2025-05-01@08:33:43 GMT
إجمالي نتائج البحث: 23
«হজম র সমস য»:
এক সময় মানুষ প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি বাসনপত্রে রান্না করত। পানি সংরক্ষণের জন্যও ব্যবহার করা হতো মাটির পাত্র। এ অভ্যাস তৎকালীন প্রজন্মকে সুস্থ জীবনযাপনে সাহায্য করত। সময়ের বিবর্তনে আবারও ফিরে এসেছে সেই চল। অনেকে আজকাল পানি সংরক্ষণের জন্য মাটির ফিল্টার ও জগ ব্যবহার করছেন। অনেকে আবার পানি খাওয়ার জন্য ব্যবহার করছেন মাটির মগ বা গ্লাস। মাটির পাত্রে রাখা পানি পানে নানা ধরনের উপকারিতা রয়েছে। যেমন– প্রাকৃতিকভাবে পানি ঠান্ডা রাখে মাটির পাত্রে রাখা পানি প্রাকৃতিকভাবে ঠান্ডা থাকে। এ গরমে বাইরে থেকে ফিরে ফ্রিজের ঠান্ডা পানি না খেয়ে এ পাত্রে রাখা পানি পান করুন। এতে শরীর শীতল হবে। হজম শক্তিকে উন্নত করে মাটির পাত্রে পানি রেখে পান করলে হজম শক্তি উন্নত হয়। মাটিতে থাকা ক্ষার পানির অম্লতা নিরপেক্ষ করে, যা স্বাস্থ্যের জন্য...
শরীরকে পানিশূন্য হতে দেবেন না গরমে পেটের পীড়া তৈরির পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে পানিশূন্যতা। গ্রীষ্মকালে প্রয়োজনের তুলনায় যেমন বেশি পানি খাওয়া হয়, তেমনি তা দ্রুত ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে বেরিয়েও যায়। যে কারণে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি পানি খাওয়া প্রয়োজন। পর্যাপ্ত পানির অভাবে খাবারও ঠিকঠাক হজম হয় না। তৈরি হতে পারে কোষ্টকাঠিন্য ও অ্যাসিডিটি। অতিরিক্ত ঠান্ডা খাবার ও পানীয় খাবেন নাগরমে ঠান্ডা পানি ও খাবারের লোভ সামলানো দায়। বাইরে থেকে এসে আইসক্রিম, ঠান্ডা পানি কিংবা জুস দেখলেই অনেকে ঝাঁপিয়ে পড়েন। কিন্তু এমন সময় ঠান্ডা খাবার ও পানীয় হজমে সমস্যা তৈরি করতে পারে। আরও পড়ুনঠান্ডা-কাশি হলে কি টুথব্রাশ বদলানো জরুরি১০ এপ্রিল ২০২৫বাইরের খাবার বাদ দিনগরমকালে রাস্তার পাশে দেখা যায় শরবত, জুস কিংবা কুলফি মালাইয়ের দোকান। কিন্তু অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বানানো এ ধরনের...
গ্রীষ্মের মৌসুমী ফল তরমুজ খুবই পুষ্টিকর একটি ফল। এই ফলে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত পানি থাকে, যা সরাসরি ডিহাইড্রেশন থেকে শরীরকে রক্ষা করে। গ্রীষ্মে প্রতিদিন তরমুজ খেলে শরীর ডিহাইড্রেটেড হয় না এবং মাথা ঘোরা বা দুর্বলতার সম্ভাবনাও কমে। নিয়মিত এই ফল খেলে পেটে গ্যাস, অ্যাসিডিটি, কোষ্ঠকাঠিন্য বা বদহজমের মতো সমস্যা কমে। বিভিন্ন সময়ে তরমুজ খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। অনেকেরই প্রশ্ন তরমুজ কি খাবার খাওয়ার আগে না পরে খাওয়া উচিত? তরমুজ খাওয়ার সঠিক সময় কোনটি? সকাল তরমুজ খাওয়ার সবচেয়ে ভালো সময়। খালি পেটে নাশতায় এই ফল খেলে অনেক উপকারিতা পাওয়া যায়। দুপুরের খাবারের ১ ঘন্টা আগেও তরমুজ খাওয়া যেতে পারে। এটি হজম ব্যবস্থা উন্নত করে। এর ফলে গ্যাস এবং অ্যাসিডিটির সমস্যা প্রতিরোধ হয়। ব্যায়ামের পরেও তরমুজ খাওয়া যেতে পারে। এটি শরীরে ইলেক্ট্রোলাইট...
বেশিরভাগ মানুষই সকালবেলা চা বা কফি দিয়ে তাদের দিন শুরু করেন। তাদের ভাষায়, সকালে এক কাপ চা-কফি না খেলে ঘুম ঘুম বা ক্লান্তি ভাব কাটে না। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে চা-কফি খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য একদমই ভালো নয়। যদি শরীর সুস্থ রাখতে চান কিংবা হজম ক্ষমতা বাড়াতে চান তাহলে চা, কফি নয় বরং লেবু, হলুদ আর পানি দিয়ে তৈরি পানীয় দিয়ে দিন শুরু করতে পারেন। এতে শরীর খুব ভালো থাকবে। এই পানীয়টি খেলে আরও যেসব উপকারিতা পাবেন- রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ায় লেবু আর হলুদের পানীয় রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ায়। হলুদে থাকা প্রচুর পরিমাণে কারকিউমিন এবং লেবুতে থাকা ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতাকে বাড়াতে সাহায্য করে। হজম ক্ষমতা বাড়ায় সকালে লেবু, হলুদের পানি খেলে হজম শক্তি বাড়বে।...
নিয়মিত হাঁটা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এটা সবচেয়ে কার্যকরী এবং সহজ শরীরচর্চার মধ্যে অন্যতম। দিনে নির্দিষ্ট সময় মেনে হাঁটলে শরীরের অনেক ধরনের সমস্যা কমে। বিশেষ করে নিয়মিত হাঁটার মাধ্যমে ওজন ঝরানো, উৎকণ্ঠা কমানো, হৃদরোগের ঝুঁকি কমানো বা হজম প্রক্রিয়া উন্নত করা সম্ভব। কেউ কেউ খাওয়াদাওয়ার পর হাঁটেন, কেউ বা খালি পেটে। ভরা পেটে না কি খালি পেটে হাঁটা বেশি উপকারী তা নিয়ে অনেকেরই প্রশ্ন আছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, দুভাবে হাঁটলেই ক্যালরি পোড়ে। এর ফলে ওজনও কমে। তার পরও তুলনামুলকভাবে কোনটা উপকারী তা জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। ভারতীয় পুষ্টিবিদ ফারেহা শনমের ভাষায়, যারা কেবল ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন, তাদের খালি পেটে হাঁটা উচিত। এটিকে ‘ফাস্টিং কার্ডিয়ো’বলা হয়। খালি পেটে হাঁটা খালি পেটে হাঁটলে খাবার থেকে প্রয়োজনীয় শক্তি বা গ্লুকোজ় পায় না শরীর। তাই বাধ্য...
অনেকেরই হজমের সমস্যা আছে। হালকা খাবার খেলেও তারা হজম করতে পারেন না । যারা এ ধরনের সমস্যায় ভুগছেন তারা কিছু টিপস মেনে চলতে পারেন। এর পাশাপাশি কিছু খাবার খেলেও হজমের সমস্যা কমবে। হজমের সমস্যা কমাতে কী করবেন প্রাণায়ম : প্রতিদিন প্রাণায়াম করার চেষ্টা করুন। এতে হজম ক্ষমতা ভালো থাকে। অন্ত্রে অক্সিজেন পৌঁছাবে। এতে হজম শক্তি বাড়ে এবং হজমের কোনও সমস্যা থাকলে তা কমে যাবে। আদা চা: আদা চা খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভালো। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পেটের সমস্যা কমাবে, এমনকি হজম ক্ষমতাও বাড়াবে। এই সময়ে ভারী খাবার খাবেনন না: দুপুর বারোটা থেকে দুইটার মধ্যে ভারী খাবার খাবেন। এরপর ভারী খাবার খাবেন না। এতে আপনার হজমশক্তি কমতে থাকবে। খাবার ভালো হজম করতে পারবেন না। রাতের দিকে অবশ্যই সুষম খাবার খাওয়ার চেষ্টা করবেন। অবশ্যই...
ছবি: প্রথম আলো
ঈদে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় বাড়তি খাবার গ্রহণ করার প্রবণতা বাড়ে। দেখা যায় যে, ভারী খাবার গ্রহণের পরেই হয়তো ফল খাওয়া হচ্ছে, এতে হজমে সমস্যা তৈরি হতে পারে। আবার বাড়তি খাবার গ্রহণ করলে বাড়তি ঘুমও আসতে পারে। খাবার গ্রহণের পরপর ঘুমিয়ে পড়লেও হজমে সমস্যা তৈরি হয়। সুস্থ্যতা বজায় রাখার জন্য পরিমিত খাবার গ্রহণের পাশাপাশি মানতে হবে আরও পাঁচ নিয়ম। ভারি খাবার খেয়ে ফল খাবেন না: বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভরা পেটে কখনোই ফল খাওয়া ঠিক নয়। বরং খালি পেটে ফল খাওয়া ভালো। এতে ফলের খাদ্যগুণ আমাদের শরীর সহজে শোষণ কর হয়। ফল খেতে হলে ভারী খাবার গ্রহনের আগে খান। কারণ খাবার খেয়েই ফল খেলে হজমের সমস্যাও দেখা দেয়। খাওয়ার পরপরই ঘুমাবেন না: খাওয়ার পরে শরীর নেতিয়ে পড়ে, ঘুম আসে। অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ...
বসন্ত শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাজারে দেখা মিলছে সজনে ডাঁটার। এই সবজিতে থাকা প্রোটিন, ফ্যাট, ভিটামিন, ক্যালশিয়াম, কার্বোহাইড্রেট, কপার, ফসফরাসসহ থাকা বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান শরীরের জন্য খুবই উপকারী। গরমে বিভিন্ন ধরনের রোগের ঝুঁকি এড়াতে তাই সজনে ডাঁটা খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা। এই গরমে সজনে ডাটা খেলে যেসব উপকারিতা পাবেন- ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি কমায়: সজনে ডাঁটায় পানির পরিমাণ বেশি। এ কারণে শরীরে পানির ঘাটতি পূরণ করতে পারেন সজনে ডাঁটা। গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতেও সজনে ডাঁটার ভূমিকা অপরিসীম। রোজ যদি এই ডাঁটা খাওয়া যায়, তা হলে গরমে ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি কমে। রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে: গরমে পেট খারাপ থেকে শুরু করে অ্যাসিডিটিসহ নানা রোগের ঝুঁকি বাড়ে। শরীর থেকে অতিরিক্ত ঘাম বেরিয়ে যায় বলে, রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতাও কমে যায়। ডাঁটা রোগের সঙ্গে লড়াই করার শক্তি...
১. একজন রোজাদার ইফতার ও সাহ্রিতে কী খাবেন, তা নির্ভর করবে তাঁর স্বাস্থ্যের অবস্থা ও বয়সের ওপর। তাই সঠিক খাবার তালিকা অনুসরণ করে রোজা রাখুন। কখনোই শুধু পানি খেয়ে রোজা রাখবেন না। অতিভোজন থেকেও বিরত থাকুন। খাবার ভালোভাবে চিবিয়ে ধীরে ধীরে খান, যা আপনার হজমে সহায়ক হবে। ২. ইফতার ও সাহ্রিতে সাধারণ ৮–১০ গ্লাস পানি খাওয়া ভালো। তবে আপনি নিজেই বুঝবেন ঠিক কত গ্লাস পানি আপনার প্রয়োজন। গ্লাস গুনে পানি খেতে অসুবিধা হলে সমপরিমাণ পানি বোতলে ভরে রাখুন এবং ইফতার থেকে সাহ্রির সময়ের মধ্যে তার পুরোটা শেষ করুন। গ্রীষ্মকালীন রমজানে পরিমাণমতো বিশুদ্ধ পানি খাওয়া জরুরি। এশা ও তারাবির নামাজের পর অভ্যাস অনুযায়ী পরিমাণমতো ভাত, মাছ অথবা মুরগির মাংস, ডাল ও সবজি খান। ৩. দীর্ঘ সময় অভুক্ত থাকার কারণে শরীরে পানিশূন্যতা...
নানা স্বাস্থ্য-উপকারিতা ও পুষ্টিগুণের জন্য বর্তমানে অর্গানিক চিয়া সিডস বেশ সমাদৃত। স্বাস্থ্য ভালো এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে আজকাল অনেকেই বেছে নেন চিয়া সিডসের মতো পুষ্টিকর সুপারফুডগুলো। আর মধুর উপকারিতা তো অনেক প্রাচীন। চিনির বিকল্প হিসেবে বহুকাল আগে থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে মধু। এতে একই সঙ্গে খাবারে প্রাকৃতিকভাবেই মিষ্টতা বাড়ে এবং পাওয়া যায় অনেক উপকারিতা। মধুতে প্রায় ৪৫টির মতো পুষ্টি-উপাদান থাকে। সেগুলোর মধ্যে গ্লুকোজ, ফ্রুকটোজ, সুক্রোজ, মন্টোজ, অ্যামাইনো অ্যাসিড, খনিজ লবণ অন্যতম।অন্যদিকে আঁশজাতীয় খাবার হিসেবে অর্গানিক চিয়া সিডসের কোনো জুড়ি নেই বললেই চলে। পুষ্টিবিদ ইসরাত জাহানের মতে, অর্গানিক চিয়া সিডে যেহেতু প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ওমেগা-৩, ওমেগা-৬, প্রোটিন ও শর্করা রয়েছে, তাই রমজানে এটি অত্যন্ত উপকারী। কারণ, এটি দীর্ঘক্ষণ পর্যন্ত পেট ভরা রাখতে এবং শরীরে শক্তি জোগাতে সাহায্য করে। রমজানে মধু খাওয়ার...
রমজানে দীর্ঘ সময় না-খেয়ে থাকার পর ইফতার শরীরকে পুনরায় শক্তি ও উদ্যম ফিরিয়ে দেওয়ার একটি সুযোগ নিয়ে আসে। তবে ইফতারের পরপরই অনেকে ক্লান্তি, মাথাব্যথা বা ঘুম ঘুম ভাব অনুভব করেন এবং জেগে থাকতে রীতিমতো লড়াই করতে হয়। কেন ইফতারের পর হঠাৎ করে ঘুম পায়? কারণগুলো কী এবং কীভাবে এই ঘুম এড়ানো সম্ভব—তা নিয়ে আজ কথা বলব। ইফতারের পর ঘুম আসার কারণখাবার খাওয়ার পর কিছুটা ক্লান্তি অনুভব করা স্বাভাবিক এবং এতে উদ্বেগের কিছু নেই। চিকিৎসা পুষ্টি বিশেষজ্ঞ ইমান জামাল ব্যাখ্যা করেন, ‘ইফতারের পর শরীর আরাম অনুভব করে এবং অলসতা বেড়ে যায়, এর মূল কারণ অন্ত্রের হজম প্রক্রিয়া।’ তিনি বলেন, ‘ইফতারে হঠাৎ বেশি পরিমাণে খাবার গ্রহণের ফলে আমাদের হজমের গতি দ্রুত বেড়ে যায়। তাই মস্তিষ্ক অন্ত্রের দিকে বেশি পরিমাণে রক্ত সরবরাহ করে,...
রমজান মাসে সঠিক খাদ্যাভ্যাস অনুসরণ করা উচিত। কারণ, এ সময় আপনার শরীর দীর্ঘসময় ধরে ক্ষুধার্ত থাকে। তাই রমজান মাসে আপনি কী খেতে পারেন আর কী খেতে পারেন না– তার দিকে নজর দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। আসুন জেনে নেওয়া যাক রোজায় কীভাবে সুস্থ থাকা যায়। প্রথমত, রমজান মাসে বাংলাদেশে প্রচলিত খাবারগুলো বেশির ভাগ তেলে ভাজা ও গুরুপাক হয়। যেমন– পিঁয়াজু, বড়া, বেগুনি, ডিমের বড়া ইত্যাদি। এ ছাড়া অনেক জায়গায় ইফতারে বিরিয়ানির মতো খাবারের প্রচলন রয়েছে। এগুলো নিয়মিত অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে। ফলে শরীর ডিহাইড্রেট হওয়ার পাশাপাশি মুখ শুকিয়ে যাবে, তৃষ্ণা অনুভূতি হবে এবং মাথাব্যথার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই ইফতার থেকে শুরু করে সেহরি পর্যন্ত পর্যাপ্ত পানি ও পানিযুক্ত খাবার গ্রহণ করতে ভুলবেন না। এছাড়া ইফতারের শুরুতে সহজ...
অনেকেই রয়েছেন যারা চা ছাড়া দিন শুরু করার কথা ভাবতেই পারেন না। কেউ কেউ দিনে একাধিক কাপ চা খান। চা খেলে শুধু ক্লান্ত ভাব কমে, এটা ঠিক নয়। বরং অতিরিক্ত চা পান শরীরের ক্ষতি করে। অনেকের অভ্যাস খাবার খাওয়ার পরেই চা খাওয়ার । এই অভ্যাস স্বাস্থ্যের জন্য একদমই ভালো নয়। এগুলি বড় রোগের ঝুঁকি বাড়াতে থাকে। সেই সঙ্গে পেটে নানা সমস্যা হয়। খাবার খাওয়ার পর চা খেলে আরও যেসব সমস্যা দেখা দেয়- হজম ভালো হবে না নিয়মিত খাবার খাওয়ার পর চা খেলে পেটের ওপর চাপ পড়বে। এতে পরিপাকতন্ত্রের নানা সমস্যা হবে। চাতে থাকা ক্যাফেইন, ট্যানিন খাবারকে ভালোভাবে হজম করতে দেবে না। এর ফলে পেটে ব্যথা , গ্যাস হবে। সেই সঙ্গে খাওয়ার ইচ্ছাও কমতে থাকে। আয়রনের ঘাটতি খাবার খাওয়ার পরেই চা...
শীত বিদায় নিচ্ছে, মিষ্টি সুরে আগমনী বার্তা দিচ্ছে ফাগুন। ঋতু পরিবর্তনের এ সময়ে মৌসুমি রোগ, পানিশূন্যতা ও দুর্বলতা দেখা দিতে পারে। তাই শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ানো জরুরি। এ জন্য সাইট্রাস বা লেবুজাতীয় ফল খেতে হবে। লেবুর উপকারিতা আমরা সবাই জানি, কিন্তু লেবুপাতাও যে বেশ উপকারী, তা অনেকেই হয়তো জানি না। লেবুপাতার স্বাস্থ্যগুণ অসাধারণ। হজমশক্তি বাড়ানো থেকে শুরু করে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা শক্তিশালী করা, এমনকি ওজন কমানো পর্যন্ত নানা উপকারে আসে। হাতে ঘষলেই লেবুপাতার মনোমুগ্ধকর ঘ্রাণ মনটাকে সতেজ করে এবং মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। লেবুপাতার আটটি অসাধারণ উপকারিতার কথা জানুন।শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্টলেবুপাতায় ফ্ল্যাভোনয়েড, ফেনোলিক অ্যাসিড ও ভিটামিন সি থাকে, যা শরীরকে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে রক্ষা করে। এসব উপাদান হৃদ্রোগ ও ক্যানসারের মতো দীর্ঘমেয়াদি রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।আরও পড়ুনকুসুম গরম লেবু–পানি খেয়ে...
খাচ্ছেন, খাওয়ার পর গ্যাসের সমস্যায় ভুগতে হচ্ছে। হজমের ওষুধ যেন নিত্যসঙ্গী। অথচ টুকটাক শরীরচর্চাও করেন। তেমন তেল-মশলা দেওয়া খাবার খান না। তা-ও এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার কোনো লক্ষণ যদি নিয়মিত বদহজমের সমস্যা লেগে থাকে, তা হলে রোজ ওষুধের ওপর ভরসা না করে জীবনশৈলীতে বদল আনার প্রয়োজন রয়েছে। পুষ্টিবিদদের মতে, শুধু শরীরচর্চা বা সেদ্ধ খাবার খাওয়া নয়, খাওয়ার সময়, আগে বা পরে এমন কিছু অভ্যাস হজমের সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। যে অভ্যাসগুলোকে আমরা ভুল বলে মনে করিনি কখনও। হজমের সমস্যাকে বাড়িয়ে তোলে এমন কোন কোন অভ্যাস? খাবার চিবিয়ে না খাওয়া খাবার ভালো করে চিবিয়ে না খেলে হজমের নানা রকম সমস্যা হতে পারে। পেটের মধ্যে গিয়ে খাবার বিভিন্ন উৎসেচকের সঙ্গে মিশে টুকরো টুকরো হয়ে যায় ঠিকই। ভালো করে চিবিয়ে না...
সকালে বা বিকেলে ধোঁয়া ওঠা এককাপ চা প্রশান্তি দেয়, মন চাঙা করে। তবে চায়ের সঙ্গে প্রায়ই আমরা নানা রকম ‘টা’ বা নাশতাও খাই। তখন চা খাওয়া হয়ে যায় ‘চা-নাশতা’। কিন্তু কিছু খাবার খেলে চায়ের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট গুণসহ অন্যান্য গুণ নষ্ট হয়ে যায়। তাই চায়ের সঙ্গে খাওয়া চলবে না, এমন সব খাবার সম্পর্কে জেনে রাখা ভালো।চায়ের সঙ্গে দুধজাতীয় খাবার, যেমন পায়েস, ফিরনি, দই খাওয়া যাবে না। কারণ, চায়ের ট্যানিন দুধের ক্যাসিন প্রোটিনের সঙ্গে মিশে হজমে সমস্যা করে। আবার চায়ের অ্যাসট্রিজেন্সি দুধের প্রোটিনের সংস্পর্শে এসে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য নষ্ট করে দেয়। অনেকেরই দুধ–চা পছন্দ, সেটাও যতটা সম্ভব কম খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।ক্রিমজাতীয় খাবার, যেমন ক্রিমরোল, পেস্ট্রি, ক্রিম দেওয়া বনরুটি চায়ের সঙ্গে খান অনেকে। ক্রিমযুক্ত খাবার খেলে পেটের নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। এর মধ্যে...
টক দই পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি খাবার। রোজ একবাটি করে টক দই খেলে না ধরনের রোগ থেকে দূরে থাকা যায়। তবে অনেকের হয়তো জানা নেই, টক দইয়ের সঙ্গে অনেক ধরনের খাবার খাওয়া যায় না। এতে উপকারের পরিবর্তে শরীরের ক্ষতি হতে পারে। যেমন- মাছ মাছের সঙ্গে টক দই না খাওয়াই ভালো। দই দিয়ে তৈরি মাছের কোনও পদ খেলে হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। কারও কারও ত্বকে অ্যালার্জি, র্যাশের সমস্যা দেখা দিতে পারে। মাছ ও দই একসঙ্গে খেলে দেহে টক্সিনের মাত্রা অত্যধিক পরিমাণে বেড়ে যায়। পেঁয়াজ অনেকেই পেঁয়াজ ও টক দই একসঙ্গে খান। কখনও তরকারি বানাতে আবার কখনও রায়তায় কাজে লাগে টক দই। পেঁয়াজ ও টক দই একসঙ্গে খেতে ভালো লাগলেও এতে পেটের সমস্যা হতে পারে। গ্যাস,পেট ফাঁপা, পেট খারাপ হতে পারে। দুধ...
বিটরুটকে বলা হয় ‘সুপারফুড’। ম্যাঙ্গানিজ, ফোলেট, রিবোফ্লাবিন (ভিটামিন বি২) ও পটাশিয়াম সমৃদ্ধ এই সবজি খেলে নানা রকম উপকার পাওয়া যায়। বিশেষ করে যারা হজমের সমস্যা ভুগে থাকেন তাদের জন্য এই সবজি খুব উপকারি। এ ছাড়া বিটরুট শরীরের প্রদাহ কমায়। দ্য হেলদি-এর তথ্য, বিটরুট অ্যান্টি–ইনফ্ল্যামেটরি বা প্রদাহরোধী গুণে ভরপুর একটি সবজি। এর রং গাঢ়। যার নেপথ্যে আছে ‘বিটালেইন’ নামের রঞ্জক উপাদান। নাইট্রোজেনসমৃদ্ধ বিটালেইনে থাকে প্রদাহরোধী উপাদান। যার ফলে বিটরুট প্রদাহ কমাতে পারে। বিটরুট খেলে শরীরে সহজে ক্লান্তি ভর করে না। শরীরে সারা দিন শক্তি স্থিতিশীল থাকে। বিটরুটে আছে উচ্চমাত্রার ফাইবার। এই সবজি খেলে হজম শক্তি উন্নত হয়। এতে অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। বিটরুট অন্ত্রে ভালো ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ বাড়ায়। পুষ্টি শোষণে সহায়তা দেয় বিটরুট। এতে থাকা বিভিন্ন খাদ্য-উপাদান অন্ত্রের...
চিরতা ভীষণ তিতা বলে অনেকেই একে পাত্তা দেন না। চিরতা ভেজানো পানি পান করলে ছোট-বড় অনেক অসুখ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আবার বাড়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও। কেননা এই ভেষজের গুণ অনেক। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি আরো অনেক উপকার করে এই ভেষজ। • আবহাওয়ার পরিবর্তন হলে প্রায় সবারই সর্দি-কাশি-ঠান্ডা ইত্যাদি লেগে যায়। চিরতা ভেজানো পানি পান করলে সেসব অসুখ দূরে থাকে। কেন চিরতায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পরিমাণ এত বেশি, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। চিরতায় রয়েছে অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল উপাদান, যা ক্ষতিকর প্যাথোজেনের বিরুদ্ধে লড়াই করতেও সাহায্য করে। • চিরতা ভেজানো পানি পান করলে হজমশক্তি ভালো হয়। আয়ুর্বেদেও এই ভেষজের ব্যবহার রয়েছে। হজমে সহায়ক উৎসেচক ক্ষরণে সাহায্য করে এই পানীয়। হজম সংক্রান্ত সমস্যা, যেমন গ্যাস, অম্বল, পেটফাঁপার মতো সমস্যাতেও উপকার...
ব্যস্ততার কারণে অনেকেই রাতে দেরি করে বাড়িতে ফেরেন। এ কারণে রাতের খাবার খেতেও দেরি করেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, দেরি করে রাতের খাবার খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য মোটেও ঠিক নয়। এতে স্বাস্থ্যের উপর খুব খারাপ প্রভাব ফেলে। এর ফলে শরীরের অনেক ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হয়। রাতে খুব দেরি করে খেলে শারীরিক যেসব ক্ষতি হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে- পরিপাকতন্ত্রের উপর খারাপ প্রভাব পড়ে : বেশি রাতে খাবার খেলে পরিপাকতন্ত্রের ধীর হতে থাকে। খাবার সঠিকভাবে হজম করতে পারবেন না। সেই সঙ্গে রাতে ভালোভাবে ঘুমানো যায় না। ওজন বাড়তে থাকে: অনেক রাতে খাবার খেলে শরীরের চর্বির পরিমাণ অর্থাৎ ওজন হু হু করে বাড়তে থাকবে। সেই সঙ্গে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটবে। পেট ভারী হয়ে থাকবে। ঘুম আসতে দেরি হবে। এমনকি মাথাব্যথার সৃষ্টি হতে পারে। ঝুঁকি রয়েছে হৃদরোগের : যারা...
২০১৭ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, কুসুম গরম পানি পান করলে শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা বজায় রাখা সহজ হয়। স্বাস্থ্য বিষয়ক ওয়েবসাইট ‘হেলথলাইন’— এর তথ্য, কুসুম গরম পানি শরীরের কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের কার্যকারিতা উন্নত করতে সহায়তা দেয়। ফলে মানসিক চাপ কমে। মেজাজ শিথিলকারণের মাত্রা উন্নত করে কুসুম গরম পানি। ইতিবাচক আবেগ অনুভূতি বাড়ায় কুসুম গরম পানি। কুসুম গরম পানি পান করার আরও উপকরিতা রয়েছে— হজমের সমস্যা দূর হয়: শরীরে আর্দ্রতা কমে গেলে হজমে সমস্যা দেখা দেয়। কুসুম গরম পানি পান করলে শরীরের আর্দ্রতা বজায় থাকে। হজমজনিত সমস্যাও বিশেষ দেখা দেয় না। ঘুম ভালো হয়: কুসুম গরম পানি পান করার ফলে শরীর ও মন ফুরফুরে থাকে। এতে শারীরিক উদ্দীপনা বাড়ে। ঘুম উন্নত হয়। আরো পড়ুন: এইচএমপি ভাইরাস নিয়ে...