প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ হওয়ার আগে নির্বাচন আয়োজন না করার আহ্বান জানিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। দলটি বলেছে, নির্বাচন নিয়ে যেভাবে রাজনৈতিক চাপ তৈরি করা হচ্ছে, তাতে সংস্কার বাধাগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে।

আজ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা ইউনুস আহমাদ এ কথা বলেন।

সংস্কারহীন নির্বাচন আরেকটি স্বৈরাচার প্রতিষ্ঠার সুযোগ করে দেবে মন্তব্য করে ইউনুস আহমাদ বলেন, হাসিনার মতো স্বৈরাচারেরও সূচনা হয়েছিল একটি নির্বাচনের মাধ্যমে। পতিত ফ্যাসিবাদও তিনটা নির্বাচন করেছে। তারপরও জাতিকে চব্বিশে রক্ত উৎসর্গ করতে হয়েছে। এর অর্থ নির্বাচনই সমাধান নয়।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব বলেন, দেশে হাসিনার মতো স্বৈরাচার তৈরি হয়েছিল রাজনৈতিক সংস্কৃতি, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর দুর্বলতা ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ভঙ্গুরতার কারণে। এর ফলে আগামীর বাংলাদেশে নতুন স্বৈরাচারের পথ রুদ্ধ করতে সংস্কার অপরিহার্য। সংস্কারকে বাধাগ্রস্ত করে, এমন কোনো কিছুই দেশবাসীর পক্ষে সহ্য করা সম্ভব নয়।

রাজনৈতিক চাপে সংস্কার অসম্পন্ন রেখে নির্বাচন আয়োজন করলে শত শত শহীদের রক্তের সঙ্গে গাদ্দারি করা হবে বলে মন্তব্য করেন ইউনুস আহমাদ। তিনি বলেন, সম্প্রতি নির্বাচন নিয়ে যেভাবে রাজনৈতিক চাপ তৈরি করা হচ্ছে, তাতে সংস্কার বাধাগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিরা এখনো হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছেন।

নির্বাচন নিয়ে চাপ তৈরি করা দলগুলোর প্রতি আহবান জানিয়ে ইউনুস আহমাদ বলেন, আপনার দলের নেতৃত্ব বাছাইপ্রক্রিয়ায় নির্বাচন আয়োজন করে দেখুন। তাতেই দেখা যাবে রাজনৈতিক হানাহানি ও সংহিংসতা কী তীব্র ও হিংস্র আকারে এখনো বিরাজমান। এমন বাস্তবতায় জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করে দেশকে আবার সহিংস ও হিংস্র রাজনীতির দিকে ঠেলে দেওয়ার জন্য চব্বিশে ছাত্র–জনতা রক্ত দেননি।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইউন স আহম দ র জন ত ক ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

হস্তক্ষেপ নয়, পর্যবেক্ষণ ও সহযোগিতায় বিশ্বাসী টিম ডিরেক্টর রাজ্জা

সংবাদ সম্মেলন তখন শেষ। আব্দুর রাজ্জাককে মনে করিয়ে দেওয়া হলো, ‘‘বাংলাদেশ দলের টিম ডিরেক্টর কিন্তু টসেও ইনপুট দিতেন। আপনি কি…?’’ রাজ্জাক মুখে হাসি আটকে রাখেন। এই পদে আসন্ন আয়ারল‌্যান্ড সিরিজে দায়িত্ব পাওয়া রাজ্জাক স্রেফ এতোটুকুই বলতে পারেন, ‘‘আমাদের থেকে এমন কিছু কখনোই দেখতে পারবেন না। আমরা নতুন কিছু নিয়ে ভাববো।’’ 

জাতীয় দলকে নিয়ে সেই ভাবনা থেকেই ‍আমিনুল ইসলাম বুলবুলের বোর্ড একজনকে টিম ডিরেক্টর নিয়োগ দিয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ের জাতীয় পুরুষ দলের ব‌্যর্থতার কারণে আলোচনা হচ্ছিল, ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের ওপরে একটি ছায়া বিভাগ থাকবে যারা সরাসরি জাতীয় দল পর্যবেক্ষণ করবে।

সেই ছায়া বিভাগে সাবেক ক্রিকেটাররাই থাকবেন। প্রথম টিম ডিরেক্টর হিসেবে রাজ্জাক পেলেন দায়িত্ব। কেন টিম ডিরেক্টর নিয়োগ দেওয়ার প্রয়োজন অনুভব হলো সেই প্রশ্ন করা হয় তাকে। নাজমুল হাসান বোর্ড সভাপতির দায়িত্বে থাকার সময় টিম ডিরেক্টর পদটি বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছিল। সাবেক অধিনায়ক ও বোর্ড পরিচালক খালেদ মাহমুদ এই দায়িত্ব পালন করেছেন বিশ্বকাপসহ বেশ কয়েকটি সিরিজে। দলের সঙ্গে গভীরভাবে মিশে যেতেন তিনি। টস থেকে শুরু করে টিম মিটিংয়ে দিতেন ইনপুট। যা নিয়ে পরবর্তীতে অভিযোগ করেছিলেন কোচ ও অধিনায়ক।

তবে রাজ্জাক নিজের কাজ, পরিধি এবং দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন বলেই নিশ্চিত করলেন,"অন্যান্য যে কোনো টিম ডিরেক্টরের মতোই হবে আমার কাজ। আমি সব কিছু পর্যবেক্ষণ করব, সব কিছুতে নজর রাখব। আর কখনও যদি টিম ম্যানেজমেন্ট মনে করে আমার কোনো সহযোগিতা প্রয়োজন, তাহলে সেটিও দেওয়ার চেষ্টা করব। তাদের সাহায্য প্রয়োজন হলে আমি করব।"

"ক্রিকেট বোর্ডের মনে হয়েছে, দলের সঙ্গে একজন টিম ডিরেক্টর থাকলে ভালো হবে। এই পদটি কিন্তু আগেও ছিল। অনেক দিন ধরেই ছিল। সাম্প্রতিক সময়ে বোর্ড পরিচালকের সংখ্যা কম থাকায় হয়তো দলের সঙ্গে কেউ যায়নি। তবে এর আগে প্রায় সিরিজেই দলের সঙ্গে টিম ডিরেক্টর থাকত।" - যোগ করেন তিনি।

ঢাকা/ইয়াসিন 

সম্পর্কিত নিবন্ধ