চীনের অর্থায়নে প্রস্তাবিত মেডিকেল কলেজ ও এক হাজার শয্যার হাসপাতাল ফেনীতে স্থাপনের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন ফেনীর নাগরিক সমাজ। শনিবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ১১টায় ফেনী শহরের ট্রাংক রোডস্থ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে ‘আমরা ফেনীর সচেতন নাগরিক সমাজের’ ব্যানারে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।

ঘণ্টাব্যাপী কর্মসূচিতে জেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংবাদিক, পেশাজীবী, স্বেচ্ছাসেবী ও ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারাসহ সাধারণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

বক্তারা বলেন, চীনের অর্থায়নে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে একটি আধুনিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপনের আলোচনা চলছে। ফেনী দেশের গুরুত্বপূর্ণ জেলা হলেও স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও এখানকার মানুষ মৌলিক চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত। এ অবস্থায় এই হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ ফেনীতে স্থাপন করা হলে জেলার মানুষের পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী অঞ্চল ও দেশগুলোর (যেমন ভুটান, নেপাল, চীন) শিক্ষার্থীরাও পড়াশোনার সুযোগ পাবে। এটি এই অঞ্চলের চিকিৎসা ও শিক্ষার মানোন্নয়নে নতুন দিগন্ত খুলে দেবে।

আরো পড়ুন:

নওগাঁয় বাসায় ঢুকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ‘সংগঠককে’ কুপিয়ে জখম

ফেনী জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ককে অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ

বক্তারা আরো বলেন, চিকিৎসার জন্য আজও ফেনীর মানুষকে চট্টগ্রাম বা ঢাকায় যেতে হয়। অনেক রোগী রাস্তাতেই প্রাণ হারান। অথচ, চীনের সহায়তায় যদি এই হাসপাতাল এখানে হয়, তাহলে ফেনীবাসীর এই দুর্ভোগ অনেকাংশে লাঘব হবে।

সরকারের উদ্দেশে তাঁরা বলেন, “প্রয়োজনে আমরা জমি দেবো। সরকার যদি সিদ্ধান্ত নেয়, আমরা নির্ভেজাল জমির ব্যবস্থা করে দেবো। শুধু আমাদের ফেনীকে এই সুযোগটা দিন।”

ফেনী জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি নুরুল আমিন খানের সভাপতিত্বে ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক আব্দুল আজিজের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ বাহার, জেলা জামায়াতের জেলা সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুর রহিম, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এয়াকুব নবী, ইসলামী আন্দোলনের জেলা সেক্রেটারি মাওলানা একরামুল হক ভূঁইয়া, হেফাজতে ইসলামের জেলা সেক্রেটারি মাওলানা ওমর ফারুক, ড্যাব এর ফেনী জেলা সাধারণ সম্পাদক ডা.

মোবারক হোসেন দুলাল, জেলা জামায়াতের প্রচার সম্পাদক আ. ন. ম আব্দুর রহিম, খেলাফত মজলিসের জেলা সভাপতি মোজাফফর আহমদ, সুজন-সুশাসনের জন্য নাগরিক ফেনীর সাধারণ সম্পাদক ও ফেনী রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন, দৈনিক ফেনীর সম্পাদক আরিফুল আমীন রিজভী প্রমুখ।
 

ঢাকা/সাহাব/বকুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

‘ডাকসু হলো, রাকসু হলো, চাকসু কেন থেমে গেল’

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (চাকসু) দ্রুত তফসিল ঘোষণার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা। 

বুধবার (৩০ জুলাই) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা ‘হয় মোদের চাকসু দে, নইলে গদি ছাইড়া দে’, ‘ডাকসু হলো, রাকসু হলো, চাকসু কেন থেমে গেল’, ‘চাকসু মোদের অধিকার, রুখে দেওয়ার সাধ্য কার’—এমন স্লোগান দেন। 

আরো পড়ুন:

আনাতোলিয়ান রোভার চ্যালেঞ্জে বিশ্বে তৃতীয় ইউআইইউ

জবির প্রভাবশালী আওয়ামীপন্থি ‘ক্যাডার’ শিক্ষকরা যেখানে আছেন

আইন বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাব্বির হোসেন রিয়াদ বলেন, “জুলাই মাসে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে শহীদ হওয়ার ঘটনাগুলো আমাদের জানা। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন শিক্ষার্থীও সে সময় শহীদ হয়েছিলেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়েই সবার আগে চাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার কথা ছিল, কিন্তু এখনও কোনো অগ্রগতি নেই। অথচ ডাকসু, রাকসু, জাকসুর তফসিল ঘোষণা হয়েছে।”

তিনি আরও জানান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে আগামী ১ আগস্ট সিন্ডিকেট সভায় চাকসুর নীতিমালা অনুমোদনের বিষয়টি চূড়ান্ত হবে। এরপর আগস্টের প্রথম সপ্তাহেই তফসিল ঘোষণার প্রত্যাশা করা হচ্ছে। “যদি তা না হয়, তাহলে আমরা দুর্বার ছাত্রআন্দোলনের দিকে যাব,” বলেন তিনি।

বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক ও নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী খান তালাত মাহমুদ রাফি বলেন, “দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এরইমধ্যে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষিত হলেও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে। আমরা এতদিন রোডম্যাপ চেয়েছিলাম, এখন আর রোডম্যাপ নয়—তফসিল চাই।”

তিনি আরো বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সমস্যার একমাত্র সমাধান হচ্ছে সক্রিয় ছাত্র সংসদ। তাই আগামী আগস্টের প্রথম সপ্তাহে তফসিল এবং সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন চাই।”

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন বলেন, “আগামী ১ আগস্ট সিন্ডিকেট সভায় চাকসুর নীতিমালা চূড়ান্ত হলে নির্বাচন কমিশনার তফসিল ঘোষণা করবেন।” 

চাকসু গঠনের ধারণা মূলত এসেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসুর আদলে। বাংলাদেশে ১৯৭৩ সালে প্রথমবারের মতো বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্রসংসদ গঠন প্রক্রিয়া শুরু হয়।

১৯৭০ সালে চাকসুর প্রথম কেবিনেট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সর্বশেষ নির্বাচন হয় ১৯৯০ সালের ৮ মে। এই নির্বাচনে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল বিজয়ী হয়েছিল। এরপর দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে আর কোনো চাকসু নির্বাচন হয়নি।

২০২৫ সালে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হওয়ায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাকসু ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জাকসুর মতো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও চাকসু নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করছেন। 

ঢাকা/মিজানুর রহমান/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বন্দর নির্বাচনী আসনকে দুই ভাগে বিভক্তি করার প্রতিবাদে মানববন্ধন 
  • অনশনের পর ডিবি কার্যালয় থেকে ছাড়া পেলেন ছয় সমন্বয়ক
  • জকসুর পথরেখা ও সম্পূরক বৃত্তির দাবিতে জবি শিক্ষার্থীদের আলটিমেটাম
  • জকসুর রোডম্যাপ ও সম্পূরক বৃত্তি দাবি শিক্ষার্থীদের
  • সোনারগাঁয়ে মাদ্রাসায় কমিটি গঠনের বিরুদ্ধে মানববন্ধন
  • রূপগঞ্জে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ
  • ফতুল্লায় জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন
  • না’গঞ্জে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের মানববন্ধন : হুশিয়ারী
  • না’গঞ্জে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের মানববন্ধন, হুশিয়ারী
  • ‘ডাকসু হলো, রাকসু হলো, চাকসু কেন থেমে গেল’