Samakal:
2025-05-01@00:10:34 GMT

রাউজান কেন এখনও অশান্ত

Published: 19th, April 2025 GMT

রাউজান কেন এখনও অশান্ত

চারটি মোটরসাইকেলকে ধাওয়া করছে আরও চারটি মোটরসাইকেল। পেছন থেকে ছোড়া হচ্ছে গুলি। মুহুর্মুহু গুলির শব্দে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে আতঙ্ক। এটি কোনো সিনেমার দৃশ্য নয়, রাউজানের বর্তমান নাজুক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির খণ্ডচিত্র। 
এক সময় ‘সন্ত্রাসের জনপদ’ হিসেবে পরিচিতি পাওয়া রাউজানে মানুষের আশা ছিল ৫ আগস্টের অভ্যুত্থানের পর এলাকায় শান্তি আসবে, আওয়ামী লীগের এমপি এবিএম ফজলে করিমের ‘পতনের পর’ বন্ধ হবে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও খুনের রাজনীতি। কিন্তু বিএনপির দ্বিধা-বিভক্ত রাজনীতির কারণে আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে রাজনৈতিক সন্ত্রাসীরা। গ্রুপিং, আধিপত্য বিস্তার ও চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে ঘটছে একের পর এক হত্যার ঘটনা। গত ২৮ আগস্ট থেকে ২১ মার্চ পর্যন্ত ৭ মাসে ৭ জন খুন হয়েছেন রাউজানে। এর মধ্যে পৌরসভায় দু’জন, নোয়াপাড়া ইউনিয়নে দু’জন, চিকদাইর ইউনিয়নে একজন, হলদিয়া ইউনিয়নে একজন ও পূর্বগুজরা ইউনিয়নে একজন খুন হয়েছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী ও  চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খোন্দকারের রাজনীতির বিভেদ রাউজানকে রক্তাক্ত করেছে। দুই পক্ষের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ও হামলা-মামলার ঘটনা ঘটছে। আবার একই গ্রুপের নেতাদের মধ্যেও হচ্ছে সংঘাত। ৫ আগস্টের পর বিএনপির দুই গ্রুপে শতাধিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় বিএনপি নেতাকর্মীসহ অন্তত তিন শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন।
এ ব্যাপারে গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী সমকালকে বলেছেন, ‘দলে অনুপ্রবেশকারীরাই অরাজকতা সৃষ্টি করছে। দলে আওয়ামী বাকশালীদের অনুপ্রবেশ ঘটেছে, এ অনুপ্রবেশকারীরা অস্থিরতা ও অরাজকতার জন্য দায়ী। আমার গ্রুপেও অনুপ্রবেশকারী ঢুকেছে।’
গোলাম আকবর খোন্দকার বলেন, ‘৫ আগস্টের আগে স্বৈরাচার সরকার বাংলাদেশ শাসন করেছে। ওই সময় রাউজানের মানুষও অসহায় ছিল। সাধারণ মানুষ এলাকায় থাকতে পারেনি। ৫ আগস্টের পর আমাদের নেতাকর্মীরাও রাউজানে আসে। আমার একটি বক্তব্য ছিল, রাউজানে ১৭ বছর ধরে যে ধরনের কর্মকাণ্ড চলেছে এখন আর সেভাবে চলবে না। কোনো চাঁদাবাজি হবে না, দখলদারিত্বের রাজনীতি করা যাবে না। সুতরাং কোনো চাঁদাবাজি হবে না, কোনো চাঁদাবাজকে দল আশ্রয় দেবে না, কোনো সন্ত্রাসীকে আমরা দলীয়ভাবে প্রশ্রয় দেব না।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে উপজেলার কদলপুর ইউনিয়নের একজন বাসিন্দা বলেন, ‘আমি একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে ফেরার পথে চারটি মোটরসাইকেলকে অন্য চারটি মোটরসাইকেলের ধাওয়ার ঘটনা নিজের চোখে দেখলাম। এ ধরনের ঘটনা প্রায় ঘটছে। দিনদুপুরে গুলির শব্দ শুনে এখন আর আমরা আশ্চর্য হই না। রাউজান এখন অশান্ত জনপদ।’ 
৫ আগস্ট পরবর্তী কিছু বিচ্ছিন্ন সংঘর্ষ ও মারামারি ঘটনা ঘটলেও হত্যাকাণ্ড শুরু হয় ২৮ আগস্ট। ওইদিন বিকেলে পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চৌধুরী মার্কেট এলাকায় পিটিয়ে হত্যা করা হয় রাঙামাটি পার্বত্য জেলার কাউখালী উপজেলার বেতবুনিয়া ইউনিয়নের শ্রমিকলীগ নেতা আব্দুল মান্নানকে (২৭)। তিনি বেতবুনিয়া সুগারমিল ডাকবাংলো এলাকার কবির আহাম্মদের ছেলে। এরপর ১ সেপ্টেম্বর সাবেক সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর বাগানবাড়ি থেকে মো.

ইউসুফ মিয়া (৬৫) নামে এক ব্যক্তির রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত ইউসুফ রাউজান পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আবদুল শুক্কুর মিয়ার বাড়ির প্রয়াত শামসু মিয়ার ছেলে। লাশ উদ্ধারের আগের দিন নিখোঁজ হন তিনি। স্থানীয়দের ধারণা, সাবেক এমপির বাগানবাড়িতে শ্রমিকের কাজ করায় তাকে হত্যা করা হতে পারে। তবে এখনও পর্যন্ত তার ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন রাউজান থানার ওসি মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া। সে কারণে হত্যার কারণ উদঘাটন সম্ভব হয়নি।
অন্যদিকে, ১১ নভেম্বর নিখোঁজের তিন দিনের মাথায় রক্তাক্ত অবস্থায় হাফেজ মাওলানা আবু তাহের (৪৮) নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ১১ নভেম্বর বিকেল সাড়ে ৫টায় উপজেলার চিকদাইর ইউনিয়নের কালাচাঁন চৌধুরী সেতুর পাশে সর্তাখাল থেকে তার রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি রাউজান উপজেলার চিকদাইর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের আকবর শাহ (রহ.) বাড়ির প্রয়াত আবদুল মান্নানের ছেলে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন না পাওয়ায় তাহেরের মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ। ২৪ জানুয়ারি উপজেলার নোয়াপাড়া এলাকায় মোটরসাইকেল যোগে জুমার নামাজ আদায় করতে মসজিদে যাওয়ার পথে দিনদুপুরে সন্ত্রাসীদের গুলিতে মো. জাহাঙ্গীর আলম (৫০) নামে এক ব্যবসায়ী নিহত হন। চাঁদা না দেওয়ায় তাকে গুলি করে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। তার হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নিহত জাহাঙ্গীর আলম উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের নিরামিশপাড়ার আবু ছৈয়দ মেম্বারের বড় ছেলে। জাহাঙ্গীর চট্টগ্রাম নগরীর খাতুনগঞ্জের পাইকারি শুঁটকি ব্যবসায়ী। 
১৯ ফেব্রুয়ারি মুহাম্মদ হাসান (৩৫) নামে এক যুবলীগ কর্মীকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে একদল মুখোশধারী দুর্বৃত্ত। ১৯ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের চৌধুরীহাট বাজারের কাছে তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় পাওয়া যায়। হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত হাসান উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের আহমেদ হোসেন মেম্বার বাড়ির মো. বজল আহমেদ ড্রাইভারের ছেলে।
গত ১৫ মার্চ ইফতার মাহফিল নিয়ে বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়াকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের পিটুনি ও ছুরিকাঘাতে কমর উদ্দিন জিতু (৩৬) নামে এক যুবদলকর্মী নিহত হন। ওই দিন রাতে  উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নে আমির চৌধুরী হাটে তাকে পিটিয়ে ও ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। নিহত কমর উদ্দিন জিতু  হলদিয়া ইউনিয়নের উত্তর সর্ত্তা গ্রামের মুহাম্মদ আলীর ছেলে। 
সর্বশেষ ২১ মার্চ উপজেলার পূর্বগুজরা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বৃহত্তর হোয়ারাপাড়া এলাকার মোবারক খালের পূর্ব পাশে খোলা জমি থেকে মো. রুবেল (৩৫) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। গরু চোর সন্দেহে তাকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। নিহত রুবেল চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ থানার প্রয়াত নুরুল আলমের ছেলে।
রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূইঁয়া বলেন, ‘এলাকার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ দিনরাতে কাজ করছে। রাউজানকে শান্ত রাখার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। যারা অপরাধ তৎপরতা চালাচ্ছে বা অপরাধ কর্মকাণ্ড করছে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।’ 
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: উপজ ল র ন য় প ড় ৫ আগস ট র ব এনপ র এল ক য় র জন ত র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

মে দিবস ২০২৫ : শ্রমিক-মালিক ঐক্যে গড়বে নতুন বাংলাদেশ

১৮৮৬ সালের ১ মেÑএকটি দিন, একটি দাবি, আর হাজারো শ্রমিকের আত্মত্যাগের মাধ্যমে ইতিহাসে রক্তাক্ত দাগ কেটে দিয়েছিল যে মুহূর্ত, তা আজ বিশ্বব্যাপী ‘মে দিবস’ হিসেবে পালিত হয়। তখনকার দাবিটি ছিল স্রেফ ৮ ঘণ্টা শ্রমের অধিকার। কিন্তু আজ ২০২৫ সালে দাঁড়িয়ে শ্রমিকের দাবি শুধু সময়
নয়Ñমর্যাদা, সুরক্ষা ও ন্যায্যতার প্রশ্নও।

এবারের মে দিবসের প্রতিপাদ্য “শ্রমিক-মালিক এক হয়ে, গড়বো এদেশ নতুন করে”Ñএ যেন সময়ের এক গুরুত্বপূর্ণ পাঠ। উন্নয়নশীল বাংলাদেশের বাস্তবতায় এই বার্তা কেবল প্রাসঙ্গিক নয়, বরং তা রাষ্ট্র, প্রতিষ্ঠান ও সমাজের জন্য এক যৌথ দিকনির্দেশনা।

বাংলাদেশের শ্রমচিত্র ও বাস্তবতা

বাংলাদেশের অর্থনীতি মূলত শ্রমনির্ভর। তৈরি পোশাক শিল্পে প্রায় ৪০ লাখ, কৃষি ও নির্মাণ খাতে আরও কয়েক কোটি মানুষ নিয়োজিত। পরিসংখ্যান বলছে, দেশের মোট রপ্তানি আয়ের ৮০ শতাংশের বেশি আসে শ্রমনির্ভর খাত থেকে। কিন্তু যাঁরা এই অর্থনীতির ইঞ্জিন হিসেবে কাজ করছেন, সেই শ্রমিকরা কি পেয়েছেন তাদের প্রাপ্য অধিকার ও মর্যাদা?

দুঃখজনক হলেও সত্য, এখনও বহু শ্রমিক পান না ন্যূনতম মজুরি, কর্মস্থলে নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য সেবা কিংবা ছুটি সংক্রান্ত মৌলিক সুবিধা। নারী শ্রমিকদের পরিস্থিতি আরও জটিলÑযত্রতত্র হয়রানি, মাতৃত্বকালীন সুবিধার অভাব, কিংবা নারীবান্ধব কর্মপরিবেশ গড়ে না তোলার ফলে এই খাতেও স্থিতিশীলতা আসছে না।

মালিক-শ্রমিক সম্পর্ক: দ্বন্দ্ব নয়, দরকার সহমর্মিতা

এক সময় শ্রমিক-মালিক সম্পর্ক মানেই ছিল দ্বন্দ্ব, ধর্মঘট ও হুমকি। তবে বর্তমান বৈশ্বিক বাস্তবতা বলছেÑসহযোগিতাই টেকসই উৎপাদনের চাবিকাঠি। মালিকপক্ষ যখন শ্রমিককে কেবল “ব্যয়” হিসেবে না দেখে “সম্পদ” হিসেবে  বিবেচনা করেন, তখন প্রতিষ্ঠান লাভবান হয়। একইভাবে শ্রমিকও যদি বুঝেন প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন মানে তার কর্মস্থলের স্থায়িত্বÑতাহলে দুপক্ষের মধ্যে বিশ্বাসের
ভিত্তি গড়ে ওঠে।

এই বিশ্বাস গঠনের জন্য প্রয়োজন তিনটি স্তম্ভ: 

নীতিগত স্বচ্ছতা Ñ ন্যায্য মজুরি, নির্ধারিত কর্মঘণ্টা ও চুক্তিভিত্তিক নিরাপত্তা দায়িত্বশীল মালিকপক্ষ Ñ কর্মপরিবেশ, স্বাস্থ্যসেবা ও প্রশিক্ষণ নিশ্চিতে উদ্যোগ সচেতন শ্রমিকশ্রেণি Ñ অধিকার আদায়ের পাশাপাশি কর্তব্য পালনের মানসিকতা

নীতি ও রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ

বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ ও সংশোধিত ২০১৮ সংস্করণ অনুযায়ী শ্রমিকের অধিকার স্বীকৃত হলেও বাস্তবায়নের জায়গায় ঘাটতি রয়েছে। বিশেষ করে  অনানুষ্ঠানিক খাতে (যেমন কৃষি, গৃহপরিচারিকা, গিগ-ওয়ার্কার) শ্রমিকদের অধিকারের বিষয়টি এখনও প্রায় উপেক্ষিত।

এছাড়া, কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা, দুর্ঘটনা বীমা, এবং পুনঃপ্রশিক্ষণের ব্যবস্থাপনা আরও জোরদার হওয়া জরুরি। সরকার শ্রমিক কল্যাণ তহবিল গঠন করলেও তা অধিকতর স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে।

এই প্রেক্ষাপটে ‘শ্রমিক-মালিক এক হয়ে’ দেশ গড়ার বার্তাটি যেন শুধুই স্লোগানে সীমাবদ্ধ না থাকে। বরং এটি হোক রাজনৈতিক সদিচ্ছা, আর্থিক বিনিয়োগ ও মানবিক বিবেচনার এক বাস্তব প্ল্যাটফর্ম।
প্রযুক্তির চ্যালেঞ্জ ও নতুন শ্রম বাস্তবতা

চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের প্রেক্ষাপটে শ্রমবাজার দ্রুত বদলে যাচ্ছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, অটোমেশন ও গিগ-ইকোনমি অনেক চাকরি বিলুপ্ত করছে, আবার নতুন দক্ষতা চাচ্ছে। বাংলাদেশ যদি সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে চায়, তাহলে  শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ, পুনঃস্কিলিং এবং ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে হবে।

এখানে মালিক ও রাষ্ট্র উভয়ের উচিত হবে, শ্রমিককে প্রতিযোগিতায় টিকিয়ে রাখতে বিনিয়োগ করা, কারণ দক্ষ শ্রমিক ছাড়া কোনো শিল্পই টিকে থাকে না।

মে দিবস: উৎসব নয়, দায়বদ্ধতার প্রতীক

মে দিবস কেবল লাল পতাকা হাতে শোভাযাত্রার দিন নয়, এটি আমাদের মানবিক চেতনার প্রতিফলন। যে শ্রমিক ঘাম ঝরিয়ে ভবন গড়ে, কৃষি জমি চষে, রপ্তানি পণ্য তৈরি করেÑতার জন্য আমাদের উচিত মর্যাদাপূর্ণ জীবন নিশ্চিত করা।

এবছর, আসুন আমরা সবাই রাষ্ট্র, মালিকপক্ষ ও শ্রমিকÑএকটি মানবিক, উৎপাদনশীল ও  শীদারিত্বভিত্তিক সমাজ গঠনের পথে এগিয়ে যাই। শ্রমিকের হাতে গড়া এই বাংলাদেশ হোক তার জন্যই গর্বের জায়গা। 


লেখক পরিচিতি:

মীযানুর রহমান
সাংবাদিক ও সমাজ বিশ্লেষক
মোবাইলঃ ০১৭৫৪১০৯০৭২
যোগাযোগ: : [email protected]

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চিনি-লবণের অনুপম পাঠ
  • মে দিবস ২০২৫ : শ্রমিক-মালিক ঐক্যে গড়বে নতুন বাংলাদেশ
  • বিদ্যালয়ের ১৮টি গাছ বিক্রি করলেন প্রধান শিক্ষক 
  • কর্ণাটকে ক্রিকেট খেলার সময় বচসা, যুবককে পিটিয়ে হত্যা
  • দেশে আন্তর্জাতিক পেমেন্ট গেটওয়ে চালুর দাবি 
  • রাখাইন রাজ্যে ‘মানবিক করিডোর’ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিলেন প্রেস সচিব
  • কানাডায় আবারও লিবারেল পার্টির সরকার গঠনের আভাস
  • আ.লীগ নির্বাচনে অংশ নেবে কিনা তাদেরকেই নির্ধারণ করতে হবে
  • আ.লীগ নির্বাচনে অংশ নেবে কিনা তাদেরকেই নির্ধারণ করতে হবে: ড. ইউনূস
  • অন্তর্বর্তী সরকারকে মানুষ এখনও ভালো সমাধান মনে করছে: আল জাজিরাকে