বরিশাল নগরে মোস্তাফিজুর রহমান (৪০) নামের ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার (ইজিবাইক) এক চালকের ‘ঝুলন্ত’ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্বজনদের দাবি, পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে হুমকি পাওয়ায় হতাশাগ্রস্ত হয়ে তিনি ‘আত্মহত্যা’ করেছেন।

আজ রোববার সকালে নগরের চৌমাথার হাতেম আলী কলেজ-সংলগ্ন এলাকায় নিজ বাসা থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। তাঁর লাশ বরিশালের শের-ই–বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান।

মারা যাওয়া মোস্তাফিজুরের স্ত্রী হনুফা আক্তার জানান, কয়েক বছর ধরে নিজের পৈতৃক জমিতে বসবাস করছিলেন তাঁরা। ওই জমি নিয়ে চাচাতো ভাইদের সঙ্গে বিরোধ ছিল। বেশ কয়েক দিন ধরে ওই জমি দখলের হুমকি পেয়ে আসছিলেন মোস্তাফিজ। হুমকি পেয়ে তিনি বেশ কয়েক দিন ধরে হতাশাগ্রস্ত ছিলেন। সেই হতাশা ও আতঙ্ক থেকে আজ ভোরে ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে ‘আত্মহত্যা’ করেন তিনি। সকালে ঘুম থেকে উঠে তাঁরা তাঁর ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান।

মোস্তাফিজের ভগ্নিপতি মো.

রেজাউল প্রথম আলোকে বলেন, মোস্তাফিজুর হৃদ্‌রোগী ছিলেন। বছরখানেক আগে হৃদ্‌যন্ত্রে অস্ত্রাপচারের পর সুস্থ জীবন যাপন করছিলেন। সম্প্রতি পৈতৃক জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের কাছ থেকে হুমকি পান। এরপর তিনি দুঃশ্চিন্তা ও আতঙ্কে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। সেই হতাশা থেকে তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে পারেন।

কোতোয়ালি থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে তাঁরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠান এবং লাশ উদ্ধার করেন। এখন লাশ শের-ই–বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা আছে। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: বর শ ল

এছাড়াও পড়ুন:

আজ মুখোমুখি শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান, যে ম্যাচে ঝুলছে বাংলাদেশের ভাগ্য

এশিয়া কাপে আজকের রাত যেন এক নাটকীয় অধ্যায়। ‘বি’ গ্রুপের শেষ ম্যাচে আবুধাবির মাঠে মুখোমুখি হবে শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান। বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় শুরু হওয়া এই লড়াই কেবল দুই দলের নয়, এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাংলাদেশের ভাগ্যও। কোটি টাইগার সমর্থক তাই আজ তাকিয়ে থাকবে টিভি পর্দায়। কারণ, এই ম্যাচেই নির্ধারিত হবে, বাংলাদেশ কি সুপার ফোরে উড়াল দেবে, নাকি গ্রুপ পর্বেই শেষ হবে স্বপ্নযাত্রা।

গ্রুপের সমীকরণ এখন টানটান নাটকের মতো। তিন ম্যাচে পূর্ণ ৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে শ্রীলঙ্কা। সমান ৪ পয়েন্ট থাকলেও রান রেটে পিছিয়ে দ্বিতীয় স্থানে বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের ঝুলিতে আছে ২ পয়েন্ট; এক জয় ও এক হারের ফল। হংকং অবশ্য তিন ম্যাচেই হেরে অনেক আগেই বিদায় নিয়েছে।

আরো পড়ুন:

আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান

আরব আমিরাতকে ১৪৭ রানের টার্গেট দিল পাকিস্তান

এখন হিসাবটা এমন—
আফগানিস্তান হেরে গেলে বাংলাদেশ নিশ্চিতভাবেই সুপার ফোরে।
আফগানিস্তান জিতলে সমীকরণ জটিল হবে। তখন শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশের পয়েন্ট সমান ৪ হলেও নেট রান রেটে স্পষ্ট এগিয়ে থাকবে আফগানরা (২.১৫০)। শ্রীলঙ্কার রান রেট ১.৫৪৬, আর বাংলাদেশ অনেক পিছিয়ে -০.২৭০-তে।

অর্থাৎ আফগানিস্তান যদি জেতে, তবে বাংলাদেশকে তাকিয়ে থাকতে হবে এক অসম্ভব সমীকরণের দিকে। সেটা হলো- লঙ্কানদের অন্তত ৭০ রানের ব্যবধানে হারতে হবে এবং তা করতে হবে ৫০ বল হাতে রেখে। অন্যথায় রান রেটের খেলায় পিছিয়েই থাকতে হবে টাইগারদের। তবে বৃষ্টি যদি হানা দেয় কিংবা ম্যাচ কোনো কারণে পরিত্যক্ত হয়, তাহলে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা দু’দলই নিশ্চিতভাবেই চলে যাবে সুপার ফোরে।

ম্যাচকে ঘিরে দুই শিবিরেই চাপ-উত্তেজনার আবহ। আফগানিস্তানের অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার গুলবাদিন নাইব মনে করেন, চাপটা আসলে শ্রীলঙ্কার ওপরই বেশি, “আমরা এসব টুর্নামেন্ট খেলতে অভ্যস্ত, আমাদের কোনো চাপ নেই। শ্রীলঙ্কা ভালো দল ঠিকই, তবে তারাও চাপে থাকবে। আমার মনে হয় দারুণ একটা ম্যাচ হবে।”

অন্যদিকে শ্রীলঙ্কার অলরাউন্ডার দাসুন শানাকা বাংলাদেশ প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “প্রতিটি ম্যাচই আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। হ্যাঁ, বাংলাদেশের সমর্থকরা আমাদের জয়ের জন্য অপেক্ষা করছে। আমরাও জয়ের লক্ষ্যেই মাঠে নামব।”

হংকংয়ের বিপক্ষে জিতলেও শ্রীলঙ্কাকে ঘাম ঝরাতে হয়েছিল। সেই অভিজ্ঞতা বলছে, আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয়টা সহজ হবে না তাদের জন্যও। শেষ পর্যন্ত কারা হাসবে জয়ের হাসিতে, আর কোন সমীকরণে দাঁড়াবে বাংলাদেশের ভাগ্য; এই প্রশ্নের উত্তরই দেবে আজকের আবুধাবির রাত।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ