পাবনার ঈশ্বরদী বাইপাস স্টেশনে স্ত্রীকে বাজে ইঙ্গিত এবং অশালীন মন্তব্যের প্রতিবাদ করায় হামলার শিকার হয়েছেন স্বামীসহ তিনজন। আজ রোববার স্টেশনে বেড়াতে গিয়ে হামলার শিকার হন তারা। এ সময় স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।

হামলায় চুন্নু আলম, তাঁর স্ত্রী সাদিয়া পারভিন মালা ও তাদের বন্ধু সোলেমান ইসলাম সাগরের মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়েছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় ঈশ্বরদী থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।

অভিযোগ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা থেকে জানা যায়, শহরের ফতেমোহাম্মদপুর এলাকার চুন্নু আলম স্ত্রী সাদিয়াকে সঙ্গে নিয়ে বাইপাস স্টেশনে বেড়াতে যান। তারা সেখানকার বিভিন্ন দৃশ্যের ছবি তুলছিলেন। এ সময় সিহাব হোসেন ও সোহান আলী নামের দুই তরুণ তাঁর স্ত্রীকে উদ্দেশ করে অশালীন ভাষায় বাজে ইঙ্গিত করে।

চুন্নু স্ত্রীকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ জানালে দু’জনসহ সঙ্গে থাকা রমজান আলী, মতিউর রহমান, পাঁচু মিয়াসহ কয়েকজন তাঁর ওপর চড়াও হয়। কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে তাঁকে পিটিয়ে সেখানে ফেলে দেয়। খবর পেয়ে বন্ধু সাগর তাঁকে উদ্ধার করতে এলে তাঁকেও মারধর করে। স্থানীয় লোকজন তাৎক্ষণিক এর প্রতিবাদ জানান। 

আহত চুন্নু বলেন, ‘আমি স্ত্রীকে বাইপাস স্টেশনের গ্রামীণ পরিবেশ ও সৌন্দর্য দেখাতে নিয়ে গিয়েছিলাম। সেখানে বখাটেরা তাঁকে ইভটিজিং করলে আমি প্রতিবাদ করি। এতে তারা আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে নেতৃত্ব দেয় সিহাব ও সোহান।’

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এলাকার প্রভাবশালী মতিউর রহমান ওরফে মতি মেম্বারের ছেলে সিহাব। তিনি বাবার দাপটে এলাকায় বখাটে আচরণ করলেও ভয়ে কেউ তাকে কিছু বলে না। এ বিষয়ে চেষ্টা করেও সিহাব ও সোহানের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

সিহাবের বাবা মতিউর রহমান বলেন, এ ঘটনা সম্পর্কে তিনি কিছু জানেন না।

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম শহিদ বলেন, বাইপাস স্টেশনের ঘটনাটি লোকমুখে শুনেছেন। থানায় দেওয়া অভিযোগ তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প বন ম রধর

এছাড়াও পড়ুন:

নির্বাচন: বিএনপির যে প্রার্থীদের সঙ্গে লড়বেন এনসিপির শীর্ষ নেতারা

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ২৩৭ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শীর্ষ নেতাদের যেসব আসনে নির্বাচন করার কথা রয়েছে, সেখানেও প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি।

সোমবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ২৩৭ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আরো পড়ুন:

বিএনপির প্রার্থী তালিকায় নেই তারকারা

কুষ্টিয়ায় মনোনয়নবঞ্চিত সোহরাব- সমর্থকদের বিক্ষোভ

বিএনপির ঘোষিত আসনভিত্তিক তালিকা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ঢাকা-১১ (বাড্ডা-ভাটারা-রামপুরা) আসনের তাদের প্রার্থী এম এ কাইয়ুম। এই আসনে নির্বাচন করতে পারেন এনসিপির আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম।

রংপুর-৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী মোহাম্মদ এনামুল হক ভরসা। এই আসনে নির্বাচন করতে পারেন এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন।

পঞ্চগড়-১ আসনে বিএনপির প্রার্থী মোহাম্মদ নওশাদ জমির। এই আসনে নির্বাচন করার সম্ভাবনা রয়েছে এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের।

কুমিল্লা-৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী মঞ্জুরুল আহসান মুন্সী। এই আসনে নির্বাচন করতে পারেন এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

চাঁদপুর-৫ আসনে বিএনপির প্রার্থী করা হয়েছে মো. মমিনুল হককে। এই আসনে নির্বাচন করতে পারেন এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে এনসিপির মিডিয়া সেলের সম্পাদক মুশফিক উস সালেহীন রাইজিংবিডি ডটকমকে বলেন, “এখন পর্যন্ত আমাদের দলের আসনভিত্তিক মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হয়নি। যখন চূড়ান্ত করা হবে, আপনাদের জানানো হবে।”

এর আগে রবিবার (৩ নভেম্বর) সমসাময়িক রাজনৈতিক প্রসঙ্গে এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, “আমরা ৩০০ আসন ধরে এগোচ্ছি। ঢাকা থেকেই আমি দাঁড়াব। আর কে কোন আসনে দাঁড়াবেন, আমরা প্রার্থী তালিকা এ মাসেই দিতে পারি।”

অবশ্য বিএনপি ও এনসিপি চূড়ান্ত মনোনয়ন না দেওয়া পর্যন্ত যে কোনো আসনে যেকোনো সময় পরিবর্তন আসতে পারে বলে তারা ঘোষণা দিয়ে রেখেছে। 

ঢাকা/রায়হান/রাসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ