অনেকেরই হজমের সমস্যা আছে। হালকা খাবার খেলেও তারা হজম করতে পারেন না । যারা এ ধরনের সমস্যায় ভুগছেন তারা কিছু টিপস মেনে চলতে পারেন। এর পাশাপাশি কিছু খাবার খেলেও হজমের সমস্যা কমবে। 

হজমের সমস্যা কমাতে কী করবেন 
প্রাণায়ম : প্রতিদিন প্রাণায়াম করার চেষ্টা করুন। এতে হজম ক্ষমতা ভালো থাকে। অন্ত্রে অক্সিজেন পৌঁছাবে। এতে হজম শক্তি বাড়ে এবং হজমের কোনও সমস্যা থাকলে তা কমে যাবে। 

আদা চা: আদা চা খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভালো। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পেটের সমস্যা কমাবে, এমনকি হজম ক্ষমতাও বাড়াবে। 

এই সময়ে ভারী খাবার খাবেনন না: দুপুর বারোটা থেকে দুইটার মধ্যে ভারী খাবার খাবেন। এরপর ভারী খাবার খাবেন না। এতে আপনার হজমশক্তি কমতে থাকবে। খাবার ভালো হজম করতে পারবেন না। রাতের দিকে অবশ্যই সুষম খাবার খাওয়ার চেষ্টা করবেন। অবশ্যই হালকা খাবার খাবেন।

পুদিনা পাতার চা : খাবারের পর পুদিনা পাতার চা খান। এতে শরীর সুস্থ থাকে। হজমের যেকোনও সমস্যা কমে। পুদিনা চা খেলে পরিপাকতন্ত্র ভালো থাকবে। পেট ফাঁপা, গ্যাস, হজমের সমস্যা, বদহজমের সমস্যা কমবে, শরীর সুস্থ থাকবে। 

তাড়াতাড়ি খাবেন না: কোনও খাবার তাড়াতাড়ি খাবেন না। এতে আপনার ওজন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হজম ক্ষমতাও কমতে থাকবে। যখনই খাবার খান ধীরে ধীরে খাবেন । তবে চিবিয়ে খাবার চেষ্টা করুন। এতে খাবার ভালোভাবে হজম করতে পারবেন। 

কোন খাবার খেলে হজমশক্তি বাড়বে-

দই : দই খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভালো। প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ এই খাবার হজম ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। পেটের কোনো সমস্যা থাকলেও কমে।

আদা :  আদা আদাতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য থাকে, তাই আদা খেলে আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কমবে।

কলা: কলাতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। যা আপনার অন্ত্র ভালো রাখতে সহায়তা করে। এমনকি অন্ত্র ভালো রাখতেও প্রতিদিন কলা খেতে পারেন। 

মৌরি বীজ: মৌরি বীজ খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হজম ক্ষমতা বাড়াবে।

ওটস: হজমের সমস্যা কমাতে ওটস খেতে পারেন। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকায় এটি অন্ত্রের সমস্যা কমানোর পাশাপাশি গ্যাস, অম্বলের সমস্যাও কমায়। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: হজম র সমস য হজম র সমস য হজম ক ষমত অন ত র আপন র

এছাড়াও পড়ুন:

ভুলে সীমানায় পা, বিএসএফ সদস্যকে আটক করল পাকিস্তান

ভুলক্রমে সীমানায় ঢুকে পড়ায় পাকিস্তানি রেঞ্জারদের হাতে আটক হয়েছেন ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্য পুর্নমকুমার সাউ। ঘটনার পর পাকিস্তানের সঙ্গে তিনবার পতাকা বৈঠকে বসলেও বিষয়টির কোনো সুরাহা হয়নি। এমনকি বিএসএফের অনুরোধেও কর্ণপাত করছে না পাকিস্তান। এমন পরিস্থিতিতে কলকাতা থেকে পঠানকোট বিএসএফ দপ্তরে স্বামীর সর্বশেষ খবর জানিত ছুটে গেছেন পুর্নমের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ও পরিবার। 

ভারতের জম্মু-কাশ্মীরে পেহেলগাও সন্ত্রাসবাদী হামলা নিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের চলমান উত্তেজনার মধ্যেই মঙ্গলবার ভুল করে পাকিস্তানের সীমানায় ঢুকে আটক হন বিএসএফ সদস্য পুর্নমকুমার সাউ। পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার রিষড়া পৌরসভার ১৩ নাম্বার ওয়ার্ডের বাসিন্দা তিনি। পুর্নম পাঠানকোটের ফিরোজপুর বর্ডারে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি চব্বিশ ব্যাটেলিয়ানের বিএসএফ কনস্টেবল। 

বিএসএফ সূত্রে জানা যায়, দায়িত্ব পালনকালে কড়া রোদে ক্লান্ত হয়ে পড়লে গাছের নিচে আশ্রয় নেন পুর্নম। এ সময় তিনি ভুল করে বর্ডার পেরিয়ে গেলে পাকিস্তান রেঞ্জার্সের হাতে আটক হন। এ দিকে ঘটনার পর তিনবার পাকিস্তানি রেঞ্জারদের সঙ্গে পতাকা বৈঠক করেছে বিএসএফ। কিন্তু তারা পুর্নমকুমার সাউকে ফিরিয়ে দেয়নি। 

স্বামীর এমন দুঃসংবাদে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী রজনী। শেষবার হোলির সময় ছুটিতে বাড়ি গিয়েছিলেন পুর্নম। গত ৩১ মার্চ কাজে যোগ দেন তিনি।  

পুর্নমের বাবা ভোলানাথ সাউ জানান, ছেলেকে নিয়ে তিনি খুবই চিন্তিত। কোনো খবর পাচ্ছেন না। বিএসএফ কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে তিনি কথা বলার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন। তারা মিটিংয়ে ব্যস্ত রয়েছেন বলে তাকে জানানো হয়েছে। তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের কাছে ছেলেকে মুক্ত করে ফিরিয়ে নিয়ে আসার আবেদন জানিয়েছেন। 

সীমান্তরক্ষীদের ভুল করে নিয়ন্ত্রণরেখা পার হওয়ার ঘটনা নতুন নয়। এ ক্ষেত্রে দুই বাহিনীর বৈঠকের পরে তাদের মুক্তিও দেওয়া হয়। কিন্তু বর্তমান সীমান্ত পরিস্থিতি ভিন্ন। পাক রেঞ্জার্সের পক্ষ থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ ছাড়া মুক্তি দেওয়া সম্ভব নয়। গত শুক্রবার পর্যন্ত এই ইস্যুতে তিনবার পতাকা বৈঠকে বসেছেন বিএসএফ এবং পাক রেঞ্জার্সের প্রতিনিধি দল। কিন্তু মিমাংসা হয়নি।   

এরপরই রবিবার পুর্নমের বাড়ি যান বিএসএফের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। তারা পুর্নমকে মুক্ত করে ফিরিয়ে আনার আশ্বাস দেন। যদিও মৌখিক কথায় আর ভরসা রাখতে রাজি নন রজনী। এ কারণে তিনি পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আজ সোমবার পাঠানকোটের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। সেখানে তথ্য না পেলে দিল্লি গিয়ে স্বামীর খবর জানতে চাইবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। 

বিএসএফের পরিচালক জেনারেল দলজিৎ চৌধুরী জানিয়েছেন ঘটনার পরে ভারত-পাক নিয়ন্ত্রণরেখায় উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পুর্নমকুমার সাউকে ফিরিয়ে আনতে সব রকমের চেষ্টা চলছে। এমনকি পাকিস্তানি রেঞ্জারদের সঙ্গে কমান্ডার স্তরে বৈঠকের অনুরোধ জানানো হয়েছে বলেও জানান তিনি। 

সুচরিতা/তারা

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘একদিন দেখি পশুরমতো ঘরের কোণে বসে কাঁপছে ববি’
  • বিশ্বনেতাদের সতর্ক দৃষ্টির সামনেই ঘটছে গণহত্যা
  • প্রত্যন্ত গ্রামে ক্লিনিক খুলে ‘এমবিবিএস ডাক্তার’ পরিচয়ে চিকিৎসা, এক বছরের কারাদণ্ড
  • ‘শি জিনপিং ফোন করেছিলেন’ ট্রাম্পের এমন দাবি প্রত্যাখ্যান চীনের
  • শি জিনপিং ফোন করেছিলেন, ট্রাম্পের এমন দাবি প্রত্যাখ্যান চীনের
  • ভুলে সীমানায় পা, বিএসএফ সদস্যকে আটক করল পাকিস্তান