জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ভালো উইকেট চাইলেন বাংলাদেশ কোচ
Published: 18th, April 2025 GMT
বাংলাদেশ দলের কোচ ফিল সিমন্স মনে করেন, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে স্পিন বান্ধব উইকেট তৈরি না করে টেস্ট মানসম্পন্ন রাখাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তার মতে, ভালো উইকেটই দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সহায়তা করবে।
বাংলাদেশের বেশিরভাগ টেস্ট মাঠে, বিশেষ করে মিরপুরে, স্পিনারদের জন্য স্বর্গ বলা হয়ে থাকে। তবে সিলেটের উইকেটে তুলনামূলকভাবে পেসারদের জন্য বাড়তি সহায়তা থাকে। আর চট্টগ্রামে ব্যাটাররাও বেশ দাপট দেখান। ২০ এপ্রিল সিলেটে শুরু হতে যাওয়া জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্টেও তাই ভিন্ন ধরনের উইকেট চান টাইগার কোচ।
সিমন্স বলেন, ‘আমাদের পরিকল্পনা হচ্ছে একটি ভালো উইকেট তৈরি করা, যেখানে আমরা আমাদের টেস্ট দলকে এগিয়ে নিতে পারব। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আলাদা করে স্পিন উইকেট বানানোর দরকার আছে বলে মনে করি না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আজ উইকেট দেখেছি, মনে হয়েছে শক্ত এবং ভালো মানের। দেখা যাক কাল সকালে পরিস্থিতি কেমন থাকে। আমরা জয় পেতে চাই, উইকেট যেমনই হোক।’
২০২৩ সালের নভেম্বরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের পর দীর্ঘ বিরতিতে সাদা পোশাকের ক্রিকেটে ফিরছে বাংলাদেশ। এই ফাঁকে ১৩ এপ্রিল থেকে সিলেটে প্রস্তুতি শুরু করেছে শান্ত-মুমিনুল-মিরাজরা। প্রস্তুতির বিষয়েও সন্তুষ্ট সিমন্স।
তিনি বলেন, ‘প্রস্তুতি খুবই ভালো হয়েছে। এখানে যে সুযোগ-সুবিধা আছে, তা যেন স্বপ্নের মতো। হোটেল থেকে মাঠের দূরত্ব কম, সময়ের মধ্যে অনেক কিছু করা যাচ্ছে।’
সিরিজে হোয়াইটওয়াশের পরিকল্পনা থাকলেও, ফিল সিমন্স ধাপে ধাপে এগোনোর পক্ষে। ‘আমরা এখনই হোয়াইটওয়াশ নিয়ে ভাবছি না। প্রথম টেস্টটা জিততে চাই। এরপর সিরিজ জয় নিয়ে ভাবব। প্রথম দিনটা ভালো কাটাতে হবে, ধাপে ধাপে এগোতে হবে। এখন মনোযোগ সিলেটেই, চট্টগ্রার কথা পরে ভাবব।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ফ ল স মন স স মন স উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
৪২ বছর পর নিউ জিল্যান্ডের কাছে হোয়াইটওয়াশ ইংল্যান্ড
১৯৮৩ সাল আবার মনে করাল ইংল্যান্ড। নিউ জিল্যান্ডে গিয়ে সেবার ইংল্যান্ড ৩-০ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল। ৪২ বছর পর একই অভিজ্ঞতা হলো এবার তাদের।
আগেই সিরিজ নিশ্চিত করা নিউ জিল্যান্ড এবার আরো চেপে ধরেছিল ইংল্যান্ডকে। তবুও লড়াই করে ওয়েলিংটনে অতিথিরা ২২২ রানের পুঁজি পায়। হোয়াইটওয়াশের মিশনে থাকা নিউ জিল্যান্ডের ব্যাটিং তেমন ভালো হয়নি। লো স্কোরিং ম্যাচ জমে উঠে। শেষ পর্যন্ত ৪৪.৪ ওভারে হাতে ২ উইকেট রেখে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় কিউইরা। ১৯৮৩ সালের পর প্রথম নিউ জিল্যান্ড ইংল্যান্ডকে ওয়ানডেতে হোয়াইটওয়াশ করল।
টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ইংল্যান্ড চরম বিপর্যয়ে পড়ে। ৯৭ রানে ৬ উইকেট হারায় তারা। ১০২ রানে তাদের শেষ স্বীকৃত ব্যাটসম্যান জস বাটলার (৩৮) আউট হন। তখন ধারণা করা হচ্ছিল অল্পতেই গুটিয়ে যাবে সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
কিন্তু সেখানে ঢাল হয়ে দাঁড়ান ব্রাইডন চার্স ও জেমি ওভারটন। দুজন ৫৮ রানের জুটি গড়েন। যেখানে ব্রাইডন আক্রমণাত্মক ক্রিকেট উপহার দিয়ে ৪ ছক্কা ও ১ চারে ৩০ বলে ৩৬ রান করেন। ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ রানের জুটি আসে তাদের ব্যাটেই।
শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে ওভারটন আউট হন ৪১তম ওভারে। ৬২ বলে ১০ চার ও ২ ছক্কায় ৬৮ রান করেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। এর আগে জেমি স্মিথ (৫), বেন ডাকেট (৮), জো রুট (২) ও হ্যারি ব্রুক (৬) দ্রুত আউট হন। দলের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে দুই অঙ্কের ঘরে যেতে পারেন পাঁচ নম্বরে নামা জ্যাকব মিচেল। তবুও ১১ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি।
নিউ জিল্যান্ডের বোলিং ছিল নিয়ন্ত্রিত। ৬৪ রানে ৪ উইকেট নিয়ে সেরা ছিলেন ব্লায়ার টিকনার। ৩ উইকেট পেয়েছেন জ্যাকব টাফি। ২টি পেয়েছেন জ্যাক ফলকস।
জবাব দিতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৭৮ রান পায় কিউইরা। ডেভন কনওয়ে ৩৪ ও রাচীন রাভিন্দ্রা ৪৬ রান করেন। এরপর ছন্দ হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে যায় স্বাগতিকরা। কিন্তু ডার্ল মিচেলের অনবদ্য ৪৪ ও শেষ দিকে মিচেল স্টানারের ২৭ রানে নিউ জিল্যান্ড লড়াইয়ে ফেরে। শেষ দিকে জ্যাক ফলকসের ১৪ ও ব্লায়ার টিকনারের ১৮ রানে নিউ জিল্যান্ডের জয় নিশ্চিত হয়।
ইংলিশদের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন ওভারটন ও স্যাম কারান।
এই সিরিজে ইংল্যান্ডের ব্যাটিং একটুও ভালো হয়নি। প্রথম ম্যাচে ২২৩ ও দ্বিতীয়টিতে ১৭৫ রানে গুটিয়ে যায়। নিউ জিল্যান্ড জয় পায় যথাক্রমে ৪ ও ৫ উইকেটে। শেষ ম্যাচে খানিকটা প্রতিদ্বন্দ্বীতা গড়লেও হোয়াইটওয়াশ এড়াতে পারেনি ইংল্যান্ড।
বল হাতে ৪ উইকেট ও ব্যাটিংয়ে ১৮ রান করে ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হন টিকনার। ১৭৮ রান করে সিরিজ সেরা ডার্ল মিচেল।
ঢাকা/ইয়াসিন