Samakal:
2025-05-01@11:46:40 GMT

ছড়া কবিতা

Published: 18th, April 2025 GMT

ছড়া কবিতা

ফা রু ক  ন ও য়া জ 
বৃথাই খুঁজে ফেরা

চাঁদের বাটি উথলে পড়া আলোয় আমি 
জোছনারাতের চাঁদদিঘিটা খুঁজি
বুঝি আমি, ভালো করেই বুঝি
সেই দিঘিটা পাবো না আর যতোই খুঁজি তারে 
আলোর দিঘি হারিয়ে গেছে কালের অন্ধকারে।

জলথইথই ঢেউয়ের দোলা ছোট্টো নদী 
সাঁঝ-অবধি মন নাচাতো আমার
পাড়ের ওপর শস্যঝাড়া খামার
খামারঘেঁষা মৈঠালি পথ খুঁজে বেড়াই আমি
বৃথাই খোঁজা; খোঁজার নেশা মিছে এ পাগলামি! 

ক্যাঁচক্যাঁচানো গরুর গাড়ি মাটির পথে 
হাটের দিনে কড়কড়ানো দুপুর
মাঝ-আকাশে সূর্য তখন উপুড় 
পথের পাশে বটের ঝুড়ি দুলদুলুনি খেলা 
হারানো সেই গাঁয়ের ছবি খুঁজতে ফুরোয় বেলা।

হাঁটতে হাঁটতে থমকে যাওয়া দখিনবনের
ঘুঘুর ঘু-ঘু মনউচাটন ডাকে 
পরান কেমন উদাস হয়ে থাকে
হন্যে হয়ে সেই উদাসী দিনকে খুঁজি শুধু
বৃথাই খোঁজা; নিরাশ হয়ে মনটা করে ধু-ধু!   

 

অ ঞ্জ ন  মে হে দী  
বাবার ছবি

আকাশ পানে তাকিয়ে থাকি দূরের ছায়াপথে
দু’হাত তুলে ডাকি যখন বাবা তোমার নামে
দিদুন বলে বাবা নাকি দূরের কোনো তারা
সত্যি কি তাই? চিঠি পাঠাই জানতে সবুজ খামে! 

জোনাক জ্বলা রাতের বেলা যখন গোটা পাড়া- 
ঘুমিয়ে থাকে চুপটি করে পুতুল মণির মত
মায়ের চোখে সাগর-নদী-ঝর্ণা জলের ধারা
জায়নামাজের উদার জমিন ভিজছে অবিরত।

ছোট্টবেলায় হোঁচট খেলে কিংবা জ্বরের ঘোরে
যখন আমি ঘুমের দেশে ভীষণ কেঁপে উঠি
সেই দিনরাত মায়ের মতো আমার কপাল ভূমি
স্নেহমাখা তোমার আঙুল করতো লুটোপুটি!

তোমার কাছে প্রথম শিখি বর্ণমালা পড়া
চাঁদের দেশে চাঁদের বুড়ির গল্পটা ফিসফিস  
তোমার নামে রাত পোহালে আবার রূপোর ভোরে
সজনে ডালে দোয়েল পাখি আজও বাজায় শিস।

কোন দুয়ারে তোমায় ডাকি, কোন পথে যে খুঁজি?
বাবা ছাড়া বিশ্বভূবন সত্যি লাগে ফাঁকা
রইলো পড়ে তোমার সকল চশমা হাতের ঘড়ি
বুকের ভাঁজে সোনা রঙে তোমার ছবি আঁকা।

 

আ খ তা রু ল  ই স লা ম  
বিশাল আকাশ

আমাদের আছে বিশাল আকাশ আকাশের বুকে তারা 
তারারা আমার খুব প্রিয় তাই, হই আমি দিশেহারা।
আকাশের গায়ে নীলের চাদরে মেঘদের ছবি আঁকা
মেঘ মেদুরের ছবিগুলো কত রঙবেরঙের মাখা।

মেঘেরা আমার কবিতার কথা পৃথিবীটা যেন ঘুরে
সীমানা পেরিয়ে ছুটে চলে ওই হাওয়ার রোদ্দুরে।
আকাশটা কত ছায়া মায়া দেয়, দেয় ভালোবাসা সুখ
গ্রহ নক্ষত্র হাতছানি দেয় হই আমি উন্মুখ।

সাদা কালো কত স্বপ্নেরা ডাকে, ডাকে যে পাহাড় নদী
সময়ের স্রোতে ঘুরে ফিরে আসে হারায় নিরবধি।
মেঘে মেঘে আমি খুঁজি যেন ওই আকাশের বিশালতা
মনটা তখন মন থাকে না রে পাই কত স্বাধীনতা।

কখনো কখনো কালো মেঘে ছেয়ে নীরবে আকাশ কাঁদে
নীল কষ্টের বৃষ্টির জলে মাটিতে মিতালি বাঁধে।  
ঝলমলে রূপ সোনালি আকাশে মেঘরোদ্দুরে খেলা
আমাকে শেখায় দুখেতে হাসতে ঝরঝরে সারাবেলা।

আমার আকাশ পৃথিবী জুড়েই দিচ্ছে বিশাল ছাতা
ছাতার ভেতরে আমরা মানুষ রেখেছি সবার মাথা!
 

 

মা লে ক  মা হ মু দ 
আমের ছড়া 

রাত হলো নিঝুম 
চোখ জুড়ে আয় ঘুম
ঝড় নেই নেই ঝড়
গাছে আম পাকছে
পাখিরাও আম খেতে
একে ওকে ডাকছে
ধুপ ধুপ পড়ে আম
যেই কানে শুনছি
তাড়াতাড়ি ভোর হও
প্রহর তো গুনছি!


দুই.

আয় ঝড় আয় রে
মন ছুটে যায় রে
জোরে তুলি হাই রে
আম খেতে চাই রে
গাছতলা দাঁড়িয়ে
ভাবনাটা নাড়িয়ে 
আছি হাত বাড়িয়ে 
তাড়াতাড়ি আয় ঝড় 
আম পড় আম পড়!

 

প্র জী ৎ  ঘো ষ 
গাজার শিশু

আমরা যারা গাজার শিশু
কাঁদি অনাহারে;
বিশ্ব বিবেক আবেগ দিয়ে 
সইতে কি তা পারে?

আমরা যারা গাজার শিশু
উঠছি ভয়ে কেঁপে;
বিশ্ব বিবেক কম্পিত কি 
সেই তরঙ্গ মেপে?

আমরা যারা গাজার শিশু
হচ্ছি গুলিবিদ্ধ;
এই ঘটনায় কারো হৃদয়
হচ্ছে না কি ঋদ্ধ?

আমরা যারা গাজার শিশু
এতিম অভাজন;
কে দেখাবে পথ আমাদের 
কে বা ইশান কোণ? 

আমরা যারা গাজার শিশু
চিকিৎসাহীন প্রাণ;
কে শোনাবে মানবতার
সুস্থ করার গান?

আমরা যারা গাজার শিশু
বোমার সাথে খেলি;
চিনি না কি জুঁই চামেলী
চিনি না রোজ, বেলী।

আমরা যারা গাজার শিশু
নিরুপায় নির্বাক;
বিশ্ব বিবেক জাগ্রত হোক 
এ খেলা মুক্তিপাক।

কোন্ কারণে এই বলিদান 
কোন্ কারণে ধ্বংস;
কোন্ কারণে হৃদয় কাঁদে 
যায় উড়ে বুনো হংস।

আমরা যারা গাজার শিশু
হে খোদা! দয়াময়;
আমাদের তুমি রক্ষা করো
তোমারই হবে জয়।

আমরা যারা গাজার শিশু
অবুঝ কচি প্রাণ;
মাতৃভূমির তরে জীবন 
যাচ্ছি করে দান।

আমরা যারা গাজার শিশু
আর যতক্ষণ বাঁচি;
এই চিৎকার, এই হাহাকার
পৌঁছাক কাছাকাছি।
 

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ইসলামী শ্রম আইন বাস্তবায়নের দাবি

শ্রমিক সমা‌জের মু‌ক্তির জন‌্য ইসলামী শ্রমনী‌তি প্রণয়ন ও বাস্তবায়‌নের দা‌বিতে রাজধানীসহ দে‌শের বি‌ভিন্ন স্থা‌নে র‌্যালি, আলোচনা সভা ও সমা‌বেশ ক‌রে‌ছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও এর সহ‌যোগী সংগঠনগু‌লো।

মহান মে দিবস উপল‌ক্ষে বৃহস্প‌তিবার (১ মে) সকাল থে‌কে এসব কর্মসূচি পালন ক‌রা হয়।

গাজীপুরে শ্রমিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেছেন, ইসলামী শ্রমনীতি ছাড়া যে শ্রমিকের মুক্তি সম্ভব না, তা আজ প্রমাণিত। স্বাধীনতার এতগুলো বছর পরও বিদ্যমান শ্রম নীতিমালাই বাস্তবায়ন করা যায়নি। দেশের অর্থনীতির আকার বড় হয়েছে, জিডিপির আকার বড় হয়েছে, কিন্তু শ্রমিকের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি। টাকার অংকে শ্রমিকের বেতন বাড়লেও মূল্যস্ফীতির কারণে প্রকৃত মজুরি বরং আরো কমেছে। এই বাস্তবতায় রাষ্ট্র পরিচালনায় ইসলামকে ভিত্তি বানাতে না পারলে শ্রমিকের ভাগ্য কোনোদিনই পরিবর্তন হবে না।

ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা খলিলুর রহমান নোয়াখালীর সেনবাগে তার নির্বাচনি এলাকায় শ্রমিক-জনতা সমাবেশে বলেছেন, ইসলামী শ্রম আইন বাস্তবায়নে সামগ্রিক আন্দোলন করা ছাড়া শ্রমিকের সামনে আর কোনো পথ নেই। ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন সে পথেই হাঁটবে।

তি‌নি বলেন, আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস কেবল একটি দিন নয়, বরং শ্রমজীবী মানুষের অধিকার, মর্যাদা ও ন্যায্যতার প্রতীক। ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ শুরু থেকেই এ চেতনাকে ধারণ করে শ্রমজীবী জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। এবারের দিবস উপলক্ষে দেশব্যাপী যে উদ্দীপনা ও অংশগ্রহণ আমরা দেখেছি, তা অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক ও অনুপ্রেরণাদায়ক।

মে দিবসে ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, জামালপুর, নেত্রকোনা, শেরপুর, কিশোরগঞ্জ, নরসিংদী, রাজবাড়ী, মানিকগঞ্জ, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, খুলনা, যশোর, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, নড়াইল, বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা, বরগুনা, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, নোয়াখালী, ফেনী, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, রাজশাহী, নওগাঁ, নাটোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, পাবনা, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, জয়পুরহাট, রংপুর, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, নীলফামারী, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, মাগুরা, মেঘনাঘাটসহ সাংগঠনিক জেলাগুলো সভা-সমা‌বে‌শ ক‌রে‌ছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ