৫ দাবিতে শেকৃবি শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
Published: 20th, April 2025 GMT
কৃষিশিক্ষা ও কৃষিবিদদের পেশাগত স্বার্থ রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (২০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ‘কৃষিবিদ ঐক্য পরিষদ’ এর ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা। পরে দুপুর ১২টায় আয়োজকদের পক্ষ থেকে একটি সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
মানববন্ধনে শেকৃবি শিক্ষার্থীরা সম্প্রতি ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের উত্থাপিত আট দফা দাবির বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানান। তারা বলেন, এসব দাবির মধ্যে কিছু দাবি কৃষিবিদদের স্বার্থের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং কৃষিশিক্ষার গুণগত মানের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। যৌক্তিক দাবি সমর্থনযোগ্য হলেও কৃষিবিদদের অধিকার রক্ষায় আপস করা যাবে না।
আয়োজিত কর্মসূচিতে কৃষিবিদ ঐক্য পরিষদ পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরে। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- পাবলিক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তি পরীক্ষার প্রচলিত নিয়মাবলি অক্ষুণ্ণ রাখা; নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হয়ে নবম গ্রেডে পদোন্নতির সুযোগ না দেওয়া এবং দশম গ্রেডের নিয়োগ গেজেটের বাইরে রাখার আহ্বান।
অন্য দাবিগুলো হলো- উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা বা সমমান পদে বিএসসি ও ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারীদের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা; কৃষি বা কৃষি-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি ছাড়া "কৃষিবিদ" পদবি ব্যবহার বন্ধে সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি; কৃষি ডিপ্লোমা ও কারিগরি শিক্ষা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আওতায় রাখার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
মানববন্ধনে ছাত্রদল, শিবির, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারাসহ বিভিন্ন অনুষদের প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/মামুন/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
তারেক রহমানের ৩১ দফার মধ্যেই সংস্কার রয়েছে, অচিরেই নির্বাচন দিন : সোহাগ
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এবং দ্রুত নির্বাচনের দাবিতে তারেক জিয়া পরিষদ নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির উদ্যোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) সকালে নগরীর চাষাড়া প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এ মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, তারেক জিয়া পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক আমিনুল ইসলাম সোহাগ।
এসময় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে আহবায়ক আমিনুল ইসলাম সোহাগ ড. মোহাম্মদ ইউনূস'কে উদ্দেশ্য করে বলেন, এ দেশের মানুষ আপনাকে পছন্দ করে ভালবাসে। আমরা নিশ্চিত এ দেশের মানুষের মনের আশা গণতন্ত্র প্রক্রিয়ায় একটি সুষ্ঠ নির্বাচন আপনি এ দেশের জনগণকে উপহার দেবেন।
অচিরেই সেই নির্বাচনের দিনক্ষণ আপনি ঠিক করুন। আপনি সংস্কারের কথা বলছেন। সংস্কার হচ্ছে একটি প্রক্রিয়া। ধারাবাহিক প্রক্রিয়া মাধ্যমেই সংস্কার চলতে থাকবে। তাই আপনি নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। আমাদের তারেক রহমান দীর্ঘ ১৭ বছর আন্দোলন করেছেন।
তিনি যে ৩১ দফার একটি রূপরেখা দিয়েছেন তার মধ্যেই সংস্কার রয়েছে। আমিনুল ইসলাম সোহাগ আরও বলেন, আওয়ামী লীগ অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসে দেশে দুর্ভিক্ষ উপহার দিয়েছিল। মানুষের যেমন বাক স্বাধীনতা ছিল না ঠিক একইভাবে সংবাদপত্রেরও স্বাধীনতা ছিল না।
ঐ সময় আমরা কিন্তু আমাদের নিজেদের ভোটও দিতে পারি নাই। পুলিশ, বিডিআর, র্যাব, সেনাবাহিনী থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রশাসনের লোকজনকে তাদের দলীয়করণ করে দলীয় নেতাকর্মীদের মতো তারা ব্যবহার করেছিলেন।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে দেশে খুন, গুম, ধর্ষণসহ মৌলিক অধিকার ও মানুষের মানবিক অধিকার হরণ করেছে। দুর্নীতির মাধ্যমে এদেশ থেকে তারা হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করে বিদেশে পাচার করে নিয়েছে। ব্যাংক সেক্টরকে নিয়ে এসেছিলো শূন্যের কোঠায়।
তারেক জিয়া পরিষদের নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি শিশির খান, সিনিয়র সভাপতি তাইজুল ইসলাম খান, নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক হাজী রাশেদুল ইসলাম টিটু, সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক আনোয়ার হোসেন, আড়াই হাজার থানার সভাপতি মনির হোসেন, সেক্রেটারি পনির আহমেদ, বন্দর থানার সভাপতি নুর ইসলাম ও সেক্রেটারি রুবেল মিয়া সহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।