বলিউডের আলোচিত অভিনেত্রী উর্বশী রাউতেলা। মাঝে মাঝে ফ্যাশনেবল ও ব্যয়বহুল পোশাক পরে আলোচনার জন্ম দেন। তবে গত কয়েক মাস ধরে বিতর্ক তার পিছু ছাড়ছে না। নিজের শারীরিক সৌন্দর্যের বর্ণনা দিতে গিয়ে নেটিজেনদের বাক্যবাণে বিদ্ধ এই অভিনেত্রী।

কথার শুরুতে উর্বশী রাউতেলা বলেন, “আমরা উত্তরখণ্ডের মানুষ এমনিতেই লম্বা, ফর্সা এবং সুন্দর।”

নিজের রূপের বর্ণনা দিয়ে উর্বশী রাউতেলা বলেন, “আপনি আমার যা দেখছেন সবটাই স্বাভাবিক। এর মধ্যে কৃত্রিম কিছু নেই। আমি তো উত্তরাখণ্ডের মানুষ। জন্মের পর থেকেই এখানকার মানুষ সুন্দর। তাই কৃত্রিমভাবে কোনো কিছু দরকার পড়ে না।”

আরো পড়ুন:

৭ দিনে অজিতের সিনেমার আয় কত?

রেকর্ড গড়ল অজিতের সিনেমা

বাবার শারীরিক সৌন্দর্যের বর্ণনা করে উর্বশী রাউতেলা বলেন, “আমার বাবাকেই দেখুন। উনার উচ্চতা ৬ ফুট ৩ ইঞ্চি। ফর্সা, সুন্দর ও লম্বা। একেবারে সুপারমডেলের মতো।”

ভারতীয় সিনেমার জনপ্রিয় প্রবীণ অভিনেত্রী বৈজয়ন্তীমালার সৌন্দর্যের সঙ্গে উর্বশী তার দাদির তুলনা টেনে বলেন, “আমার দাদি বৈজয়ন্তীমালার থেকেও কম সুন্দর নন। তার বয়স এখন ৯০ বছর। এখনো তার মুখের ত্বক টানটান। আসলে জিনের উপরে অনেক কিছু নির্ভর করে।”

উর্বশীর এসব বক্তব্য ভালোভাবে গ্রহণ করেননি নেটিজেনরা। একজন লেখেন, “আপনি সবসময় নিজেকে নিয়ে এত বড়াই করেন কীভাবে!” কটাক্ষ করে আরেকজন লেখেন, “আপনি নিজের জন্য একটি লোক নিয়োগ করুন, যে আপনার এই সব নিরর্থক কথা মন দিয়ে শুনবেন।” এমন অসংখ্য মন্তব্য ভেসে বেড়াচ্ছে অন্তর্জালে।

উর্বশী অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘ডাকু মহারাজ’। গত ১২ জানুয়ারি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় তেলেগু ভাষার এই সিনেমা। এর কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন দক্ষিণী সিনেমার বরেণ্য অভিনেতা নান্দামুরি বালাকৃষ্ণা। গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র রূপায়ন করেন উর্বশী রাউতেলা। সিনেমাটির ‘দাবিডি ডিবিডি’ শিরোনামের গানে নেচে বিতর্কের মুখে পড়েন তিনি। তবে বক্স অফিসে বেশ সাড়া ফেলে সিনেমাটি।

এখন পর্যন্ত সুন্দরী প্রতিযোগিতায় সবচেয়ে বেশি বিজয়ী হওয়ার রেকর্ড রয়েছে উর্বশীর দখলে। পাশাপাশি বলিউডের ‘সিং সাব দি গ্রেট’, ‘সনম রে’, গ্রেট গ্র্যান্ড মাস্তি’, ‘হেট স্টোরি ফোর’, ‘পাগলপান্তি’ প্রভৃতি সিনেমায় অভিনয় করেছেন এই অভিনেত্রী।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র স ন দর র বর ণ

এছাড়াও পড়ুন:

৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে ফের ভারতীয় জলসীমায় গ্রেপ্তার ১৩ বাংলাদেশি

মাত্র দুইদিনের ব্যবধানে আবারো ভারতীয় জলসীমা লঙ্ঘন করার অভিযোগে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর হাতে আটক করা হয়েছে বাংলাদেশি ট্রলার। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) মায়ের দোয়া নামক ওই ট্রলারে মোট ১৩ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি বাংলাদেশি ওই ফিশিং ট্রলারটি বাজেয়াপ্ত করেছে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী।

উপকূলরক্ষী বাহিনীর তরফে সংবাদমাধ্যমকে বাংলাদেশি মৎস্যজীবীদের আটক এর ব্যাপারে কোনো তথ্য জানানো হয়নি। তবে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বাজেয়াপ্ত ট্রলার ও ১৩ জন মৎস্যজীবীকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার অন্তর্গত ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানার হাতে ইতিমধ্যেই তুলে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) তাদের আদালতে তোলা হবে। 

আরো পড়ুন:

জলবায়ু পরিবর্তনে বদলাচ্ছে রোগের চিত্র, বাড়ছে বিরল সংক্রমণ 

অজিতের পারিশ্রমিক ২৪১ কোটি টাকা!

এর আগে গত সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সুন্দরবনের ভারতীয় অংশে জলসীমা অতিক্রম করার অভিযোগে আটক করা হয় ১৯ বাংলাদেশি মৎস্যজীবিকে। ধৃত মৎসজীবীরা বাংলাদেশের বরিশাল  বিভাগের ভোলা জেলার পুরালিয়া গ্রামের বাসিন্দা। 

প্রসঙ্গত, গত জুলাই মাসের মাঝামাঝি ‘এফবি ঝড়’ এবং ‘এফবি মঙ্গলচণ্ডী ৩৮’ নামে দুটি ভারতীয় ফিশিং ট্রলারের ৩৪ জন ভারতীয় মৎস্যজীবীকে আটক করে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। পরবর্তীতে মোংলা থানার পুলিশের কাছে তাদের হস্তান্তর করা হয়। পাল্টাপাল্টি মৎস্যজীবী আটকের ঘটনায় দুই দেশের তরফেই ফের কূটনৈতিক টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। তবে মৎসজীবীদের প্রত্যর্পণের বিষয়ে দুই দেশের এখনো কোনোপ্রকার আলোচনা শুরু হয়নি বলেই দূতাবাস সূত্রের খবর।

ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ