আফরান নিশো, ‘সুড়ঙ্গ’ সিনেমার মাধ্যমে বড়পর্দায় যাত্রা শুরু করে বাজিমাত করেছিলেন। অভিষেক সিনেমার সাফল্যের পর তিনি প্রায় দুই বছর বিরতি নেন। এরপর চলতি বছর ঈদুল ফিতরে মুক্তি পায় তার নতুন সিনেমা ‘দাগি’। সিনেমাটি দর্শকমহলে সাড়া ফেলেছে।
সিনেমাটি ঘিরে তৈরি হওয়া সেই উন্মাদনার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে ভিন্ন এক আয়োজনে। শতাধিক নিশো ভক্ত এক ব্যতিক্রমী আয়োজনে অংশ নিয়ে সবাইকে চমকে দিয়েছেন।

শনিবার বিকেলে রাজধানীর এসকেএস টাওয়ারে অবস্থিত স্টার সিনেপ্লেক্সে হাজির হন তারা। সিনেমা শুরুর আগে ‘দাগি’ সিনেমার ব্যানার হাতে এবং ‘নিশানের ফাঁসি চাই’ স্লোগান দিতে দিতে র‍্যালি করে তারা প্রবেশ করেন প্রেক্ষাগৃহে। এ সময় ভক্তদের পরনে ছিল ‘দাগি’ সিনেমায় ব্যবহৃত ৭৮৬ লেখা পোশাক, যা সিনেমার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতীক হয়ে উঠেছে।

এই অভিনব আয়োজনে মুগ্ধ ‘দাগি’ সিনেমার নির্মাতা ও কলাকুশলীরা। ভক্তদের এমন ভালোবাসায় আবেগাপ্লুত সিনেমার প্রযোজক শাহরিয়ার শাকিল বলেন,“আফরান নিশো বাংলাদেশের অন্যতম বড় তারকা। তার জন্য দর্শকদের উন্মাদনা থাকবে এটাই স্বাভাবিক। তবে এমন ব্যতিক্রমী আয়োজন আমরা একেবারেই কল্পনা করিনি। যখন জানলাম, তখনই সিনেমার টিম থেকে অনেকে তাদের সঙ্গে দেখা করতে ছুটে যান। এমন ভালোবাসা সত্যিই আমাদের কাজের বড় অনুপ্রেরণা।”

শিহাব শাহীন পরিচালিত ‘দাগি’ সিনেমায় আফরান নিশোর বিপরীতে অভিনয় করেছেন তমা মির্জা। এছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে রয়েছেন সুনেরাহ বিনতে কামাল, শহীদুজ্জামান সেলিম, গাজী রাকায়েত, মিলি বাশার, রাশেদ মামুন অপু প্রমুখ।

সিনেমাটি প্রযোজনা করেছে এসভিএফ আলফা আই এন্টারটেইনমেন্ট লিমিটেড, সহ-প্রযোজনায় ছিল ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকি।

ঢাকা/রাহাত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

লন্ডন বৈঠক পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে বৃটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে: মঈন খান

লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠক পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে বৃটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলের স্থায়ী কমিটি সদস্য ড. আবদুল মঈন খান।

সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এরআগে সকালে রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে বৈঠক করেন ঢাকায় নিযুক্ত বৃটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক। বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠকে আবদুল মঈন খান, দলের সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন।

এক প্রশ্নের জবাবে মঈন খান বলেন, আজকের বাংলাদেশের যে সার্বিক পরিস্থিতি; বিশেষ করে লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের বৈঠকে যে আলোচনা হয়েছে- তার প্রতিক্রিয়া ও পরবর্তী পরিস্থিতি এবং বাংলাদেশের জিওপলিটিক্যাল অবস্থান ও পার্শ্ববর্তী দেশসমূহের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক- এসব নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বৃটিশ হচ্ছে গণতন্ত্রের সূতিকাগার। ওরা সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চাইবে না তো, কে চাইবে? এখানে কোনো দ্বিমত থাকতে পারে না।

নির্বাচন নিয়ে কী আলোচনা হয়েছে- জানতে চাইলে বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, আপনারা তো জানেন, আমাদের কথা এখন একটাই। বাংলাদেশের মানুষের যে ইচ্ছার প্রতিফলন, দেশের নতুন প্রজন্ম, যারা দীর্ঘ ১৭ বছর তাদের ভোট দিতে পারেনি। দেশের কোটি কোটি মানুষ, ১২ কোটি ভোটার বলা হচ্ছে- তারা ভোট দেওয়ার জন্য উন্মুখ। ভোটের ব্যাপারে যখন নিশ্চিত ইঙ্গিত সরকারের পক্ষ থেকে আসে, বলা হয় যে- নির্বাচন কমিশন দেশবাসীকে জানাবে ভোটের তারিখ। তখন তো দেশের মানুষ উচ্ছ্বাস হয়ে যায়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ