নিখোঁজ হওয়ার ১৪ ঘণ্টা পর গতকাল শনিবার সকাল ১০টার দিকে নগরের চাক্তাই খাল থেকে উদ্ধার করা হয় নিখোঁজ থাকা শিশু সেহরিশের নিথর দেহ। আগের দিন শুক্রবার রাত আটটার দিকে কাপাসগোলার হিজড়া খালে তলিয়ে যায় সে। এরপর শুরু হয় ‘উদ্ধারযজ্ঞ’। সিটি করপোরেশনের টনক নড়ে। সরে যায় খালে জমে থাকা ময়লার স্তূপ। ডুবুরিরা তল্লাশি চালান। পরবর্তী সময়ে প্রায় চার কিলোমিটার দূরের চাক্তাই খালে ভেসে ওঠে সেহরিশের মরদেহ। স্থানীয় এক ব্যক্তি উদ্ধার করে ডাঙায় তোলেন।

যে স্থানে সেহরিশ ও তার পরিবারকে বহন করা অটোরিকশা খালে পড়ে গিয়েছিল, গতকাল সেখানে দেওয়া হয়েছে বাঁশের বেষ্টনী। তবে এখনো নগরের অধিকাংশ খাল–নালা উন্মুক্ত আছে।

সেহরিশের মা সালমা বেগম ও বাবা মো.

শহিদুল ইসলাম থাকেন চাক্তাই খাল লাগোয়া চামড়ার গুদাম এলাকায়। গত শুক্রবার দাদি ও মায়ের সঙ্গে সেহরিশ এসেছিল কাপাসগোলায় ফুফুর বাড়িতে। কাপাসগোলার হিজড়া খালের এক পাশে শহিদুল ইসলামের বোনের বাড়ি। ওই বাড়িতে যেতে যে ছোট সড়ক ব্যবহার করতে হয় তার সঙ্গে লাগোয়া খালটি। তাঁরা সিএনজিচালিত অটোরিকশা থেকে নেমে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় আত্মীয়ের বাড়িতে যাচ্ছিলেন। ছোট সড়কের মোড় ঘুরতে গিয়ে অটোরিকশাটি উল্টে খালে পড়ে যায়। দুজন উঠে আসতে পারলেও স্রোতে ভেসে যায় শিশুটি।

সেহরিশের মৃত্যুর ঘটনার পর খাল-নালা নিরাপদ করার প্রসঙ্গটি আবার সামনে এসেছে। সরকারি সংস্থাগুলো দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করছে না বলে অভিযোগ করেছেন বিভিন্ন এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা। কাপাসগোলার বাসিন্দা মুহাম্মদ শাহনেওয়াজ ক্ষুব্ধ কণ্ঠে প্রথম আলোকে বলেন, এভাবে আর কত দিন। আর কত প্রাণ ঝরলে খালের পাশে বসবে নিরাপত্তাবেষ্টনী। প্রতিটির মৃত্যুর পর একই দাবি তুলতে হয়। কিছুদিন আলোচনা চলে। এরপর সব থেমে যায়। সিটি করপোরেশন কী করছে। তাদের টনক নড়বে কবে।

গত শুক্রবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে কাপাসগোলায় যখন উদ্ধার অভিযান চলছিল, তখন সেখানে উপস্থিত ছিলেন সিটি মেয়র শাহাদাত হোসেন। তিনি সেখানে সাংবাদিকদের বলেন, হিজড়া খালের যে অংশে অটোরিকশাটি উল্টে গেছে, সেখানে আগে বাঁশ দিয়ে নিরাপত্তাবেষ্টনী দেওয়া ছিল। জলাবদ্ধতা প্রকল্পের কাজ করতে গিয়ে এটি সরানো হয়েছিল।

৬ বছরে গেল ১৪ প্রাণ

গত ছয় বছরে নগরে খাল-নালায় পড়ে অন্তত ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ২০২০ সালে ২ জন, ২০২১ সালে ৫, ২০২৩ সালে ৩, ২০২৪ সালে ৩ ও চলতি বছর ১ জন। ২০২০ সালের ২১ জুলাই নগরের মহেশখালে পড়ে মৃত্যু হয় মুন্নি আক্তার ও ঝুমা আক্তার নামের দুই কিশোরীর।

২০২১ সালের ৩০ জুন মেয়র গলি এলাকায় চশমা খালে পড়ে অটোরিকশাচালক ও এক যাত্রীর মৃত্যু হয়। ওই বছরের ২৫ আগস্ট নগরের মুরাদপুরে চশমা খালে পা পিছলে পড়ে তলিয়ে যান সবজি বিক্রেতা ছালেহ আহমেদ। তাঁর মরদেহ এখনো পাওয়া যায়নি। এরপর ৬ ডিসেম্বর একই খালে তলিয়ে যায় শিশু মো. কামাল উদ্দিন। তিন দিন পর নগরের মির্জা খাল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া ওই বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর নগরের আগ্রাবাদের মাজারগেট এলাকায় ফুটপাত থেকে পা পিছলে নালায় পড়ে মৃত্যু হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী শেহেরীন মাহমুদ সাদিয়ার।

২০২২ সালে খাল-নালায় পড়ে মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। ২০২৩ সালের ২৭ আগস্ট বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে চট্টগ্রাম নগরের উত্তর আগ্রাবাদের রঙ্গীপাড়া এলাকার একটি নালায় পড়ে নিখোঁজ হয় দেড় বছরের শিশু ইয়াছিন আরাফাত। ১৬ ঘণ্টা পর নালার আবর্জনার নিচ থেকে ইয়াছিনের নিথর দেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে ৭ আগস্ট চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ১ নম্বর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের ফতেহপুর ইসলামি হাটসংলগ্ন বাদামতলা এলাকার নালায় পড়ে মৃত্যু হয় কলেজছাত্রী নিপা পালিতের (২০)। এ ছাড়া ১ সেপ্টেম্বর বাদশা মিয়া ব্রিকফিল্ড এলাকায় খালে পড়ে নিখোঁজ হয় মো. আবদুল্লাহ। শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয় সিডিএ আবাসিক এলাকার খাল থেকে।

২০২৪ সালের ২৭ মে আছদগঞ্জের কলাবাগিচা খালে পড়ে মৃত্যু হয় আজিজুল হাকিমের। ১১ জুন বিকেলে চাক্তাই খালের স্লুইসগেট-সংলগ্ন এলাকায় নিখোঁজ হয় অজ্ঞাতনামা এক শিশু। প্রায় ১৪ ঘণ্টা পর তার লাশ পাওয়া যায় পাশের রাজাখালী খালে। ৯ জুন আগ্রাবাদ এলাকার নাসির খালে পড়ে মারা যায় সাইদুল ইসলাম নামের সাত বছর বয়সী এক শিশু।

এখনো অরক্ষিত খাল-নালা

বারবার মৃত্যুর ঘটনা ঘটলেও এখনো খাল ও নালার অনেক অংশ উন্মুক্ত। আবার কোথাও কোথাও বসেছে নিরাপত্তাবেষ্টনী, স্ল্যাব। গতকাল মোটরসাইকেলে নগরে চশমাখাল, মির্জাখাল, হিজড়া খাল, চাক্তাই খালের বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখা গেছে, কোথাও বাঁশ দিয়ে নিরাপত্তাবেষ্টনী বসানো হয়েছে। কোথাও খালি পড়ে আছে। শিশু সেহরিশ যে অংশে নিখোঁজ হয়েছিল, সেখানে অবশ্য গতকাল সকালে বাঁশ দিয়ে বেষ্টনী দেওয়া হয়। আবার মুরাদপুর, বহদ্দারহাট, চকবাজার, ২ নম্বর গেট, মেয়র গলি, আল ফালাহ গলি, মেহেদিবাগ, বাকলিয়া ঘুরে দেখা গেছে, নালার ওপর কোথাও স্ল্যাব আছে, কোথাও নেই।

সিটি করপোরেশনের হিসাব অনুযায়ী, নগরের ৪১ ওয়ার্ডে খাল-নালা রয়েছে ১ হাজার ১৩৭ কিলোমিটার। খালের সংখ্যা ৫৭। এর মধ্যে জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে খাল পুনঃখনন, সম্প্রসারণ, সংস্কার ও উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৩৬টি খালে কাজ চলছে।

অরক্ষিত খাল-নালায় নিরাপত্তাবেষ্টনী ও স্ল্যাব বসানো হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র শাহাদাত হোসেন। গতকাল গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ইতিমধ্যে ৩৬টি খালের বিভিন্ন অংশে নিরাপত্তাবেষ্টনী দেওয়া হয়েছে। আরও যেখানে প্রয়োজন, সেখানে স্থাপন করা হবে।

বহদ্দারহাট মোড়ে গিয়ে কথা হয় পথচারী ইকবাল হায়দারের সঙ্গে। পেশায় ব্যবসায়ী ইকবাল বলেন, নগরের খাল-নালাগুলোর বর্ষার সময় ফুলেফেঁপে ওঠে। অনেক সড়ক ও খাল পানিতে একাকার হয়ে যায়। এতে কোনটি খাল, কোনটি সড়ক তা বোঝার উপায় থাকে না। এতে ঘটে দুর্ঘটনা।

খাল-নালা ঝুঁকিমুক্ত না হওয়ার জন্য সিডিএ-সিটি করপোরেশনকে দায়ী করে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের (আইইবি) চট্টগ্রাম কেন্দ্রের সাবেক চেয়ারম্যান দেলোয়ার মজুমদার প্রথম আলোকে বলেন, খাল-নালা নিরাপদ করার দায়িত্ব প্রধানত সিটি করপোরেশন ও সিডিএর। উন্মুক্ত নালা-খালে নিরাপত্তাবেষ্টনী বসাতে একটি প্রকল্প বাস্তবায়নে দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানানো হয়েছে, কিন্তু আলাদা প্রকল্প নেওয়া হয়নি। এ বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার আগেই উন্মুক্ত স্থানে বেষ্টনী দিতে হবে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প রকল প র মরদ হ এল ক য় এল ক র গতক ল নগর র র ঘটন ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

এই অদম্য মেয়েদের আমরা হারিয়ে যেতে দিতে পারি না

অবহেলিত মেয়েরা কঠিন একটি কাজ সম্পন্ন করেছেন। অনেকের কাছে এখনো অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছে। অসাধ্য এক অর্জনকে বাস্তবের জমিনে নামিয়ে এনেছেন আমাদের বাঘিনীরা। সাফ পর্যায় জয় করে নারীদের ফুটবলকে এশীয় পর্যায়ে নিয়ে গেলেন। বিশ্বকাপও খেলে ফিরতে পারেন এই অদম্য বাঘিনীরা।

এখন বলাই যায়, নারী ফুটবলের বিশ্ব পর্যায়ে কড়া নাড়ছেন আমাদের মেয়েরা। ফুটবলকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছেন তাঁরা। শুধু ফুটবলই নয়, আমাদের নারী জাগরণের নতুন দিশা হতে পারে মেয়েদের এই সাফল্য। এই মেয়েরা সারা দেশের মেয়েদের জন্য উদাহরণ। নারী অধিকার, নারী ক্ষমতায়নের নতুন দিনের আলোকবর্তিকা আমাদের নারী ফুটবল দল।

ফুটবলে মেয়েদের এই সাফল্যের পেছনে আছে দীর্ঘদিনের লড়াই-সংগ্রামের ইতিহাস। সফলতা খুব সহজে আসেনি। নানা প্রতিবন্ধকতা পার করে কঠিন এক সংগ্রামের ফসল মেয়েদের আজকের এই অর্জন। ঠাকুরগাঁওয়ের প্রত্যন্ত পল্লি থেকে কোহাটি কিষ্ক, কলসিন্দুরের মারিয়া মান্দা, শামসুন্নাহার, তহুরা খাতুন, সানজিদা আক্তার বা রাঙামাটির দুর্গম গ্রাম মগছড়ি থেকে ঋতুপর্ণা চাকমাদের আজকের এই পর্যায়ে আসার ইতিহাসটা আমরা কমবেশি সবাই জানি।

এই পথচলায় সামাজিক বিধিনিষেধ ছিল। ছিল আর্থিক টানাপোড়েন, অনিশ্চয়তা। জীবনের এমন কোনো সংকট নেই, যা তাঁদের সামনে আসেনি। কিন্তু হিমালয়সম সেই বাধাকে সাহসিকতার সঙ্গে পেছনে ঠেলে আজকে তাঁরা এশীয় পর্যায়ে নিজেদের উন্নীত করেছেন।

তাঁদের অর্জনের তুলনায় রাষ্ট্র দিতে পেরেছে খুবই কম। বলতে গেলে, তাঁরা পেটেভাতে দেশের জন্য খেলে দিচ্ছেন। যেন খেলার বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচি চলছে কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচির আদলে। যৎসামান্য যে বেতন দেওয়া হয়, সেটাও অনিয়মিত। যেকোনো সাফল্যের পর যখন মেয়েদের কাছে শুনতে চাওয়া হয়, ‘আপনারা কী চান?’ উত্তরে মেয়েরা জানান, ‘নিয়মিত বেতনটা চাই। আর বেতনটা বাড়ালে আরও ভালো হয়।’ ২০২৫ সালে এসে এটা মেনে নেওয়া কঠিন।

দেশে মেয়েদের নিয়মিত লিগ হয় না। অন্য কোনো টুর্নামেন্টও হয় না নিয়মিত। নিয়মিত খেলার জন্য আমাদের মেয়েদের ভুটান লিগে খেলতে যেতে হয়। কেবল আবাসিক ক্যাম্পের প্রশিক্ষণ ও কিছু প্রস্তুতিমূলক ম্যাচ খেলেই মেয়েদের আন্তর্জাতিক পর্যায়ের প্রতিযোগিতামূলক খেলায় নামতে হয়। সেই সব খেলায় তাঁরা নিয়মিত লিগ খেলা দলগুলোকে বলে-কয়ে হারাচ্ছে।

আমাদের খেলাধুলাকে রাজধানীকেন্দ্রিক না রেখে প্রান্তিক পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে। শুধু নারী ফুটবল নয়, সব ধরনের খেলাধুলার আয়োজন করতে হবে তৃণমূল থেকে। তবেই নতুন নতুন প্রতিভাবান খেলোয়াড় বেরিয়ে আসবে। ঢাকাকেন্দ্রিক খেলার কুফল কী হতে পারে, তার বড় উদাহরণ আমাদের ছেলেদের ফুটবল। সারা দেশে নিয়মিত প্রতিযোগিতামূলক লিগ না হওয়ার কারণে নতুন নতুন ফুটবলার বেরিয়ে আসছেন না।

কী পরিমাণ প্রতিভার অধিকারী হলে ন্যূনতম সুবিধা না পেয়েও এ পর্যায়ে সাফল্য অর্জন করা যায়, তা এককথায় অবিশ্বাস্য। ভারত ও নেপালে নিয়মিত মেয়েদের খেলা হয়, লিগ হয়। আর আমরা তাদের এখন নিয়মিতই হারাই। এখন সাফের বাইরের দলগুলোকেও আমরা হারাতে শুরু করেছি।

এই মেয়েদের প্রচেষ্টা ও সাহস নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। প্রচণ্ড রকম ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে তাঁরা খেলতে নামেন। ভয়হীন ফুটবল খেলেন। সব থেকে বড় কথা, খেলার যেকোনো ধরনের ট্যাকটিকসের সঙ্গেই তাঁরা দ্রুত মানিয়ে নিতে পারেন। আগে আমাদের মেয়েরা কিছুটা রক্ষণাত্মক ফুটবল খেলতেন। রক্ষণ সামলে প্রতি-আক্রমণে যেতেন। এবার এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে মেয়েরা পুরো খেলার ধরন বদলে ফেলেছেন।

আমাদের মেয়েরা এবার হাই প্রেসিং ফুটবল খেলেছেন। এই দল আগের থেকে দ্রুতগতিসম্পন্ন ফুটবল খেলে। বল পায়ে রাখতে পারে। তাদের বল ডিস্ট্রিবিউশন আগের থেকে অনেক উন্নত হয়েছে। পাসিংও ভালো। পজিশন সেন্স চমৎকার। বিশেষ করে বল হারালে দ্রুত নিজেরা অবস্থান নিতে পারে।

এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে পুরো টুর্নামেন্টজুড়ে হাই লাইন ডিফেন্স করে গেছে দুর্দান্তভাবে। আর বাহরাইনের সঙ্গে শামসুন্নাহার জুনিয়র যেভাবে গতি সঞ্চার করে ডিফেন্স থেকে বেরিয়ে ওয়ান টু ওয়ানে গোলরক্ষককে পরাজিত করলেন ঠান্ডা মাথায়, তা আমাদের পুরুষ দলের স্ট্রাইকার বা উইঙ্গাররাও করতে পারেন না। নিয়মিত খেলার মধ্যে না থাকা একটি দলের কাছে এর বেশি আশা করা উচিত নয়। কিন্তু তাঁরা আমাদের সেই আশাকে ছাড়িয়ে গেছেন। তাঁরা পরিস্থিতি বুঝে মাঠে খেলাটা তৈরি করতে পারেন।

মেয়েদের এই লড়াইকে ধরে রাখতে হবে। তাঁদের প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। সিরাত জাহান স্বপ্না বা আঁখি খাতুনের মতো খেলোয়াড়দের আর্থিক অনিশ্চয়তার কারণে ফুটবল থেকে হারিয়ে যেতে দেওয়া যাবে না। মেয়েদের প্রতিযোগিতামূলক লিগ নিয়মিত আয়োজন করতে হবে। এর পাশাপাশি জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে লিগের আয়োজন করতে হবে।

‘সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা গেলে এই মেয়েরা আমাদের ফুটবল নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবেন।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ