালনা করেছে। এতে নেতৃত্ব দেন পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মো. মোস্তাফিজুর রহমান। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন জার্নাল সায়েন্টিফিক রিপোর্টস-এ গত ৫ মে প্রকাশিত এই গবেষণাকে বাংলাদেশ থেকে এ ধরনের প্রথম কাজ বলে দাবি করা হয়েছে। সায়েন্টিফিক রিপোর্টস-এ প্রকাশিত গবেষণা প্রবন্ধের লিংক:...
‘এখানে নাহিকো কাজ—উৎসাহের ব্যথা নাই, উদ্যমের নাহিকো ভাবনা; এখানে ফুরায়ে গেছে মাথার অনেক উত্তেজনা’—এ রকম স্থানটি তখন কোনো এক অবসরের মায়াবী মুহূর্ত হয়ে ওঠে। এই স্থান একটি হাওরের এক প্রান্ত, একটি দিক; যেখানে তখন বিকেলের রোদে শেষবেলার স্নান সারছে শাপলাপাতার দল। পাতার বিশাল সবুজ চাদরের ওপর টলমলে-ছলছল করা জলের বুকে ধাতব হাসির মতো চকচক করছে রুপালি তরল রোদ। মৌলভীবাজারের রাজনগর-বালাগঞ্জ সড়ক সব সময়েই প্রকৃতির মতো করে নিজেকে বদলে নিতে পারে, ভিন্ন ভিন্নভাবে ভালো লাগার একটি পথ এটি। সড়কের দুই পাশে বারো মাসই কমবেশি বুনো জলজ ফুলের দেখা পাওয়া যায়, জলজ গাছ তো আছেই। পথটি গ্রাম পেরিয়ে যখন খোলা প্রান্তরে ঢুকে যায়, তার দুই পাশে বুক মেলে থাকে কাউয়াদীঘি হাওর, হাওরের অবারিত জল, জলভাঙা ভূমি।সবুজ গোল থালার মতো হয়ে আছে শাপলা...
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বলাকইড় বিলের এখন সৌন্দর্যের আভা ছড়াচ্ছে ফুটে থাকা রাশি রাশি পদ্ম। এসব ফুল কেবল বিলই নয়, সৌন্দর্য বাড়িয়ে তুলেছে আশপাশের প্রকৃতিরও। পদ্মের এই সৌন্দর্যের টানে প্রতিদিনই সেখানে ভিড় করছেন অসংখ্য দর্শনার্থী। ইট পাথর আর যান্ত্রিক জীবন থেকে কিছুটা সময়ের জন্য প্রকৃতির স্বাদ নিতে সৃষ্টি হয় এক মিলন মেলার। সূর্যের আভা ছাড়ানোর শুরু থেকে সন্ধ্যা অবধি পরিবার পরিজন, বন্ধু-বান্ধব আর প্রেমিক-প্রেমিকা ছোট বড় নৌকা নিয়ে ভেসে বেড়ান অপরূপ সৃষ্টি পদ্ম বিলে। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার করপাড়া ইউনিয়নের বিলবেষ্টিত গ্রাম বলাকইড়। জেলা শহর থেকে মাত্র ১২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এ বিল এরইমধ্যে ‘পদ্মবিল’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। ১৯৮৮ সালে বন্যার পর থেকে বর্ষাকালে এ বিলের অধিকাংশ জমিতেই প্রাকৃতিকভাবে পদ্মফুল জন্মে থাকে। এসময় পুরো বিল গোলাপী আর সাদা রঙের...
তিন মাসের জন্য বন্ধ থাকার পর আবারো বনজীবী ও পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে সুন্দরবন। আগামীকাল সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) থেকে বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন ভ্রমণ ও জীবিকার জন্য উন্মুক্ত হবে। বন বিভাগের নিয়ম অনুযায়ী, প্রতিবছর ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত তিন মাস সুন্দরবনে পর্যটন ও মাছ ধরা বন্ধ থাকে। এসময় বনের মাছ, কাঁকড়া ও অন্যান্য প্রজাতির প্রজননকাল হওয়ায় এ সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকে। স্থানীয় বনজীবীরা জানিয়েছেন, তিন মাস সুন্দরবন বন্ধ থাকায় এ অঞ্চলের জেলেরা চরম দুর্দশার মধ্যে রয়েছেন। তারা দীর্ঘদিন জীবিকা হারিয়ে মানবেতর জীবন কাটিয়েছেন। সুন্দরবন সংলগ্ন শরণখোলার বনজীবী মাসুম ফরাজী বলেন, “তিন মাস মাছ ধরতে না পারায় পরিবার চালাতে কষ্ট হয়েছে। ধারদেনা করে সংসার সামলাতে হয়েছে। সরকার থেকে আমরা কোনো সহায়তা পাইনি। এখন আবার বন খোলার...
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার বুড়ি পোতাজিয়া এলাকায় চলনবিলের শেষ অংশে এসে মিলিত হয়েছে শতাধিক খাল, বিল, বড়াল নদসহ অর্ধশতাধিক নদীর পানি। এসব উৎস থেকে আসা পানির সম্মিলিত প্রবাহ গিয়ে মিলিত হয় যমুনা নদীর সঙ্গে। এই পানিপ্রবাহকে বাধাগ্রস্ত করে এখানে স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণ করতে চায় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।পরিবেশ ও পানিবিশেষজ্ঞরা বলছেন, এভাবে পানিপ্রবাহের স্থানে বাধা তৈরি করে কংক্রিটের স্থাপনা নির্মাণ করা হলে সেটি একদিকে চলনবিলের জলজ বাস্তুতন্ত্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে, অন্যদিকে পানির এই শক্তিশালী প্রবাহ বাধা পেলে তা আশপাশের এলাকার জন্য জলাবদ্ধতা ও বন্যার প্রকোপ বাড়িয়ে তুলবে।সিরাজগঞ্জে অবস্থিত রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠায় আইন পাস হয় ২০১৬ সালে। ক্লাস শুরু হয় ২০১৮ সালের এপ্রিলে। এখন পাঁচটি বিভাগে পড়ছেন ১ হাজার ২০০ জন শিক্ষার্থী। এ ছাড়া শিক্ষক আছেন ৩৪ জন, কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন ১৬১ জন। সাত বছর...
হলুদ শাপলা প্রথম দেখি বলধা গার্ডেনের সাইকি অংশে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ফুলটি বিভিন্ন উদ্যান ও ব্যক্তিগত সংগ্রহে দেখা যায়। ঢাকার মিরপুরে অবস্থিত জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যান, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ উদ্যান ও জামালপুরের কাপাসহাটিয়া গ্রামের মুক্তিসংগ্রাম জাদুঘর প্রাঙ্গণে হলুদ শাপলা দেখা যায়। এই ফুল আমাদের দেশের জলাশয়ে প্রাকৃতিকভাবে জন্মায় না। এ কারণে ফুলটি নিয়ে আগ্রহেরও কমতি নেই।আমাদের জলাশয়গুলোতে বিচিত্র ধরনের শাপলাসহ অনেক জলজ ফুল ফোটে। তবে জলাশয়গুলো অপরিকল্পিতভাবে ভরাট হওয়ায় এবং দূষণের কারণে এসব ফুলের সংখ্যা কমছে। শাপলার যে প্রজাতিটি আমাদের জাতীয় ফুল হিসেবে স্বীকৃত, সে ফুলের প্রাকৃতিক আবাসও প্রতিনিয়ত সংকুচিত হচ্ছে। বিল-ঝিলে প্রাকৃতিকভাবে জন্মানো সাদা পদ্ম এখন বিরল হয়ে উঠেছে। অনেকেই শখ করে এই পদ্ম চাষ করেন। হলুদ শাপলা বা সোনালি শাপলাও একইভাবে সীমিত পরিসরে চাষ করা হয়। সাধারণত শখ...
রাস্তার ওপর পলিথিনে ছাওয়া টং ঘর। ভিতরে গরু-ছাগলের পাশে ঘুমানোর ব্যবস্থা। এক চৌকিতে থাকছে হচ্ছে পরিবারের সবাইকে। রাস্তার ওপরই মাটির চুলায় হয় রান্না। সম্প্রতি যশোরের অভয়নগর উপজেলার ডুমুরতলা গ্রামের একটি রাস্তায় এ চিত্র দেখা গেছে। জলাবদ্ধতার ৩০ দিন পার হলেও পানি না কমায় জনজীবনে নেমে এসেছে বিপর্যয়। দুর্গত লোকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যশোরের অভয়নগর, মনিরামপুর ও কেশবপুর উপজেলার ২ লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি। অনেক এলাকায় রাস্তা পানির নিচে চলে গেছে। তাদের চলাচলের মাধ্যম এখন শুধু নৌকা। অভয়নগর উপজেলার ভবানিপুর গ্রামের ভবদহ নামক স্থানে শ্রী নদীর ওপর ২১ ভেন্ট, ৯ ভেন্ট ও ৬ ভেন্টের স্লুইসগেট পাকিস্তান আমলে সবচেয়ে বড় প্রকল্প ছিল। সময়ের ব্যবধানে তা এখন বিশাল জনপদের জন্য দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দীর্ঘদিন...
ছবি: প্রথম আলো
বিশ্ববিদ্যালয় র্যাঙ্কিংয়ে পিছিয়ে পড়েছে দেশের অন্যতম উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি)। সম্প্রতি যুক্তরাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক শিক্ষা সাময়িকী টাইমস হায়ার এডুকেশন (টিএইচই) তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ‘ইমপ্যাক্ট র্যাঙ্কিং ২০২৫’ থেকে এ তথ্য জানা গেছে। প্রকাশিত ‘ইমপ্যাক্ট র্যাঙ্কিং ২০২৫’-এ দেখা গেছে, বাকৃবির অবস্থান উঠে এসেছে ১০০১ থেকে ১৫০০ এর মধ্যে। অথচ ইমপ্যাক্ট র্যাঙ্কিং ২০২২-এ বাকৃবির অবস্থান ছিল ৬০১-৮০০ এর মধ্যে। যা পরের বছর নেমে যায় ৮০১–১০০০ এ। বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে ধারাবাহিকভাবে পিছিয়ে পড়ছে দেশের এই কৃষিভিত্তিক প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয়টি। টিএইচই ওয়েবসাইটের র্যাঙ্কিং প্রতিবেদনে বলা হয়, জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অগ্রগতির ভিত্তিতে এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে। ১৩০টি দেশ ও অঞ্চলের ২,৫২৬টি বিশ্ববিদ্যালয়কে এই র্যাঙ্কিংয়ের আওতায় আনা হয়েছে। বাংলাদেশের আরো সাতটি বিশ্ববিদ্যালয় এবারের ইমপ্যাক্ট র্যাঙ্কিংয়ে...
পাখি বললেই আমাদের কল্পনায় সুন্দর ডানার উড়ন্ত প্রাণীর কথা মনে হয়। কিন্তু পৃথিবীতে এমন অনেক প্রজাতির পাখি রয়েছে, যারা উড়তে পারে না। অনেক পাখি আবার বিবর্তনের ধারায় ওড়ার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে। এসব পাখি স্থল বা জলজ পরিবেশে বিশেষভাবে অভিযোজিত হয়েছে। বর্তমানে ৬০টির বেশি প্রজাতির ডানাবিহীন পাখি পৃথিবীতে টিকে আছে, যার মধ্যে উটপাখি, এমু, কিউই, পেঙ্গুইন অন্যতম।পাখির ওড়ার ক্ষমতা না থাকার পেছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এসব পাখি এমন এলাকা বা দ্বীপে বসবাস করত, যেখানে কোনো স্থলজ শিকারি ছিল না। উড়ে উড়ে শিকারির হাত থেকে পালানোর প্রয়োজন কম ছিল বলে ওড়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলে তারা। আরেকটি বিষয় হচ্ছে, ওড়ার জন্য পাখির প্রচুর শক্তি খরচ হয়। এ জন্য ডানার পেশি ও হাড়ের বিশেষ গঠন প্রয়োজন হয়। ওড়ার প্রয়োজন ছিল...
ঈদযাত্রায় নদীপথে যাতায়াত নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব করতে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক বর্জনের লক্ষ্যে সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। ‘সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক ব্যাবহার বন্ধ করি, নদী দূষণ রোধ করে জলজ জীববৈচিত্র রক্ষা করি’-স্লোগানে বৃহস্পতিবার (৫ জুন) রাজধানীর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল এবং চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের কুমিরা ফেরিঘাটে এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। আরো পড়ুন: ‘প্লাস্টিক দূষণ রোধ করার এখনই সময়’ বাংলাদেশে এবার বিশ্বপরিবেশ দিবস পালিত হবে ২৫ জুন জনসাধারণকে সচেতন করতে মাইকিং, পরিবেশবান্ধব ব্যাগ সরবরাহ, এবং লঞ্চ ও ফেরির চালক-স্টাফদের মাঝে নির্দেশনা দেওয়া হয়। সচেতনতামূলক প্রচারে জানানো হয়, পলিথিন ও সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক নদী দূষণের অন্যতম কারণ। এগুলো নদীতে জমে...
ঈশ্বরগঞ্জ পৌর শহরের বুক চিরে বয়ে গেছে কাঁচামাটিয়া নদী। এই নদীতে পড়ছে পৌরসভার বর্জ্য। এতে ভরাট হচ্ছে নদী, দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। হুমকির মুখে পড়েছে জলজ জীববৈচিত্র্য। শুধু তা-ই নয়, পৌরসভার বর্জ্যে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ সড়কের বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠেছে ভাগাড়। বর্জ্যের উৎকট গন্ধ ও ধোঁয়ায় দিন দিন বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি। বেড়েছে মশার উপদ্রব। জানা গেছে, ২০১১ সালে প্রথম শ্রেণির পৌরসভায় উন্নীত হয় ঈশ্বরগঞ্জ। নামে প্রথম শ্রেণির হলেও কাজেকর্মে অনেক দিক থেকেই পিছিয়ে। এখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলার জন্য দীর্ঘসময়েও স্থাপিত হয়নি কোনো ডাম্পিং স্টেশন। ফলে পৌর কর্তৃপক্ষ সব বর্জ্য ফেলছে পৌর বাজার সংলগ্ন কাঁচামাটিয়া নদীতে। এ ছাড়া গৃহস্থালি ও কাঁচাবাজারের বর্জ্যগুলোও নদীর পাশাপাশি ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ সড়ক ঘেঁষে সেতুর পাশেই ফেলা হচ্ছে। শুধু ওখানেই নয়, মহাসড়ক ঘেঁষে পৌর শহরের দত্তপাড়া এলাকাতেও ফেলা হচ্ছে আবর্জনা। বৃষ্টির পানিতে এসব...
বঙ্গীয় বদ্বীপের প্রকৃতি যেন বিশেষভাবে ধরা দেয় ব্রহ্মপুত্র, গঙ্গা, তিস্তার মতো বড় নদীর মধ্য ও তীরবর্তী চরাঞ্চলে। চরাঞ্চলের বাইরের বাকি বাংলাদেশের কেন্দ্র ও প্রান্তের সংগ্রাম, সংঘাতের অভিঘাতও সেখানে উপস্থিত হয় ভিন্ন মাত্রা নিয়ে। এই প্রবণতা কেবল আজকের নয়, বরং স্বাধীন বাংলাদেশের সূচনালগ্ন কিংবা তারও আগে থেকে। যেমন বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠাকারী মুক্তিযুদ্ধকালে বঙ্গীয় বদ্বীপের চরাঞ্চলীয় প্রকৃতি আমাদের সামনে ধরা পড়ে লিখিত ও মৌখিক বর্ণনায়। তবে এ ইতিহাসচর্চায় জলপ্রকৃতিকে মানুষের তৈরি এবং রাজনৈতিক ইতিহাসের সহ-উৎপাদনশীল বাস্তবতা হিসেবে ভাবনার ঘাটতি রয়েছে। কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার প্রায় সম্পূর্ণ অংশ, ছয়টি ইউনিয়নের মধ্যে সাড়ে পাঁচটিই বর্তমানে নদীতে বিলীন। সেখানে জেগে ওঠা চরগুলোতে দশক দশক ধরে মানুষের বসতি। চরবাসীরা দেশের অন্যান্য মানুষের মতো মুক্তিযুদ্ধের বৈরী সময়ের স্মৃতি বহন করে। তবে মূলধারার ইতিহাস যেখানে ৯ মাসের গণহত্যাকে পূর্ব...
রাজশাহীর তানোরের বিলজোয়ানা ও বিলকুমারী বিল দুটি প্রাণবৈচিত্র্যে ভরপুর। সম্প্রতি সরকার বিলজোয়ানাকে বাংলাদেশের প্রথম ‘জলাভূমিনির্ভর প্রাণী অভয়ারণ্য’ ঘোষণা করেছে। ২২ মে আন্তর্জাতিক প্রাণবৈচিত্র্য দিবস উপলক্ষে আজ বুধবার বিলের ধারে উৎসবের আয়োজন করা হয়। এতে শিশুদের জলজ উদ্ভিদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া, মাছ ধরার উপকরণ চেনানো হয়। ছিল চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও আলোচনা সভা।তানোর উপজেলার গোকুল-মথুরা গ্রামের বিলপাড়ে বারসিক (বাংলাদেশ রিসোর্স সেন্টার ফর ইন্ডিজেনাস নলেজ), সবুজ সংহতি ও গোকুল-মথুরা যুব সংগঠন এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। আয়োজকেরা বলছেন, বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের বরেন্দ্র ভূমির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রাণপ্রাচুর্যময় অঞ্চল হলো তানোরের বিলজোয়ানা-বিলকুমারী। বিল দুটির একত্রে আয়তন প্রায় ৩৮৭ একর। বিলের মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে শিব নদ। এই বিলাঞ্চল শুধু মাছ বা পাখির আবাস নয়, বরং হাজারো প্রাণবৈচিত্র্যে এক সমৃদ্ধ কেন্দ্র। প্রতিবছর বর্ষাকালে বিলগুলো পানিতে পূর্ণ হয়ে...
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় মেঘনা নদীর এখলাশপুর থেকে ষাটনল পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটার এলাকায় মরে ভেসে ওঠা মাছ ও জলজ প্রাণীর পরিমাণ কমেছে। তীরে জমে থাকা মাছ ও জলজ প্রাণীও বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে ভেসে গেছে। নদীর তীরবর্তী দুর্গন্ধময় পরিবেশের উন্নতি হয়েছে। তবে মেঘনার সবুজ ও মিঠাপানির রং এখনো ঘোলাটে ও কালচে রয়ে গেছে।গতকাল সোমবার বেলা দুইটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত মেঘনার দশানী, মোহনপুর, এখলাশপুর, ষাটনল ও বাবুরবাজার এলাকায় গিয়ে এবং স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে এ চিত্র পাওয়া গেছে। এদিকে মেঘনার পানির দূষণমাত্রার পরিমাণ ও সত্যতা তদন্তে গত আগস্টে গঠিত কমিটি পানিতে অক্সিজেন ও পিএইচের মাত্রা হ্রাস এবং অ্যামোনিয়ার মাত্রা বৃদ্ধির প্রমাণ পেয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই তদন্ত কমিটির এক সদস্য।আরও পড়ুনমেঘনায় ঝাঁকে ঝাঁকে ভেসে উঠছে মরা মাছ ও জলজ...
চাঁদপুরের মতলব উত্তরে মেঘনা নদীতে তিন দিন ধরে ঝাঁকে ঝাঁকে মরা মাছ ও জলজ প্রাণী ভেসে উঠছে। গত শুক্রবার সকাল থেকে আজ রোববার সকাল পর্যন্ত উপজেলায় এখলাশপুর থেকে ষাটনল পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে নদীর তীরে বিপুল পরিমাণ মাছ ও জলজ প্রাণী মরে ভেসে উঠেছে। মরা মাছ তীরে স্তূপ হয়ে পচে-গলে চারপাশে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।ঢাকা, মুন্সিগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জের কলকারখানার বর্জ্য শীতলক্ষ্যা-বুড়িগঙ্গা নদী হয়ে মেঘনার পানিতে মিশে যাওয়ায় পানির অক্সিজেন ও পিএইচের পরিমাণ কমে যাওয়ায় মাছ মরছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় মৎস্য কর্মকর্তা। গত বছরের আগস্ট মাসেও ব্যাপকভাবে মেঘনায় মাছ ও জলজ প্রাণী মরে ভেসে উঠেছিল। নতুন করে মাছ মরে তীরে দুর্গন্ধ ছড়ানোয় স্বাস্থ্যঝুঁকিতে আছেন নদীর তীরবর্তী পাঁচ ইউনিয়নের প্রায় ১৫ হাজার বাসিন্দা।গতকাল শনিবার ও আজ রোববার সকালে উপজেলার দশানী, কলাকান্দা, মোহনপুর, এখলাশপুর,...
অগ্নিদুর্ঘটনা হইতে চট্টগ্রাম নগরীর সুরক্ষায় পৌনে দুইশত ‘ফায়ার হাইড্রেন্ট’ তথা সড়কের ধারে কৃত্রিম জলস্তম্ভ স্থাপন করা হইলেও একটিতেও পানি মিলে নাই। কবি জীবনানন্দ দাশের কবিতায় হাইড্রেন্ট খুলিয়া কুষ্ঠ রোগীর শরীর ধুইবার সৌভাগ্য হইয়াছিল বটে, কিন্তু চট্টগ্রাম নগরবাসীর এক দিনের জন্যও সেই সৌভাগ্য হয় নাই। অথচ ছয় বৎসর যাবৎ এই সকল যন্ত্র স্থাপিত হইয়াছিল নগরীর অগ্নিনিরাপত্তায়, যথায় চট্টগ্রাম ওয়াসার গচ্চা গিয়াছে চার কোটি টাকা। বুধবার সমকালে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, সহজে অগ্নিনির্বাপণে এই সকল ‘ফায়ার হাইড্রেন্ট’ স্থাপন করা হইলেও ব্যবহারের পূর্বেই অচল হইয়া পড়িয়াছে। এমনকি ফায়ার সার্ভিস অগ্নিনির্বাপণে গিয়া ঐ সকল যন্ত্র ব্যবহারের চেষ্টা করিয়াও ব্যর্থ হইয়াছে। ইহাতে স্পষ্ট, কারিগরি ত্রুটি-সংবলিত প্রকল্পটির গোড়াতেই গলদ রহিয়াছে। প্রশ্ন হইল, চট্টগ্রামে এই সকল যন্ত্র স্থাপনকালে কেন উহার যথার্থতা নিরূপণ করা হয় নাই? বিভিন্ন দেশের নমুনা...
সুন্দরবন ম্যানগ্রোভ বন। ১৯৯৬ সালে সুন্দরবনে তিনটি অভয়ারণ্য প্রতিষ্ঠা করা হয়। তিনটি ডলফিন অভয়ারণ্য তৈরি করা হয় ২০১২ সালে। ২০১৪ সালে সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ডকে মেরিন প্রটেকটেড এরিয়া ঘোষণা করা হয়। ১৯৯২ সালে এটি ৫৬০তম রামসার সাইট হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। ১৯৯৭ সালে ইউনেস্কো সুন্দরবনকে ৭৯৮তম বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে ঘোষণা করে। এই বন বাংলাদেশের মানুষের কাছে মায়ের মতো। কেননা, যখনই জলোচ্ছ্বাস হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় হয়েছে; সুন্দরবন তখনই আমাদের মায়ের মতো বুকে আগলে রেখে রক্ষা করেছে। সিডর, আইলা, রোয়ানু, বুলবুল, ফণী এবং সর্বশেষ আম্পানেও সুন্দরবন আমাদের রক্ষা করেছে। সুন্দরবনের কারণে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের গতি ৭০ কিলোমিটার কমেছে। এটি জলোচ্ছ্বাসের উচ্চতা কমিয়েছে তিন থেকে চার ফুট। অথচ ১৯৬০ সালের পর আমাদের দেশে যত ঘূর্ণিঝড় হয়েছে, তার মধ্যে আম্পান ছিল সবচেয়ে দীর্ঘ। এত দীর্ঘ হওয়ার...
পিরানহা মাছ দেশে নিষিদ্ধ। সমগোত্রের হওয়ায় পিরানহার মতো দেখতে পাকু মাছও দেশে নিষিদ্ধ করেছে সরকার।তারপরও দেশের বিভিন্ন জায়গায় এই গোত্রের মাছের চাষ হচ্ছে। বাজারে বিক্রিও হচ্ছে। দামে তুলনামূলক সস্তা হওয়ায় বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষেরা এই মাছ কিনছেন।গত শনিবার গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার গুমানিগঞ্জ ইউনিয়নের ফুলপুকুরিয়া এলাকার একটি পুকুর থেকে ২০ মণ নিষিদ্ধ পিরানহা জব্দ করা হয়। এই মাছ চাষের দায়ে পুকুরের মালিক আইয়ুব আলীকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।অভিযানের পর পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে প্রতি কেজি পিরানহা ১৫০ টাকায় বিক্রি হয়। সে হিসেবে ২০ মণের দাম দাঁড়ায় ১ লাখ ২০ হাজার টাকার মতো। জব্দ করা পিরানহা পরে উপজেলার বিভিন্ন এতিমখানা ও হাফিজিয়া মাদ্রাসায় বিতরণ করা হয়।বিভিন্ন গবেষণা প্রতিবেদনের তথ্য ও গবেষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা...
পৃথিবীতে বেশ কিছু প্রাণী খুবই অল্প সময় বাঁচে, আবার কিছু প্রাণী দীর্ঘজীবী হয়। আর তাই তো কয়েক ঘণ্টা বা কয়েক দিন বেঁচে থাকা ক্ষুদ্র পতঙ্গের পাশাপাশি শত শত বছর ধরে টিকে থাকা প্রাণীর দেখা মিলে থাকে পৃথিবীতে। বিভিন্ন প্রাণীর জীবনকাল জিনগত বৈশিষ্ট্য, পরিবেশগত প্রভাব, খাদ্যাভ্যাস, আকার, বিপাকীয় হার ও খাদ্যশৃঙ্খলের ওপর নির্ভর করে। ক্ষুদ্র প্রাণীদের মধ্যে সাধারণত স্বল্প সময়ের জীবনচক্র দেখা যায়। মেফ্লাই নামক এক ধরনের জলজ পতঙ্গের পূর্ণাঙ্গ জীবনকাল মাত্র কয়েক ঘণ্টা থেকে কয়েক দিন পর্যন্ত হয়ে থাকে। এদের শারীরিক গঠন এবং বিপাক হার দ্রুত হওয়ায় জীবনচক্রও দ্রুত শেষ হয়ে যায়। অন্যদিকে পানিতে ভাসমান লার্ভা এক বছরের মতো বাঁচতে পারে। তুলনামূলকভাবে ধীরগতির বিপাক হার এবং জটিল শারীরিক গঠন বিভিন্ন প্রাণীকে দীর্ঘ জীবন ধারণে সাহায্য করে।প্রাণীর আকারও তার জীবনকালের ওপর...
দেশে স্থানীয়ভাবে মাছের উৎপাদন ও রপ্তানি বৃদ্ধি এবং এই খাতের বিকাশে বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি বিষয়ক সংস্থার (ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশন-এফএও) ২০২২ সালের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ উন্মুক্ত জল ধারণ উৎপাদনে ৩য় এবং বৈশ্বিক জলজ চাষ উৎপাদনে ৫ম স্থান অর্জন করেছে। এই খাতে প্রায় ১৭ মিলিয়ন লোকের কর্মসংস্থান রয়েছে। তবে রপ্তানি বাড়ানোর বিপুল সম্ভাবনা সত্ত্বেও এই খাত বিকাশে বেশ কয়েকটি চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এসব চ্যালেঞ্জের মধ্যে রয়েছে-মৎস্যসহ জলজ চাষে সীমিত জায়গা ও সম্পদের সীমাবদ্ধতা, খামারীদের জলজ প্রাণীর মানসম্মত খাবার সম্পর্কে সচেতনতার অভাব ও ক্রয় ক্ষমতা না থাকা, খামার ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান না থাকা, মানসম্মত বীজের অভাব, খাদ্য নিরাপত্তা ও খামারীদের স্বাস্থ্য ঝুঁকিগুলি বিবেচনায় না নেওয়া, মাছ চাষ-পরবর্তী ক্ষতির কারণসমূহ সম্পর্কে চাষীদের অজ্ঞতা, মাছের আধুনিক সংরক্ষণাগারের...
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) লেক খনন এবং মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে পৃথক দুটি স্মারকলিপি প্রদান করেছে জাহাঙ্গীরনগর বাঁচাও আন্দোলন। বুধবার (২৩ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসানের কাছে এই স্মারকলিপি দুটি প্রদান করেন প্ল্যাটফর্মের শিক্ষার্থীরা। স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, বিগত কয়েক বছর থেকে লেকগুলো শুকিয়ে যাচ্ছে। বেশিরভাগ লেকেই পানি নেই। আর পানি না থাকায় সবচেয়ে বড় প্রভাব পড়েছে জলজ প্রাণী ও জীব-বৈচিত্রের উপর। বহু জলজ প্রাণী ইতোমধ্যে নিশ্চিহ্ন হয়েছে, উপকারী জলজ শ্যাঁওলাসহ নানা ধরনের জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণীরা ইতোমধ্যে ধ্বংস হয়েছে। কিছু লেক ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। আরো পড়ুন: জাবিতে অবিলম্বে নির্মাণ কাজ শুরুর দাবি জাবিতে যুক্ত হলো আরো চারটি ইলেকট্রিক কার্ট গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, জলাশয় নোংরা থাকার কারণে মশার প্রজনন বৃদ্ধির পাশাপাশি...
গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের নরুন গ্রামের আশেপাশের খাল-বিলগুলো যেন বিষাক্ত পানির একেকটি কারখানা। মাছ শুধু নয়, গোটা জলজ পরিবেশ আজ নিঃশ্বাস নিতে পারছে না। দূষণের মাত্রা এত ভয়াবহ যে, মনে হয় বিষ ঢাললেও এমন ক্ষতি হত না। এই দূষিত পানি ব্যবহার করে জমিতে সেচ দিলে জমির মাটি বিষাক্ত হয়ে যায়। ফলে উৎপাদনও কমে গেছে। কৃষক হারিয়েছে স্বস্তি ও সুরক্ষা। খালের আশেপাশের বাড়িঘরে এক সময়কার মনমুগ্ধকর প্রকৃতির গন্ধ এখন পাল্টে গেছে, হয়ে গেছে দুর্গন্ধ। আর দমবন্ধ করা বাতাস তো আছেই। মানুষ আর খালের পানিতে নামে না। শিশুদের খেলাধূলার স্মৃতিমাখা বর্ষার পানি আজ যেন শুধু গল্পের পাতা। এ অঞ্চলের বসতিদের শরীরে চুলকানি, চর্মরোগসহ নানা রোগের বিস্তারের সঙ্গে স্বাস্থ্যঝুঁকি বেড়েই চলেছে। আমরা গাজীপুর পরিবেশ অধিদপ্তরকে বারবার জানিয়েছি...
রাজশাহীর পদ্মা নদীজুড়ে দেখা যায় শুধু ধু-ধু বালু চর। আবাসস্থল হারিয়ে বিলুপ্তির পথে দেশীয় প্রজাতির মাছ ও জলজ প্রাণী। কিছু জায়গায় গভীর পানি থাকলেও কারেন্ট জাল ও বড়শি ফেলে নির্বিচারে চলছে মাছ নিধনযজ্ঞ। তাই শুষ্ক মৌসুমে পদ্মা নদীর কিছু অংশে জলজ প্রাণীর অভয়ারণ্য ঘোষণার পরামর্শ নদী গবেষকদের। ১৯৮০ থেকে ১৯৮৫ সালের দিকে পদ্মার গড় গভীরতা ছিল ১২ দশমিক ৮ মিটার। ২০১৫ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে গড় গভীরতা নেমে আসে ১১ দশমিক ১ মিটারে। পদ্মার গভীরতা কমায় আবাস সংকটে পড়ছে মাছ ও জলজ প্রাণী। এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান স্প্রিঙ্গার উদ্যোগে কাজ করেছেন রাজশাহীসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গবেষক। রাজশাহীর গোদাগাড়ী থেকে চারঘাটের সারদা পর্যন্ত পদ্মার ৭০ কিলোমিটার অংশ নিয়ে গবেষণাটি পরিচালিত হয়। আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান সাময়িকী বায়োডাইভারসিটি অ্যান্ড কনজারভেশনের গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা...
নদী মাতৃক বাংলাদেশের পদ্মা, মেঘনা, যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র নদ এক সময় ছিল ঘড়িয়ালের আপন ঠিকানা। বর্তমানে এই জলজ সরীসৃপ প্রাণীটি মহাবিপন্ন। প্রজনন হার কমে যাওয়ায় একপ্রকার বিলুপ্তির দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে ঘড়িয়াল। এমন সংকটময় প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো গড়ে তোলা হয়েছে ঘড়িয়ালের প্রজনন কেন্দ্র। সামাজিক বন বিভাগের রাজশাহীর পবা নার্সারির একটি পুকুরে এটি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সকালে গাজীপুর সাফারি পার্ক থেকে আনা একটি পুরুষ ও একটি নারী ঘড়িয়াল অবমুক্ত করা হয় এই প্রজনন কেন্দ্রে। ঘড়িয়াল দুইটি অবমুক্ত করেন বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক আমীর হোসাইন চৌধুরী। তিনি বলেন, “নদী দূষণ, নাব্যতা হ্রাস, অতিরিক্ত মাছ আহরণ, অবৈধ শিকার, পাচার, ডিম নষ্ট হওয়া ও খাদ্যের সংকটের কারণে ঘড়িয়ালের প্রজননে ব্যাঘাত ঘটে। এসব কারণেই আজ তারা বিলুপ্তির পথে। রাজশাহীতে দেশের...
হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণে সরকার স্থায়ী বাঁধের ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যতে বোরো ফসল উৎপাদন তীর্ব সংকটের মুখে পড়বে বলে মনে করছেন স্থানীয় কৃষকরা। একই কথা বলছেন বাঁধ উন্নয়ন প্রকল্পে সংশ্লিষ্টরা। সুনামগঞ্জের বৃহৎ বোরো ফসলি হাওর মাটিয়ান হাওর উন্নয়ন কমিটির সভাপতি বড়দল গ্রামের সিরাজুল ইসলাম জানান, প্রতিবছর বাঁধ নির্মাণে বাঁধসংলগ্ন গো-চারণভূমি থেকে মাটি নেওয়া হচ্ছে। এতে মাটির সংকট তো হচ্ছেই, গো-চারণভূমির কোনো অস্তিত্ব পর্যন্ত নেই। পাউবো প্রতিবছর একই স্থানে মাটি কাটার ফলে এমন দুরবস্থা হয়েছে। এ সমস্যা থেকে উত্তরণে তিনি জানান, প্রতিবছর পাউবো যদি স্থায়ী বাঁধের চিন্তাভাবনা করে, তাহলে আগামী ৫ বছর লাগাতার কাজ করলে হয়তো সমাধান পাওয়া যাবে। জানা যায়, সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার ছোট-বড় ২৩টি হাওরে ২০১৭ সাল থেকে ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের (পিআইসি) মাধ্যমে হাওরের কান্দা কেটে...
হবিগঞ্জে ভয়াবহ শিল্পদূষণে সুতাং নদীর পানি ও মাছে মাইক্রোপ্লাস্টিকের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এছাড়া নদীর পানির ভৌত-রাসায়নিক বৈশিষ্ট্যগুলো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক সুতাং নদীর পানি ও মাছের উপর একটি গবেষণা পরিচালনা করছেন। প্রায় এক দশক ধরে শিল্পদূষণের শিকার এই নদীর দূষণের মাত্রা নির্ধারণের জন্য গবেষকরা নদীর বিভিন্ন স্থান থেকে পানি, মাছ ও পলির নমুনা সংগ্রহ করছেন। গবেষণা প্রকল্পের প্রধান এবং পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মো. শাকির আহম্মেদ বলেন, “আমরা ইতোমধ্যে নিশ্চিত হয়েছি যে, পানি ও মাছের নমুনায় মাইক্রোপ্লাস্টিক রয়েছে। বর্তমানে ভারী ধাতুর উপস্থিতি নির্ণয়ের জন্য আরও পরীক্ষা চলছে।” গবেষক দলের সদস্য বিশ্ববিদ্যালয়ের জলজ সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক ইফতেখার আহমেদ ফাগুন বলেন, “পরীক্ষাগার বিশ্লেষণে ইতোমধ্যে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, পানি ও মাছের নমুনায় মাইক্রোপ্লাস্টিকের...
হবিগঞ্জ জেলার ঐতিহ্যবাহী সুতাং নদীতে শিল্প কারখানার কঠিন বর্জ্য প্রবেশ করায় মাইক্রোপ্লাস্টিকের অস্তিত্ব খুঁজে পেয়েছেন গবেষকেরা। এ কারণে নদীতে কোনো প্রজাতির মাছ নেই। এমনকি শামুক পর্যন্ত নেই। স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে নদীপাড়ের লোকেরা। হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগ ও জলজ সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষকদের যৌথ গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। নদীতে মাইক্রোপ্লাস্টিকের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন গবেষক ও হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক মো. শাকির আহম্মেদ। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অর্থায়নে হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সিস্টেমের মাধ্যমে গবেষণাটি পরিচালিত হচ্ছে। পাঁচ মিলিমিটারের চেয়ে ছোট প্লাস্টিকের কণাকে মাইক্রোপ্লাস্টিক বলা হয়। এই মাইক্রোপ্লাস্টিক পরিবেশ বিনষ্ট করার পাশাপাশি মানবদেহের মারাত্মক ক্ষতি সাধন করে। প্লাস্টিক পণ্য তৈরি করা কারখানাগুলো যখন তাদের শিল্পবর্জ্য পরিবেশে ফেলে দেয়, তখন...
হবিগঞ্জের সুতাং নদে মাইক্রোপ্লাস্টিকের অস্তিত্ব খুঁজে পেয়েছেন গবেষকেরা। হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগ ও জলজ সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষকদের যৌথ গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। আশপাশের হাওরগুলোতে বোরো ধান চাষে এ নদের পানি সেচকাজে ব্যবহৃত হয়। নদ ও হাওরের মাছে মাইক্রোপ্লাস্টিক প্রবেশ করছে, এ কথা বলাই যায়। এমনকি হাওরের ধানেও মাইক্রোপ্লাস্টিক থাকার আশঙ্কার কথা বলছেন গবেষকেরা।বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অর্থায়নে হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সিস্টেমের মাধ্যমে গবেষণাটি পরিচালিত হচ্ছে। পাঁচ মিলিমিটারের চেয়ে ছোট প্লাস্টিকের কণাকে মাইক্রোপ্লাস্টিক বলা হয়। এই মাইক্রোপ্লাস্টিক পরিবেশ বিনষ্ট করার পাশাপাশি মানবদেহের মারাত্মক ক্ষতি সাধন করে। প্লাস্টিক পণ্য তৈরি করা কারখানাগুলো যখন তাদের শিল্পবর্জ্য পরিবেশে ফেলে দেয়, তখন এর থেকে নির্গত কেমিক্যাল ও প্লাস্টিকের ক্ষুদ্র কণাগুলো ছড়িয়ে পড়ে চারপাশে। এসব মাটিতে মিশে যাওয়ার ফলে...
দেশের প্রকৃতি-পরিবেশের সর্বনাশ ও জলবায়ু পরিবর্তনের নানা অভিঘাতের অন্যতম কারণ নদ-নদীগুলো ধ্বংস হয়ে যাওয়া। বিশেষ করে বৈধ-অবৈধভাবে অবাধে বালু তোলার ফলে আমাদের নদীগুলোর সম্পদ তো লুট হয়েছেই, প্রাণপ্রকৃতি-জীববৈচিত্র্যও বিপন্ন হয়েছে। নদীভাঙনে অসংখ্য জনপদ বিলীন হয়েছে, লাখ লাখ মানুষ নিঃস্ব হয়েছে। অবাধে বালু তোলার ফলে সোমেশ্বরী নদীরও এমন করুণ পরিস্থিতি তৈরি হয়। আশার কথা হচ্ছে, প্রশাসনের যথাযথ পদক্ষেপের পর সেই সোমেশ্বরী পুনরায় প্রাণ ফিরে পাচ্ছে। সোমেশ্বরীর খ্যাতি ছিল তার অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর বিরল প্রজাতির মহাশোল মাছসহ বিভিন্ন জলজ প্রাণীর জন্য। ভারতের মেঘালয় রাজ্যের গারো পাহাড়ে জন্ম সোমেশ্বরীর। নিরিবিলি পাহাড়ি প্রকৃতির কোলজুড়ে এককালে ছুটে যেত স্বচ্ছ নদীটি। সেই সোমেশ্বরী নিয়ে ২০২৩ সালের ২১ অক্টোবর প্রথম আলোর প্রধান খবর ছিল—লুট হয়ে যাচ্ছে সোমেশ্বরী নদী। প্রতিবেদনের সঙ্গে প্রকাশিত ছবি আমাদের হতবাক করে দেয়। অপরূপ...
ক্যাম্পাসে প্লাস্টিক ও প্লাস্টিকজাত বোতলের ব্যবহার নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. একে ফজলুল হক ভূঁইয়া। তিনি বলেছেন, “আমি ব্যক্তিগতভাবে সবাইকে অনুরোধ জানাচ্ছি, আজ থেকে বাকৃবি ক্যাম্পাসে প্লাস্টিক ও প্লাস্টিকজাত বোতলের ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। আমি দৃঢ়ভাবে ঘোষণা করছি, আমাদের কেউ যেন ক্যাম্পাসে প্লাস্টিক বা প্লাস্টিকজাত বোতল ব্যবহার না করে। যদি কেউ এর ব্যবহার করে এবং তা গণমাধ্যমে প্রকাশ পায়, তাহলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে চিহ্নিত করা হবে।” বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বাকৃবির মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের সম্মেলন কক্ষে ‘ব্রহ্মপুত্র নদে মাইক্রোপ্লাস্টিক দূষণ: মাছ ও জলজ খাদ্য শৃঙ্খলে বিপর্যয়ের আশঙ্কা’ শীর্ষক গবেষণা প্রকল্পের ওপর আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ ঘোষণা দেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ ম্যানেজমেন্ট বিভাগে উদ্যোগে আয়োজিত এ কর্মশালায় গবেষণা প্রকল্পের বিভিন্ন দিক,...
পচা ও উচ্ছিষ্ট খাবার এবং গৃহস্থালির ময়লা-আবর্জনা স্তূপ হয়ে আছে নদীর পাড়ে। স্তূপে প্লাস্টিকের খালি বোতল থেকে শুরু করে পলিথিনসহ বিভিন্ন ধরনের অপচনশীল নানা সামগ্রী আছে। এসব বর্জ্য নদীর পানিতে পড়ে পানি দূষিত হচ্ছে। ময়লার স্তূপের পাশেই ঘাট। ঘাটে থালাবাটি পরিষ্কার করছিলেন এক গৃহবধূ। সম্প্রতি নওগাঁর ‘হৃৎপিণ্ড’ নামে পরিচিত ছোট যমুনা নদীর পারঘাটি এলাকায় গিয়ে এ দৃশ্য দেখা যায়।শুধু পারঘাটি এলাকায় নয়, নওগাঁ শহরের অন্তত ২৫টি স্থানে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, কলকারখানা ও বাসাবাড়ির বর্জ্য ফেলা হচ্ছে নদীর তীরে। এর ফলে নদীর পানি কালো হয়ে পড়েছে। আশপাশে মশা-মাছি উড়ছে। নদীতীরের বাসিন্দারা পড়েছেন দুর্ভোগে।পরিবেশ আন্দোলনের কর্মীরা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে ছোট যমুনা নদীর তীরে ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। প্রশাসন ও পৌর কর্তৃপক্ষের অবহেলা ও বাসিন্দাদের অসচেতনতার কারণে নদীটি দূষিত হচ্ছে। বর্জ্য ফেলার কার্যক্রম বন্ধ করা...
মহাশূন্য থেকে পৃথিবীর ছবি দেখে বিস্ময়, ভালোবাসায় স্তব্ধ হয়ে ওঠেনি, এমন মানুষ কম। সুনীলে সবুজে মাখামাখি স্বপ্নের ভেজা আবরণে ঘূর্ণায়মান যেন এক স্বপ্নচারী অতিকায় লাটিম আমাদের এই ধরিত্রী, বসুধা, বসুমতী, সর্বংসহা। প্রকৃতিবিজ্ঞানী জেমস লাভলকের ভাষায় ‘গায়া’। গ্রহমণ্ডলের মধ্যে একমাত্র পৃথিবীকে পশ্চিমারা নামকরণ করেনি গ্রিক দেবদেবীর নামে, যেভাবে করেছে অন্য গ্রহকে– ইউরেনাস, নেপচুন কিংবা সেটার্ন। পৃথিবীকে বলেছে আর্থ, আরবি ভাষায় আর্ধ, হিব্রুতে এরেৎজ। মানে ভূমি। মহাশূন্য থেকে দেখলে সত্যিকার রূপে দেখা যায় তার সুনীল জলজ মায়াময় ছবি। এই জলজ রূপের এক সংস্করণ আমাদের জলাভূমি নদী-নালা, হাওর-বাঁওড়। আমাদের হৃদয় যুগ যুগ ধরে সিক্ত করেছে জন্মভূমির এই জলজ রূপ। আর আমরাই আজ ধ্বংস করতে ব্যস্ত এই জলাভূমি। পৃথিবীতে গঠিত যে জীবন আমাদের রক্ত, ঘাম ও অশ্রুতে; এ যেন জলজ পৃথিবীর আরেক রূপ। যে সালোকসংশ্লেষণ...
সিলেট বন বিভাগের উদ্যোগে ও তাহিরপুর উপজেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় টাঙ্গুয়ার হাওরে ৪০ হাজার জলজ বৃক্ষ হিজল ও করচ রোপণ করেছে শিক্ষার্থীরা। জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলা, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং হাওরপারের গ্রামগুলোকে ঢেউয়ের আঘাত থেকে সুরক্ষা দিতে এ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। বুধবার টাঙ্গুয়ার হাওরের ওয়াচ টাওয়ার সংলগ্ন এলাকায় ৬৫ একর জমিতে এ বৃক্ষরোপণ ও পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশ নেয় তাহিরপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, তাহিরপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, মোয়াজ্জেমপুর উচ্চ বিদ্যালয়, বাদাঘাট পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয় এবং জয়পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থী। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির, তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবুল হাসেম এবং বিভিন্ন...
আজ বিশ্ব জলাভূমি দিবস। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পালিত হচ্ছে দিবসটি। মূলত ২ ফেব্রুয়ারি ইরানের রামসার শহরে ১৯৭১ সালে অনুষ্ঠিত হয় জলাভূমি সম্মেলন। তখন থেকেই সারাবিশ্বে জলাভূমি সম্পর্কিত সচেতনতা বাড়ানোর প্রয়াস হিসেবে পালিত হয় এ দিবসটি। জীববৈচিত্র্যের প্রাকৃতিক সমাহারের জন্য বাংলাদেশের সুন্দরবন, হাকালুকি ও টাঙ্গুয়ার হাওরকে রামসার অঞ্চল হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে অনেক আগেই। সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে বয়ে যাওয়া বিভিন্ন নদী ও খালে নানা প্রজাতির মাছ, বিশেষ প্রজাতির ডলফিন, উদ্ভিদ ও প্রাণীর সমৃদ্ধ প্রাণবৈচিত্র্য পৃথিবীর মধ্যে আলাদা জায়গা করে নিয়েছে। জালের মতো বিছিয়ে থাকা নদনদীর আশীর্বাদে প্রাকৃতিক জলাভূমির বৈচিত্র্যে ভরপুর আমাদের এই দেশ। বাংলাদেশের মানুষের জীবন-জীবিকার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে জলাভূমির অবদান। জলাভূমিগুলো ভৌগোলিক স্থানভেদে এবং গঠন প্রকৃতির কারণে হাওর, বাঁওড়, খালবিলসহ নানা নামে পরিচিত আমাদের কাছে। শুধু প্রকৃতির সৌন্দর্য বাড়ানোই...
চাঁদপুরের মতলব উত্তরে মেঘনা নদীতে দেশীয় মাছ, সাপ, ব্যাঙসহ বিভিন্ন জলজ প্রাণী মরে ভেসে উঠছে। পানির স্রোতে ও ঢেউয়ে এসব জলজ প্রাণী জড়ো হচ্ছে তীরে। এতে করে নদীর তীরবর্তী এলাকায় দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। বিনষ্ট হচ্ছে পরিবেশ। উপজেলার মেঘনা নদীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, দশানী, ষাটনল, জেলেপাড়া, বাবু বাজার, এলাকায় নদীতে পানিতে মরা মাছ ভাসছে। পানি থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। স্থানীয়রা জানায়, বুড়িগঙ্গা ও শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে গড়ে ওঠা বিভিন্ন কলকারখানার দূষিত কেমিক্যালযুক্ত পানি মেঘনা নদীর তলদেশ দিয়ে আসায় ছোট-বড় মাছ মরে ভেসে উঠছে। পচা মাছের দুর্গন্ধে নদী পাড়ের মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। উপজেলা মৎস্য বিভাগ জানায়, ঢাকা, মুন্সিগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জ জেলার নদীর পানি এখানে প্রবেশ করেছে। এক সপ্তাহ ধরে নদীর পানির রঙ বদলে যাচ্ছে। শহরের বিভিন্ন কারখানার দূষিত বর্জ্য ও...
ভৌগোলিক ও অর্থনৈতিক কারণে হাওর অঞ্চল গুরুত্বপূর্ণ। দেশের মোট আয়তনের প্রায় পাঁচ ভাগের এক ভাগ হাওর অঞ্চল। অঞ্চলটি সাতটি জেলার ৫৩ উপজেলাকে যুক্ত করেছে। হাওর কেবল প্রাকৃতিকভাবে বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত এলাকা নয়, বরং খাদ্য নিরাপত্তা, প্রাণিসম্পদ ও অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। এ ছাড়া দেশের মোট গবাদি পশুর প্রায় পাঁচ ভাগের এক ভাগ এ অঞ্চলে পালন করা হয়। এখানকার প্রাকৃতিক চারণভূমি (বাথান) ও পানির সহজলভ্যতা গবাদি পশুর প্রজনন বৃদ্ধিতে সহায়ক। গবাদি পশু দুধ, মাংস, চামড়া ও সার উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। দেশের মোট হাঁসের প্রায় ২২ শতাংশ এ অঞ্চল সরবরাহ করে। কৃষিক্ষেত্রেও হাওরের ভূমিকা অনস্বীকার্য। দেশের মোট বোরো ধানের ৬০ শতাংশ হাওর থেকে আসে। পাশাপাশি নদী, খাল, বিল এবং জলাশয় মৎস্য উৎপাদনের অভয়ারণ্য হিসেবে পরিচিত। কিন্তু কৃষিজমিতে অতিরিক্ত সার ও কীটনাশক প্রয়োগের কারণে মাছ...
‘ছোট বেলা থেকেই বাইক্কা বিলে যাওয়া আসা যাওয়া করি। একসময় কত ধরনের পাখি দেখা যেত। কত পাখির ছবি এই বাইক্কা বিল থেকে তুলেছি। কিন্তু এখন দিন দিন পাখির সংখ্যা অনেক কমে গেছে। ১০ বছর আগের সঙ্গে বর্তমানের হিসাব করলে পাখির সংখ্যা ২০ ভাগে নেমেছে। অথচ এই বাইক্কা বিলে হাজার হাজার পাখি একসময় পুরো বিল দখল করে রাখত। পাখির কলকাকলিতে মুখর থাকত বিল।’ কথাগুলো বলছিলেন বন্য প্রাণী নিয়ে কাজ করা সংগঠন স্ট্যান্ড ফর আওয়ার এনডেঞ্জার্ড ওয়াইল্ড লাইফের (সিউ) সদস্য ও ওয়াইল্ডলাইফ ফটোগ্রাফার কাজল হাজরা।মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের হাইল হাওরের বাইক্কা বিলে পাখির সংখ্যা দিন দিন কমে যাওয়ায় কথাগুলো বলছিলেন কাজল হাজরা।বাইক্কা বিল পর্যটকদের প্রিয় স্থানগুলোর একটি। এই এলাকার মূল আকর্ষণ নানা প্রজাতির নজরকাড়া পাখি। সারা বছরই পাখি দেখা গেলেও কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন...
