বন্দরে আওয়ামীলীগ নেত্রীর বসত বাড়িতে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। অগ্নিকান্ডে বসত ঘরে আসভাবপত্র  পুড়ে গিয়ে প্রায় ২ লাখ টাকা ক্ষতিসাধন হয়েছে।  তবে এ ঘটনায় আহত বা প্রানহানির  কোন খবর পাওয়া যায়নি।

গত শনিবার (১৯ এপ্রিল) রাত পৌনে ১০টায় বন্দর থানার ২৩ নং ওয়ার্ডের একরামপুর পৌরসভা সংলগ্ন আওয়ামীলীগ নেত্রী শিমলা সুলতানার বসত বাড়িতে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

এলাকাবাসী মাধ্যমে  খবর পেয়ে বন্দর ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে প্রায় ৪৫ মিনিট  চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে।  অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে বন্দর থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থল  পরিদর্শন করেছে।

বন্দর ফায়ার সার্ভিস গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, মশার কয়েল থেকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত ঘটে। খবর পেয়ে আমাদের একটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে ৪৫ মিনিট চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনি। সে সাথে অগ্নিকান্ডের কবল থেকে ১০ লাখ টাকা মালামাল উদ্ধার করতে সক্ষম হই।

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ আওয় ম ল গ খবর প

এছাড়াও পড়ুন:

অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন

প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।

শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্‌রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।

আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন

রাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।

কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।

দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।

২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।

প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।

আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।

সূত্র: এনবিসি নিউজ

আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ